মাও সেতুং-এর গণচীনের লাল রং বদলে গেছে। মাও-এর মৃত্যুর পরে সেই ১৯৭৬ সালেই চীনের রং পাল্টিয়ে সংশোধনবাদের রং ধারণ করেছে। আর বর্তমান খুনী শি জিনপিংয়ের দখলে চীন হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী গণহত্যাকারী এক রাষ্ট্র। কমিউনিস্টদের কাছে চীনের রূপান্তরের খবর অনেক পুরোনো। চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে সংশোধনবাদি ভুয়া কমিউনিস্টরা মাও সেতুং-এর মৃত্যুর পর থেকেই ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। ফলে একদা চিনের লাল রং পালটে হয়ে গিয়েছিলো সংশোধনবাদের নীল রং। সেটিও ছিলো পার্টির অভ্যন্তরে এক ধরনের দূষণ। চিনের পার্টির সংশোধনবাদি দেং জিয়াও পিং চক্র সেবার ১৯৭৬ সালে ক্ষমতায় আসীন হয় যার ধারাবাহিকতা এখনো শেষ হয়নি। আমরা আশা করবো চিনের এই রঙ আবার বদলাবে। তবে বর্তমান ভুয়া কমিউনিস্টদের দূর শুধু বিপ্লবের মাধ্যমেই হতে পারে; অন্য কোনোভাবে তা সম্ভব নয়। যত শীঘ্রই চিনের পার্টি লাল রং ধারণ করে ততই পৃথিবীর মঙ্গল।
বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী চীন সম্পর্কে জানার জন্য কয়েকটি কথা জানা থাকলে ভালো হয়। যেমন সংশোধনবাদি প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জে বাও ১৪ মার্চ, ২০১২, চিনা সংসদের বাৎসরিক অধিবেশন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সফল একটি রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বড় কোনো সংস্কার আনা সম্ভব হবে না। আর তা না করা গেলে অর্থনীতিতে যা কিছু অর্জন হয়েছে তা হারিয়ে যেতে পারে।” সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের একনিষ্ঠ সেবক, এশিয়া আফ্রিকায় গণহত্যা সংঘটনের একনিষ্ঠ হোতা, চীনা ও এশিয়ার জনগণের শত্রু মিঃ ওয়েন সেদিন আরো বলেন, “সেসব সমস্যা সমাধান না করা গেলে আবারো চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মত ট্রাজেডির পুনরাবৃত্তি হতে পারে।” সেদিন তিনি আরো মন্তব্য করেছেন “চীনে অর্থনৈতিক সমস্যা সামাল দিতে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সংস্কার জরুরি” এবং এসব খবর বিবিসি বাংলাসহ দুনিয়ার তাবত বড় বড় সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করে।[১] এই হচ্ছে একজন সাম্রাজ্যবাদীর বক্তব্য যে চায় অর্থনৈতিক সংস্কার।
দেং জিয়াও পিঙের (১৯০৪-১৯৯৭) সময়ে চিন পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে। এরপর চীনা সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদের সেবক ছিলো সেদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন, হুজিনতাও এবং শি জিনপিং। মূলত ১৯৭৬ সালের পর চীনের পার্টি সমাজতান্ত্রিক পথ পরিহার করে সাম্রাজ্যবাদী পথ গ্রহণ করে। ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও মুনাফা লুট করা, জনগণের সম্পদ কেড়ে নেওয়া, গোটা দুনিয়ায় চীনা পুঁজি রপ্তানি করা শুরু হয় সেই সময় থেকেই। তখন থেকেই সেখানে জনগণকে পশুর মতো খাটিয়ে ও নির্মম শোষণ চালিয়ে যে ভিতের উপর চিনা পুঁজিকে দাঁড় করানো হয়েছে তার নমুনা দেখতে হলে আমাদেরকে কয়েকটি তথ্যের দিকে তাকাতে হবে। ২০১২ সালের দিকে দেখা যায় চিনে ১০০ কোটি ডলার (বা বাংলাদেশি টাকায় ৮০০০ কোটি টাকার)-এর বেশি অর্থের মালিক রয়েছে ২৭০ জন। সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ ১১০০ কোটি ডলার।[২] ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের খবরসমূহে দেখা যায় “চীনে মোট ৫৯৪ জন বিলিয়নিয়ার আছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা ৫৩৫ জন।”[৩] অর্থাৎ চীনে শত কোটিপতির সংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যার চেয়ে বেশি।
