ড. অরুণ গুপ্ত একজন লেখক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। তিনি Goddesses of Kathmandu valley নামে একটি গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন যা রাউটলেজ ইন্ডিয়া থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি নেপালের দৈনিক অন্নপূর্ণা পোস্টের নিয়মিত লেখক। তাঁর গবেষণার বিষয় সাহিত্যতত্ত্ব, উপনিবেশউত্তর গবেষণা এবং দক্ষিণ এশীয় গবেষণা। তিনি নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। বর্তমানে পোখারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জড়িত। বাংলাদেশের সাথে নেপালের সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ ড. অরুণ গুপ্তের সাথে আমরা কথা বলি ১৮ অক্টোবর ২০১৭। এখানে রোদ্দুরের পাঠকদের সাক্ষাতকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রকাশিত হলো। সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেছেন দোলন প্রভা ও অনুপ সাদি।
দোলন প্রভা: বিপ্লব পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী নেপালের সামাজিক সাংস্কৃতিক পার্থক্য কি চোখে পড়ে?
ড.অরুণ গুপ্ত: প্রথমত বর্ণ প্রথা দুর্বল হয়েছে, জমিদার ও ভুমিদাসদের পার্থক্য অনেকটা ঘুচেছে। দ্বিতীয়ত অনেক আন্দোলন হয়েছে। আগে শুধু শ্রমিকদের স্থানীয় আন্দোলন হতো, তাদের যোগাযোগ ও যাতায়াত কম হতো, এখন অভিবাসন অনেক বেড়ে গেছে। তৃতীয়ত বিপ্লবের পরে ধর্মীয় ভিত্তিটা বদলায় নি। মাওবাদীরা ধর্মীয় গোঁড়ামির মোকাবেলা করতে পারেনি। মার্কসবাদের সর্বোত্তম ধারণা থেকে ধর্মকে দ্রুত বদলাতে পারেনি। হাজার বছরে তৈরি হওয়া ধর্মীয় ধারাবাহিক নিয়মকে বাইরের কোনো নিয়ম এসে মাত্র কয়েক বছরে বদলাতে পারে না। মার্কসবাদের আদর্শকে নিয়ে ধর্মের জায়গায় প্রতিস্থাপন করে দিলে সেটা নেপালে ব্যর্থ হবে। দক্ষিণ এশিয়াতেও ব্যর্থ হবে। মার্কসবাদ একটা রাজনৈতিক মতবাদ। যেমন [গায়ত্রী চক্রবর্তী] স্পিভাক বলেছেন যে, পশ্চিমা দেশগুলো মেয়েদের স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য নারীবাদী চিন্তা প্রাচ্যের দেশগুলোতে চাপিয়ে দেয়। এর ফলে প্রাচ্যের দেশগুলো মেয়েদের হাতে সেল ফোন, সুপার মার্কেটে পাঠিয়ে দেয়া ইত্যাদি কাজ করে। কিন্তু অর্থনীতি পাল্টানোর কোনো পদক্ষেপ নেয় না। এজন্য তাদের পরিবর্তন তেমন হয় নি। পাশ্চাত্যের নারীবাদীরা আধুনিকতার বিষয় তো প্রাচ্যের দেশগুলোতে ছড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু ইসলামিক সমাজে পারিবারিক ব্যবস্থাটাকে উপেক্ষা করে। প্রাচ্যের দেশগুলোতে পারিবারিক সম্মানটা পুরুষানুক্রমিকভাবে বড় ভাই বা বাবা দেখে আসছে দীর্ঘ দিন থেকে। এটা সেসব দেশের প্রথা ছিলো। পশ্চিমা দেশগুলোর প্রথাটাকে বিবেচনা না করে হুট করে নতুন একটা ধারণা চাপিয়ে দেয়ায় পুরনো চিন্তার কাছে নতুন চিন্তা ব্যর্থ হয়। সেখানে পরিবারের সম্মানে আধুনিকতা বিকাশ হচ্ছে, তখন পুরনো প্রথাকে পরীক্ষা না করায় নতুন প্রথা কিছু বদলাতে পারেনি। যখন মার্কসবাদ নেপালি ব্যবস্থাটাকে ভাঙতে চাচ্ছে, তখন এখানে সম্মান এবং আত্মীয়তা বদলে যাচ্ছে। সাধারণত গ্রামীণ ধারনাকে বদলাতে হলে যেটা হয়, যাদের একটু পড়াশোনা আছে, যারা উচ্চ জাতের তাদের গ্রামের অন্যরা বলে উনি তো বড় লোক, উনাকে সম্মান করা উচিৎ। হঠাৎ বিশ্বায়ন এসে যদি বলে সবাই সমান, তাহলে তো হবে না। ফলে কোথাও মার্কসবাদ যদি ভিত্তিটাকে পরীক্ষা না করে পরিবর্তনের চেষ্টা করে, তখন সেটা ব্যর্থ হবে। তাহলে বলা যায় যে রাজনৈতিক সচেতনতা খুব বেড়েছে, কিন্তু ভিত্তিটা এখনো পরিবর্তন হয়নি।
দোলন প্রভা: বিপ্লব ও তার পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে নেপালে কেমন লেখালেখি হয়েছে?
