রাষ্ট্র হচ্ছে (ইংরেজি: State) শ্রেণিবিভক্ত সমাজে শ্রেণি শোষণ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার হাতিয়ার। ইতিহাসে বিভিন্ন ধরনের শোষণমূলক রাষ্ট্র দেখা গেছে যথা দাসপ্রথাভিত্তিক, সামন্তবাদী ও বুর্জোয়া রাষ্ট্র। যে কোনো দেশের শ্রেণিগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক ও শ্রেণিসংগ্রামের চরিত্র অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনার রূপও বিভিন্ন হয়ে থাকে। বুর্জোয়া প্রজাতন্ত্র, শাসনতান্ত্রিক রাজতন্ত্র ইত্যাদি হচ্ছে তেমনই রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন রূপ। কিন্তু যে কোনো ধরনের রাষ্ট্রের মূলকথাই হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে আধিপত্যশীল শ্রেণির একনায়কত্ব।[১]
মার্কসীয় তত্ত্বে রাষ্ট্র সম্পর্কে যে নীতি বিবৃত হয়েছে তা চিন্তার জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। কার্ল মার্কসের পূর্বে রাষ্ট্রকে শাশ্বত প্রতিষ্ঠান মনে করা হতো। মার্কসবাদীরা ব্যাখ্যা দিলেন যে রাষ্ট্র শুকিয়ে মারা যাবে। মার্কসীয় তত্ত্বে রাষ্ট্রের মতো অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এতো গুরুত্ব পায়নি। বস্তুত রাষ্ট্রের উপর অত্যধিক গুরুত্ব দেয়ায় মার্কসীয় তত্ত্বে রাজনীতির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অবহেলিত হয়েছে। কার্ল মার্কস অবশ্য বিস্তৃতভাবে কোনো গ্রন্থে রাষ্ট্র সম্পর্কে আলোকপাত করেননি। তবে প্যারিস ম্যানুস্ক্রিপ্ট, ফ্রান্সে শ্রেণিসংগ্রাম, জার্মান ভাবাদর্শ, গোথা কর্মসূচি, কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার প্রভৃতি গ্রন্থে মার্কসীয় রাষ্ট্রচিন্তা পাওয়া যায়। এই রাষ্ট্রচিন্তাকে ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস পরিবার, ব্যক্তিগত মালিকানা ও রাষ্ট্রের উৎপত্তি এবং লেনিন রাষ্ট্র ও বিপ্লব গ্রন্থে বিবৃত করেন।[২]
রাষ্ট্র উপরিকাঠামোর সব থেকে সক্রিয় প্রতিষ্ঠান। এঙ্গেলস বলেন রাষ্ট্র আকস্মিকভাবে সৃষ্টি হয়নি। আদিম গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজে মানুষের রাষ্ট্র সম্পর্কে কোনো ধারনা ছিলো না। কারণ তখন জনগণের মধ্যে কোনো শ্রেণি ছিলো না। যা উৎপাদন করতো তা সকলে মিলেমিশে ভোগ করতো। এঙ্গেলস লিখেছেন,
“অনন্তকাল থেকে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নেই। এমন সব সমাজ ছিলো যারা রাষ্ট্র ছাড়াই চলতো, যাদের রাষ্ট্র অথবা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কোনো ধারনাই ছিলো না। অর্থনৈতিক বিকাশের একটা বিশেষ স্তরে যখন অনিবার্যভাবেই সমাজে শ্রেণি-বিভাগ এলো, তখন এই বিভাগের জন্যই রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় হয়ে পড়লো। এখন আমরা দ্রুত পায়ে উৎপাদনের বিকাশের এমন একটা স্তরে পৌছাচ্ছি যখন এইসব বিভিন্ন শ্রেণির অস্তিত্ব আর শুধু যে অবশ্য প্রয়োজনীয় থাকবে না তাই নয়, পরন্তু উৎপাদনের প্রত্যক্ষ বাঁধা হয়েই উঠবে। আগেকার স্তরে যেমন অনিবার্যভাবে তাদের উদ্ভব হয়েছিলো তেমনি এখন তাদের পতনও অনিবার্য। তাদের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রেরও পতন হবে।[৩]
