সাম্যবাদী দলসমূহের বিবৃতিতে হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবি

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সাম্যবাদী দলসমূহের বিবৃতিতে সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে হত্যকাণ্ডের দায় নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। গতকাল ৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ জাসদ, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ে রাজেকুজ্জামান রতনের স্বাক্ষরে প্রচারিত এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদ এর সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী; ফ্যাসিবাদী বিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব) আহ্বায়ক সন্তোষ গুপ্ত, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান আজ ৩ আগস্ট ২০২৪ সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গত কয়েকদিনে দেশে একদিকে যেমন রাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে স্মরণকালের ভয়াবহতম রাজনৈতিক দমন, পীড়ন, হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে আর অপরদিকে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ চলমান ছাত্র আন্দোলনে আবু সাঈদসহ ২ শতাধিক শীহদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং নতুন প্রজন্মের অকুতোভয় বীর ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই কয়েকদিনে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের দানবীয় আক্রমণ প্রত্যক্ষ করেছে দেশের মানুষ। ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবিতে গড়ে উঠা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে অন্তত ২১৩ জনকে হত্যা, (আন্দোলনকারীদের দাবি ২৬৬), ৭ হাজারের বেশি আহত, ১২ হাজারের বেশি গ্রেফতার, আড়াই লাখের মত অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে (পত্রিকার খবর অনুযায়ী)। এই ধরনের রাষ্ট্রীয় দমনের চিত্র এই ভূখণ্ডের মানুষ পাকিস্তান আমলে এবং বাংলাদেশের গত ৫৩ বছরে আর দেখে নি। কারফিউ দিয়ে, সেনাবাহিনী নামিয়ে, বর্ডার গার্ড মোতায়েন করে, হাজার হাজার রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ছুড়ে এক নারকীয় কাণ্ড চালিয়েছে সরকার। এমনকি হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করেও যখন ছাত্র-জনতাকে পিছু হটাতে পারে নি তখন ‘দেখা মাত্র গুলি ‘ ঘোষণা করে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তারা। আর এখন ‘ব্লক রেইড’ চালিয়ে রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ছাত্র পরিচয় পেলেই। দরজায় নক করে ছাত্র আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে তাদের মোবাইল চেক করে জামা কাপড় খুলে আহত হওয়ার চিহ্ন আছে কিনা দেখতে চায় এবং গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এটা যেন পাকিস্তানীদের লুঙ্গি খুলে ধর্ম সনাক্ত করার মতো ঘটনা। গ্রেপ্তার থেকে বাদ যাচ্ছে না নানা পেশার শ্রমজীবী কিশোর-যুবকেরাও। অবস্থা দেখে যে কেউ ধারণা করতে পারেন যে দেশের জনগণের উপর যেন বিদেশি দখলদার বাহিনী আক্রমণ ও অত্যাচার চালাচ্ছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কোটা সংস্কারের একটি যুক্তিসঙ্গত আন্দোলন ২০১৩ সাল থেকেই ছাত্ররা করে আসছিল। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান থাকা সত্ত্বেও তাদের নাতি-পুতিদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। একদিকে তীব্র বেকারত্ব অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৮ শতাংশের বেশি পূরণ না হওয়ার কারণে কোটা সংস্কার এর দাবি যৌক্তিক বলে সবার কাছেই বিবেচিত হতে থাকে। বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের নির্মম হামলা ও পুলিশি অত্যাচার সত্ত্বেও এই আন্দোলন ক্রমেই জনপ্রিয়তা ও জনসম্পৃক্ততা অর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে প্রবল ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত ধরনের কোটা বাতিল করলে সমস্যার তো সমাধান হয়নি বরং নতুন জটিলতার বীজ রোপিত হয়েছিল। যা পরবর্তীতে হাই কোর্টে রিট এবং আদেশের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়। ফলে ২০২৪ সালে আবার আন্দোলন গড়ে উঠে। জুলাই এর ১ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ এবং ক্রমাগত শক্তি অর্জন করে সারা বাংলাদেশে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে স্কুলের ছাত্ররাও ব্যাপকহারে অংশগ্রহণ করে। ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল অভূতপূর্ব। এ থেকে আন্দোলনের ব্যাপকতা লক্ষ্য করা যায়। মুক্তিযুদ্ধকে আন্দোলনের বিপরীতে দাঁড় করানোর চেষ্টা, আন্দোলনকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপমানজনক ও কুরুচিপূর্ণ উক্তি এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়ার উস্কানিতে (যা ফৌজদারি অপরাধ) ছাত্রলীগ-যুবলীগ নৃশংস আক্রমণে ঝাপিয়ে পড়ে আন্দোলনকারীদের উপর। শত শত শিক্ষার্থী আহত হয়, নারী শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা পরিচালনা করা হয় এবং আহত ও চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের উপরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও আক্রমণ করে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। ফলশ্রুতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রবল প্রতিরোধে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ছাত্রলীগ নেতা কর্মী ও সন্ত্রাসী ক্যাডাররা। এরপর শুরু হয় রাষ্ট্রীয় বাহিনীর আক্রমণ। ১৬ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ভয়াবহ আক্রমণ, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস পরিচালিত হয় ছাত্র-জনতার উপর। একটি বিষয় লক্ষণীয় ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে দু’বারই শাসক শ্রেণি তাদের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপকর্মকে আড়াল করতে মুক্তিযুদ্ধকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। আরও লক্ষ্যণীয় দেশের পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর প্রধানরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের মত বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি আরো জটিল করে ফেলে যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশবাসী দেখেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরস্ত্র এবং বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো সাঈদকে কিভাবে হত্যা করেছে পুলিশ। রাস্তার আন্দোলনকারী, পথচারী, জানালা দিয়ে বাইরে তাকানো শিশু, বারান্দায় বাবা-মায়ের সাথে খেলারত শিশু, ছাদের উপর বাবার কোলের শিশু, এমনকি কার্নিশে ঝুলে থাকা কিশোরও নিহত হয়েছে গুলিতে। অতীতের সকল স্বৈরাচারী শাসকদের অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ একদিকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিষ্কার অন্যদিকে সাঁড়াশি আক্রমণ পরিচালনা করেছে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর। গোটা দেশে কারফিউ দিয়ে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করা আর ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে দেশের জনগণকে তো বটেই দেশকেই বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সরকার।

