শিবদাস ঘোষ, জাসদ বাসদ রাজনীতি ও ভাঙন প্রসঙ্গ গ্রন্থের মূল্যায়ন

শিবদাস ঘোষ, জাসদ বাসদ রাজনীতি ও ভাঙন প্রসঙ্গ হচ্ছে জয়নাল আবেদীন রচিত একটি প্রবন্ধ গ্রন্থের নাম। বইটি মে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের খড়িমাটি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৬৪ টি এবং সাতটি অধ্যায়ে বিভক্ত বইটিতে আছে নানা বিষয়ের সমাহার; যদিও বলা যায় প্রধান বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের দুটি সংগঠন জাসদ ও বাসদের রাজনীতি। বইটির মূল বিষয়ে যাবার পূর্বে জেনে নিই সংগঠন দুটি সম্পর্কে।

জাসদ বাসদ হচ্ছে বাংলাদেশের সমাজ গণতন্ত্রী বামপন্থী রাজনীতির বিশেষ ঘরানার দুটি সুবিধাবাদী ক্ষুদে বুর্জোয়া চিন্তাধারার সংগঠন। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল নামক কতিপয় ক্ষুদে বুর্জোয়া সমাজ গণতন্ত্রীর যে সংগঠনটি ১৯৮০ সালে জোড়াতালি দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো তার ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিলো মার্কসবাদ লেনিনবাদ বিরোধি জাসদের বিভক্তি। জাসদ আগাগোড়াই ছিলো একটি মার্কিনপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক সংগঠন। রুশ মার্কিন দুই সাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে মার্কিনপন্থী কিছু ছাত্রনেতা ১৯৭১ পরবর্তী প্রেক্ষাপটে ১৯৭২ সালে গড়ে তোলে জাসদ। এই জাসদ থেকেই বের হয়ে কতিপয় ব্যক্তি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মেকি বকুনিকে পুঁজি করে ১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর গড়ে তোলে বাসদ নামক এক সংগঠন।

জাসদ বাসদের সংশোধনবাদিতা আর প্রতিক্রিয়াশীলতাকে বুঝতে যে দুটি বই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তার দ্বিতীয় বই বলা যেতে পারে এই বইটিকে। প্রথম বইটি হচ্ছে আ. ও. ম. শফিকউল্লা এবং অন্যান্য রচিত জাসদ বাসদের ভ্রান্ত, দোদুল্যমান ও বিভ্রান্তিকর রাজনীতি প্রসঙ্গে; লক্ষ্মীপুর গ্রুপ; ঢাকা; ১৬ জুলাই, ১৯৮১ সালে প্রকাশিত।

আমাদের আলোচ্য দ্বিতীয় বইটির প্রথমদিকের প্রায় ৬০ পৃষ্ঠা জাসদ সম্পর্কে। এই ষাট পৃষ্ঠায় জাসদ গঠনের পটভূমি, সিরাজুল আলম খানদের নিউক্লিয়াস ও মুজিববাহিনী, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থান, কর্নেল তাহেরের ফাঁসি প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। গ্রন্থের দ্বিতীয় অধ্যায়ে জাসদ বিষয়ক আলোচনায় দেখা যাচ্ছে যে, জাসদের রাজনীতি তত্ত্ব ও প্রয়োগের কোনো ধার ধারেনি, নিজেদের শক্তি সম্পর্কে জনগণকে ভাঁওতা দিয়েছে, আন্দোলনের কোনো মূল্যায়ন করেনি, ক্ষুদে বুর্জোয়াদের চৌহদ্দি অতিক্রম করেনি, শেখ মুজিবের নেতৃত্বে শ্রেণিসংগ্রাম, সামাজিক বিপ্লব ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার কল্পনাবিলাসিতা করেছে। ফলে জাসদের অধিপতিদের ‘মার্কসবাদ লেনিনবাদ বা প্রলেতারিয়েতের রাজনৈতিক চেতনা যতটুকু না কাজ করেছে তার চেয়ে অধিক কাজ করেছে আওয়ামি লিগের বিশ্বাসঘাতকতায় ক্ষুব্ধ হতাশা, বিশেষ করে তাদের নেতা শেখ মুজিবের স্নেহ বঞ্চনার কারণে ক্ষুব্ধ অভিমানজাত ক্ষুদে বুর্জোয়া রোমান্টিকতাসর্বস্ব আবেগ’(প. ৬৬)। সবশেষে জাসদের রাজনৈতিক সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিহীন এক শ্রেণিসংগঠনের পরিবর্তে এক Multiclass সংগঠন গড়ে তোলার অপচেষ্টা। তবে জাসদ সম্পর্কিত আলোচনা পড়তে গিয়ে চোখে পড়ে ‘এক মিথ্যাকে ঢাকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে একাধিক মিথ্যার আশ্রয়’(প. ৬৩) নেবার প্রক্রিয়া।