অর্থাৎ সমাজ বিকাশের একটি স্তরে যখন একদল উৎপাদনের উপকরণের ও উৎপাদিত দ্রব্যের মালিক এবং অন্যদল উৎপাদনকারীতে সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়লো তখনই রাষ্ট্রের সৃষ্টি হলো। কারণ যারা উৎপাদনের উপকরণের মালিক তারা সংখ্যালঘু ছিলো, তাদের পক্ষে সমাজের উপর আধিপত্য কায়েম করতে হলে একটি ক্ষমতাশালী সংগঠন আবশ্যক ছিলো। এই ক্ষমতাশালী সংগঠনই রাষ্ট্র। দাস সমাজেই সর্বপ্রথম রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখা যায়। এঙ্গেলস লিখেছেন,
“প্রাচীন যুগে রাষ্ট্র ছিলো সর্বোপরি ক্রীতদাসের দমনের জন্য দাসমালিকদের রাষ্ট্র, যেমন সামন্তবাদী রাষ্ট্র ছিলো ভূমিদাস কৃষকদের বশে রাখার জন্য অভিজাতদের সংস্থা এবং আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্র হচ্ছে পুঁজি কর্তৃক মজুরি-শ্রম শোষণের হাতিয়ার। … ইতিহাসের ক্ষেত্রে অধিকাংশ রাষ্ট্রেই দেখা যায় যে, নাগরিকদের অধিকার স্থির হয় ধনসম্পত্তির অনুপাতে এবং এইভাবে প্রত্যক্ষভাবে এই তথ্য প্রকাশ পায় যে, রাষ্ট্র হচ্ছে বিত্তহীন শ্রেণিদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য বিত্তশালী শ্রেণির একটি সংগঠন। … এবং সর্বশেষে বিত্তশালী শ্রেণি শাসন করে সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে। যতদিন পর্যন্ত শোষিত শ্রেণি, অর্থাৎ আমাদের ক্ষেত্রে প্রলেতারিয়েত নিজের মুক্তির জন্য পরিণত না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এ শ্রেণির বৃহৎ সংখ্যাধিকেরা বর্তমান সমাজব্যবস্থাকেই একমাত্র সম্ভবপর ব্যবস্থা বলেই মেনে নেবে।[৪]
রাষ্ট্র হলো শোষক শ্রেণির নিজস্ব ব্যবস্থাপনা। এই অর্থে রাষ্ট্র হচ্ছে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও উৎপাদন যন্ত্রের মালিকানার রক্ষাকর্তা। রাষ্ট্র হলো এমন একটা ব্যবস্থা যা শোষক শ্রেণির নিয়ন্ত্রিত নিজস্ব শক্তিকেন্দ্র। যেহেতু শোষক শ্রেণির ভেতর অভ্যন্তরীণ বিরোধ বর্তমান থাকে তাই তাদের ভিতরকার দ্বন্দ্ব বিরোধ সমাধানের রাজনৈতিক ব্যবস্থা থাকে। এই রাজনৈতিক ব্যবস্থাই রাষ্ট্রীয় সংগঠনগুলোর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। রাষ্ট্র তাই শ্রেণির শক্তি কেন্দ্র। শক্তি আর মতাদর্শ দিয়েই রাষ্ট্র তার অস্তিত্ব রক্ষা করে।[৫]
আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্রের শাসকমণ্ডলী হচ্ছে সমগ্র বুর্জোয়া শ্রেণির কাজকর্ম ব্যবস্থাপনার একটি কমিটি মাত্র। অর্থনৈতিক বিকাশের যে নির্দিষ্ট মাত্রাটি শ্রেণিতে শ্রেণিতে সমাজের ভাঙনের সঙ্গে অনিবার্যভাবেই জড়িত, সেই মাত্রায় এই ভাঙনের ফলে রাষ্ট্র আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়। ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস লিখেছেন,
“সভ্য সমাজে রাষ্ট্রই সমাজকে একত্রে ধরে রাখে এবং প্রত্যেকটি বিশিষ্ট পর্বেই এ রাষ্ট্র হলো একমাত্র শাসক শ্রেণির রাষ্ট্র এবং সকল ক্ষেত্রেই এটি হলো মূলত শোষিত, নিপীড়িত শ্রেণিকে দমন করার যন্ত্র।”[৬]