একদিকে নির্বিচার গুসি, হত্যা আর আহত করা অন্যদিকে কৃত্রিম মায়া কান্না করে সহানুভুতি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। রামপুরা টিভি সেন্টারে আগুন, ডাটা সেন্টার ধ্বংস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আগুন, মেট্রো রেলের স্টেশনে আগুন, নরসিংদীর কারাগার ভেঙে সকল বন্দীর পলায়ন এসবের কথা বলে আন্দোলনকারীদেরকে সন্ত্রাসী ও সম্পদ ধ্বংসকারী হিসেবে চিহ্নিত করার গোয়েবলসীয় প্রচার চালিয়েছে সরকার। সরকারের প্রচার দেখে মনে হয় মানুষের জীবনের চেয়ে সম্পদই এখানে প্রধান বিষয়। কিন্তু বাস্তবে ডাটা সেন্টার ধ্বংস হয়নি এবং অন্যান্য স্থাপনা রক্ষার কার্যকর কোন উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তা দেখা যায়নি। আন্দোলনকারীদের হত্যা করতে যত নিষ্ঠুরতা, সম্পদ রক্ষায় ততটাই নির্লিপ্ততা প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ। এখন এসব নিয়ে তদন্তের আগেই বিরোধীদের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে প্রকৃত অপরাধীকে একদিকে যেমন আড়াল করার চেষ্টা করছে অন্যদিকে মায়াকান্না করে হত্যা ও ছাত্র-জনতার দাবি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ সরকার।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এবারে আর এক জঘন্য ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। হাসপাতাল থেকে আহতদের গ্রেফতার, ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখা ও নির্যাতন করা, জোর করে তাদের দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে প্রেস কনফারেন্স করানো, তাদেরকে খাওয়ানোর নামে মশকরা করা এবং ছবি প্রচারমাধ্যমে দিয়ে অপমান করা সবই করেছে রাষ্ট্রীয় এই সংস্থা। আর একের পর এক মিথ্যাচার করে নিজেদেরকে বাঁচাবার ব্যর্থ চেষ্টা করছে সরকার। যার সর্বনিকৃষ্ট প্রমাণ পুলিশের গুলিতে নিহত সাঈদকে আন্দোলনকারীদের ইট পাটকেলের আঘাতে মৃত্যু বলে রিপোর্ট দেয়া, গণভবনে নিহতদের নির্বাচিত স্বজনদের মধ্যে চেক বিতরণের ফলা ও প্রচার করা। কিন্তু আমরা মনে করি টাকার চেক দিয়ে রক্তের দাগ মুছতে পারবে না এই সরকার। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাণিজ্যের পণ্য বানিয়েছে, সহানুভুতি দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে চাইছে, এখন মুক্তিযুদ্ধের আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিপীড়নের হাতিয়ার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা হিসেবে জামাত-শিবির নিষিদ্ধের কথা বলছে। কিন্তু দুর্নীতি এবং দুঃশাসন চালিয়ে, শত শত ছাত্র জনতার রক্ত ঝরিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কোনভাবেই তাদের অপকর্মকে আড়াল করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামাতকে নিষিদ্ধ করা এবং ধর্মভিত্তিক সকল রাজনৈতিক দল এবং রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করার দাবি ১৯৭২ থেকেই করে আসছিল। কিন্তু শাসক শ্রেণি ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার স্বার্থে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দলকে ব্যবহার করে আসছে।

