গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মুক্তি

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের (চৈনিক: 中国 অর্থাৎ “মধ্যদেশ”, ম্যান্ডারিন উচ্চারণে: চুংকুও) মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা রয়েছে। চীন হচ্ছে পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র যেখানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধে জয়লাভ করে এবং চীনের মূল ভূখণ্ডে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। ১৩০ কোটি জনসংখ্যার অধিকারী বর্তমান চীন পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল এবং আয়তনের দিক থেকে এশিয়ার … Read more

চীনা সমাজের শ্রেণি বিশ্লেষণ

চীনা সমাজের শ্রেণি বিশ্লেষণ

মার্চ ১৯২৬ কমরেড মাও সেতুং এই প্রবন্ধটি লিখেছিলেন ১৯২৬ সালের মার্চ মাসে। সে সময়ে পার্টির ভেতরে যে দু’ধরনের বিচ্যুতি ছিলো, তার বিরোধিতা করার জন্যই তিনি এই প্রবন্ধটি লিখেছিলেন। তৎকালে পার্টির ভেতরকার প্রথম বিচ্যুতির প্রবক্তা ছিল ছেন তুসিউ। এরা কেবলমাত্র কুওমিনতাঙের সঙ্গে সহযোগিতা করতেই মনোযোগ দিয়েছিল এবং কৃষকদেরকে ভুলে গিয়েছিল—এটা ছিল দক্ষিণপন্থী সুবিধাবাদ। দ্বিতীয় বিচ্যুতির প্রবক্তা … Read more

লং মার্চ বা দীর্ঘ যাত্রা ছিল একটি সামরিক পশ্চাদপসরণ যা লাল ফৌজ নিয়েছিল

লং মার্চ

লং মার্চ বা দীর্ঘ যাত্রা (ইংরেজি: The Long March) ছিল একটি সামরিক পশ্চাদপসরণ যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (CCP) লাল ফৌজ সম্পন্ন করেছিল। এই দীর্ঘ যাত্রা কুয়োমিনতাঙের তাড়া এড়াতে লাল ফৌজ কর্তৃক গৃহীত হয়েছিল। উল্লেখ করা যায়, লাল ফৌজ ছিল গণমুক্তি ফৌজের অগ্রদূত। দৃঢ়ভাবে বলতে গেলে, লং মার্চ ছিল একটি ধারাবাহিক পদযাত্রা, কারণ দক্ষিণের বিভিন্ন কমিউনিস্ট … Read more

চীনা লাল ফৌজ ১৯২৮ থেকে ১৯৩৭ পর্যন্ত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র বাহিনী

চীনা লাল ফৌজ স্মারক স্তম্ভ

চীনা লাল ফৌজ বা চীনা লাল বাহিনী বা চীনা শ্রমিক ও কৃষকদের লাল ফৌজ (ইংরেজি: Chinese Red Army) বা চীনা শ্রমিক ও কৃষকদের বিপ্লবী সেনাবাহিনী, হচ্ছে ১৯২৮ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত বিরাজিত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র বাহিনী। এটি গঠিত হয়েছিল যখন নানচাং বিদ্রোহে জাতীয় বিপ্লবী সেনাবাহিনীর কমিউনিস্ট অংশগুলি বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং বিদ্রোহ করে। … Read more

চীনের পার্টির জাতীয় কংগ্রেস হচ্ছে সর্বোচ্চ সংস্থার সম্মেলন

চীনের পার্টির জাতীয় কংগ্রেস

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেস (সংক্ষেপে: NCCCP; আক্ষরিক অর্থে: Chinese Communist Party National Representatives Congress) হলো একটি পার্টি কংগ্রেস যা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় কংগ্রেস তাত্ত্বিকভাবে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) মধ্যে সর্বোচ্চ সংস্থা। ১৯৮৭ সাল থেকে জাতীয় কংগ্রেস অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১৯৫৬ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে এই … Read more

চীনা গৃহযুদ্ধ চীনের কুওমিনতাং ও কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে চলা গৃহযুদ্ধ

