It is a Beauteous Evening, Calm and Free কবিতার মূলভাব ও সারমর্ম

It is a Beauteous Evening, Calm and Free হচ্ছে উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ রচিত একটি ক্ষুদ্র ভাবগম্ভীর ইংরেজি সনেট জাতীয় কবিতা। কবিতাটি ১৮০২ সালে রচনা করা হয় এবং প্রকাশিত হয় ১৮০৭ সালে। কবিতাটি সাবলীল শব্দচয়ন এবং প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা একটি সনেট যেটার অন্ত্যমিলের ছন্দের যে ধারাটি রয়েছে তা হচ্ছে, abba acca defdfe। 

সনেটটিতে কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ তার নয় বছর বয়সী মেয়ে ক্যারোলিন ভ্যাল্লনের সাথে এক সন্ধ্যায় সৈকতে হাঁটার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি এই কবিতায় অনুধাবন করেছেন যে, সেই সময়ের প্রাকৃতিক দৃশ্যের মহিমা আপাতদৃষ্টিতে যদি তার কন্যার অনুভূতিতে নাড়া না দেয় তবে তার কারণ, অল্প বয়সে, সে স্বাভাবিকভাবেই প্রকৃতির সাথে সন্নিহিত আছে।

কবিতাটি রচনার প্রেক্ষাপট ছিল এমন যে, ১৭৯০ সালে কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ উত্তর ফ্রান্সের Calais এ বেড়াতে আসলে Annette Vallon এর সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৭৯২ সালে তাদের সন্তান Caroline জন্মগ্রহণ করে। ১৮০২ সালে কবি ও তার বোন ডরোথি, কবির প্রেমিকা Annette Vallon এর সাথে সাক্ষাৎ করতে Calais এ আসেন। একদিন সন্ধ্যার সময় কবি, তাঁর বোন ডরোথি, অনিট্টি ভেল্লোন এবং কন্যা ক্যারলিন বেড়াতে আসেন ক্যালাইস সমুদ্র সৈকতে। সেই সন্ধ্যাবেলার প্রকৃতিক দৃশ্যই কবিকে উক্ত কবিতাটি লেখার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করেছিল।

It is a Beauteous Evening, Calm and Free কবিতাটির সারমর্ম

কবিতাটিতে কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ প্রকৃতির জয়গান গেয়েছেন। কবিতাটিতে কবি ক্যালাইস সমুদ্র সৈকতের সন্ধ্যাকালীন সুন্দর প্রকৃতির এক সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ওয়ার্ডসওয়ার্থ সুন্দর সন্ধ্যার প্রশংসা করেছেন তার শান্ত ও নিস্তব্ধতার জন্য। এটা এরূপ যে, একজন সন্ন্যাসিনী যেমন ঈশ্বরের প্রতি তার প্রশংসায় নিস্তব্ধ এবং বাকরুদ্ধ থাকে তেমনি পুরো পৃথিবী প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রশংসায় স্তব্ধ হয়ে আছে। সন্ন্যাসিনীর মতোই পবিত্র ছিল সেই সন্ধ্যাটুকু। কোনো বাতাস ছিল না সেখানে।

সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে সমুদ্রকে স্পর্শ করলে, ওয়ার্ডসওয়ার্থ এটাকে ঈশ্বরের নম্রতার সাথে তুলনা করেন। তবুও সেই মুহুর্তে, ওয়ার্ডসওয়ার্থ আমাদের অনুরোধ করেন ‘শুনুন!’ – ঈশ্বর জেগে আছেন এবং তার শক্তি প্রদর্শন করছেন, যেহেতু সূর্য অস্ত যাচ্ছে কারণ ঈশ্বর দ্বারা এটি নির্ধারিত।

এমন সময় কবি সাগরের গর্জনের মাঝে এক শাশ্বত শক্তি বা সত্তাকে অনুভব করেন। এ হলো সেই সত্তা যা সর্বদাই জেগে থাকে, যে সত্তা থেকেই সকল কিছুই সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যু বা ধ্বংসের মাধ্যমে সবাইকে সেই সত্তার কাছে ফিরে যেতে হবে। যে সত্তাটিকে অমরত্বের সাগর হিসাবে কবি “Ode: Intimations of Immortality” কবিতায় উল্লেখ করেছেন। এই পবিত্র চিরস্থায়ী অমরত্বের ডাক শুনতে পান কবি। 

