(মা শাহেরা খাতুনকে)
রুটিগুলো সেঁকা হলে মুখোশের রূপ পড়ে থাকে, ভাতের আঘ্রাণে দেখি লিকলিকে গাছের শরীর, ডাল থেকে ডালে নাচে রূপসীর ভারে নত মাঠ-বুলবুলি, নববালিকার রূপে এপার ওপার হয় নব সৃষ্ট চক্রান্তের লোভীরূপী দহনের দুই-টুকরো দেশ। যে যখন পথে হাঁটে, পথই তার পায়ে বাঁধা থাকে; কেন যে কালাচ সাপ মাথার কিরীটে বসে ভনভন করে?
পথ নেই জনসভার, আছে এক মায়াবী শিকার; বিষাক্ত বাতাসে দেখো হিঁদু আর মুসলিমী ভাগ। কে কাকে পথ দেখায় এমন রক্তের অবেলায়, আঙুলের ক্ষত নিয়ে যৌথ মালিকানার গান গেয়ে চলে মহামহিম কৃষকের মন।
বীজধান বিষণ্ণ আজ, দেহময় ক্ষেতমালাতে জমে আছে বিষাদের ফুল। কেউ কেউ নাড়া কেটে ঘরে আনে, আগামীর শীতগুলো বেড়ে হবে কোমল বালিশ। আবারো বসন্ত নামে, কালো কালো কোকিলের বেশে। বোশেখের ঝড় দেখে দুই জোড়া গোবগা গা ঝেড়ে উড়ে যায় বাবলাবোনায়। সংকটের শক্ত হাত টান দিয়ে ধরে রাখে ঘরের কাঠামো; সন্ধ্যে নামে জন্মগ্রামে, স্নেহলতা বেড়ে ওঠে নিরব মায়ের।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।