অন্যদিকে সেদেশে শ্রমিক শ্রেণির অবস্থা ভয়ংকর খারাপ। চিনের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের শ্রমিক শ্রেণির অবস্থা সম্পর্কে রবার্ট ওয়েল বলেছেন কিভাবে চিনা কৃষকদের ১৯৭৬ পরবর্তীকালে নিঃস্ব করা হয়েছে এবং শহরে শ্রমিক হিসেবে মজুরিবিহীন বা ন্যূনতম মজুরিতে কাজে লাগানো হতো। তিনি বলেছেন, জনগণ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার শত্রু দেং জিয়াও পিং ও তার সহযোগী কুচক্রী শয়তান ‘সংস্কারপন্থী’-রা
শ্রমিকশ্রেণীর মেরুদণ্ড ভেঙে দিল, শ্রমিকেরা আবার সেই ‘পুরনো’ সর্বহারায় পরিণত হলো, যাদের ‘হারানোর কিছুই রইল না’ — তাদের চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো; তাদের স্বাস্থ্যরক্ষার যেসব সুযোগ ও অন্যান্য সামাজিক পরিষেবা দেওয়া হতো, সেগুলো কেড়ে নেওয়া হলো; ওয়ার্ক ইউনিটে তারা যে বাসস্থান পেত, সেখান থেকে শ্রমিকদের বের করে দেওয়া হলো; কোন কোন জায়গায় ওইসব শ্রমিকদের আবাস ভেঙে ফেলে সেখানে নতুন শপিং মল, বিশাল উঁচু বিলাসবহুল বাড়ি এবং অন্যান্য ‘উন্নয়ন’ প্রকল্প গড়ে তোলা হলো। কিছু কিছু কর্মচ্যুত শ্রমিক বেকারভাতা বা উচ্ছেদের জন্য কিছু টাকা পেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার পরিমাণ ছিল খুবই কম এবং অল্প সময়ের জন্য তা দেওয়া হয়েছিল। ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক নিঃস্ব হয়ে পড়ল।[৪]
চীনে এই যে লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে নিঃস্ব করে আদি নিষ্ঠুর পুঁজিবাদী প্রক্রিয়া চালু করা হইয়েছে সেই পুঁজিবাদও নিশ্চয় ভবিষ্যতে ভেঙে পড়তে বাধ্য। আমরা সেই ভাঙনের শব্দ শোনার প্রতীক্ষায় আছি। গোটা দুনিয়ার সাথে চীনা পুঁজিবাদকেও পরাজিত করতে জনগণ লড়ে যাবে।
চীনে সেপ্টেম্বর ২০১১-তে বো শিলাইকে রাজনীতি থেকে বিদায় করা হয়। যতদূর জানা যায় তিনি ছিলেন বিপ্লবী ধারার মাওবাদী নেতা এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রির সংশোধনবাদি লাইনের বিরুদ্ধে মতাদর্শিক সংগ্রাম পরিচালনা করছিলেন। চীনের সংশোধনবাদি হু জিন তাও এবং ওয়েন জিয়াবাও-এর ধারাকে উৎখাত করতে তিনি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তবে চীনে খুব সহজে বিপ্লবী ধারার রাজনীতি ফিরে আসার সম্ভাবনা নাই। তবে এই বিষয়ে করণীয় কী তা জানার জন্য আমরা মহান মাও সেতুং-এর পথটিকে পুনরায় দেখতে পারি এবং চাইলে বিবেচনা করতে পারি। মাও সেতুং বলেছিলেন,
“চীনের নেতৃত্ব যদি ভবিষ্যতে শোধনবাদিদের দখলে চলে যায় তাহলে সকল দেশের মার্কসবাদী-লেনিনবাদিদের উচিত হবে দৃঢ়তার সাথে তাদের মুখোশ উন্মোচন ও প্রতিরোধ করা এবং চিনের মেহনতি মানুষ ও জনগণকে সেই শোধনবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে সাহায্য করা।”[৫]
সাম্রাজ্যবাদী চীনের সংশোধনবাদি ভুয়া কমিউনিস্ট নেতারা এবং ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আশকারা পেয়েই মায়ানমারের স্বৈরাচারি নেতারা সেদেশে গণহত্যা চালাচ্ছে কয়েক দশক ধরে। রোহিঙ্গা, কারেন, শান ও কাচিন জাতির সমস্যায় ঘি ঢালছে এই চিনের শয়তান ভুয়া কমিউনিস্টরা। উল্লেখ করা অযৌক্তিক হবে না যে ‘গত ৩০ বছরে মিয়ানমারে চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।'