কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রলেতারিয় বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তি হচ্ছে প্রকৃতি এবং সমাজ বিকাশের নিয়মাবলীর আবিষ্কার ও অনুশীলন। প্রকৃতিবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় মার্কসবাদ যেসব ক্ষেত্রে ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনার প্রয়োজনবোধ করেছে শুধু সেসব আলোচনা থেকেই মার্কসবাদী দৃষ্টিতে ধর্মের বিশ্লেষণ পাওয়া যায়। ধর্মকে মার্কসবাদের স্রষ্টাগণ বিশিষ্ট বা স্বতন্ত্র কোনো বিষয় মনে করেননি। বরং তাঁরা এটিকে মনে করেছিলেন মানুষের জীবন যে অবস্থা ও ব্যবস্থার ভেতরে থাকে, সেই অবস্থা ও ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় হিসেবে।
মার্কসবাদ অনুসারে দর্শন, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার আগে মানুষের প্রয়োজন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি বৈষয়িক প্রয়োজন মেটানো। আর বৈষয়িক প্রয়োজন থেকেই মানুষ সম্পদ উৎপাদন করে। কাজেই বৈষয়িক উৎপাদনই হলো মানব ইতিহাসের ভিত্তি এবং এ থেকেই উদ্ভূত হয় রাষ্ট্র, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় নৈতিক ও আইনি ধ্যানধারণা, মতাদর্শ ইত্যাদি উপরিকাঠামোগত দিক। মার্কসের মতে অর্থনীতি হলো ইতিহাসের বস্তুগত ভিত্তি। ইতিহাসের এই বস্তুবাদী ধারণার সাহায্যে তিনি এটা প্রমাণ করেন যে, মানুষের সব রাজনৈতিক, দার্শনিক, ধর্মীয়, নৈতিক এবং অন্যান্য ভাবভাবনা শেষ পর্যন্ত উদ্ভূত হয় তার জীবনের অর্থনৈতিক পরিবেশ থেকে, উৎপাদন ও পুনরুৎপাদন ও বিনিময়ের প্রণালী থেকে।[১] ফলে উপরিকাঠামোর অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে ধর্মকে মার্কসবাদ অধিক গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেনি।
কার্ল মার্কস এবং ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস দেখেছিলেন যে, মানুষের চারদিকের পরিবেশগত অক্ষমতা থেকে পরিত্রাণ বা সান্ত্বনা হিসেবেই মানুষের কাছে ধর্মের আবির্ভাব। তাঁরা তাঁদের পুঁজি, অ্যান্টি-দ্যুরিং, লুদভিগ ফয়েরবাখ ও চিরায়ত জার্মান দর্শনের অবসান এবং অন্যান্য রচনায় ধর্মের মূল ভিত্তিগুলো দৃষ্টিগোচর করে প্রমাণ করেছিলেন যে, ‘মানব বিকাশের একেবারে গোড়ার পর্বগুলোতে প্রকৃতির শক্তিগুলোর সংগ্রামে আদিম মানুষের অসহায়বোধ থেকে দেখা দিয়েছিলো ধর্মবিশ্বাস’। আর বৈরি শ্রেণি বিভক্ত দাস, সামন্ত, পুঁজিবাদী এবং প্রাচ্য স্বৈরাচারী সমাজে মেহনতি জনগণের উপর সামাজিক উৎপীড়ন এবং শোষকদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে মানুষের ‘আপাত প্রতীয়মান অসহায় অবস্থা থেকে পয়দা হয় এবং লালিত হয় ধর্ম’।