অরুণ গুপ্ত: নেপালি মাওবাদীরা একটি বিষয় ভালো করেছে যে তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করেছে, অংশ নিয়েছে। এটি বিশিষ্ট দৃষ্টান্ত। আশিষ নন্দী যেরকম বলেছেন, পাকিস্তানি সমাজের সবাই সব সময় তালেবান, আই এস ইত্যাদির কথা বলে কিন্তু পাকিস্তানি সমাজ তিনটি সামরিক শাসনকে উৎখাত করেছে, এই কথা বলে না। সেরকমই নেপালের মাওবাদী পার্টির বিষয়ে কেউ কেউ কিছু কিছু লিখেছে। কিন্তু প্রচণ্ড, বাবুরাম যে রক্তপাত থেকে সরে আসলো এবং নির্বাচনে অংশ নিল এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, এটাকে বিশ্বব্যাপী তত্ত্বীয়করণ করে নেপালি বুদ্ধিজীবীরা তেমন কিছু লিখেন নি। সেটা লিখতে হবে; প্রত্যেকটা ঘটনা কেনও হলো, কি হলো, ভালো খারাপ যাই হোক না কেনও। যখন আলোচনা করা হয় তখন খারাপ দিক বেশি তুলে ধরা হয় কিন্তু একটা জাতির ভেতরে সব সময় ভালো খারাপ দু’টোই থাকে, সেগুলাকে তত্ত্বীয়করণ করা দরকার। বাংলাদেশ যুদ্ধের উপরে কবিতা সাহিত্য লেখা হয়েছে কিন্তু রাজনৈতিক, সামাজিক, লিঙ্গগত, পরিবেশগত ধারনা [ডিস্কোর্স] নির্মাণ করা হয় নি। শুধু কবিতা, সাহিত্য লিখলেই হবে না সেগুলোকে ব্যাখ্যা করতে হবে, তত্ত্বীয়করণ করতে হবে।
পার্থ চ্যাটার্জি বলেছেন যে, ভারতীয় জাতীয়তাবাদীরা ভেবেছিলো স্বাধীনতার পরে নারী ও দলিতরা সমান হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয় নি। জাতীয়তাবাদ ও স্বাধীনতা কোনো যাদুকরী বড়ি না যে খাইয়ে দিলে নাক থেকে পেট পর্যন্ত সব ঠিক হয়ে যাবে।
একটি ভিডিও দেখুন ইউটিউব থেকে
দোলন প্রভা: নারীদের অবস্থার কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে?
অরুণ গুপ্ত: দক্ষিণ এশিয়াতে সাধারণত নারীরা সামাজিক মিথষ্ক্রিয়ায় মুক্তই আছে। যেমন একটা বিষয় পর্যবেক্ষক করলাম যখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছি আমরা তখন রাস্তাঘাটে মহিলারা দৃশ্যমান নেই। তুলনামূলকভাবে সেটা দেখা যায় গ্রামেও। কিন্তু নেপালে এই বিষয় আগে থেকেই দৃশ্যমান ছিলো। সামাজিক কাজকর্মে তারা আগে থেকেই দৃশ্যমান। মাওবাদীরা এসে তাদের পরিচয় দৃশ্যমান করেছে, সচেতনতা বেড়েছে। কিন্তু সচেতনতা হলেই সব ঠিক হয়ে যায় না, সামাজিক সব কাজকে অর্থনৈতিকভাবে বদলাতে হবে। সচেতনতা হয়েছে সেটা ঠিক আছে, সে সাথে অর্থনীতি বদলালেই প্রগতি হবে। নারীরা ঘরে বসে কবিতা, সাহিত্য, দর্শন পড়ছে ঠিক আছে কিন্তু যতক্ষণ না তারা অর্থনৈতিক প্রবাহের মধ্যে ঢুকছে ততক্ষণ এই সচেতনতা ব্যর্থ। বিপ্লবের পরে সেই অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়নি। এটা স্থিতিশীল আছেই।
দোলন প্রভা: নারীদের সামাজিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তা কি রকম?