সুতরাং রাষ্ট্র হচ্ছে সমাজের একটা নির্দিষ্ট পর্বে বিকাশের ফল, রাষ্ট্র হচ্ছে শ্রেণি বিরোধের অমীমাংসেয়তার ফল ও অভিব্যক্তি। রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় সেইখানে, সেই সময়, এবং সেই পরিমাণে, যেখানে যে সময় এবং যে পরিমাণে বাস্তব ক্ষেত্রে শ্রেণি বিরোধের সমাধান হতে পারছে না। রাষ্ট্র হচ্ছে মানুষের উপর একটা প্রথম মতাদর্শগত শক্তি। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্য আক্রমণের বিরুদ্ধে সমাজের সাধারণ স্বার্থকে রক্ষা করার জন্য সমাজ একটি সংস্থা গড়ে নেয়। সেই সংস্থা হচ্ছে রাষ্ট্রশক্তি।
মার্কসবাদীরা মনে করেন বুর্জোয়াদের রাষ্ট্র আপাতদৃষ্টিতে প্রগতিশীল মনে হলেও বা সেটাতে গণতান্ত্রিক নীতির কথা বলা হলেও এই বুর্জোয়া রাষ্ট্র শ্রমিক কৃষকদের বশে রাখারই যন্ত্রবিশেষ। সর্বজনীন ভোটাধিকার, গণপরিষদ, সংসদ, বিচারব্যবস্থা সবই লোক দেখানো বিষয়। আসলে এই সমস্ত ক্ষেত্রে পুঁজিপতিরাই আসল ক্ষমতা ভোগ করে।
সে কারণেই মার্কসবাদীরা সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। প্রলেতারিয়েতকে শাসক শ্রেণিতে উন্নীত করে প্রথমে সাম্যবাদী সমাজের প্রথম স্তর সমাজতন্ত্র কায়েম এবং সাম্যবাদী সমাজ কায়েম হলে আসবে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র। কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহারে শ্রেণিহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার পথ নির্দেশিকা পাওয়া যায়। অগ্রসর দেশগুলোতে উৎপাদন পদ্ধতির সম্পূর্ণ বিপ্লবীকরণ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে জয়যুক্ত করার জন্য প্রলেতারিয় রাষ্ট্র কর্তৃক যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক সেগুলোর তালিকা আছে কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহারে। সেগুলো হলো:
১. জমি মালিকানার অবসান; জমির সমস্ত খাজনা জনসাধারণের হিতার্থে ব্যয়।
২. উচ্চ মাত্রার ক্রমবর্ধমান হারে আয়কর।
৩. সবরকমের উত্তরাধিকার বিলোপ।
৪. সমস্ত দেশত্যাগী ও বিদ্রোহীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তি।
৫. রাষ্ট্রীয় পুঁজি ও নিরঙ্কুশ একচেটিয়া সহ একটি জাতীয় ব্যাংক মারফত সমস্ত ক্রেডিট রাষ্ট্রের হাতে কেন্দ্রীকরণ।
৬. যোগাযোগ ও পরিবহনের সমস্ত উপায় রাষ্ট্রের হাতে কেন্দ্রীকরণ।
৭. রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কলকারখানা ও উৎপাদন-উপকরণের প্রসার; পতিত জমির আবাদ এবং এক সাধারণ পরিকল্পনা অনুযায়ী সমগ্র জমির উন্নতিসাধন।
৮. সকলের পক্ষে সমান শ্রমবাধ্যতা। শিল্পবাহিনী গঠন, বিশেষত কৃষিকার্যের জন্য।
৯. কৃষিকার্যের সঙ্গে যন্ত্রশিল্পের সংযুক্তি; সারা দেশের জনসংখ্যার আরো বেশি সমভাবে বণ্টন মারফত ক্রমে ক্রমে শহর ও গ্রামের প্রভেদ লোপ।
১০. সরকারি বিদ্যালয়ে সকল শিশুর বিনা খরচে শিক্ষা। ফ্যাক্টরিতে বর্তমান ধরনের শিশু শ্রমের অবসান। শিল্পোৎপাদনের সঙ্গে শিক্ষার সংযুক্তি ইত্যাদি।[৭]