[২] ফলে ঐতিহাসিক শ্রেণিসংগ্রামগুলোর বেশ কিছু ধর্মীয় সংগ্রামের রূপ লাভ করে, জনগণ ধর্মীয় রূপে শোষকদের বিরুদ্ধে কতিপয় ক্ষেত্রে বিদ্রোহ করেন। অর্থাৎ প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রামে আদিম যুগের মানুষের অক্ষমতা থেকে ধর্মের উদ্ভব যা পরবর্তীতে মেহনতি জনগণের উপর সামাজিক উৎপীড়ন এবং শোষকদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লালিত হয়। আদিম অবস্থায় প্রকৃতির প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার সংগ্রামের ব্যর্থতা, অসহায়ত্ব ও যন্ত্রণা এবং দাসমালিক ও সামন্তপ্রভুদের শোষণ নির্যাতন থেকে মানুষ হয়ে পড়েছিলো অতিপ্রাকৃতিক শক্তিতে আস্থাশীল।
ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনা ও কর্মকাণ্ডে সাম্যবাদীগণ দ্বান্দ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বন করেন। তাঁরা জানেন একুশ শতকে পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদ ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করে তাদের শোষণকে অব্যাহত রেখেছে। ফলে সাম্যবাদীগণ তাঁদের রাজনৈতিক কর্মসূচী থেকে ধর্মকে বাইরে রাখেন। কেননা তারা শ্রেণিসংগ্রামকে আঁকড়ে ধরে রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করে থাকেন। আর এই কারণেই অষ্টাদশ ও উনিশ শতকের ইউরোপের মতো একুশ শতকেও ধর্মের বিরুদ্ধে হঠকারি নাস্তিক্যবাদীদের লড়াইটিকে মার্কসবাদীরা ধিক্কার দিয়েছেন। সাম্যবাদীরা প্রমাণ করেছেন, ‘ধর্মের উপর নিষেধাজ্ঞা আর নিগ্রহের ফলে ধর্মীয় মনোভাব শুধু প্রবলতরই হতে পারে’[৩]।
মানুষ তার ভ্রান্ত চেতনার মূর্ত রূপায়ন করেছে তার ধর্মচিন্তায়। মূর্ত জগতের বাইরে ধর্ম এক বিমূর্ত সত্তায় বিশ্বাস এবং নিজের সত্তাকে সে হারিয়ে ফেলে এই বিমূর্ত ধারণার মধ্যে। অথচ মানুষ নিজে জগতের বাইরে তাঁবু খাঁটিয়ে থাকা কোনো বিমূর্ত সত্তা নয়। মানুষ হলো মূর্ত জগত, মূর্ত জগতের অন্তর্ভুক্ত মূর্ত সত্তা। এই মূর্ত জগত মূর্ত সমাজই সৃষ্টি করে ধর্ম, যা তার নিজের রূপের সাথে মানানসই এবং একসময় তারই অধীনস্থ হয়ে পড়ে। এই ধর্ম হলো বাস্তব পৃথিবীর উলটানো প্রতিবিম্ব। কার্ল মার্কস লিখেছেন,
“মানুষ ধর্ম তৈরি করে, ধর্ম মানুষকে তৈরি করে না। যে মানুষ, হয় এখনো নিজেকে খুঁজে পায়নি কিংবা ইতিমধ্যে আবার নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে, ধর্ম হলো সে মানুষের আত্মচেতনা এবং আত্মসম্মান। কিন্তু মানুষ তো জগতের বাইরে তাঁবু খাটিয়ে থাকা কোনো বিমূর্ত সত্তা নয়। মানুষ হলো মানুষের জগত, রাষ্ট্র, সমাজ। এই রাষ্ট্র, এই সমাজ তৈরি করে ধর্ম, একটা ওলটান জগত-চেতনা, কেননা সেগুলো হলো একটা ওলটান জগত। ধর্ম হচ্ছে সেই জগতের এক সামগ্রিক তত্ত্ব, এর সর্বব্যাপী সংক্ষিপ্তসার, জনপ্রিয় আঙ্গিকে সে জগতের যুক্তি, তার আধ্যাত্মিক সম্মানের আস্ফালন, তার উদ্দীপনা, তার নৈতিক প্রেরণা, তার আনুষ্ঠানিক পূরক, তারসান্ত্বনা ও ন্যায্যতা প্রতিপাদনের সর্বব্যাপী উৎস। ধর্ম হচ্ছে মানব সারমর্মের উদ্ভট বাস্তবায়ন, কেননা মানব সারমর্মের কোনো যথাবিহীত বাস্তবতা নেই। তাই ধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম হলো ধর্ম যে জগতের আধ্যাত্মিক সৌরভ সেটার বিরুদ্ধে পরোক্ষ লড়াই।”[৪]
