জন লকের রাষ্ট্রদর্শন বা রাষ্ট্রচিন্তায় জন লকের অবদান (ইংরেজি: (Political thoughts of John Locke) হচ্ছে রয়েছে প্রকৃতির রাজ্য, প্রকৃতির আইন, সামাজিক চুক্তি ও সম্পত্তি তত্ত্বে। পার্লামেন্টারী ধরনের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রবক্তা ছিলেন জন লক (১৬৩২-১৭০৪)।
জন লক ইংল্যান্ডে এক গোঁড়া পিউরিটান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৬৫৮ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানিক লেখাপড়া সমাপ্ত করেন। কিন্তু পরে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়াশোনা করেন। চিকিৎসক হিসাবে কার্যরত থাকার এক পর্যায়ে তিনি লর্ড এ্যাশলের বন্ধুত্ব লাভ করেন। এ্যাশলের আনুকুল্যে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে সমাসীন হন। কিন্তু তাঁর পৃষ্ঠপোষক লর্ড এ্যাশলের অবস্থান সরকারি মহলে দুর্বল হয়ে পড়লে লক নিজেও সরকারের বিরাগভাজন হন এবং হল্যান্ড পলায়ন করেন। ১৬৮৯ সালে, অর্থাৎ ইংল্যান্ডে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ‘কমিশনার অব আপীল’ পদে নিযুক্তি লাভ করেন। এ ভাবে তিনি বাস্তব প্রশাসন ও নীতি নির্ধারণ বিষয়ে প্রচুর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পান। ১৬৯০ সালে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘টু ট্রিটিজেস’ প্রকাশিত হয়। এ পুস্তকে পার্লামেন্টারী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সমর্থনসহ তার অন্যান্য রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার প্রকাশ ঘটে।
তৎকালীন রাজনৈতিক ঘটনাবলীর প্রভাব লকের রাষ্ট্রদর্শন ও চিন্তাধারার উপর গভীর রেখাপাত করেছিল। লকের জীবনের প্রায় প্রথম দুই তৃতীয়াংশ জুড়েই ছিল ইংল্যান্ডের গৃহযুদ্ধের অবস্থা। রাজা ও পার্লামেন্টের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জন লক পার্লামেন্টের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁর জীবদ্দশাতেই ইংল্যান্ডের ১৬৮৮ সালের গৌরবময় বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, ঘোষিত হয়েছিল ১৬৮৯ সালের অধিকার সনদ। ইংল্যান্ডের এ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে লক উদারনীতিবাদকে মনে প্রাণে আঁকড়ে ধরেছিলেন। তাই পার্লামেন্টারী ধরনের গণতন্ত্র এবং উদারনীতিবাদকে সামনে রেখেই লক তাঁর লেখনী ধরেছিলেন। তাঁর পদ্ধতি ছিল অভিজ্ঞানবাদী। কল্পনা, ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা কোনোটিই তাঁর লেখনী বা চিন্তায় স্থান পায় নি। অধ্যাপক স্যাবাইন লকের চিন্তাধারার এ বিশেষ দিকের প্রশংসা করেছেন।
টমাস হবসের মত জন লকও মানব চরিত্রের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করেছেন। কিন্তু হবসের বিশ্লেষণ থেকে তাঁর বিশ্লেষণ সম্পূর্ণ আলাদা। লকের মতে মানুষ যুক্তিবাদী প্রাণী। মানুষের মধ্যে লোভ লালসার প্রবৃত্তি থাকলেও চূড়ান্তভাবে যুক্তিবোধই কাজ করে থাকে। তাছাড়া মানুষের সাথে মানুষের পার্থক্য যতটা না প্রকৃতিগত তার চেয়েও বেশি হলো কৃত্রিম। পরিবেশই মানুষকে ভালো বা মন্দ হতে শেখায় বলে লক মনে করতেন।
লকের রাষ্ট্রদর্শন বিষয়ে প্রকৃতির রাজ্য আলোচনা
রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে জন লক টমাস হবসের মত সামাজিক চুক্তি মতবাদে বিশ্বাস করতেন। তিনি প্রকৃতির রাজ্য সম্পর্কে তাঁর বইয়ে আলোচনা করেছেন। বলা বাহুল্য, হবসও প্রকৃতির রাজ্যের বিবরণ দিয়েছেন। কিন্তু লকের বিবরণ হবসের বিবরণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। লকের মতে প্রকৃতির রাজ্য ছিল “শান্তি, সহমর্মীতা, পারস্পরিক সহযোগিতা ও প্রতিরক্ষার রাজ্য। এখানে শান্তি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্ব বিরাজ করত, ছিল সাম্য ও স্বাধীনতা। কিন্তু এ স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারিতার রূপ নিতো না। কারণ, অধিক স্বাধীনতাভোগ করা, অন্যকে পদানত করা ইত্যাদি কুটবুদ্ধি মানুষের মধ্যে ছিল না। মানুষ বিবেচনা ও যুক্তিবোধ দিয়ে সব সময়ে কাজ করতো”। হবসের বর্ণনার মত প্রকৃতির রাজ্যে মানুষের জীবন ঘৃণ্য, জঘন্য ও পাশবিক ছিল বলে লক মনে করতেন না। লকের প্রকৃতির রাজ্যের এই অবস্থাকে অধ্যাপক ডানিং মূল্যায়ন করেছেন এ ভাবে যে, এখানে প্রাগ রাজনৈতিক অবস্থা (Pre-political) বিরাজমান ছিল না। কিন্তু এটি প্রাগ সামাজিক (Pre-social) ছিল। অর্থাৎ এটি হয়তো সামাজিক ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক ছিল না। আর লকের মতে এ কারণেই কালক্রমে মানুষের জীবনে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ফলে মানুষ রাজনৈতিক ভাবে একটি সংগঠনের কথা চিন্তা করতে থাকে।
লকের প্রকৃতির আইন
জন লকের মতে প্রকৃতির আইনের বলেই মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে সুখে শান্তিতে থাকতে পারতো। প্রকৃতির আইন ছিল মানুষের যুক্তিবোধের ফসল। সাম্য, স্বাধীনতা, ভাতৃত্ববোধ ইত্যাদি ছিল এ আইনের বৈশিষ্ট্য। প্রকৃতির আইন কার্যকর থাকার কারণেই তারা একে অপরের জীবন, সম্পত্তি ও স্বাতন্ত্রের উপর হস্তক্ষেপ করতো না। তবে প্রকৃতির রাজ্যে আইনের ব্যাখ্যা দান এবং তা বাস্তবায়নের কোনো সাধারণ কর্তৃপক্ষ না থাকায় কেউ আইন ভংগ করলে শাস্তি দানের ব্যবস্থা ছিল না। মূল অসুবিধা ছিল এখানেই। আর এ সমস্যার সমাধানের জন্য মানুষ চুক্তির মাধ্যমে রাজনৈতিক সংগঠন তথা রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যায়।
লকের সামাজিক চুক্তি মতবাদ
উপরের আলোচনা থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, লকের মতে একটি কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন বোধের মধ্যেই চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র তৈরীর কারণ নিহিত। তাহলে বলা যায়, চুক্তির মাধ্যমে গঠিত সমাজ তৈরী হলো প্রকৃতির রাজ্যের মধ্যে চলমান সমস্যা ও অসুবিধাগুলো দূরীভূত করার জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মানুষের ‘অধিকার ও স্বাধীনতা’কে অক্ষুন্ন রাখা। কারণ কর্তৃপক্ষ সৃষ্টির ফলে মানুষ যদি দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে তাহলে সে কর্তৃপক্ষ নিরর্থক হয়ে যায়। সুতরাং মানুষ চুক্তির মাধ্যমে এমন কোনো স্বৈরাচারী শাসক তৈরি করলো না যে কর্তৃপক্ষ তাদের স্বাধীনতাকে খর্ব করতে পারবে। প্রকৃতির রাজ্যের সবকিছু ত্যাগ করার জন্য মানুষ চুক্তি করে নাই। শুধুমাত্র প্রকৃতির রাজ্যের অবাধ ও ক্ষতিকর স্বাধীনতা ব্যতীত সকল কিছুই মানুষের এখতিয়ারে থাকলো। মানুষের মৌলিক প্রয়োজন ছিল তার জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করা। বলা বাহুল্য, প্রকৃতির রাজ্যে এক পর্যায়ে তা রক্ষিত হতো না, ফলে চুক্তি সংগঠিত হলো প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে, তারা কেউই আর অন্যকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা ব্যক্তিগতভাবে প্রয়োগ করতে পারবে না। এ ক্ষমতা একটি কর্তৃপক্ষের হাতে ন্যস্ত করা হলো। এ কর্তৃপক্ষের সৃষ্টিকর্তা হলো জনগণ। কি কি নিয়মে কর্তৃপক্ষ কাজ করবে সেটাও জনগণ স্থির করে দেবে। তাই শাসক অবাধ ক্ষমতার মালিক নয়। মূল ক্ষমতা জনগণের হাতেই থেকে গেল। এখানেই লকের চুক্তির মূল বক্তব্য নিহিত। তাঁর পূর্ববর্তী দার্শনিক হবস কিন্তু সে ক্ষমতা জনগণের কাছ থেকে নিয়ে শাসকের হাতে সর্বোতভাবে তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তাই লকের সামাজিক চুক্তি সীমিত চুক্তি। এক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা চূড়ান্ত নয়। সরকার একটি জিম্মাদারী প্রতিষ্ঠান মাত্র। চুক্তি একতরফা নয়।
জনগণের সাথে শাসক চুক্তিবদ্ধ। জনগণের জীবন স্বাধীনতা রক্ষায় শাসক অংগীকারাবদ্ধ। শাসক এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে জনগণের অধিকার থাকবে শাসক পরিবর্তন করার। সে ক্ষমতা ও অধিকার জনগণের কাছেই সংরক্ষিত। সুতরাং শাসক সার্বভৌম নয়। সার্বভৌম হলো জনগণ। লকের চুক্তির অন্য একটি দিক আছে, তা হলো সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। জনগণ বলতে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকেই বুঝানো হয়েছে। লকের চিন্তার মূল সুর হলো জনগণের সম্মতি (consent)। জনগণের সম্মতির উপর আইন, সরকার ও শাসন নির্ভরশীল। সরকার শুধু নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। নীতি নির্ধারণ করবে জনগণ। এভাবে লক তার সামাজিক চুক্তি মতবাদের মাধ্যমে ‘গণসার্বভৌমত্ব’ (Popular sovereignty) এবং পার্লমেন্টারী ধরনের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুরোধা হিসাবে রাজনীতি বিজ্ঞানের ইতিহাসে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।
জন লকের সম্পত্তি তত্ত্ব
জন লকের রাষ্ট্রদর্শন সম্পত্তি তত্ত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে। লক ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে যুক্তিসংগত করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সম্পত্তি তত্ত্ব বিচ্ছিন্ন কোনো তত্ত্ব নয়। এটি লকের রাষ্ট্রদর্শনের কাঠামোর সংগে সংযুক্ত। লক বিশ্বাস করতেন, প্রকৃতির রাজ্যে মানুষের সম্পত্তির সুষ্ঠু নিশ্চয়তা ছিল না বলেই মানুষ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। সুতরাং জনগণের সম্পত্তি রক্ষা করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। লক মনে করতেন যে, শ্রমই সম্পত্তির মালিকানার বৈধ উৎস। সম্পত্তির প্রাথমিক উৎস হলো প্রকৃতি। তবে প্রকৃতিদত্ত জিনিসের উপর শ্রম যুক্ত হয়েই সম্পত্তি সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ শ্রম ছাড়া সম্পত্তি সৃষ্টি হতে পারে না। সম্পত্তি সৃষ্টির সাথে শ্রম ঐ সম্পত্তির মূল্যও সৃষ্টি করে। কোনো জিনিসের জন্য যতবেশি শ্রম লাগবে ঐ জিনিসের মূল্য তত বেশি সংযোজিত হবে। তাঁর এ তত্ত্ব পরবর্তীতে সমাজতান্ত্রিক তত্ত্ব গঠনে ভূমিকা রেখেছে। কার্ল মার্কস উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্ব গঠনে লকের ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন বলে মনে করা যায়।
