গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদ (ইংরেজি: Democratic centralism) বলতে লেনিনবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত নীতিসমূহকে উল্লেখ করা হয়। ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস তাঁর কর্তৃত্ব প্রসঙ্গে লেখায় কর্তৃত্বকে কেন্দ্রিকতাবাদ অর্থে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এঙ্গেলসের মতে জটিল যন্ত্রপাতির বিকাশের সাথে সাথে কেন্দ্রিকতাবাদের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। আমরাও দেখি যান্ত্রিক বিকাশের সাথে সাথে কারখানা বা গবেষণাগার বা সংগঠনে কেন্দ্রিকতাবাদের গুরুত্ব অপরিসীম।
মাঝে মাঝে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদের দ্বারা আবার যে কোনো রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গৃহীত কোনো লেনিনপন্থী নীতিকেও একইভাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এই সাংগঠনিক পদ্ধতির গণতান্ত্রিক শব্দবন্ধটি দ্বারা বোঝানো হয় যে কোনো নীতি নির্ধারণের পূর্বে সকল দলীয় সদস্যের সে বিষয়ে আলোচনা, বিতর্ক এবং মতবিনিময় করার অধিকার রয়েছে; কিন্তু যখনই সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন লাভ করে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে তখন দলের প্রতিটি সদস্যকেই সেই সিদ্ধান্তটি মেনে চলতে হবে। পরের শব্দটি দ্বারা কেন্দ্রিকতাবাদ প্রকাশ করা হয়। গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদ শব্দবন্ধটিকে ভ্লাদিমির লেনিন ব্যাখ্যা করেছিলেন এইভাবে যে এটি হলো ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং কার্যক্ষেত্রে ঐক্য’।[১] এঙ্গেলস ও লেনিনের সূত্র ধরে মাও সেতুং গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদের বিশ্লেষণ প্রদান করেছেন। ফলে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি কমিউনিস্ট পার্টির অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা সম্পর্কে ভি. আই. লেনিন লিখেছেন,
“কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠনে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা অবশ্যই হবে কেন্দ্রিকতা ও সর্বহারা গণতন্ত্রের সংমিশ্রণ (ফিউশন)—উভয়ের মিলনের প্রকৃত নির্যাস। এই সংমিশ্রণ, সমগ্র পার্টির মধ্যে সর্বদা একত্রে কাজ, সর্বদা একত্রে সংগ্রামের মধ্য দিয়েই একমাত্র অর্জন করা যায়। কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠনে কেন্দ্রিকতা আনুষ্ঠানিক বা যান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা নয়; এই কেন্দ্রিকতা হলও সাম্যবাদী কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রিকতা, যার অর্থ হলও, এমন একটি সুদৃঢ় শক্তিশালী নেতৃত্ব গড়ে তোলা যা বিপ্লবী যুদ্ধের জন্য সর্বদা প্রস্তুত, আবার একই সাথে যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবেলায় পারদর্শী। আনুষ্ঠানিক বা যান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা হলও পুঁজিবাদি আমলা গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতার কেন্দ্রিকতা— সংগঠনের সজীব জীবনধারার বাইরে থেকে যা পার্টির অবশিষ্ট সদস্যের উপর বা বিপ্লবি সর্বহারা জনতার উপর আধিপত্য চালায়।”[২]
গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা সম্পর্কে মাও সেতুং বলেছেন,
জনগণের ভেতরে, গণতন্ত্র কেন্দ্রীকতার সংগে সম্পর্কিত এবং স্বাধীনতা শৃংখলার সংগে সম্পর্কিত। এ সবই হচ্ছে একটি একক বস্তুর দুটি বিপরীত দিক, তারা পরস্পর বিরোধী, আবার ঐক্যবদ্ধও; আমাদের একটার উপর একতরফাভাবে জোর দিয়ে অন্যটাকে অস্বীকার করা উচিত নয়। জনগণের ভেতরে, স্বাধীনতা ছাড়া চলে না, শৃংখলা ছাড়াও চলে না; গণতন্ত্র ছাড়া চলে না, কেন্দ্রীকতা ছাড়াও চলে না। এই ধরনের গণতন্ত্র ও কেন্দ্রীকতার একত্ব এবং স্বাধীনতা ও শৃংখলার একত্বের অর্থ হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতা। এই ব্যবস্থায় জনগণ ব্যাপক গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা ভোগ করেন; একই সময়ে আবার সমাজতান্ত্রিক শৃংখলার মধ্যে অবশ্যই তাঁদের নিজদেরকে আবদ্ধ রাখতে হয়।[৩]
গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার বিপরীতে আমলাতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা সম্বন্ধে ভি. আই. লেনিন লিখেছেন,
“একটি সমাজতান্ত্রিক গণপার্টিকে কমিউনিস্ট পার্টিতে রূপান্তরিত করার কাজ কখনই পুরনো কর্মরীতিকে অপরিবর্তিত রেখে কেবলমাত্র সেই পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতার (অথরিটির) কেন্দ্রীভবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে পারে না। কেন্দ্রিকতা কেবলমাত্র কাগজে কলমে থাকলে চলবে না, বাস্তবে তাকে প্রয়োগ করতে হবে; এবং তা একমাত্র তখনই করা সম্ভব যখন ব্যাপকভাবে সদস্যরা অনুভব করতে পারবেন যে এই ‘অথরিটি’ তাদের সম্মিলিত কর্মকাণ্ডে ও সংগ্রামে সর্বোত্তম যোগ্যতাসম্পন্ন একটি হাতিয়ার। অন্যথায় জনগণের কাছে এই কেন্দ্রীভূত নেতৃত্ব পার্টির অভ্যন্তরের একটি আমলাতন্ত্ররূপেই দেখা দেবে এবং এর ফলে, তা সকল প্রকার কেন্দ্রিকতা, সকল ধরনের নেতৃত্ব ও সমস্ত রকম নিয়মানুবর্তিতার বিরুদ্ধতা করার মানসিকতা জাগিয়ে তুলতে পারে। আমলাতান্ত্রিকতার বিপরীত মেরুতেই নৈরাজ্যবাদীতার স্থান।”[২]
আমলাতন্ত্র যথেষ্ট পরিমাণে দলের অভ্যন্তরে শক্তিশালী হলে দল অগণতান্ত্রিক হয়ে পড়ে এবং দলের অভ্যন্তরে সুবিধাবাদ ও আরাম-আয়েশ ভোগ-বিলাস বাড়তে থাকে। মাও সেতুং যে ২০ প্রকারের আমলাতন্ত্রের কথা বলেছিলেন তার অনেকগুলোই একটি আমলাতান্ত্রিক পার্টিতে বিরাজ করতে পারে। আমরা শুধু কয়েকটি সম্পর্কে আলোচনা করি। মাও সেতুং লিখেছিলেন,
“১. এরা অজ্ঞ। কিছু জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা পায়। অতিরঞ্জিত করে সব কিছুকে। মিথ্যা কথা বলে। এদেরকে বলা যায় অসাধু আমলাতন্ত্র।
২. এরা নির্বোধ। বিভ্রান্ত। নিতান্তই ক্ষয়িষ্ণু সত্তা। গা ভাসিয়ে চলে। প্রাচুর্যে মত্ত থাকতে চায়। এটা হলও জড় আমলাতন্ত্র।
৩. এরা সব কাজ অন্যদের দিয়ে করায়। দলিল দস্তাবেজ পর্যন্ত অন্যদের দিয়ে পড়ায়। এরা অলস আমলাতন্ত্র।
৪. এরা কেবল আরাম চায়। কষ্টে পরাঙ্মুখ। পেছনের দরজা দিয়ে কাজ চালায়।”[৪]