কবি এখানে নিজের শিশু কন্যাকে বলছেন যে, সাগরের গর্জনে তিনি যে শাশ্বত ডাকটি শুনতে পাচ্ছেন তা তার কোমল শিশু হৃদয় কখনোই শুনতে পাবে না, বুঝতেও পারবে না। কিন্তু তিনি মনে করেন যে, শিশুরা যখন সেই অমরত্বের সাগর থেকে এই পৃথিবীতে আসে তখন থেকেই সে প্রকৃতির সকল কিছুর মাঝেই স্বর্গীয় ভাব খুঁজে পায়। যেন এই প্রকৃতি শিশুদের কাছে স্বর্গের মতো মনে হয়। এখানে সর্বেশ্বরবাদ বা Pantheism-এর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বড় হবার সাথে সাথে সবকিছু থেকে সব স্বর্গীয় প্রভাকে অনুধাবন করার ক্ষমতা হারায় মানুষ। কিন্তু শিশুকালে প্রতিটা মানুষই যেন সর্বদা স্বর্গেই বসবাস করে। বয়স্করা এই অনুভূতি থেকে বঞ্চিত।

কবিতাটিতে কবি প্রকৃতির জয়গান করতে গিয়ে এর মাঝে এক রহস্যময় শক্তি বা আত্মা বা সত্তার সন্ধান পান। এটি কবির প্রকৃতিবাদ বা প্যান্থিজমকে প্রকাশ করে। তাছাড়া, কবিতাটি কবির এই মতবাদকেও তুলে ধরে যে, শিশুর মাঝে স্বর্গীয় ভাব বিরাজ করে। প্রকৃতির প্রতিটা উপাদানের মাঝে স্বর্গের প্রভা দেখতে পায় কিন্তু বয়স্করা তা পায় না।

কবিতার ইংরেজি কথা

It is a beauteous evening, calm and free,
The holy time is quiet as a Nun
Breathless with adoration; the broad sun
Is sinking down in its tranquility;
The gentleness of heaven broods o’er the Sea; বিস্তৃত থাকা
Listen! the mighty Being is awake,
And doth with his eternal motion make
A sound like thunder—everlastingly. সর্বেশ্বরবাদ

Dear child! dear Girl! that walkest with me here,
If thou appear untouched by solemn thought,
Thy nature is not therefore less divine:
Thou liest in Abraham’s bosom all the year;
And worshipp’st at the Temple’s inner shrine,
God being with thee when we know it not.

কবিতাটির আলোচনা দেখুন ইউটিউব থেকে

আলোচক অনুপ সাদি

It is a Beauteous Evening কবিতাটির মূল্যায়ন

It is a Beauteous Evening, Calm and Free কবিতাটির অষ্টকে কবি সন্ধ্যাকালীন পরিবেশের বর্ণনা দেন। বর্ণনার এক পর্যায়ে তিনি আবিস্কার করেন প্রাকৃতিক সত্তা কবিকে অমরত্বের সাগরের গর্জনের কথা মনে করিয়ে দেয়। অষ্টকে তিনি নিজের কন্যাকে সম্বোধন করে শিশুটিকে তুলে ধরেন। তিনি দেখান যে, শিশুরা যখন সেই অমরত্বের সাগর থেকে এই পৃথিবীতে আসে তখন থেকেই সে প্রকৃতির সকল কিছুর মাঝেই স্বর্গ খুঁজে পায়। যেন এই প্রকৃতি শিশুদের কাছে স্বর্গের মতো মনে হয়। কিন্তু বড় হবার সাথে সাথে সবকিছু থেকে সব স্বর্গীয় প্রভাকে অনুধাবন করার ক্ষমতা হারায় মানুষ। কিন্তু শিশুকালে প্রতিটা মানুষই যেন সর্বদা স্বর্গেই বসবাস করে। বয়স্করা এই অনুভূতি থেকে বঞ্চিত।[১]

এভাবে কবিতাটি প্রকৃতির জয়গান গেয়েছে। এছাড়াও কবিতাটি প্রকৃতিতে পরম সৃষ্টির আদি সত্তাকে খুঁজে পাবার চেষ্টা করেছে এবং সেটাকে কবিতায় তুলে ধরার চেষ্টা করতে প্রয়াস চালিয়েছে। কবিতাটি শিশু মনস্তত্ত্ব ও স্বর্গীয়তার সাথে শিশুর সম্পর্কে প্রকাশ করেছে। এইভাবে প্রকৃতিতে ঈশ্বরের উপস্থিতি ও শিশুদের মাঝে স্বর্গ বিদ্যমান থাকার দিকটি ফুটিয়ে তুলেছে।

আলোকচিত্রের ইতিহাস: লেখায় ব্যবহৃত মূল আলোকচিত্রটি Thiumy তুলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Mussel Rock City Park থেকে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে।

তথ্যসূত্র

১. কল্যাণী ব্যানার্জী সম্পাদিত ও সৈয়দ আহমেদ রুবেল অনূদিত, নির্বাচিত ইংরেজি রোমান্টিক কবিতা, দি বুক সেন্টার, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ জুলাই ২০১৬, পৃষ্ঠা ২০৯।

Leave a Comment

error: Content is protected !!