বাসদের আত্মপ্রকাশ ও পটভূমির আলোচনায় এসেছে ভারতের গোত্রভিত্তিক সংগঠন এসইউসিআই-এর সাথে বাসদের যোগাযোগের আলোচনা। বাসদ গঠিত হলে দেখা যায় এখানে আবদুল্লাহ সরকার ও আফম মাহবুবুল হক ছাড়া সেসময়ের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের তেমন কোনো পরিচিত ব্যক্তি নেই। জাসদের ভাঙনটি হয়েছিলো মূলত জাসদ ছাত্রলিগের ডাকসু ভিপি ও জিএসকে কেন্দ্র করে। ফলে গোড়া থেকেই বাসদ তৈরি হয় ক্ষুদে বুর্জোয়া ছাত্রদের সাথে নিয়ে।

১৯৮৩ সালে বাসদের প্রথম ভাঙন হয় তৎকালীন ‘মাহমুদুর রহমান মান্নার সাথে মহিলা ফোরামের আহ্বায়িকার অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগের সংগে আরো কিছু গৌণ রাজনৈতিক বিতর্ক জড়িয়ে’(প. ৭০)। এভাবেই বাসদ নিছক ব্যক্তিগত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি ও নেতৃত্বের কোন্দলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ নভেম্বর ১৯৮৩ তে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। মজার বিষয় হলো দুই বাসদ যমজ ভাইয়ের মতো এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সব আন্দোলনে একই সাথে, কখনো একই জোটে বা কখনো পাশাপাশি অবস্থান করেছে। এরপর লেখক আলোচনা করেছেন বাসদের প্রথম দলিল ‘সর্বহারা শ্রেণির দল গঠনের সমস্যা প্রসঙ্গে’। এখানে তিনি দেখাচ্ছেন বাসদ বিশ্লেষণহীন লাগামছাড়াভাবে অন্য বামপন্থী পার্টিগুলোকে সমালোচনা করেছে তাদের প্রয়োজনবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে এবং দৃষ্টিভঙ্গিগত, আদর্শগত, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দিকসহ বাসদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই জাসদের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে, জাসদ ও বাসদ হয়ে দাঁড়িয়েছে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ (প. ৮০)।

বাসদ নেতা কর্মী সমর্থকদের পদত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ, অব্যাহতি ও নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া এক ধারাবাহিক রোগ। সেই প্রমাণ দেখা যায় বাসদের নেতা আবদুল্লাহ সরকারের সংগঠনের সাথে ১ আগস্ট, ২০১০ তারিখে সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে। তিনি মোট ১০টি বিষয়ে সমালোচনা প্রকাশ করে বের হয়ে যান। জুলাই ২০১১ তারিখে ৬টি অভিযোগ উত্থাপন করে দল থেকে নিষ্ক্রিয় হন সাইফুর রহমান তপন। এসব অভিযোগের সারকথা হচ্ছে বাসদ রাজনীতি গণতন্ত্র, কেন্দ্রিকতা, বিপ্লব, মার্কসবাদ, তত্ত্ব, নীতি কৌশল, অর্থ ব্যবস্থাপনা, নারী পুরুষ সম্পর্ক, পার্টি গঠন ইত্যাদি ব্যাপারে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নেই। এক ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারে জর্জরিত এক সংগঠন এটি।

