কী করতে হবে? আমাদের আন্দোলনের জরুরি প্রশ্নগুলি, (ইংরেজিতে: What Is to Be Done? Burning Questions of Our Movement) হচ্ছে ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের লেখা বই এবং বইটিতে যে সকল তত্ত্বগত নিবন্ধ পরিস্ফুট করা হয় সেসব পরবর্তীকালে বলশেভিক পার্টির মতাদর্শের ভিত্তি স্বরূপ হয়ে দাঁড়ায়। বইটি তিনি প্রস্তুত করেছিলেন ১৯০১ সালের বসন্তকালে এবং লেখা শুরু করেছিলেন ১৯০১ সালের শরতকালে। বইটি লেখা শেষ হয়েছিল ১৯০২ সালের জানুয়ারি মাসে। ১৯০১ সালের ডিসেম্বর মাসে লেনিন ১২ নং ‘ইস্ক্রা’য় প্রকাশ করেছিলেন তাঁর ‘অর্থনীতিবাদের সমর্থকদের সঙ্গে আলাপ’ প্রবন্ধটি সেটাকে তিনি পরে বলেছিলেন ‘কী করতে হবে?’-এর রূপরেখা। বইখানির ভূমিকা লেনিন লিখেছিলেন ১৯০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে; মার্চ মাসের গোড়ার দিকে বইখানা প্রকাশ করেছিল স্টুটগার্টে ডিয়েটটস প্রকাশালয়। ১৯০২ ও ১৯০৩ সালে সারা রাশিয়ায় কমিউনিস্ট সংগঠনগুলির মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছিল।
এটি একটি রাজনৈতিক প্রচারপুস্তিকা যার শিরোনাম নেয়া হয় উনিশ শতকের রুশ বিপ্লবী নিকোলাই চেরনিশেভস্কি (১৮২৮-৮৯) লিখিত একই নামের উপন্যাস থেকে। মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের জন্য সংগ্রামের ক্ষেত্রে এই বই চূড়ান্ত ভূমিকা পালন করে। বৈপ্লবিক মার্কসবাদ সংক্রান্ত অপূর্ব এই বইটিতে রুশ কমিউনিস্টগণ[১] বহু জরুরি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পান। এই বইতে শ্রমিক আন্দোলনের সচেতন ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক, প্রলেতারিয়েতের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা, পরিপক্ক হয়ে ওঠা বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লবে রুশ কমিউনিস্টদের ভূমিকা এবং সংগ্রামী ও বৈপ্লবিক এক প্রলেতারীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার সাংগঠনিক প্রকারভেদ, পথ ও পদ্ধতি প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়। এতে লেনিন প্রলেতারিয় মার্কসবাদী পার্টি গঠনের পরিকল্পনা ও তার রণকৌশলের বুনিয়াদ বিশদভাবে উপস্থাপিত ও প্রতিষ্ঠিত করেন। লেনিনের মত ছিলো এই পার্টিকে হতে হবে আগাগোড়া বিপ্লবী, নতুন ধরনের সংগ্রামী পার্টি। রাশিয়ায় শ্রমিক শ্রেণির মার্কসবাদী পার্টি গড়ার সংগ্রামে, রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির বিভিন্ন কমিটি আর সংগঠনে লেনিনীয় ‘ইস্ক্রা’ মতধারার জয় হাসিল করার জন্যে এবং ১৯০৩ সালে দ্বিতীয় পার্টি কংগ্রেসে “কী করতে হবে?’ বইখানির ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ।[২]
কী করতে হবে গ্রন্থের মূল বিষয়
কী করতে হবে নামক বিখ্যাত গ্রন্থের যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে তার কারণ এই যে এই বইতে লেনিন পাঁচটি অধ্যায়ে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেছেন।
