সংশোধনবাদ বা শোধনবাদ (ইংরেজি: Revisionism) বলতে বুঝতে হবে কোনো মতাদর্শকে বা তত্ত্বকে বিজ্ঞানের মতো অনুধাবন ও অনুশীলন না করে তাকে স্বতন্ত্রভাবে পুনঃপরীক্ষা করা। সংশোধনবাদ হলো মার্কসবাদের সংশোধিত তত্ত্ব। অর্থাৎ সংশোধনবাদ হলো মার্কসবাদের পরিপূর্ণভাবে বিকৃতি, এটি প্রলেতারিয়েতের বৈপ্লবিক সংগ্রাম বিরোধি, প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্বের বিরোধী, শ্রেণিসংগ্রাম বিরোধি, বুর্জোয়া শ্রেণির দলগুলোর বিপরীতে শ্রমিক শ্রেণির নিজস্ব কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের বিরোধি, শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিকতা বিরোধী তথা বিপ্লব বিরোধী তত্ত্ব। সংশোধনবাদ হলো বৈজ্ঞানিক কমিউনিজমের তত্ত্ব ও প্রয়োগ বিরোধি এক মতবাদ।[১]
সংশোধনবাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ধারার একটা স্বাভাবিক পরিণতি হলো সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের চুড়ান্ত লক্ষ্যের প্রতি তার উদাসীন মনোভাব। অনেকগুলো প্রবন্ধ লেখার চেয়েও সংশোধনবাদের সারমর্ম প্রকাশিত হয় যে কথাটি দ্বারা সেটি হচ্ছে ‘আন্দোলনটাই সব, চূড়ান্ত লক্ষ্য কিছুই নয়’। অর্থাৎ সংশোধনবাদে আন্দোলনের উপর অতিমাত্রায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ভি আই লেনিন তাঁর মার্কসবাদ ও শোধনবাদ প্রবন্ধে বলেছেন,
“উপলক্ষে উপলক্ষে নিজের আচরণ বদলানো, দৈনন্দিন ঘটনাবলির সংগে এবং সংকীর্ণ রাজনীতির ক্রমাগত পরিবর্তনশীলতার সংগে নিজেকে খাপ খাওয়ানো, প্রলেতারিয়েতের মূল স্বার্থগুলি এবং সমগ্র পুঁজিবাদি ব্যবস্থার, সমস্ত পুঁজিবাদি বিবর্তনের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি বিস্মৃত হওয়া, ক্ষণিকের বাস্তবিক কিংবা কল্পিত সুবিধার খাতিরে মূল স্বার্থ বলি দেওয়া—এইই হলো সংশোধনবাদের কর্মনীতি।”[২]
রাজনীতির ক্ষেত্রে সংশোধনবাদ নানাভাবে মার্কসবাদের বুনিয়াদটিকে এবং শ্রেণিসংগ্রামের মতবাদটিকে পুনর্বিচারের চেষ্টা করে। সংশোধনবাদ বারবার শোনায় যে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ইত্যাদির মাধ্যমে বুর্জোয়ারা শ্রেণিসংগ্রামের প্রয়োজনীয়তাটাকে সরিয়ে ফেলেছে এবং রাষ্ট্রকে এখন আর শ্রেণিগত শাসনের যন্ত্র মনে করার কারণ নেই। সংশোধনবাদিরা আরো বলে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছা’র মূল্য দেবার কারণে এখন শ্রমিকের স্বাধীনতা অনেক বেশি এবং তাদের শ্রেণিসংগ্রাম ও সর্বহারা শ্রেণির একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন নেই।
সংশোধনবাদ শ্রমিক ও কমিউনিস্ট আন্দোলনে এক ভাবাদর্শীয় রাজনৈতিক ধারা, যা ‘নবায়ন’, ‘পুনর্বিচার’ বা ‘সংশোধনের’ নামে মার্কস-এঙ্গেলস-লেনিনের মতবাদকে পরিপূর্ণভাবে বিকৃত করে, মার্কসীয় লেনিনীয় পার্টিগুলোর প্রতি শত্রুতার মনোভাব নেয়। উনিশ শতকের নব্বই-এর দশকে সংশোধনবাদের উদ্ভব ঘটে।
আধুনিক সংশোধনবাদ
