সুভাষচন্দ্র বসুর জাতীয়তাবাদী চিন্তা হচ্ছে আগ্রাসনবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী

সুভাষচন্দ্র বসুর জাতীয়তাবাদী চিন্তা (ইংরেজি: Nationalist views of Subhas Chandra Bose) হচ্ছে আগ্রাসনবিরোধী, জাতীয় মুক্তি, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী, সশস্ত্র সংগ্রামী এবং ক্ষুদ্র জাতিপীড়নকারী এককেন্দ্রীক ভারতীয়। অর্থাৎ তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারার সারবস্তুতে প্রতিক্রিয়াশীল অংশ হচ্ছে তাঁর জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা।

সুভাষচন্দ্র বসুর জাতীয়তাবাদী চিন্তা সংকীর্ণ অর্থ গ্রহণ করেনি। তাঁর মতে সংকীর্ণতা, স্বার্থান্বেষিতা ও আগ্রাসনবাদিতা জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হতে পারে না। তাছাড়া, সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও জাতীয়রাবাদ কখনো আন্তর্জাতিক মৈত্রীর পথে বাধা সৃষ্টি করে না। জাতীয়তাবাদ এমন এক মহান আদর্শ যার মূলকথা হচ্ছে সত্যম শিবম, সুন্দরম। জাতীয়তাবাদই মানুষকে সত্যবাদিতা, সদাচার, পৌরুষ, মানবসেবা ও আত্মত্যাগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে। তবে জাতির লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শুভ ও অশুভ সম্পর্কে আমাদের সনাতন ধারণা ও মূল্যবোধের কিছু কিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন। অন্তত জাতীয় সংহতির প্রয়োজনে বর্তমানের মামুলি জীবনপদ্ধতিকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। এছাড়া, জাতির সংকীর্ণতাবিবর্জিত উচ্চাশা থাকা চাই, নইলে তার ধ্বংস অনিবার্য। অর্থাৎ জাতির লক্ষ্য হওয়া চাই এই পৃথিবীকে এমনভাবে পরিবর্তন করা যার ফলে মানবজাতি সুখে শান্তিতে ও মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারবে।[১]

ইউরোপ ও ভারতে জাতীয়তাবাদের বিকাশ

ইউরোপে জাতীয় রাষ্ট্র ও জাতীয়তাবাদের বিকাশ শুরু হয়েছিল রেনেসাঁ আন্দোলনের কাল থেকেই। পরে ফরাসি বিপ্লব ও আমেরিকার স্বাধীনতার যুগকে বলা যেতে পারে জাতীয়তাবাদ বিকাশের গুরুত্বময় কাল। ঊনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপেও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সর্বাপেক্ষা জোরদার মতাদর্শ ছিল জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদের দু’টি ধরণ ছিল – নিজের দেশের রাজনৈতিক ঐক্য, অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য জাতীয়তাবাদের এক সদর্থক প্রকাশ বিভিন্ন জাতিকে উদবোধিত করে তুলেছিল। ম্যাটসিনির ভাষায় তা ছিল ‘Nation is mission’। কিন্তু অপর আরেকটি দিকও তার ছিল। এ ছিল উগ্র জাতায়তাবাদের মদমত্ত আস্ফালন।

পশ্চিমের ক্ষমতাশালী জাতীয় রাষ্ট্রগুলি নিজেদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য নিজেদের সাংস্কৃতিক প্রতাপ প্রতিষ্ঠার জন্য গড়ে তুলেছিল সাম্রাজ্যবাদ। সমাজবিজ্ঞানীরা তাই বলেছেন, আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদের নামান্তর। এই আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে তৈরি হয়েছিল এশিয়া-আফ্রিকা-লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন উপনিবেশ। আর ওই ঔপনিবেশিকতা তৈরি করেছিল সাম্রাজ্যবাদ বিরােধী জাতীয়তাবাদ। ভারতবর্যের জাতীয়তাবাদ ছিল এই জাতের।