অরুণ গুপ্ত: রাস্তাঘাটে নারীদের নির্যাতন এখানে তেমন নেই। ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ নেই, বাংলাদেশ, ভারতে নারীরা রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় পুরুষরা যে ভোগের দৃষ্টিতে দেখে সেটা নেপালে অনেক অনেক কম আছে। একটু আগে সাদি যে কথাটা বলল, ‘বাংলাদেশ ভারতে ছেলেদের চোখের একধরনের খারাপ দৃষ্টি আছে’, সেটা নেপালে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। নেপাল সমাজে ৩ টা ইতিবাচক দিক আছে প্রথমত নারীদের গণতান্ত্রিক চেতনা আছে, দ্বিতীয়ত নারীর চলাফেরায় পুরুষের কোনো কুদৃষ্টি নেই, তৃতীয়ত অন্যান্য লিঙ্গের তৃতীয় লিঙ্গের যথাযথ সম্মান আছে, জাতিভেদ বর্ণভেদ কম আছে; মাওবাদী আন্দোলনের পরে জাতিভেদ বর্ণভেদ আরো কমে গেছে। সেজন্য নেপালে নারীরা যথেষ্ট স্বাধীনভাবে অবস্থান করছে। এছাড়া পাহাড়ে যারা থাকে তাদের জল, খাদ্যের জন্য অনেক খাটতে হয়। সেজন্যই নারীদের প্রতি নেপালে সমতামূলক দৃষ্টি আছে।
দোলন প্রভা: ভারত সম্পর্কে নেপালের তরাই অঞ্চলের মানুষের চিন্তা কি?
অরুণ গুপ্ত: আমার গ্রাম, বাহাদুরগঞ্জ কপিলাবস্তুর একজন বলেছিলো তরাই ভারতে মিলে গেলেই ভালো। আমি তখন বললাম, সেসময় তোমাকে তো বিজেপি, কংগ্রেস করতে হবে, তাদের অধীনে কাজ করতে হবে। তোমার সেই স্বাধীনতা থাকবে না, তোমার আঞ্চলিকতা, তুমি যে বেনিয়া পরিবারে আছো তোমার একটা সম্মান আছে, তোমার আঞ্চলিক পরিচয় আছে সেটা তখন লুপ্ত হবে। আমি যখন তার পরিচয় সম্পর্কে বললাম তখন সে তার চিন্তার ভুল বুঝতে পারল। নেপালি সমাজে একধরনের সংবেদনশীলতা আছে যেটা ভারতে প্রায় শেষ হতে চলেছে। পাহাড় বলো তরাই বলো এখানে একধরনের গণতান্ত্রিক সংবেদনশীলতা আছে।
অনুপ সাদি: বাংলাদেশ নেপাল সম্পর্ক নিয়ে আপনার মতামত?
অরুণ গুপ্ত: নেপালের সীমাবদ্ধতা হচ্ছে সে নাক বন্দি [Land Locked]। বাংলাদেশের সেটা নেই, সমুদ্র থাকায় অর্থনীতির দিক থেকে বাংলাদেশ মুক্ত, ভারতের উপর নির্ভরশীল হতে হয় না। এক্ষেত্রে নেপাল স্বাধীন না।
বাংলাদেশে বহু-সাংস্কৃতিক ভিত্তি আছে। বাঙালি সমাজে সাহিত্য ও চিন্তা পদ্ধতি যথেষ্ট মুক্ত। মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক ভিত্তির দিক থেকে বাংলাদেশ এখনো খুব উদার। কবিতা লেখা, গান করা, সাহিত্যচর্চার মধ্যে দিয়ে নিজের ভেতরের ভাব প্রকাশ করে; এটা প্রচীন উদার বাঙ্গালিত্ব থেকে এসেছে। এই বিষয়টাতে মিল আছে নেপাল এবং বাংলাদেশে।
ভারত শক্তিশালী তাই ভারত বিরোধী হয়ে খুব একটা এগোনো যাবে না। ভারত তার স্বার্থ দেখেবেই, তাই ভারতের সাথে মিল রেখেই নেপাল ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণমূলক প্রকল্প নিতে হবে। যেমন এশিয়ান দেশগুলো কীভাবে উন্নতি করেছে তা বিবেচনা করলে দেখা যাবে, জাপান যখন কম্পিউটার বানালো ফিলিপাইন তখন কিবোর্ড বানালো। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া জাপান বিরোধী বা চীন বিরোধী হয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি করে নি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো অংশগ্রহণমূলক। শুরুতে অর্থনৈতিক ভিত্তি দরকার। কিন্তু ভারত এবং চীন বাংলাদেশ ও নেপালের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ করছে। বাংলাদেশ নেপালকে বুঝতে হবে ভারত একটা অনেক বড় অর্থনৈতিক চক্রনাভি [hub]। সম্পূর্ণ ভারত বিরোধী হলে হবে না, ভারতের সাথে সহযোগিতা করতে হবে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অংশ নিতে হবে। কোনো দেশ আলাদা হয়ে গেলে হবে না, অর্থনৈতিক কনফেডারেশন করতে হবে। নেপালি জাতীয়তাবাদের সমস্যা হচ্ছে, অর্থনৈতিক বিষয়টা