বিশ শতকের ষাটের দশকে মার্শাল টিটোর প্রতিনিধিত্বে আধুনিক সংশোধনবাদিরা সাম্রাজ্যবাদের চাহিদা পূরণের জন্য লেনিনের শিক্ষাবলীর সংশোধন হাজির করে যা আধুনিক সংশোধনবাদ নামে পরিচিত। এখানে আমরা স্মরণ করতে পারি, ১৯৫৭ সালের নভেম্বরে মস্কোতে অনুষ্ঠিত ‘সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহের কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠকের ঘোষণায়’ সংশোধনবাদের উৎস সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যের দিকে; সেখানে দেখানো হয়,
“সংশোধনবাদের অভ্যন্তরীণ উৎস হচ্ছে বুর্জোয়া প্রভাবের অস্তিত্ব, আর এর বহিস্থ উৎস হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী চাপের কাছে আত্মসমর্পণ।”[৩]
পুরাতন সংশোধনবাদ চেষ্টা করত মার্কসবাদকে অচল প্রমাণ করতে। আর আধুনিক সংশোধনবাদ চেষ্টা করে লেনিনবাদকে অচল প্রমাণ করতে। সেই মস্কো ঘোষণার বৈঠকে আরো বলা হয়েছিলো,
“আধুনিক সংশোধনবাদ চায় মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মহান শিক্ষাকে প্রলেপ দিয়ে ঢেকে দিতে, ঘোষণা করে যে তা হলো ‘অচল’ এবং অভিযোগ করে যে সামাজিক প্রগতির জন্য তা স্বীয় তাৎপর্য হারিয়ে ফেলেছে। সংশোধনবাদীরা মার্কসবাদের বৈপ্লবিক আত্মাকে মেরে ফেলতে চায়, শ্রমিক শ্রেণির আর সাধারণভাবে মেহনতি জনগণের মধ্যে সমাজতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়।”[৪]
আধুনিক সংশোধনবাদের ডানপন্থি ও ‘বামপন্থি’ বৈশিষ্ট্য হলো সমাজতন্ত্রের উপর আক্রমণ, সমাজতান্ত্রিক বিকাশের সাধারণ নিয়মাবলী অস্বীকার।
ডানপন্থী বামপন্থী সংশোধনবাদ
ডানপন্থি সংশোধনবাদ বিপ্লবি প্রক্রিয়া ও সমাজতান্ত্রিক নির্মাণকার্য পরিচালনায় মার্কসবাদি লেনিনবাদি পার্টির নেতৃতের, মুক্তি আন্দোলনে শ্রমিক শ্রেণির প্রাধান্যের বিরোধি। ‘বামপন্থি’ সংশোধনবাদ বৈজ্ঞানিক কমিউনিজমের তত্ত্ব ও প্রয়োগের উপর আক্রমণ চালায়, অতিবিপ্লবি বুলি দ্বারা প্রলেতারিয়েত আন্তর্জাতিকতাবাদ থেকে বিচ্যুতিকে ঢেকে রাখে।
বিপ্লব করতে হলে প্রথম প্রয়োজন জনমত তৈরির পাশাপাশি মতাদর্শগত ক্ষেত্রে কাজ করা। এই বৈপ্লবিক মতাদর্শ শক্তিশালী হতে পারে কেবল সংশোধনবাদ ও সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা অনবরত বৃদ্ধি করে। সংশোধনবাদ সম্পর্কে মাও সেতুং বলেছেন,
মার্কসবাদের মৌলিক নীতিকে অস্বীকার করা ও মার্কসবাদের সার্বিক সত্যকে অস্বীকার করাই হচ্ছে সংশোধনবাদ। সংশোধনবাদ হচ্ছে বুর্জোয়া শ্রেণির চিন্তাধারারই একটা রূপ। সংশোধনবাদীরা সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদের মধ্যকার পার্থক্য এবং সর্বহারা শ্রেণির একনায়কত্ব ও বুর্জোয়া শ্রেণির একনায়কত্বের মধ্যকার পার্থক্যকে মুছে দেয়। তারা যার ওকালতি করে তা প্রকৃতপক্ষে সমাজতান্ত্রিক লাইন নয় বরং পুঁজিবাদের লাইন। বর্তমান অবস্থায়, মতান্ধতাবাদের চেয়ে সংশোধনবাদই বেশি অনিষ্টকর। মতাদর্শগত ফ্রন্টে আমাদের বর্তমানের একটা গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হচ্ছে সংশোধনবাদের সমালোচনা প্রসারিত করা।[৫]