নারী পুরুষ সম্পর্ক আলোচনায় অনেকে বিব্রত হন। কিন্তু খালেকুজ্জামান ভুঁইয়াসহ আরো দু’একজন কেন্দ্রীয় নেতার নারী কমরেডদের সাথে বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা এই গোত্রটির ক্ষেত্রে বারবার হয়েছে। শুধু এইটুকুই আপনারা স্মরণে রাখুন, এই বইয়ে ৬ পৃষ্ঠা ব্যয় করা হয়েছে ‘শীর্ষ নেতাদের নারী সম্পর্ক ও নৈতিকতা’ বিষয়টির আলোচনায় যার সারকথা হচ্ছে ‘১৯৮৩ সাল থেকে দলে ভাঙন, বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের দলত্যাগ, দলের তহবিল ব্যবহারের খামখেয়ালিপনা, সাধারণ সম্পাদকের পৃথক আয়েশি জীবন, অনৈতিক নারী সম্পর্ক চর্চা, শেয়ার বাজার ও পরিবহণ ব্যবসা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়, আসলে দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা ও যৌথ নেতৃত্ব গড়ে তোলার চর্চার অনুপস্থিতিরই পরিণতি (প. ৯২)।

বাসদ গত আটটি সংসদ নির্বাচনের পাঁচটিতে অংশ নিয়েছে। এক্ষেত্রে বাসদ পার্টি ফান্ড গড়ে তোলার নামে চাঁদা সংগ্রহের মওসুম হিসেবে নির্বাচনকে বিবেচনা করে। বাসদের গঠনতন্ত্রে ভাষার সরল কথা হচ্ছে ‘যেকোনো পরিস্থিতিতেই বাসদ নির্বাচনে যাবে’। বাসদ একব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরাচারী সংগঠন যা গঠনতন্ত্রের শেষ পৃষ্ঠার ধারা ২৩ থেকে সুস্পষ্ট। এই ধারায় আছে, ‘পার্টির গঠনতন্ত্রের কোনো ধারা বা বিধিবিধান সম্পর্কে অস্পষ্টতা সৃষ্টি হলে কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক বা সাধারণ সম্পাদক তার ব্যাখ্যা প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে আহ্বায়ক বা সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্যাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে (প. ৯২)।

বাসদের শেষ ভাঙন ঘটে ১২ এপ্রিল ২০১৩। বাসদের ক্ষেত্রে জর্জ সান্তায়ানার কথাটি ধার করে বলা যায় ‘যারা অতীত থেকে শিক্ষা নেয় না তারা সেই অতীতকেই পুনর্যাপন করার দুর্ভাগ্য বহন করে’। বাসদ রাজনীতি প্রথাগত পথের গুরুবাদনির্ভর এক ধারাবাহিক বিভ্রান্ত পথিক। এদের অধিপতি ‘খালেকুজ্জামান সুবিধাবাদিতা, আপোষকামিতা, স্ববিরোধীতা, অসত্যবাদীতা আর প্রয়োজনবাদের’ (প. ১২০) জন্মপাপে নিবদ্ধ এক মানুষ, যিনি বহন করে চলেছেন ‘অজ্ঞতা, অন্ধবিশ্বাস, গোঁড়ামি, আত্মমুখীনতা ও দল সর্বস্বতা’র এক কৃষ্ণগহ্বর। যেমন খালেকুজ্জামান লিখেছেন,

‘বাঙালি জাতীয়তা থেকে বাঙালি জাতি গঠনের ইতিহাস, রামমোহন বিদ্যাসাগরের নেতৃত্বে ভারতীয় রেনেসাঁ আন্দোলনে মুসলিম সমাজে তেমন প্রভাব না ফেলা সত্বেও কীভাবে আ. রহিম ডাহরী, ওবায়েদ উল্লাহ ওবায়েদী, দেলোয়ার হোসেনদের ইহজাগতিক প্রচার প্রসারে ব্যর্থতা পরবর্তী সৈয়দ আহমদ, আবদুল লতিফ, আমির আলীদের শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনের পথ বেয়ে বেগম রোকেয়া মুসলিম জাগরণের পথিকৃৎ হলেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় নজরুল এলেনঃ এ বিষয়ে মূল্যায়ন আমাদের আগে এদেশে কেউ উপস্থিত করেছে বলে আমাদের জানা নেই’। … …

‘অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমাদের দল ছাড়া এদেশে আর কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আন্দোলনের দৃষ্টান্ত আছে কী’? (প. ১৩৪ ও ১৩৫)।