(১) মার্কসবাদী চিন্তাধারার ইতিহাসে সর্বপ্রথম সুবিধাবাদের মতাদর্শগত শিকড় টেনে বের করে দেখান যে, সুবিধাবাদীর প্রধান স্বতঃস্ফূর্ত শ্রমিক শ্রেণির আন্দোলনের স্তুতি গান করে শ্রমিক শ্রেণির আন্দোলনে সমাজতান্ত্রিক চেতনার ভূমিকাকে হেয় প্রতিপন্ন করে।
(২) স্বতঃস্ফূর্ত শ্রমিক শ্রেণি আন্দোলনের বিপ্লবমুখী পরিচালক শক্তি হিসাবে চেতনা ও পার্টির বিরাট গুরুত্ব প্রমাণ করেন।
(৩) মার্কসবাদী পার্টি যে সমাজতন্ত্রের সঙ্গে শ্রমিক শ্রেণির আন্দোলনের মিলনের প্রতীক, তা চমৎকারভাবে বুঝিয়ে দেন।
(৪) মার্কসবাদী পার্টির মতাদর্শমূলক ভিত্তি সম্বন্ধে চমৎকার ব্যাখ্যা দেন।
কী করতে হবে? বইখানি ‘অর্থনীতিবাদের’ ভাবাদর্শগত গোরখোদকের কাজ সুসম্পন্ন করে। লেনিনের মতে অর্থনীতিবাদ ছিলো আন্তর্জাতিক সুবিধাবাদেরই রুশ প্রকারভেদস্বরূপ। লেনিনবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে সুবিধাবাদের স্বরূপ হচ্ছে ‘শ্রমিক শ্রেণির উপর বুর্জোয়া ও বুর্জোয়া ভাবাদর্শের প্রভাব, স্বতঃস্ফূর্ত শ্রমিক আন্দোলনের সামনে মাথা নত করা, শ্রমিক আন্দোলনে সমাজতান্ত্রিক চেতনার ভূমিকাকে ছোট করে দেখা’[২]। লেনিন লেখেন যে ১৯ শতকের শেষে এবং ২০ শতকের গোড়ায় আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে যে সুবিধাবাদী ধারা দেখা দেয় এবং যা ‘সমালোচনার স্বাধীনতার’ ছদ্মবেশে মার্কসবাদের সংস্কারসাধনে উদ্যত হয়েছিল, তা তার নিজ তত্ত্বসমূহ পুরোপুরিভাবে বুর্জোয়া সাহিত্য থেকে ধার নিয়েছিল, তাই বলা চলে যে, কুখ্যাত ‘সমালোচনার স্বাধীনতার’ অর্থ হলো কমিউনিজমে সুবিধাবাদী মতধারার স্বাধীনতা, কমিউনিস্ট পার্টিকে সংস্কারের গণতান্ত্রিক পার্টিতে পরিণত করার স্বাধীনতা, সমাজতন্ত্রের ভেতরে বুর্জোয়া ভাব-ধারনা আর বিভিন্ন বুর্জোয়া উপাদান ঢোকাবার স্বাধীনতা।[২] লেনিন যুক্তিতর্ক দিয়ে প্রমাণ করেন যে প্রলেতারিয়েতের সমাজতান্ত্রিক ভাবাদর্শ এবং বুর্জোয়া ভাবধারার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন ও আপোষহীন সংগ্রাম বজায় রয়েছে।
এই গ্রন্থে লেনিন পুঁজিবাদের আমলে শ্রমিক শ্রেণির ভাবাদর্শ বিকাশের নিয়মশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রশ্নগুলোকে সুনির্দিষ্ট রূপ দেন। এই বইয়ে দেখানো হয় যে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত শ্রমিক আন্দোলন-বহির্ভূত অবস্থায় উদ্ভূত এক ভাবাদর্শ। অথচ ‘অর্থনীতিবাদীরা’ মনে করে যে সমাজতান্ত্রিক চেতনা স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বয়ং শ্রমিক আন্দোলনের মধ্য থেকেই বৃদ্ধি পায় এবং তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রমিক শ্রেণির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে লেনিন শ্রমিক আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ততা এবং সচেতনতার মধ্যকার সম্পর্ক, স্বতঃস্ফূর্ত শ্রমিক আন্দোলনে সমাজতান্ত্রিক ভাবাদর্শ অন্তর্ভুক্ত করা সংক্রান্ত সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি এই গ্রন্থে প্রমাণ করেন যে, ‘আর্থনীতিক সংগ্রামের বাইরে