সংশোধনবাদ মূলগতভাবে বুর্জোয়া চিন্তাধারা এবং এটা বুর্জোয়াদের স্বার্থ সিদ্ধ করে। এটি মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মূলনীতিগুলো তুলে ধরে না; এর বিপরীতে তুলে ধরে বুর্জোয়া মতাদর্শ। সংশোধনবাদ বুর্জোয়া স্বাধীনতা, সাম্য, সৌভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার বকুনি ফেরি করে, বুর্জোয়া ভাববাদ ও অধিবিদ্যা এবং বুর্জোয়া ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ, মানবতাবাদ ও নিষ্ক্রিয় শান্তিবাদের প্রতিক্রিয়াশীল ভাবধারা ছড়ায়। সংশোধনবাদ সাম্যবাদী নৈতিকতাকে হেয় করে এবং পাশ্চাত্যের বুর্জোয়া সংস্কৃতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে।[৬]
১৮৯৬-১৮৯৮ সালে জার্মান সোশ্যাল ডেমোক্রাটদের তাত্ত্বিক মুখপত্র ‘নবকাল’ পত্রিকায় সমাজতন্ত্রের সমস্যাবলী নামের প্রবন্ধাবলী প্রকাশ করেন। এতে তিনি ‘সমালোচনার স্বাধীনতা’র পতাকাতলে দাঁড়িয়ে বৈপ্লবিক মার্কসবাদের দার্শনিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভিত্তিসমূহ পুনর্বিবেচনার বা সংশোধনের প্রচেষ্টা চালান। এই ঘটনার পর থেকেই সংশোধনবাদ নামের উদ্ভব হয়। বের্নস্তাইন সেই সময় শ্রেণি বৈপরীত্য ও শ্রেণি সহযোগিতার মধ্যে আপোস রফামূলক বুর্জোয়া তত্ত্বাদির সাহায্যে মার্কসবাদকে বদলানোর পক্ষে ওকালতি করেন। বের্নস্তাইনের মতবাদকে সমর্থন জানান জার্মান সোশ্যাল ডেমোক্রাসির দক্ষিণপন্থীরা এবং দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের অন্যান্য পার্টির সুবিধাবাদী অংশরা।[৭]
দর্শন, অর্থশাস্ত্র ও রাজনীতি, মার্কসবাদের তিনটি উপাদানের ক্ষেত্রেই সংশোধনবাদ নিজের অবস্থানকে জাঁকিয়ে ফেলেছিলো। লেনিন উল্লেখ করেছিলেন যে, “দর্শনের ক্ষেত্রে শোধনবাদ অনুসরণ করেছিল বুর্জোয়া অধ্যাপকীয় ‘বিজ্ঞানের’ পিছু পিছু। অধ্যাপকরা ‘কান্টের মতামতে ফিরে’ যায়— আর সংশোধনবাদ নয়া কান্টবাদীদের পেছনে পেছনে চলে। … … সংশোধনবাদীরা, প্রসন্ন চিত্তের হাসি হেসে আমতা আমতা করে বলে যে, বহু পূর্বেই বস্তুবাদকে ‘খণ্ডন’ করা হযেছে।”[৮]
লেনিন দেখিয়েছিলেন যে, রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্রের “ক্ষেত্রে সংশোধনবাদীদের ‘সংশোধনগুলি’ ছিলো আরো অনেক বেশি সহজবোধ্য ও আনুষঙ্গিক; ‘অর্থনৈতিক বিকাশের নতুন উপাত্ত’ উল্লেখ করে জনসাধারণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। সংশোধনবাদীরা বলা শুরু করেছিলো যে “বৃহদায়তন উৎপাদন দ্বারা ক্ষুদ্রায়তন উৎপাদনের কেন্দ্রীভবন ও উচ্ছেদ কৃষির ক্ষেত্রে মোটেই সংঘটিত হয় না, অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পে তা অগ্রসর হয় অত্যন্ত ধীর গতিতে। এরূপ বলা হয়েছিল যে, সংকট এখন বিরল ও দুর্বল হয়ে পড়েছে, … শ্রেণীবৈরিতা কমে যাওয়ার ও তীব্রতা হ্রাসের প্রবণতার কারণে, পুঁজিবাদ যে পতনের দিকে এগুচ্ছে সেই ‘পতনের তত্ত্ব’ ত্রুটিপূর্ণ।” এছাড়াও “সংকট (Crises) সম্পর্কিত তত্ত্ব ও পতন (collapse) সম্পর্কিত তত্ত্বের ব্যাপারে সংশোধনবাদের অবস্থান ছিলো” এ রকমের যে শিল্প সংকট আর ঘটবে না। মার্কসবাদীরা যে বলেছে “পুঁজিবাদী ব্যবস্থার এক অপরিহার্য উপাদন হিসাবে সংকট বিদ্যামান থাকে”[৯] এই কথাকেই সংশোধনবাদীরা অস্বীকার করা শুরু করে।