এসব আলস্যের বিপরীতে একটি গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদ দ্বারা পরিচালিত পার্টি পরিশ্রমকে ভয় পায় না। উপরের চারটি বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলিয়ে দেখুন মাও সেতুং ও লেনিনের এবং তাদের পার্টির কমরেডদের মাইনাস চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করার বা দুদিন পুকুরের জলে গোপনে ডুবে থাকার অভিজ্ঞতার যন্ত্রণা।
কোনো দলের নেতা-কর্মীদের এই সুবিধাবাদ ও আমলাতান্ত্রিকতা দলে শেষ পর্যন্ত উপদল তৈরি করে এবং দল ভাঙনের দিকে যায়। এই ভাঙন শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ করা যায়না। কিছু ক্ষেত্রে সুখ-আয়েশ ও সম্পত্তিলোভ পুরো মার্কসবাদবিরোধী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে নেতা ও দলকে। পার্টি এক্ষেত্রে মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক লাইনকে আঁকড়ে ধরতে না পারলে দল ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ পার্টি শ্রেণিসংগ্রাম, সমাজতন্ত্র, দ্বান্দ্বিক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্বকে আঁকড়ে ধরতে না পারলে দল রাজনৈতিক লাইনের ক্ষেত্রে ভুল পথে চলতে থাকে। কেননা,
“মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক লাইনের সঠিকতা-বেঠিকতাই সবকিছু নির্ধারণ করে।পার্টির লাইন সঠিক হলে, সবকিছুই ঠিকমত চলবে। যদি তার কোনো অনুগামি না থাকে তাহলে অনুগামি হবে, যদি বন্দুক না থাকে তাহলে বন্দুক অর্জিত হবে, রাজনৈতিক ক্ষমতা না থাকলে তা অর্জিত হবে। আর লাইন যদি ভুল হয়, তাহলে অর্জিত ফলও খোয়া যায়। লাইন হচ্ছে জালের রশির মতো। যখন একে ধরে টান দেয়া হয়, তখন সমস্ত জালটাই খুলে যায়”।[৫]
সমাজতান্ত্রিক সমাজে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদের প্রকাশ ঘটে একক নীতি অনুসরণে, অধঃস্তন সংস্থাগুলোর দ্বারা ঊর্ধ্বতন সংস্থাগুলোর সিদ্ধান্তসমূহ আবশ্যিকভাবে পালনে এবং সংখ্যালঘু কর্তৃক সংখ্যাগুরুর অধীন থাকার মাধ্যমে। এই সমাজে মেহনতি জনগণের সামাজিক আত্মশাসন চলে মেহনতিদের জন্য মেহনতিদের মাধ্যমে। সমাজতন্ত্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রত্যেক মেহনতি কর্মিকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজকর্মে যোগদানের সুযোগ দেয়। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে তাদের যোগদান কোনো সীমাবদ্ধতা বা ব্যতিক্রমে আবদ্ধ নয়। মাও সেতুং লিখেছেন,
“পার্টির ভেতরে গণতান্ত্রিক জীবন সম্পর্কে শিক্ষার কাজ অবশ্যই চালাতে হবে, যাতে করে পার্টি-সদস্যরা বুঝতে পারেন, গণতান্ত্রিক জীবনের অর্থ কি, গণতন্ত্র ও কেন্দ্রিকতার মধ্যকার সম্পর্ক কি এবং কি ভাবে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাকে কাজে লাগানো যায়। শুধুমাত্র এই উপায়েই, একদিকে পার্টির ভেতরে গণতান্ত্রিক জীবনকে সত্যি সত্যি প্রসারিত করা সম্ভব; অন্য দিকে উগ্র-গণতন্ত্র, শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারী উদারনৈতিক স্বেচ্ছাচারীতাকে এড়ানো সম্ভব।”[৬]
দলের অভ্যন্তরে মতবাদিক লড়াই হওয়ার সমস্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হয়। কিন্তু তা দীর্ঘদিন না চালাতে পারলে দল ভুল লাইনে বা আমলাতান্ত্রিক লাইনে চলে যাবে। মাও সেতুং তার ‘সর্বহারা গণতন্ত্র’ প্রবন্ধে বলেছেন,