চীনা গৃহযুদ্ধ

চীনা গৃহযুদ্ধ বা চীনের গৃহযুদ্ধ (ইংরেজি: Chinese Civil War) ছিল চীনের একটি গৃহযুদ্ধ যা কুয়োমিনতাং বা কুওমিনতাং (কেএমটি) নেতৃত্বাধীন চীন প্রজাতন্ত্রের সরকার (আরওসি) এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) -এর মধ্যে ১৯২৭ থেকে ১৯৪৯ সালের মধ্যে স্থায়ীভাবে লড়াই হয়েছিল। যদিও ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত চার বছরের লড়াইয়ের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধটি ১৯২৭ সালের … Read more

চীন থেকে অস্ত্র আমদানি বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদের অধীনস্থ করেছে

চীন থেকে অস্ত্র আমদানি

চীন থেকে অস্ত্র আমদানিতে বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ স্থান নিয়েছে। চীন বর্তমানে পৃথিবীতে পঞ্চম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। বিশ্বের অস্ত্র সরবরাহে চীনের অংশগ্রহণ ৫.২ শতংশ। চীনা অস্ত্রের বড় ক্রেতা দেশ হচ্ছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আলজেরিয়া।[১] গণতন্ত্র হচ্ছে সামন্তবাদ, প্রাচ্য স্বৈরতন্ত্র ও জমিদারতন্ত্রের উৎখাত; জমির উপর কৃষকের পরিপূর্ণ মালিকানা। সেই গণতন্ত্রের কথা এখন আর কেউ বলে না। কিন্তু … Read more

মাও সেতুং-এর গণচীনের হারিয়ে যাওয়া লাল রং এবং বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী চীন

মাও সেতুং-এর লাল চীন

মাও সেতুং-এর গণচীনের লাল রং বদলে গেছে। মাও-এর মৃত্যুর পরে সেই ১৯৭৬ সালেই চীনের রং পাল্টিয়ে সংশোধনবাদের রং ধারণ করেছে। আর বর্তমান খুনী শি জিনপিংয়ের দখলে চীন হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী গণহত্যাকারী এক রাষ্ট্র। কমিউনিস্টদের কাছে চীনের রূপান্তরের খবর অনেক পুরোনো। চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে সংশোধনবাদি ভুয়া কমিউনিস্টরা মাও সেতুং-এর মৃত্যুর পর থেকেই ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। ফলে … Read more

চীনের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ

চীনের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যিক সম্পর্ক

চীনের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ (ইংরেজি: China-Europe trade relations and cultural contacts) শুরু হয় ষোলো শতকের প্রথমার্ধে। ঐ শতকের প্রথমার্ধে পর্তুগিজ বণিকরা মেলাকা বা মালাক্কা অধিকার করে চীনের উত্তরপূর্বে চলে আসে এবং তারপর ষোলো শতকের মধ্যভাগে চীনা সম্রাট তাদের ম্যাকাও দ্বীপে বাণিজ্যের অনুমতি দেন। তখন থেকেই পুরোদমে চীন-ইউরোপ বাণিজ্য চলতে থাকে। তবে … Read more

প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধের কারণ এবং যুদ্ধের পটভূমি

প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধ

প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধ (ইংরেজি: First Sino-Japanese War; ২৫ জুলাই ১৮৯৪ – ১৭ এপ্রিল ১৮৯৫) ছিল চীনের ইতিহাসে তৎকালীন চীনা কিং রাজবংশ এবং জাপান সাম্রাজ্যের মধ্যে প্রাথমিকভাবে জোসেওন কোরিয়ায় প্রভাব নিয়ে একটি সংঘাত। জাপানি স্থল ও নৌবাহিনীর ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে অবিচ্ছিন্ন সাফল্য এবং ওয়েহাইওয়েই বন্দর হারানোর পর, কিং সরকার  ১৮৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শান্তির জন্য … Read more

error: Content is protected !!