বিপ্লব বা সামাজিক বিপ্লব বা বিপ্লবী দর্শন (ইংরেজি Revolution) হচ্ছে এমন এক রূপান্তরের প্রক্রিয়া যা পুরাতন বুনিয়াদকে সমূলে চূর্ণ করে। এটি এমন এক পরিবর্তন যা পুরনো ব্যবস্থার প্রধান সম্পর্কটিকেই ভেঙে ফেলে। ফরাসি ভাষায় ত্রয়োদশ শতক থেকেই শব্দটি চালু আছে এবং ইংরেজি ভাষায় শব্দটি চালু আছে চতুর্দশ শতকের শেষাংশ থেকে। শব্দটির দ্বারা ১৪৫০ সালের পর থেকেই ‘আকস্মিক পরিবর্তন’ বোঝানো হয়। ১৬৮৮ সালের গৌরবময় বিপ্লবকে বর্ণনা করতে শব্দটির রাষ্ট্রনৈতিক ব্যবহার দেখা যায়। সামাজিক পরিবর্তন বোঝাতে চতুর্দশ থেকে সপ্তদশ শতকের মধ্যে ইউরোপের প্রায় সব ভাষাতেই শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়ে যায়।
বিপ্লব হচ্ছে স্বল্প সময়ে সংঘটিত ক্ষমতার ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন। বিপ্লব মূলত অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে বদলে দেয়। মার্কসবাদীদের মতে জনগণ যখন সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন ও নিজেদের অবস্থার উন্নতি করবার জন্য সংগ্রাম শুরু করে তখন তাকে বিপ্লব বলা যায়। মার্কসবাদে বিপ্লবকে একটি ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া হিসেবে গণ্য করা হয়। সেই অর্থে সামাজিক বিপ্লব হচ্ছে সেকেলে সমাজব্যবস্থার উচ্ছেদ এবং এক নতুন ও আরো প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। বিপ্লব সর্বদাই সমাজবিকাশের ক্ষেত্রে একটা উল্লম্ফন। বিপ্লবের ফলে নতুন রীতিনীতি, নতুন ধ্যান-ধারণা, নতুন সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে উত্তরণ। সামাজিক বিপ্লবের অর্থনৈতিক ভিত্তি হলো নতুন উৎপাদন শক্তি ও পুরনো উৎপাদন সম্পর্কের মধ্যকার সংঘাত। ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস রাশিয়ার সামাজিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রবন্ধে লিখেছেন,
“প্রতিটি সত্যিকার বিপ্লবই সামাজিক বিপ্লব, কারণ সে নতুন একটি শ্রেণিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে আর সেই শ্রেণিকে তার নিজের ধাঁচে সমাজকে পুনর্গঠিত করার সুযোগ দেয়।”[১]
কার্ল মার্কস বলেন ‘বিপ্লব হলো ইতিহাসের চালিকাশক্তি’। সমাজ প্রগতির জন্য বিপ্লব অপরিহার্য। বস্তুত মার্কসবাদীরা বিপ্লব বলতে রাজনৈতিক বিপ্লবকে অতিক্রম করে বিপ্লবকে সমাজ বিপ্লবের তত্ত্ব হিসেবে দেখেন। সামাজিক বিপ্লবের অর্থ হলো একটা অভ্যুত্থান যার মাধ্যমে ঐতিহাসিক দিক হতে পুরাতন সামাজিক অর্থনৈতিক বিন্যাস থেকে আরো প্রগতিশীল সামাজিক-অর্থনৈতিক বিন্যাসে উত্তরণ ঘটে। অর্থাৎ সামাজিক বিপ্লব বলতে বোঝায় সমাজব্যবস্থার সামগ্রিক রূপান্তর।
মার্কসবাদ আমাদেরকে দেখিয়ে দেয় সমাজতান্ত্রিক সমাজ একদিন শুভ্র সুন্দর সকালে আপনা থেকেই উদিত হবে না। এটি প্রলেতারিয়েতের বৈপ্লবিক কাজের ফলাফল। সমাজের বস্তুগত উৎপাদন ক্রমোন্নতির একটা পর্যায়ে এসে সমাজের ভেতরকার সম্পর্কগুলোকে নাড়িয়ে দেয়। উৎপাদনের শক্তির উন্নতি হলে উৎপাদন ব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়। ফলে পুরনো উৎপাদন সম্পর্কের সঙ্গে নতুন উৎপাদন সম্পর্কের বিরোধ দেখা দেয়, ফলে বিপ্লব প্রক্রিয়া শুরু হয়। সমাজের ভেতর সৃষ্টি হয় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের অবস্থা। কার্ল মার্কস লিখেছেন,