আলোচনাতেই আসতে দিচ্ছে না। নেপালে রাজতন্ত্রের সময় এবং এখনো একটা দৃষ্টিভঙ্গি আছে সেটা হলো ভারত বিরোধী। ভারত শোষণ করছে, দমন করছে, এগুলো ঠিক কথা, কিন্তু এর মানে এই নয় যে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে হবে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মিল না থাকলেও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করা যাবে না। ভারতের সাথে সম্পর্কের পর্যায়গুলো দেখতে হবে, ধর্মীয় সামাজিক অর্থনৈতিক অনেকগুলো পর্যায় আছে, কোনো দেশই সম্পূর্ণ শত্রু নয়। যেমন ১৯৬৫ সাল থেকেই চীন ভারত একটা বিরোধ আছে কিন্তু দুই দেশ ব্যবসা বন্ধ করেনি।
বাংলাদেশের সাথে নেপালের তুলনামুক সম্পর্কগুলো বিবেচনা করতে হবে। দু’দেশের ভেতরে সাংস্কৃতিক সামাজিক সাহিত্যিক শৈল্পিক দার্শনিক বিভিন্ন কনফারেন্স করতে পারি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও নেপালের উপর চীন এবং ভারতের আধিপত্য আছে। চীন এবং ভারতকে বিরোধিতা করে এশিয়ার ছোট দেশগুলোতে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না। নেপাল ও বাংলাদেশের ভেতরে সাংস্কৃতিক কনফেডারেশন হবে, সাংস্কৃতিকভাবে এক দেশের মানুষ অন্য দেশের মানুষকে অনেক বেশি জানবে।
মার্কসবাদের একটা ভাবালু স্মৃতিকাতরতা আছে, একধরণের কল্পলৌকিকতা আছে। মার্কসবাদ পাশ্চাতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছে; কিন্তু শুধু প্রতিরোধ দিয়ে তো হবে না। মার্কসবাদেরও একটা বৃহত্তর আখ্যান [grand narrative] দরকার যা পুঁজিবাদকে প্রতিস্থাপন করতে পারবে।
আরো পড়ুন
- মার্কসবাদের একটা বৃহত্তর আখ্যান দরকার যা পুঁজিবাদকে প্রতিস্থাপন করতে পারবে — অরুণ গুপ্ত
- দ্বন্দ্ববাদের উদাহরণ
- মার্কসবাদ ও অভ্যুত্থান
- বিশ্বজুড়ে মার্কসবাদ, মুক্তি কোন পথে
- বাংলাদেশে মার্কসবাদ চর্চা
- সাম্যবাদ মানুষের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের সর্বোচ্চ সামাজিক স্তর
- শ্রেণি উদ্ভব হবার কারণ ও বিলুপ্তি প্রসঙ্গে মার্কসবাদ
- সমাজ হচ্ছে মানুষের পারস্পরিক ক্রিয়াকলাপের উৎপাদন
- বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের দর্শন হচ্ছে মার্কসবাদ
- রাষ্ট্র হচ্ছে শ্রেণি শোষণ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার হাতিয়ার
- পুঁজিবাদ হচ্ছে মানবেতিহাসে পণ্য সম্পর্কের সামাজিক স্তর
- পুঁজি হচ্ছে উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের একটি
- কার্ল মার্কসের বিচ্ছিন্নতার তত্ত্ব মানব প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে
- মার্কসবাদী বিশ্বদৃষ্টিতে ধর্মের স্বরূপ বিশ্লেষণ
- মার্কসবাদী দৃষ্টিতে ইতিহাস হচ্ছে সমাজের অবস্থা ও সম্পর্কের বিশ্লেষণী পদ্ধতি
তথ্যসূত্রঃ
১. দোলন প্রভা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, “মার্কসবাদের একটা বৃহত্তর আখ্যান দরকার যা পুঁজিবাদকে প্রতিস্থাপন করতে পারবে — অরুণ গুপ্ত”, রোদ্দুরে ডট কম, ঢাকা, ইউআরএলঃ https://www.roddure.com/politics/grand-narrative-for-marxism/
দোলন প্রভা বাংলাদেশের একজন কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক ও উইকিপিডিয়ান। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। তার জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯ তারিখে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রেলওয়ে নিউ কলোনিতে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বাংলাদেশের আনন্দমোহন কলেজ থেকে এমএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ফুলকিবাজ এবং রোদ্দুরে ডটকমের সম্পাদক।