এ পৃথিবীর সব দেশেই জাতীয়তাবাদ গড়ে ওঠার নিজস্ব ইহিতাস আছে। সে-দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, ধর্মচেতনা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাতাবরণ অনুযায়ী একেক দেশের জাতীয়তাবাদ একেক বিশেষ রূপ পরিগ্রহ করে। ভারতবর্ষে যেমন জাতীয়তাবাদের বিকাশ শুরু হয়েছিল ধর্মসংস্কার, সমাজসংস্কার, শিক্ষাসংস্কারের সূত্রগুলি ধরে। এসবের ভিত্তি ছিল অবশ্যই ব্রিটিশ বণিকদের সৃষ্ট নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। কিন্তু খেয়ালে রাখতে হবে যে, উনিশ শতকের শুরু থেকে এদেশে জাতিগঠনের যে-প্রয়াস তৈরি হয়েছিল তা রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলন হয়ে উঠেছিল উনিশ শতকের একেবারে শেষের দিকে।

উনিশ শতকের শেষে ভারতবর্ষে রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদের যে-রূপ মূর্ত হয়ে উঠেছিল তাতে হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু ঐতিহ্যের অতীত গরিমার এক বিশেষ স্থান ছিল। ঐতিহাসিকেরা ওই পর্বের নাম তাই দিয়েছেন হিন্দু পুনরুত্থানবাদের যুগ। জাতীয়তাবাদ ও হিন্দুত্ব অনেক ক্ষেত্রে একাকার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভারতবর্ষ নামক দেশটি তো আর হিন্দুর একার নয়। তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে সত্য, কিন্তু মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রীষ্টানরাও এই দেশের জনসমষ্টির এক বৃহদংশ। ফলে, হিন্দু জাতীয়তাবাদ থেকে ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদে পৌছুতে না পারলে ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতাপ্রাপ্তি সম্ভব নয় – এই ধারণা গড়ে উঠেছিল অচিরেই। সুভাষচন্দ্র ও নেহরু প্রমুখ জাতীয় নেতৃবর্গের জাতীয়তাবাদ এই শেষোক্ত ধরনের।[২]

সুভাষচন্দ্র বসুর জাতীয়তাবাদী চিন্তা

সুভাষচন্দ্রের মানসিকতায় রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের ব্যবহারিক বেদান্ত গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। বিবেকানন্দের বাণী তাকে সেবাধর্মে উদ্বুদ্ধ করেছিল। কলেজ জীবনে যদিও তিনি বেদান্ত-বিরোধী বস্তুবাদী দর্শন বিষয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন, কিন্তু সুভাষের সারা জীবনের চেতনায় বিবেকানন্দের প্রভাব খুব প্রখর ছিল। অন্যদিকে ইউরোপের সদর্থক জাতীয়তাবাদী দর্শন, বিশেষত ম্যাটসিনি-গ্যারিবল্ডির আদর্শ, সুভাষকে অনুপ্রাণিত করেছে। আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ছিল প্রবল। যদিও তার স্বাধীনতাযুদ্ধে কৌশলগত পন্থা হিসেবে জার্মানি-ইটালি-জাপানের, অর্থাৎ আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের চূড়ান্ত রূপ যাদের মধ্যে দেখা গেছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর্বে, সাহচর্যের কথা আমরা সকলেই জানি। তিনি ফ্যাসিবাদ ও সাম্যবাদের মধ্যে মিলনের কথাও বলেছেন কখনও কখনও। তথাপি সামগ্রিক বিচারে সুভাষচন্দ্রের জাতীয়তাবাদকে আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের কোঠায় ফেলা যাবে না।

জওহরলাল নেহরুর মতো সুভাষচন্দ্রের জাতীয়তাবাদের প্রধান ভিত্তি ছিল সমতার আদর্শ, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য দ্রুত শিল্পায়ন। সমাজতন্ত্র ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয় – এই চিন্তাও তার জাতীয়তাবাদী চেতনায় পরিব্যাপ্ত ছিল। জাতীয়তার বৈশিষ্ট্য স্বীকার করে নিয়ে সমাজতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে – একথাও খুব স্পষ্ট করে বলেছিলেন সুভাষচন্দ্র। ১৯৩১ সালের ৪ জুলাই তারিখে নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস সভাপতির অভিভাষণে সুভাষচন্দ্র বলেছিলেন,