“সমাজের বৈষয়িক উৎপাদন-শক্তি বিকাশের এক নির্দিষ্ট পর্যায়ে তার সঙ্গে সংঘাত লাগে প্রচলিত উৎপাদন-সম্পর্কের, অর্থাৎ আইনানুগ ভাষা ব্যবহার করলে বলতে হয়, সংঘাত লাগে এতোদিন যে সম্পত্তি-সম্পর্কের মধ্যে থেকে উৎপাদন-শক্তি সক্রিয় ছিল তারই সঙ্গে। সে সম্পর্ক উৎপাদন-শক্তির বিকাশের রূপ থেকে পরিবর্তিত হয়ে পরিণত হয় উৎপাদন-শক্তির শৃঙ্খলে। তারপর শুরু হয় সামাজিক বিপ্লবের যুগ। অর্থনৈতিক বুনিয়াদ পরিবর্তিত হওয়ার সংগে সংগে সমগ্র বিরাট উপরিকাঠামোও কম-বেশি দ্রুত রূপান্তরিত হয়ে যায়।”[২]
মার্কসের কাছে বিপ্লব হচ্ছে শ্রেণিসংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ। শোষণমূলক সমাজের অভ্যন্তরে যে বৈপরীত্য বা দ্বন্দ্ব থাকে তার ফলেই বিপ্লব সংঘটিত হয়। লেনিন বলেন যে বিপ্লব সংঘটিত হতে হলে দুটি পূর্বশর্ত পূরিত হতে হয়। এই দুটি পূর্বশর্ত হচ্ছে ক. আত্মগত শর্ত (ইংরেজি: Subjective Condition) ও খ. নৈর্বক্তিক শর্ত (ইংরেজি: Objective Condition)। আত্মগত অবস্থা হচ্ছে জনগণের বিপ্লবী চেতনা ও সংগ্রামকে শেষ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ও দৃঢ়তা, বিপ্লবের জন্য সমস্ত শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করার সামর্থ্য এবং একটি দলীয় সংগঠন যা সমাজের অগ্রণী বাহিনী হিসেবে নির্ভুল রণনীতি ও রণকৌশল নির্ধারণে সক্ষম হবে। অপরদিকে নৈর্বক্তিক শর্তের তাৎপর্য হচ্ছে দেশে নানা সমস্যা চরম হবে, শাসক শ্রেণি উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তন না করে শোষণ করতে পারবে না, শোষিত শ্রেণির দুঃখ দুর্দশা চরম হবে এবং স্বাধীন আন্দোলনগুলি বৃদ্ধি পাবে।[৩]
মার্কসবাদীদের মতে বিপ্লব হলো একটি ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া যা সামাজিক পরিবর্তনের পথকে প্রশস্ত করে এবং যার মাধ্যমে শাসকশ্রেণির উচ্ছেদ ঘটে ও নতুন প্রগতিশীল শাসকশ্রেণির উদ্ভব ঘটে। সমাজের মৌলিক রূপান্তরসাধনে সক্ষম প্রগতিশীল শ্রেণির হাতে রাষ্ট্রক্ষমতার হস্তান্তরকে সামাজিক বিপ্লব বলে। এই বিপ্লব হলো নির্মমতম যুদ্ধ, এক ভয়ংকর ধরনের যুদ্ধ। বিপ্লব হিংস্রতার তুঙ্গে উত্তীর্ণ এক বেপরোয়া শ্রেণিসংগ্রাম। এই শ্রেণিসংগ্রামের ফলে নতুন একটি শ্রেণি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস লিখেছেন,
“বিপ্লব হলো এমন এক কাজ যাতে জনসংখ্যার এক অংশ কর্তৃত্বাশ্রয়ী উপায় আদৌ যা আছে সেই বন্দুক, বেয়নেট ও কামানের মাধ্যমে জনসংখ্যার অপর অংশের ওপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়। আর বিজয়ী দল যদি নিজেদের সংগ্রাম ব্যর্থ হতে দিতে না চায় তাহলে তাদের নিজেদের শাসন বজায় রাখতে হবে অস্ত্রের সাহায্যে প্রতিক্রিয়াশীলদের মনে ভীতি সঞ্চার করেই। বুর্জোয়াশ্রেণীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র জনগণের এমন কর্তৃত্ব কাজে না লাগালে কি প্যারিস কমিউন একদিনও টিকতে পারতো? বরং সে কর্তৃত্ব যথেষ্ট অসঙ্কোচে প্রয়োগ না করার জন্যই কি তাকে আমাদের তিরস্কার করা উচিত নয়?”[৪]
শ্রমিক শ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গিতে শোষণের শৃঙ্খল মোচন করে জনগণের শাসন কায়েম করবার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ার নামই বিপ্লব। লেনিন লিখেছেন, “বিপ্লবটা এই যে, প্রলেতারিয়েত ‘প্রশাসন যন্ত্র’ এবং সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রটাকে ধ্বংস করে, সশস্ত্র শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত নতুন যন্ত্র তার স্থলাভিষিক্ত করে।”[৫]
ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস লিখেছেন,