মার্কস ও এঙ্গেলস তাঁদের বিভিন্ন রচনায় দেখানোর চেষ্টা করেন যে, ধর্ম হলো সমাজ চেতনার একটা রূপ, শ্রেণিবিভক্ত সমাজের উপরিকাঠামোর একটা উপাদান। অর্থাৎ ধর্ম নির্ভর করে সামাজিক সম্পর্ক বিকাশের উপর, সমাজের শ্রেণিগত গড়নের উপর। ধর্মকে দেখতে হবে শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। কারণ শ্রেণিবিভক্ত সমাজে ধর্ম শ্রেণি নিরপেক্ষ হতে পারে না। শ্রেণি বিভক্ত সমাজে ধর্ম হলো জনগণের ওপর শাসক শ্রেণির সামাজিক উৎপীড়নের মতাদর্শগত হাতিয়ার এবং বিপরীতক্রমে নিপীড়ন ও অর্থনৈতিক শোষণে জর্জরিত আধুনিক সমাজের নিঃস্ব মানুষ ধর্মের মধ্যে মানসিক মুক্তির পথ খুঁজে পায়।[৫] তাই ধর্মীয় দুঃখবাদ বা ক্লেশ হচ্ছে বাস্তব দুঃখেরই অভিব্যক্তি। ধর্ম আসলে অত্যাচারিতের বাঁচার নিঃশ্বাস। মার্কস বলেছেন,
“ধর্মীয় দুঃখবাদ হচ্ছে বাস্তব দুঃখের প্রকাশ ও বাস্তব দুঃখের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ধর্ম হচ্ছে নির্যাতিত জীবের দীর্ঘশ্বাস, হৃদয়হীন জগতের হৃদয়, আত্মাহীন জগত পরিবেশে কল্পিত আত্মা। ধর্ম হচ্ছে জনগণের জন্য আফিম।”[৬]
দেবতা হলো মানুষের অস্পষ্ট, বিকৃত প্রতিচ্ছবি। মানুষের নিজস্ব প্রকৃতি এর থেকে যথেষ্ট উজ্জ্বল। এঙ্গেলস লিখেছেন,
“এযাবৎ প্রশ্নটি সর্বদাই হয়েছে, ঈশ্বর কী? এবং সাধারণ দর্শন প্রশ্নটির সমাধান করেছে_ ঈশ্বরই মানুষ। মানুষ শুধু পারে নিজের প্রতি, নিজের বিপরীতে জীবনের সব অবস্থার পরিমাপে, তার সত্ত্বানুসারে বিচার করতে, তার প্রকৃতির প্রয়োজন অনুসারে একটি সঠিক মানবিক উপায়ে বিশ্বকে সাজাতে_ তারপর সে আমাদের সময়ের ধাঁধাঁটির সমাধান করেছে … … কাল্পনিক প্রকৃতির চেয়ে মানব সত্ত্বার নিজস্ব প্রকৃতি হচ্ছে অনেক বেশি গৌরবময় ও মহৎ; এবং সর্ববিধ উপায়ে দেবতারা, যারা মোটের উপর মানব সত্ত্বার নিজের চেয়ে শুধু কম বা বেশি অস্পষ্ট এবং বিকৃত চিত্র।”[৭]
মানুষের মনের ভেতর বহির্জগতের কাল্পনিক প্রতিফলনই ধর্মীয় ভাবকে গড়ে তোলে। ইতিহাসের শুরুর দিকে এই ভাবে প্রতিফলিত হতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, পরবর্তীতে প্রাকৃতিক শক্তিগুলোর পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে উঠতে থাকে বিভিন্ন সামাজিক শক্তি। ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস এ্যান্টি-দ্যুরিং-এ বলেছেন,
“সমস্ত ধর্মই আর কিছুই নয়, … যেসব বহিঃশক্তি মানুষের দৈনন্দিন জীবন নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের মনে সেগুলোর উদ্ভট প্রতিচ্ছায়া, যে প্রতিচ্ছায়ায় পার্থিব শক্তিগুলো ধারণ করে অতিপ্রাকৃত শক্তির রূপ।”[৮]
ক্রমবিকাশের ধারায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি এবং সামাজিক উভয় শক্তিগুলো এক পর্যায়ে প্রাকৃতিক অনিবার্যতার সঙ্গে মানুষের উপর আধিপত্য করে। যেসব উদ্ভট মূর্তি প্রথমে প্রতিফলিত করেছিল শুধু প্রকৃতির রহস্যময় শক্তিগুলোকে সেগুলো এই অবস্থায় পায় বিভিন্ন সামাজিক গুণ, হয়ে উঠে ইতিহাসের শক্তিগুলোর নিদর্শনস্বরূপ।[৯]