‘আমার মনে কোনও সন্দেহ নেই যে, একমাত্র সমাজতন্ত্রই ভারতের এবং পৃথিবীর জনগণকে মুক্তি দিতে পারে। ভারতকে অন্যান্য জাতির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সেই প্রণালীটিকে নিশ্চিতই হতে হবে ভারতের প্রয়োজন ও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। যে কোনও তত্ত্বকে বাস্তবে রূপায়িত করতে হলে ভূগোল এবং ইতিহাসকে একেবারে উপেক্ষা করা যায় না। যদি তা কেউ করে সে ব্যর্থ হবেই।’

এই জাতীয়তাকেন্দ্রিক সমাজতন্ত্রের চেতনা আরও স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে সুভাষচন্দ্রের হরিপুরা কংগ্রেসে সভাপতির বক্তৃতায় – কংগ্রেসের লক্ষ্য হ’ল স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ ভারতবর্ষ, যে-ভারতবর্ষে কোনও শ্রেণী বা গোষ্ঠী বা সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজের স্বার্থে অপরকে শোষণ করবে না এবং যেখানে ভারতীয় জনগণের সামগ্রিক মঙ্গল ও অগ্রগতির জন্য জাতির সকলে সম্মিলিতভাবে সহযোগিতা করবে। সর্বজনীন স্বাধীনতার ঐক্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার এই লক্ষ্য কোনও মতেই ভারতীয় জীবনচর্চার বহুল বৈচিত্র ও সাংস্কৃতিক রূপভেদের অবদমন বোঝাবে না। যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি তথা প্রতিটি গোষ্ঠী তার সামর্থ্য ও প্রবণতা অনুযায়ী অবাধে বিকাশ লাভের সুযোগ ও স্বাধীনতা পেতে পারে তার জন্য ঐ বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক রূপভেদকে রক্ষা করতেই হবে।

জাতীয় ঐক্যচিন্তা ও আঞ্চলিক স্বাতন্ত্র—এই দুই বিষয়েই সুভাষ চন্দ্রের মনোযোগ ছিল সমানভাবে প্রখর। ‘মূল জাতীয় স্রোত’ – এর অস্পষ্ট ধারণা অন্যান্য জাতীয়তাবাদী নেতাদের মতো সুভাষকে আচ্ছন্ন করেনি। আঞ্চলিক ও স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজনকে তিনি খুব গুরুত্ব সহকারে ভেবেছিলেন। অশেষ বৈচিত্র্যপূর্ণ ভারতবর্ষে এই আঞ্চলিকতার গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা স্বাধীনতা-পরবর্তী যুগে প্রতি পদে অনুভূত হচ্ছে।

সুভাষচন্দ্র বসুর জাতীয়তাবাদী চিন্তা বিষয়টির মূলভাব

সুভাষচন্দ্র বসুর জাতীয়তাবাদী চিন্তা বিষয়ে এক মনোজ্ঞ প্রবন্ধ লিখেছেন অধ্যাপক প্রশান্তকুমার ঘোষ। এই প্রবন্ধের উপসংহারে অধ্যাপক ঘোষ সুভাষের জাতীয়তাবাদের বৈশিষ্ট্যগুলিকে সূত্রাকারে চিহ্নিত করেছেন। জাতীয়তাবাদ প্রসঙ্গে সুভাষচন্দ্রের ধারণার মূল উপাদানগুলির সংক্ষিপ্তসার এভাবে দেওয়া যেতে পারে।