আরো পড়ুন

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের ইতিহাস বলে এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। যত দেরি হবে ততই ঘাড়ের উপর চেপে বসবে ভয়াবহ দুঃশাসন। ২০১৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে নিশি রাতের নির্বাচন আর ২০২৪ সালের ভোট বিহীন আমি ডামি নির্বাচনের কারণে এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন নৈতিক ভিত্তি নাই। প্রশাসন, পুলিশ ও সামরিক বাহিনী দিয়ে টিকে থাকার শেষ চেষ্টা করে এবার কারফিউ সরকারে পরিণত হয়েছে তারা। গণতন্ত্র ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কোন বিকল্প নেই। দেশের স্বার্থে তাই প্রয়োজন জনগণের ক্ষমতার উত্থান। আমরা জনগণের প্রতি সেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সর্বোচ্চ মাত্রায় সামিল হওয়ার আহবান জানাই। আমরা দাবি জানাই –

১) ছাত্র-জনতাকে হত্যার এবং রাষ্ট্রীয় স্থাপনা রক্ষায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ কর। স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম কর।
২) কারফিউ প্রত্যাহার কর, সেনা, র‍্যাব, বিজিবি ব্যারাকে ফিরিয়ে নাও। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দাও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র লীগের সন্ত্রাস, দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত কর। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ ছাত্র জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত কর।
৩) দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার উপর দমন পীড়ন ও গণগ্রেফতার বন্ধ কর। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর।
৪) নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে গুলিবর্ষণকারীদের চিহ্নিত কর, বিচার কর, আন্দোলন দমন ও হামলার উস্কানিদাতাদের শাস্তির ব্যবস্থা কর।
৫) নিহত আহতদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন কর। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা কর।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারা দেশে যে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি হয়েছে গণআন্দোলনের পথেই এ থেকে মানুষ মুক্তি পেতে পারে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি ও ঘোষিত সকল কর্মসূচির প্রতি আমরা আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং জনগণকে রাজপথে থেকে সরকারের নিপীড়ন মোকাবিলা করে গণদাবি ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

Leave a Comment

error: Content is protected !!