সুতরাং জনগণের সত্যিকারের মুক্তি চাইলে স্বর্গের সমালোচনা না করে সমালোচনা করতে হবে পৃথিবীর মনুষ্যসৃষ্ট সকল বৈষম্যের, ধর্মের সমালোচনা না করে সমালোচনা করতে হবে বৈষম্য ও শোষণ বজায় রাখার নিয়মকানুনের, ধর্মতত্ত্বের সমালোচনা না করে সমালোচনা করতে হবে সেই রাজনীতির যে রাজনীতি বৈষম্যের ধারক ও বাহক। মার্কস লিখেছেন,
“কাজেই, সত্যের জগত অদৃশ্য হয়ে গেলেই ইতিহাসের করণীয় কাজ হলো এই জগতের সত্য প্রতিষ্ঠা করা। মানুষের আত্ম-বিচ্ছিন্নতার পবিত্র রূপটার স্বরূপ প্রকাশ পেলেই ইতিহাসের সেবায় নিযুক্ত দর্শনের অবিলম্বে করণীয় কাজ হলো বিভিন্ন অপবিত্র রূপের আত্ম-বিচ্ছিন্নতার স্বরূপ প্রকাশ করা। এইভাবে স্বর্গের সমালোচনা মর্ত্যের সমালোচনায় পরিণত হয়, ধর্মের সমালোচনা পরিণত হয় আইনের সমালোচনায় আর ধর্মতত্ত্বের সমালোচনা পরিণত হয় রাজনীতির সমালোচনায়।”[১০]
ধর্মকে প্রহেলিকাময় বা মোহ-মায়াময় (Illusory) সুখ হিসেবে পরিত্যাগ করতে হলে প্রকৃত সুখের সন্ধান করতে হবে। দূর করতে হবে সেই ব্যবস্থাকে যা ঐ প্রহেলিকার প্রয়োজন বোধ করে। আবার মার্কসের কথা,
“মানুষের মায়াময় সুখ হিসেবে ধর্মকে লোপ করাটা হলো মানুষের প্রকৃত সুখের দাবি করা। বিদ্যমান ব্যাপারসমূহের অবস্থা সম্বন্ধে মোহ পরিত্যাগ করার দাবিটা হলো যে বিদ্যমান ব্যাপারসমূহের অবস্থায় মোহ আবশ্যক সেটাকে পরিত্যাগ করার দাবি। তাই ধর্মের সমালোচনা হলো ধর্ম যার জ্যোতিষচক্র সেই অশ্রু উপত্যকার মূল্যের সমালোচনার সূত্রপাত।”[১১]
এই ভাবেই একজন মার্কসবাদীর কাছে নিপীড়িত প্রলেতারিয়েতের অবিরাম দুঃখের সমালোচনা হয়ে যায় তাঁর রাজনৈতিক কাজ। একজন সাম্যবাদীর সকল কর্মসূচি হয় শ্রেণিসংগ্রামের অধীনস্থ। ফলে যে সমাজ ও রাষ্ট্র নির্যাতন নিপীড়ন শোষণকে টিকিয়ে রাখে, সেই সমাজ ও রাষ্ট্রকে সমালোচনা ও বাতিল করার দাবিই হয়ে ওঠে তাঁর প্রধান কর্মসূচি।[১২]
আরো পড়ুন
- ধর্ম প্রসঙ্গে গ্রন্থের রুশ সংস্করণের ভূমিকা
- লেনিনবাদী বিশ্বদৃষ্টিতে ধর্ম
- সংগ্রামী বস্তুবাদের তাৎপর্য
- যুব লীগের কর্তব্য
- রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি (বলশেভিক)-এর খসড়া কর্মসূচি থেকে ধর্ম প্রসঙ্গে
- নারী-শ্রমিকদের প্রথম সারা রুশ কংগ্রেসে বক্তৃতা
- মাক্সিম গোর্কির কাছে
- মাক্সিম গোর্কির কাছে
- ধর্ম এবং যাজনতন্ত্রের প্রতি মনোভাব অনুসারে বিভিন্ন শ্রেণি আর পার্টি
- ধর্ম প্রসঙ্গে শ্রমিক পার্টির মনোভাব
- লেভ তলস্তয় – রুশ বিপ্লবের দর্পণ
- সমাজতন্ত্র ও ধর্ম
- লেনিন রচিত ধর্ম প্রসঙ্গে বইয়ের পূর্বকথা ও সূচিপত্র
তথ্যসূত্র ও টিকা:
১. হারুন রশীদ, মার্কসীয় দর্শন, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০০৭, পৃষ্ঠা ১৫৬-১৫৭
২. কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, ধর্ম প্রসঙ্গে; ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রা. লি.; কলকাতা; সেপ্টেম্বর, ২০০৪, পৃষ্ঠা পৃষ্ঠা-৬