শ্রমিক শ্রেণির ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যই হচ্ছে শ্রেণিভেদের অবসান করা অর্থাৎ এমন এক নতুন উৎপাদন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যেখানে কোনো পরশ্রম ভোগী শ্রেণির অস্তিত্ব থাকবে না। এক কথায় শ্রমিক শ্রেণির উদ্দেশ্য শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা যেখানে প্রত্যেক মানুষ সমগ্র সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করবে। তখন রাষ্ট্রকে একটি শ্রেণির স্বার্থ রক্ষার জন্য শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজনে লাগবে না। ক্রমে ক্রমে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিলোপ ঘটবে। মার্কসবাদীরা বলেন আদিম সাম্যবাদী সমাজে শ্রেণি শোষণ না থাকায় তখন রাষ্ট্রব্যবস্থা ছিলো না। দাস সমাজে শ্রেণি শোষণের উদ্ভব এবং তখন থেকেই রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। যখন সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন সমাজে শোষিত ও নিপীড়িত শ্রেণি থাকবে না, তখন শোষণের যন্ত্র রাষ্ট্র অপ্রয়োজনীয় হয়ে অবলুপ্ত হবে।[৮]
তথ্যসূত্র ও টিকা:
১. সোফিয়া খোলদ, সমাজবিদ্যার সংক্ষিপ্ত শব্দকোষ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৯০, পৃষ্ঠা ১৪৮-১৪৯]
২. টম বটোমোর, মার্কসীয় সমাজতত্ত্ব, হিমাংশু ঘোষ অনূদিত, কে পি বাগচী এন্ড কোম্পানি, কলকাতা, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা xliii-xliv
৩. ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, পরিবার, ব্যক্তিগত মালিকানা ও রাষ্ট্রের উৎপত্তি, মার্চ-জুন, ১৮৮৪, মার্কস এঙ্গেলস রচনা সংকলন, দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৩২০
৪. ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, পরিবার, ব্যক্তিগত মালিকানা ও রাষ্ট্রের উৎপত্তি, মার্চ-জুন, ১৮৮৪, মার্কস এঙ্গেলস রচনা সংকলন, দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৩১৯-৩২০
৫. সমীরণ মজুমদার, মার্ক্সবাদ বাস্তবে ও মননে, স্বপ্রকাশ, কলকাতা, ১ বৈশাখ ১৪০২, পৃষ্ঠা ৫৫
৬. ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, পরিবার, ব্যক্তিগত মালিকানা ও রাষ্ট্রের উৎপত্তি, মার্চ-জুন, ১৮৮৪, মার্কস এঙ্গেলস রচনা সংকলন, দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৩২৩
৭. কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, ১৮৪৮, মার্কস এঙ্গেলস রচনা সংকলন, প্রথম খণ্ড প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৪৫-৪৬
৮. প্রবন্ধটি আমার [অনুপ সাদি] লিখিত ভাষাপ্রকাশ ঢাকা থেকে ২০১৬ সালে প্রকাশিত মার্কসবাদ গ্রন্থের ৫৫-৬১ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরে ডট কমে ১১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত। সেখান থেকে লেখাটি ২ জুলাই ২০২২ তারিখে ফুলকিবাজ ডট কমে পুনরায় প্রকাশ করা হলো। প্রবন্ধটির রচনাকাল ১৭ আগস্ট ২০১৫।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।