“… পুঁজিকে শেষ করো, মুষ্টিমেয়ের হাতে উৎপাদনের সমস্ত উপকরণের কেন্দ্রীকরণ শেষ করো, তাহলে রাষ্ট্রের পতন হবে আপনা থেকেই। পার্থক্যটি মৌলিক: আগে একটা সমাজবিপ্লব ছাড়া রাষ্ট্রের উচ্ছেদ অর্থহীন প্রলাপ; পুঁজির উচ্ছেদই হচ্ছে সমাজবিপ্লব এবং এর ফলে সমস্ত উৎপাদন পদ্ধতিরই পরিবর্তন ঘটে।[৬]
বৈপ্লবিক পরিবর্তন কেবল এই জন্যই দরকার নয় যে এ ছাড়া অন্যভাবে শাসক শ্রেণিকে সরানো যাবে না, বিপ্লব প্রয়োজন বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের নতুন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার অভিজ্ঞতা লাভের জন্যও। মার্কস এঙ্গেলস লিখেছেন,
“কমিউনিস্ট চেতনার ব্যাপক উত্থান ও নিজের উদ্দেশ্যের সাফল্য — এই উভয়ের জন্য মানুষের মধ্যে গণপরিবর্তন [alteration] অপরিহার্য, পরিবর্তন একমাত্র ঘটবে কার্যকর আন্দোলনে, বিপ্লবে, এই বিপ্লব অপরিহার্য, অতএব, তা শাসক শ্রেণিকে অন্য কোনোভাবে উৎখাত করা সম্ভব নয় সেজন্য নয় বরং যে শ্রেণি উৎখাত করবে তা কেবলমাত্র বিপ্লবের মাধ্যমেই নিজেকে শতাব্দীর সব ময়লা পাঁক থেকে মুক্ত করতে সফল হবে এবং এক নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সক্ষম হবে, তাই।[৭]
উৎপাদনের বুর্জোয়া সম্পর্কটি হচ্ছে একটি বৈরি সম্পর্ক। কার্ল মার্কস ‘অর্থশাস্ত্র বিচার প্রসঙ্গে’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘বুর্জোয়া উৎপাদন সম্পর্কগুলো হচ্ছে সামাজিক উৎপাদন প্রণালীর সর্বশেষ বৈরভাবাপন্ন রূপ— ব্যক্তিমানুষের বিরোধের অর্থে বৈরভাব নয়, ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার সামাজিক অবস্থার মধ্য থেকে উদ্ভূত বৈরভাব; এর সংগে সংগেই বুর্জোয়া সমাজের গর্ভে বিকাশমান উৎপাদন শক্তিসমূহ সেই বৈরভাবের নিরসনের বৈষয়িক অবস্থাও সৃষ্টি করে।’[৮] আমাদের বস্তুবাদী প্রতিপাদ্য আরো অনুসরণ করে আমরা তাকে বর্তমান কালের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করামাত্রই এক সুবিশাল বিপ্লবের সম্ভাবনা তাই আমাদের সামনে উপস্থিত হয়, এত বিরাট বিপ্লব আগে কখনো ঘটেনি।
এই বিরাট বিপ্লবকে নামকরণ করা হয়েছে প্রলেতারিয় বিপ্লব এবং তা আনবে সমাজতান্ত্রিক সমাজ। মানবিক প্রয়োজনকে সন্তুষ্ট করবার উদ্দেশ্যে, দ্রব্য যখন ব্যবহারের জন্য উৎপাদিত হবে সেইরকম সমাজ হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক সমাজ এবং প্রলেতারিয় বিপ্লব সেই রকম সমাজ সৃষ্টি করবে। যেমন এঙ্গেলস লক্ষ্য করেছেন পুঁজিবাদী সমাজের ব্যক্তিগত দখল বা ব্যক্তিগত মালিকানার বিপরীতে আসে উৎপাদন সচল ও সম্প্রসারণের উপায় স্বরূপ সামাজিক মালিকানার সমাজ। এঙ্গেলসের উক্তি,
“উৎপন্ন দ্রব্য যেখানে প্রথমে উৎপাদককে ও পরে দখলকারীকে [appropriator] দাস বানায়, দখলের সেই পুঁজিবাদী পদ্ধতির জায়গায় তখন আসে দখলের এমন একপদ্ধতি আধুনিক উৎপাদন-উপকরণের প্রকৃতি যার ভিত্তি; একদিকে উৎপাদন সচল ওসম্প্রসারণের উপায়স্বরূপ প্রত্যক্ষ সামাজিক দখল, এবং অন্যদিকে জীবিকানির্বাহ ও উপভোগের উপায়স্বরূপ প্রত্যক্ষ ব্যক্তিগত দখল।