এরপর লেখক জয়নাল আবেদিন মন্তব্য করেছেন, একটা দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে কী পরিমাণ অজ্ঞ ও মূর্খ হলে এধরনের দাবি করা সম্ভব তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশে বিদেশে বাঙালি জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সাহিত্য নিয়ে শতশত গ্রন্থ লিখিত হয়েছে, প্রকাশিত হয়েছে হাজার হাজার প্রবন্ধ নিবন্ধ। ফলে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের এই বক্তব্য হয়ে যাচ্ছে বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য সাহিত্য সংস্কৃতি নামক ফুলবাগানে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের অনুপ্রবেশের সাথে তুলনীয়।

উক্ত গ্রন্থের পঞ্চম অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে শরৎচন্দ্রের সাহিত্য সম্পর্কে। কেননা শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের নারী পুরুষ সম্পর্কসহ শরৎচন্দ্রকে মহিমান্বিত করে দেখানো বাসদ ও এসইউসিআই’র বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও আলোচনা করা হয়েছে সিপিবি বাসদের ঐক্য, শাহবাগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বামপন্থিদের ভ্রান্তবীক্ষণ, এবং মুক্তিযুদ্ধের সাম্প্রদায়িক চেতনা সম্পর্কে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আছে ‘বাসদ—একটি মার্কসবাদী লেনিনবাদী দল নয়’ সম্পর্কিত ১০ পৃষ্ঠার একটি মূল্যায়ন। এই গ্রন্থের ষষ্ঠ ও সপ্তম অধ্যায়ে নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য এবং কতিপয় বামপন্থী দলের মূল্যায়ন ও পরিশিষ্ট যোগ করা হয়েছে। আমাদের আলোচ্য লেখক জয়নাল আবেদীন ৬০৪ পৃষ্ঠার আরো একটি গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন যেটির নাম ‘উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদী ও বামধারার রাজনীতি প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’।

লেখকের বইগুলোতে আমরা বিশ্লেষণ পাই, সেই বিশ্লেষণগুলো হয়ত তাত্ত্বিক দিক দিয়ে অগ্রগামি না হলেও তথ্য ও ইতিহাস হিসেবে দেখতে গেলে সমৃদ্ধ। তার বই পড়তে গিয়ে আমাদের উপলব্ধি হতে পারে বাসদ একটি জাসদ ঘরানার পার্টি, এরা চিনপন্থি ছিলো না, রুশপন্থি ছিলো না, ঢাকাপন্থী ছিলো না, ছিলো আসলে সংশোধনবাদের ঝাণ্ডাধারী। এদের জনভিত্তি হচ্ছে ক্ষুদে বুর্জোয়ারা এবং তাত্ত্বিক ভিত্তি হচ্ছে সুবিধাবাদ, মতান্ধতাবাদ, লেজুড়বাদ, আর অলস আমলাতন্ত্র। আর খালেকুজ্জামান হচ্ছেন সংশোধনবাদীদের ভেতরে উপবিষ্ট জাত্যাভিমানী সামন্তদম্ভী এক অচল গোত্রাধিপতি।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: লেখাটি ৫ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে চৌরঙ্গী মোড়ে অবস্থানকালীন লেখা হয় এবং তখন প্রাণকাকলিতে ‘মার্কসবাদ লেনিনবাদবিরোধী জাসদ বাসদ এবং একটি পুস্তকের মূল্যায়ন’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। পরে লেখাটি ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে একই শিরোনামে রোদ্দুরে ডট কমে প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে ফুলকিবাজ-এ ভিন্ন নামে প্রকাশিত হচ্ছে। লেখাটি প্রকাশের পর থেকে বিভিন্ন সময় পরিচ্ছন্ন ও উন্নত করা হয়েছে। লেখাটিতে ব্যবহৃত হয়েছে দুটি গ্রন্থের প্রচ্ছদ: ক. শিবদাস ঘোষ, জাসদ বাসদ রাজনীতি ও ভাঙন প্রসঙ্গ এবং খ. জাসদ বাসদের ভ্রান্ত, দোদুল্যমান ও বিভ্রান্তিকর রাজনীতি প্রসঙ্গে গ্রন্থের প্রচ্ছদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!