থেকে’ই শ্রমিক আন্দোলনে সমাজতান্ত্রিক ভাবাদর্শ প্রোথিত করা চলে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, স্বতঃস্ফূর্ত শ্রমিক আন্দোলন থেকে সমাজতান্ত্রিক চেতনা উদ্ভূত হয় না, বৈপ্লবিক মার্কসবাদী পার্টি কর্তৃক তা শ্রমিক আন্দোলনে প্রোথিত হয়। প্রলেতারিয় পার্টির একান্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হলো সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের নির্মলতা রক্ষার সমর্থনে, শ্রমিক শ্রেণির উপর বুর্জোয়া প্রভাবের বিরুদ্ধে, সুবিধাবাদী, তথা শ্রমিক আন্দোলনে বুর্জোয়া ভাবাদর্শ প্রচারক ও বাহকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালনায়।
শ্রমিক আন্দোলনের জন্য, শ্রমিক শ্রেণির বৈপ্লবিক মার্কসবাদী পার্টি সমস্ত ক্রিয়াকলাপের জন্য বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের তাত্ত্বিক দিকটির বিশেষ গুরুত্বের স্বরূপ লেনিন উন্মোচন করেন এই গ্রন্থে। তিনি লেখেন, ‘যে-পার্টি সবচেয়ে অগ্রসর তত্ত্ব দিয়ে পরিচালিত একমাত্র সেটাই সেনামুখ-সংগ্রামীর ভূমিকা পালন করতে পারে’। লেনিন উল্লেখ করেন যে, রুশ সাম্যবাদীদের পক্ষে অগ্রণী তত্ত্বের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে তার বিকাশের পথে যেসব ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্য ও তার সামনে যেসব বৈপ্লবিক কর্তব্য উত্থাপিত হয়েছে তার জন্য।
কী করতে হবে? বইটিতে বিশেষ দৃষ্টিপাত করা হয়েছে রাশিয়ার প্রলেতারিয়েত ও তার পার্টির রণকৌশলের বুনিয়াদ গড়ে তোলার কাজে। লেনিন লেখেন, শ্রমিক শ্রেণী স্বৈরতন্ত্রী-জমিদারী গঠন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সর্বজনীন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্বদান করতে, রুশ সমাজের সমস্ত বৈপ্লবিক ও বিরোধী শক্তির অগ্রবাহিনী হয়ে উঠতে পারে এবং তা হওয়া উচিতও । ঠিক সেই কারণেই পুরোপুরিভাবে স্বৈরতন্ত্রের রাজনৈতিক মুখোস খুলার কাজ হলো রাশিয়ার কমিউনিস্টদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য, একইসঙ্গে তা প্রলেতারিয়েতের রাজনৈতিক শিক্ষাদান কাজের আবশ্যকীয় শর্ত। এটাই ছিল রাশিয়ার সাম্যবাদী আন্দোলনের জরুরি ‘প্রশ্নস্বরূপ’।
পশ্চিমে বের্নস্তাইনপন্থীরা এবং রাশিয়ার অর্থনীতিবাদীরা বিশেষ জোর দিয়েছিল ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার স্বতঃস্ফূর্ততার উপর, শ্রমিক শ্রেণির রাজনৈতিক সংগ্রামের কার্যকারিতার ব্যাপারে সঠিক মূল্যায়নে তারা অক্ষম হয় এবং এ সংগ্রামে তারা শুধু অর্থনৈতিক দাবিই উত্থাপন করে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্র ও পেশাগত সংগ্রামের মধ্যেই তার গণ্ডি সীমাবদ্ধ রাখে। অনুরূপ, তথা ট্রেড ইউনিয়নবাদের নীতি অবশ্যম্ভাবীরূপেই শ্রমিক আন্দোলনকে বুর্জোয়া মতাদর্শ ও বুর্জোয়া নীতির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এই সুবিধাবাদী ধারার প্রত্যুত্তরস্বরূপ লেনিন সমাজ বিকাশের জন্য, সমাজতন্ত্রের জন্য প্রলেতারিয় সংগ্রামে রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রাথমিক গুরুত্ব সংক্রান্ত মার্কসবাদী লেনিনবাদী এক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত উত্থাপন করে তা প্রমানিত করেন: “… কেননা বিভিন্ন শ্রেণীর সবচেয়ে সারবান, ‘নিষ্পত্তিকর’ স্বার্থ মিটতে পারে একমাত্র সাধারণভাবে মূলগত রাজনীতিক পরিবর্তন দিয়ে। বিশেষত, প্রলেতারিয়েতের বুনিয়াদী আর্থনীতিক স্বার্থ মিটতে পারে একমাত্র রাজনীতিক বিপ্লব দিয়ে, যে বিপ্লব ‘বুর্জোয়াদের একনায়কত্বের জায়গায় কায়েম করবে প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব’।
রাশিয়ায় সাম্যবাদী আন্দোলনে বিশেষ ক্ষতিসাধন করে প্রলেতারিয়েতের সাংগঠনিক কর্তব্যসমূহের ক্ষেত্রে স্বতস্ফূর্ততার সামনে ‘অর্থনীতিবাদীদের’ মাথা নত করার ঘটনা, পার্টি গঠনকার্যের প্রশ্নে তাদের ‘আনাড়ি’ অবস্থান গ্রহণের ঘটনা। ‘অর্থনীতিবাদীদের আনাড়িপনার’ উৎসটিকে লেনিন নিরীক্ষণ করেন কমিউনিজমের কর্তব্যসমূহকে ট্রেড ইউনিয়নবাদের পর্যায়ে টেনে নামিয়ে নিয়ে আসার মধ্যে, শ্রমিক শ্রেণীর দুই ধরনের সংগঠনের মধ্যে জগাখিচুড়ি পাকানোর মধ্যে: এ দুটি হলো শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থা এবং শ্রমিক শ্রেণির শ্রেণি সংগঠনের সুউচ্চ ধরনরূপে গঠিত রাজনৈতিক পার্টি।
লেনিন উল্লেখ করেন রুশ সাম্যবাদীদের প্রথম ও সর্বপ্রধান কর্তব্য হচ্ছে সারা রাশিয়াব্যাপী কেন্দ্রীয় এক সংগঠন গড়ে তোলা, অর্থাৎ কিনা এমন এক রাজনৈতিক পার্টি প্রতিষ্ঠা করা, জনগণের সংগে যার বজায় থাকবে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ এবং যা শ্রমিক শ্রেণির বৈপ্লবিক সংগ্রামে নেতৃত্বদানে সক্ষম হবে। পার্টিকে চলতে হবে স্বতঃস্ফূর্ত শ্রমিক আন্দোলনের আগে আগে, তাকে পথ দেখাতে হবে, প্রলেতারিয়েত স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে সমস্ত তাত্ত্বিক, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়, তার উত্তর দিতে হবে। ‘বিপ্লবীদের একটি শক্তিশালী সংগঠন এই সংগ্রামকে পরিচালিত না করা অবধি প্রলেতারিয়েতের স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রাম তাদের সাচ্চা ‘শ্রেণিসংগ্রাম’ হয়ে উঠবে না’। এই ধরনের সংগঠন কীভাবে গড়ে তোলা উচিত, তার জন্য কোন পথ গ্রহণ করা প্রয়োজন_ কী করতে হবে? বইটিতে লেনিন তারই বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন।
তথ্যসূত্র ও টিকা
১. সেসময় রাশিয়ার পার্টিকে বলা হতো সোশ্যাল-ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং পার্টি সভ্যগণ নিজেদের সোশ্যাল-ডেমোক্র্যাট হিসেবে পরিচয় দিতেন। আমরা এখানে বর্তমানের প্রযোজ্য শব্দ কমিউনিস্ট ব্যবহার করছি।
২. এই নিবন্ধের সমস্ত তথ্য নেয়া হয়েছে প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৪, থেকে প্রকাশিত ভ্লাদিমির লেনিন লিখিত কী করতে হবে গ্রন্থের মার্কসবাদ লেনিনবাদ ইন্সটিটিউট কর্তৃক লিখিত ভূমিকা অংশের ৫-৯ পৃষ্ঠা থেকে।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।