প্রথমত, সুভাষচন্দ্র সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামী (militant) জাতীয়তাবাদের সমর্থক, কিন্তু উগ্র, সংকীর্ণ, আগ্রাসী বা হিন্দু জাতীয়তাবাদের তিনি বিরোধী।
দ্বিতীয়ত, তার মতে, জাতীয়তাবাদী কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের দরিদ্র, অবহেলিত, শ্রমজীবী মানুষের জন্য বঞ্চনামুক্ত সমাজ গড়ার প্রয়াস।
তৃতীয়ত, সমাজতান্ত্রিক পরিবর্তন কোনও দেশের সমাজ বা অর্থব্যবস্থার অন্ধ অনুকরণে সম্ভব হবে না; ভারতের বাস্তব অবস্থাকে স্বীকার করেই এই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
চতুর্থত, ভারতের জাতীয় ঐক্যের বুনিয়াদ হবে এদেশের বহুধাবিভক্ত সংস্কৃতির যথার্থ ও কার্যকর স্বীকৃতি। এ-বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যে, স্বাধীনতার পরে, বিশেষত ১৯৫০-এর সংবিধান প্রবর্তনের পরে, কেন্দ্রিকতার যে প্রবণতা জাতীয় সংহতির মুখ্য অবলম্বন বলে প্রচারিত হয়ে এসেছে, ভারতীয় ঐক্য সম্বন্ধে সুভাষচন্দ্রের ধারণা ছিল তার বিপরীত।
পঞ্চমত, স্বাধীন ভারতে জাতীয় ঐক্য অক্ষুন্ন রাখার জন্য সুভাষচন্দ্র যে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার কথা বলেছেন তার মধ্যে ঘনিষ্ঠতর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন যেমন স্বীকৃত, তেমনই সর্বজনগ্রাহ্য ভাষা ও লিপি ব্যবহার এবং জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও প্রবলভাবে সমর্থিত। এ-বিষয়ে তাঁর ভাষা ও লিপি ব্যবহার সংক্রান্ত চিন্তা তাকে প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ষষ্ঠত, জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের মধ্যে বাস্তবসম্মত উপায়ে যোগসূত্র রচনার কথা তার তত্ত্বে স্বীকৃত। হরিপুরা কংগ্রেসে সভাপতির অভিভাষণে তিনি স্বাধীন ভারতবর্ষের বৈদেশিক নীতির যে আভাস দেন তাতে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতিগুলির মধ্যে সহযোগিতার আহ্বান ছিল।’

সুভাষ বসু প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন যে বর্তমান পাশ্চাত্য জগতে হরেক রকমের জাতিগঠনমূলক কর্মসূচী ও সামাজিক-রাজনীতিক মতাদর্শের ছড়াছড়ি। এই মতাদর্শগুলির মধ্যে রয়েছে সমাজতন্ত্র, গিল্ড সমাজতন্ত্র, সিণ্ডিকালিজম, নৈরাজ্যবাদ, বলশেভিকবাদ, ফ্যাসিবাদ, সংসদীয় গণতন্ত্র, চরম রাজতন্ত্র, সীমিত রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি। এর প্রত্যেকটি মতাদর্শ প্রজ্ঞার স্বাক্ষর বহন করে বটে, তবে সুভাষ বসু মনে করেন, ভারতের জন্য এর কোনটি গ্রহণযোগ্য নয়। বিদেশী ও বিজাতীয় মতাদর্শ ও প্রতিষ্ঠান এদেশে কার্যকর হতে পারে না। একটি দেশের জাতীয় আদর্শ বা প্রতিষ্ঠান সে দেশের ইতিহাস, আদর্শ ও জীবনপদ্ধতির আলোকে স্বাভাবিক নিয়মে গড়ে ওঠে; কাজেই সামাজিক বা রাজনীতিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে হলে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সমাজীবনের বৈশিষ্ট্যকে উপেক্ষা করা যায় না।

তথ্যসূত্র

১. সৈয়দ মকসুদ আলী, রাজনীতি ও রাষ্ট্রচিন্তায় বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, দ্বিতীয় পুনর্মুদ্রণ জানুয়ারি ১৯৯৬, পৃষ্ঠা ১৮২-১৮৩।
২. কৃত্যপ্রিয় ঘোষ, নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ঐচ্ছিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান তৃতীয় পত্র, একক ৪৭ সুভাষচন্দ্র বসু, সপ্তম পুনর্মুদ্রণ আগস্ট ২০১৯, পৃষ্ঠা ২৭২-২৭৪

Leave a Comment

error: Content is protected !!