পুঁজিবাদী উৎপাদন-পদ্ধতি জনসংখ্যার বিপুল অধিকাংশকে ক্রমেই পরিপূর্ণপ্রলেতারিয়েতে পরিণত করার সংগে সংগে সেই শক্তির সৃষ্টি করে যা এ বিপ্লবসাধন করতে বাধ্য হয়, অন্যথায় তার ধ্বংস অনিবার্য। ইতিমধ্যেই যা সমাজীকৃতহয়ে উঠেছে, সেই বিপুল উৎপাদন-উপকরণকে ক্রমাগত বেশি করে রাষ্ট্রীয়সম্পত্তিতে পরিণত করতে বাধ্য করার সংগে সংগে তা নিজেই এ বিপ্লব সাধনের পথদেখায়। প্রলেতারিয়েত রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে উৎপাদনের উপকরণকে পরিণত করে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে।”[৯] একটি শ্রেণী কর্তৃক আরেকটি শ্রেণিকে সহিংসভাবে উচ্ছেদ করাই বিপ্লব। মার্কসবাদী মতে, বিপ্লব হলো পুঁজিবাদের প্রচলিত সকল আইন কানুনের আমূল পরিবর্তন সাধন করা, সমাজতন্ত্র কায়েম করা। আধুনিক সমাজতন্ত্র যে বিপ্লব সাধনের প্রচেষ্টা চালায় সংক্ষেপে তা হলো সামন্ত, বুর্জোয়া ও সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে প্রলেতারিয়েতের বিজয় এবং সকল শ্রেণি বৈষম্য ধ্বংস করার ভেতর দিয়ে একটি নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।[১০]
তথ্যসূত্র ও টীকাঃ
১. ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, এপ্রিল ১৮৭৫, রাশিয়ার সামাজিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে, কার্ল মার্কস ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, রচনা সংকলন, দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৪৮
২. কার্ল মার্কস, ‘অর্থশাস্ত্রের সমালোচনা প্রসঙ্গে’ গ্রন্থের ভূমিকা; জানুয়ারি, ১৮৫৯; কার্ল মার্কস ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, রচনা সংকলন, প্রথম খণ্ড দ্বিতীয় অংশ, প্রগতি প্রকাশন মস্কো, ১৯৭২; পৃষ্ঠা-২৫
৩. টম বটোমর, মার্কসীয় সমাজতত্ত্ব, হিমাংশু ঘোষ অনূদিত, কে পি বাগচী এন্ড কোম্পানি, কলকাতা, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা xli
৪. ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, কর্তৃত্ব প্রসঙ্গে, কার্ল মার্কস ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, রচনা সংকলন, প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৩১২
৫. লেনিন, রাষ্ট্র ও বিপ্লব, আগস্ট ১৯১৭, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭৬, পৃষ্ঠা ৪০-৪১
৬. ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, ত. কুনো সমীপে চিঠি, ২৪ জানুয়ারি ১৮৭২, কার্ল মার্কস ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, রচনা সংকলন, প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ১৫৪
৭. মার্কস এঙ্গেলস, জার্মান ভাবাদর্শ, ১৮৪৫, গোতম দাস অনূদিত,আগামি প্রকাশনী, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০০৯, পৃষ্ঠা ১৫১
৮. কার্ল মার্কস, অর্থশাস্ত্র বিচার প্রসঙ্গে গ্রন্থের ভূমিকা, জানুয়ারি ১৮৫৯, কার্ল মার্কস ফ্রেডারিক এঙ্গেলস রচনা সংকলন, প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ২৬
৯. ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, কল্পলৌকিক ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র, ১৮৮২, কার্ল মার্কস ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, রচনা সংকলন, দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ১৪৬।
১০. প্রবন্ধটি আমার [অনুপ সাদি] লিখিত ভাষাপ্রকাশ ঢাকা থেকে ২০১৬ সালে প্রকাশিত মার্কসবাদ গ্রন্থের ৫০-৫৫ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরে ডট কমে ১০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত। সেখান থেকে লেখাটি ৬ জুলাই ২০২২ তারিখে ফুলকিবাজ ডট কমে পুনরায় প্রকাশ করা হলো। প্রবন্ধটির রচনাকাল ৫ এপ্রিল, ২০১৫।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।