“দ্বন্দ্ব পারস্পরিক দোষারোপ কিংবা হাতাহাতি করে নিরসন করা যায় না, ছোরাছুরি বা গুলি চালিয়ে তো নয়ই। একমাত্র আলোচনার ভিত্তিতে, যুক্তির নিরিখে, সমালোচনা-আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়েই এই দ্বন্দ্বের নিরসন ঘটানো সম্ভব। এক কথায়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করে, জনগণের অবাধ মতপ্রকাশের মধ্য দিয়েই এই দ্বন্দ্বের নিরসন হতে পারে।”
গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদ বলতে বুঝতে হবে সমাজতান্ত্রিক সমাজের রাষ্ট্র, পার্টি, গণসংগঠন ও সামাজিক সংগঠনগুলোর পরিচালনার নীতি। এ সমাজে কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব গঠিত ও চালিত হবে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদের ভিত্তিতে। এই নীতির অর্থ হচ্ছে সমাজ-রাষ্ট্র-পার্টি-সংগঠনের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সকল সংস্থায় নির্বাচন হয় সর্বজনীন, সমান ও গোপন ব্যালটে প্রত্যক্ষ ভোটাধিকারের ভিত্তিতে। এই নীতি অনুসারে নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত নির্বাচিত পরিচালকবর্গকে জনসাধারণের কাছে জবাবদিহি, দায়িত্ববোধ, প্রতিবেদন প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়মিত ও স্বচ্ছ এবং নির্বাচিতদের যেকোনো সময় প্রত্যাহারের নীতি কার্যকর থাকবে। গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদের নীতি অনুসারে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ সংস্থা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় রাষ্ট্রীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে।[৭]
তথ্যসূত্র ও টিকা:
১. Vladimir Lenin, Report on the Unity Congress of the R.S.D.L.P., লিংক http://www.marxists.org/archive/lenin/works/1906/rucong/viii.htm
২. ভি আই লেনিন, কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠনের মূলনীতি, ১৯২১; ভ্যানগার্ড প্রকাশনী; মার্চ ২০১১, পৃষ্ঠা ৮-৯।
৩. মাও সে তুং; জনগণের ভেতরকার দ্বন্দ্বের সঠিক মীমাংসার সমস্যা সম্পর্কে; ২৭ ফেব্রুয়ারী , ১৯৫৭।
৪. সমীরণ মজুমদার, চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব, ঋ্যামন পাবলিশার্স, ঢাকা; ফেব্রুয়ারি, ২০১০, পৃষ্ঠা ১৮২।
৫. মাও সেতুং; লিন পিয়াও এর ঘটনার উপর আলোচনা; ১৯৭১।
৬. মাও সেতুং, ‘জাতীয় যুদ্ধে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির স্থান’ অক্টোবর, ১৯৩৮
৭. আরও দেখুন, এম আর চৌধুরী, সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি গঠন প্রক্রিয়া ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১০, পৃষ্ঠা ১০৪-১০৭। প্রবন্ধটি আমার [অনুপ সাদি] রচিত ভাষাপ্রকাশ ঢাকা থেকে ২০১৫ সালে প্রকাশিত সমাজতন্ত্র গ্রন্থের ৭৬-৮১ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে। লেখাটি গ্রন্থভুক্ত হবার পূর্বে প্রাণকাকলি ব্লগে প্রকাশ করা হয়েছিল এবং পরে রোদ্দুর ডট কমে প্রকাশ করা হয়। সেখান থেকে প্রবন্ধটি বর্তমানে ফুলকিবাজে প্রকাশ করা হলো। প্রবন্ধটির রচনাকাল ১৫ এপ্রিল, ২০১৩।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।