৩. কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস; ধর্ম প্রসঙ্গে; ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রা. লি.; কলকাতা; সেপ্টেম্বর, ২০০৪, পৃষ্ঠা ৭
৪. কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস; ধর্ম প্রসঙ্গে; ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রা. লি.; কলকাতা; সেপ্টেম্বর, ২০০৪, পৃষ্ঠা- ৩১
৫. হারুন রশীদ, মার্কসীয় দর্শন, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০০৭, পৃষ্ঠা ১৬৩
৬. কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস; ধর্ম প্রসঙ্গে; ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রা. লি.; কলকাতা; সেপ্টেম্বর, ২০০৪, পৃষ্ঠা- ৩১
৭. ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, Review of Thomas carlyle’s Past and Present, Deutsch–Französische Jahrbücher, 1844, Marx and Engels, werke, Berlin, 1958, vol 1, p 546-547
৮. কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস; ধর্ম প্রসঙ্গে; ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রা. লি.; কলকাতা; সেপ্টেম্বর, ২০০৪, পৃষ্ঠা- ১১৫
৯. কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস; ধর্ম প্রসঙ্গে; ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রা. লি.; কলকাতা; সেপ্টেম্বর, ২০০৪, পৃষ্ঠা- ১১৫
১০. কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস; ধর্ম প্রসঙ্গে; ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রা. লি.; কলকাতা; সেপ্টেম্বর, ২০০৪, পৃষ্ঠা- ৩২
১১. কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস; ধর্ম প্রসঙ্গে; ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রা. লি.; কলকাতা; সেপ্টেম্বর, ২০০৪, পৃষ্ঠা- ৩২
১২. এখানে ৭ তথ্যসূত্রের উদ্ধৃতি ব্যতীত মার্কস ও এঙ্গেলসের যেসব উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোর অনুবাদের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল বুক এজেন্সির বইটির সাহায্য নেয়া হলেও অনেক শব্দ পালটে ফেলা ও সহজীকরণ করা হয়েছে। সে হিসেবে সব উদ্ধৃতির অনুবাদ আমার করা। এই নিবন্ধটি মূলত সমীরণ মজুমদার লিখিত মার্ক্সবাদ বাস্তবে ও মননে, স্বপ্রকাশ, কলকাতা; বৈশাখ ১৪০২ শিরোনামের গ্রন্থের ৭৯-৮১ পৃষ্ঠা অনুসরণ করে লেখা হয়েছে। প্রবন্ধটি আমার [অনুপ সাদি] লিখিত ভাষাপ্রকাশ ঢাকা থেকে ২০১৬ সালে প্রকাশিত মার্কসবাদ গ্রন্থের ১১২-১১৮ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরে ডট কমে ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত। সেখান থেকে লেখাটি ২৯ জুন ২০২২ তারিখে ফুলকিবাজ ডট কমে পুনরায় প্রকাশ করা হলো। প্রবন্ধটির রচনাকাল ২১ জুলাই ২০১৪
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।