রাজনীতির ক্ষেত্রে, লেনিন দেখিয়েছেন যে সংশোধনবাদ মার্কসবাদের ভিত্তিমূল, অর্থাৎ শ্রেণিসংগ্রামের তত্ত্বমতকেই, সংশোধন করার প্রকৃত চেষ্টা চালিয়েছিল। সংশোধনবাদীরা বলা বলে এসেছে যে “রাজনৈতিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সর্বজনীন ভোটাধিকার অপসারিত করেছে শ্রেণিসংগ্রামের ভিত্তিকেই” এবং শ্রমিক শ্রেণির কোনো দেশ নেই — কমিউনিস্ট ইশতেহারের এই পুরানো প্রস্তাবনাকে সংশোধনবাদীরা অসত্য হিসেবে প্রতিপন্ন করেছে। তারা আরো বলেছে এবং এখনো বলে যে, “যেহেতু গণতন্ত্রে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছা’ বিরাজমান থাকে, সেহেতু রাষ্ট্রাকে শ্রেণিশাসনের এক যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা যেমন চলবে না, তেমনি প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল, সামাজিক-সংস্কারবাদী বুর্জোয়াদের সাথে মৈত্রীকেও বর্জন করা চলবে না।”[১০]
অর্থাৎ মার্কসবাদের তিনটি উপাদানকেই সংশোধনবাদ সংশোধন করার চেষ্টা অনবরত করে গেছে। রাশিয়ায় মেনশেভিক ও ত্রতস্কিপন্থীরা, কাউতস্কিপন্থীরা, পরবর্তীতে স্তালিন পরবর্তীকালে ক্রশ্চেভের মাধ্যমে গোটা দুনিয়ায় আধুনিক সংশোধনবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। ফলে সংশোধনবাদ ও সুবিধাবাদবিরোধী লড়াই চালিয়েই মার্কসবাদ বিকশিত হয়েছে এবং সংশোধনবাদের ইতিহাস মার্কসবাদের সমবয়সী।
তথ্যসূত্র:
১. অনুপ সাদি, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭, “লেনিনবাদী দৃষ্টিতে সংশোধনবাদ কী এবং কেন প্রতিরোধ করতে হবে”, রোদ্দুরে ডট কম, ঢাকা, ইউআরএল: https://www.roddure.com/ideology/leninism/leninism-on-revisionism/
২. ভি আই লেনিন, মার্কসবাদ ও সংশোধনবাদ, মার্চ, ১৯০৮।
৩. সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহের কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিগুলোর প্রতিনিধিদের মস্কো বৈঠকের ঘোষণা, ১৯৫৭, লেনিনবাদ দীর্ঘজীবী হোক, ইন্টারন্যশনাল পাবলিশার্স, পৃষ্ঠা ১২।
৪. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা ১২।
৫. মাও সেতুং, প্রচারকার্য সম্পর্কে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণ, ১২ মার্চ, ১৯৫৭
৬. ক্রুশ্চভের ভুয়া সাম্যবাদ ও বিশ্বের জন্যে তার ঐতিহাসিক শিক্ষা, ১৪ জুলাই, ১৯৬৪, ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স, ঢাকা, সেপ্টেম্বর, ১৯৯১, পৃষ্ঠা ২৮
৭. টিকা, বার্নস্টাইনপন্থীরা, ভি আই লেনিন, কী করতে হবে, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৪, পৃষ্ঠা ২২০]
৮. ভি আই লেনিন; মার্কসবাদ ও সংশোধনবাদ, মার্চ, ১৯০৮।
৯. ভি আই লেনিন, পূর্বোক্ত।
১০. ভি আই লেনিন, পূর্বোক্ত।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।