লক ব্যক্তিগত সম্পত্তির উৎস হিসাবে শ্রমকেই চিহ্নিত করেছেন। তিনি সম্পত্তির সীমা সম্পর্কে খুব স্পষ্ট করে কিছু না বললেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত উদ্বৃত্ত সম্পত্তির মালিকানার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন উদ্বৃত্ত সম্পদের দাবীদার হওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নাই। এ উদ্বৃত্তের মালিক হবে অন্যান্যরা। কিন্তু মুদ্রা ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর পুঁজিবাদী ধাঁচের সমাজ নির্মানে উদ্বৃত্ত পুন:বিনিয়োগের সুযোগ এনে দেয় এবং লকের তত্ত্ব অসহায় অবস্থার মধ্যে পতিত হয়। সুতরাং লকের সম্পত্তি তত্ত্বে সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের বক্তব্য থাকলেও প্রকারান্তরে তা পুঁজিবাদী সমাজ নির্মানের দিকে ধাবিত হয়। তবে তার সম্পত্তি তত্ত্বের ভেতর দিয়ে তিনি একজন ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবাদী চিন্তাবিদের আসন দখল করে নিয়েছেন।
লকের রাষ্ট্রদর্শন মূল্যায়ন
জন লকের রাষ্ট্রদর্শন বা রাষ্ট্রদর্শনে জন লকের অবদান বিশ্লেষণ করলে আমরা নিম্নলিখিত দিকগুলো দেখতে পাই: প্রাকৃতিক অধিকার রক্ষার তত্ত্ব প্রদান করে লক মানুষের মর্যাদা ও অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তিনি ভাবতেন জীবনকে পরিপূর্ণ করতে হলে অধিকার থাকা অপরিহার্য। লক সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধরনের সরকার ব্যবস্থার জনক হিসাবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন। সরকারের ভিত্তি এবং বৈধতা হচ্ছে জনগণের সম্মতি-একথা তিনি অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় উচ্চারণ করেছেন। তাঁর এ সংবিধানিক ও নিয়মতান্ত্রিকতাবাদ বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূলমন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত। জনগণই সার্বভৌম। সরকার অফুরন্ত ক্ষমতার আঁধার নয়। কতকগুলো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সীমাবদ্ধতার মধ্যে সরকারকে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ সরকারকে তিনি সীমাবদ্ধ করেছেন এবং সরকারকে গণসার্বভৌমত্বের অধীনস্থ করে স্বৈরাচার প্রতিরোধের ভিত্তি রচনা করে গেছেন। আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রে তার তত্ত্বের প্রতিফলন দেখা যায়। জন লক গণতন্ত্র ও সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন পদ্ধতির মূল প্রবক্তা। ক্ষমতা পৃথকিকরণের ইংগিত তাঁর চিন্তায় ফুটে উঠেছে।
উদারনীতিবাদ, সহনশীলতার বানী প্রচার করে পাশ্চাত্য সভ্যতার নবযুগের দ্বার উন্মোচিত করেছেন জন লক। সম্পত্তি তত্ত্বের মাধ্যমে লক তৎকালীন সনাতনী চিন্তাভাবনার মূলে কুঠারাঘাত করে ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবাদের জয়গান উচ্চারণ করেছেন।
সারকথা
জন লকের রাষ্ট্রদর্শন বা রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে জন লক একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি গণতন্ত্র, উদারনীতিবাদ, সাংবিধানিক সরকার, জনগণের সার্বভৌমত্ব, সীমিত সরকারের ধারণা ইত্যাদির জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিশেষ করে পার্লামেন্টারী ধরনের সরকার ব্যবস্থা জন লকের কাছে পুরোপুরিভাবে ঋণী।
তথ্যসূত্র
১. হাসানুজ্জামান চৌধুরী, মো আব্দুর রশীদ, এ এমদাদুল হক ও অন্যান্য; রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় খণ্ড, রাষ্ট্রচিন্তা, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, ত্রয়োদশ প্রকাশ, ২০২০, পৃষ্ঠা ১৩৪-১৩৬।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।