[৬] মায়ানমারের আরাকান ও কাচিন প্রদেশে যে গণহত্যা মায়ানমারের সেনাবাহিনী চালিয়েছে তার জন্য চীন-মার্কিন নেতারা সরাসরি দায়ি। চীনা গণহত্যাকারী নেতৃবৃন্দ মায়ানমারের গণহত্যাকে যেমন ‘পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছে'[৭], তেমনি ইঙ্গ-মার্কিন-ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদ অং সান সুকির মূর্তি তৈরি করেছে, তাকেসহ বিভিন্ন দালাল সংগঠন ও ব্যক্তিকে তৈরি করেছে, বিভিন্ন রকম, আর্থিক, নৈতিক, এনজিও সহায়তা দিয়েছে। ২০০৩ সালে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ মায়ানমারে ২৫ লক্ষ ডলার সহায়তা করে, ২০০১-২ সালে দেড় লক্ষ ডলার সহ নানান অর্থ মায়ানমারে ডিএফআইডিসহ নানা মাধ্যমে এসেছে।[৮] তার ফলে মায়ানমারের জনগণের ওপর বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে যার পরিণতি মায়ানমারের নিপীড়িত জাতিগুলোর উপর ধারাবাহিক গণহত্যা। চীনা-মার্কিন-ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদ মায়ানমার সামরিক জান্তার গণহত্যাগুলোকে গত তিন দশক থেকেই অবিরত সমর্থন করে চলেছে। চীন-ভারত-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী আঁতাত আফগানিস্তান, পাকিস্তান ভারত ও মায়ানমারে অনবরত গণহত্যা চালাচ্ছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-নেপাল-শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপের মতো ছোট দেশগুলোর রাজনীতিতেও গণহত্যা ও গৃহযুদ্ধ নেমে আসবে বলেই ধরে নেয়া যায়। সাম্রাজ্যবাদ এশিয়াকে নরককুণ্ড বানানোর যে ষড়যন্ত্র করছে তাকে সমূলে উৎখাত করাই সারা দুনিয়ার গণতন্ত্রকামী জনগণের কাজ।
আফ্রিকার জিবুতিতে ইতিমধ্যে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে চীন। সেখান থেকে ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে চীনের ঋণ কূটনীতির শিকার হয়েছে শ্রীলঙ্কা। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে হাম্বানটোটা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা চীনের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে তারা। এ ঘটনায় চীন-ভারত দ্বন্দ্ব প্রবল হয়েছে। এই বন্দর পেয়ে চীন কার্যত ভারত মহাসাগরের মাঝখানে নৌসেনা উপস্থিতি বাড়াতে পেরেছে। কেনিয়ারও একই পরিণতি হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে পাকিস্তানে ‘চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর’ নিয়েও ভারতের সন্দেহ ও আপত্তি আছে। আফ্রিকার উগান্ডা ও জাম্বিয়ায় চীন বিপুল পরিমাণে সম্পদ কিনছে। শুধু আফ্রিকা নয়, ইউরোপের সার্বিয়া, ইতালি, গ্রিস ও এমনকি জার্মানিতেও সম্পদ কিনছে তারা। এই বিনিয়োগ যেকোনো সময় ঋণ-ফাঁদ হতে পারে। [৯]
চিনের রং পরিবর্তন নিয়ে খবর বের হয়েছে বেশ কবার। আর গত ২০১২ সালে নতুন করে চিনের একটি নদীর পানির রং পরিবর্তনের খবর আবার প্রচারমাধ্যমে এসেছিল। এবারের খবরটি হচ্ছে পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত। খবরটিতে দেখা যাচ্ছে চিনের কারখানা মালিকরা দূষণ করে ধ্বংস করছে ইয়াংসি নদী; ঠিক যেমনভাবে পৃথিবীর প্রায় সব কমিউনিস্ট পার্টিগুলো বারবার বলে আসছে যে চিনের ভূয়া কমিউনিস্টরা ধ্বংস করছে গোটা চিন।
খবরে প্রকাশ ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে হঠাৎ করেই লাল রং ধারণ করে নদীটির পানি। পরিবেশবাদীরা বলছেন, শিল্পকারখানার দূষণের কারণেই এমনটি ঘটেছে। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে লাল হয়ে গিয়েছিল চিনের জিয়ান নদী। সেবার তদন্তকারীরা নদীটির রং পরিবর্তনের কারণ হিসেবে শিল্পকারখানার দূষণকে চিহ্নিত করেছিলেন। ইয়াংসি নদীর জলের হঠাৎ এই রং পরিবর্তন সবার আগে চোখে পড়ে দক্ষিণ চীনের শহর চংকিং-এর বাসিন্দাদের। প্রথমে ইয়াংসি নদীর জলের রংয়ের এই পরিবর্তন চংকিং-এর চারপাশে সীমাবদ্ধ থাকলেও, ধীরে ধীরে নদীর আরো কয়েকটি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে লাল রংয়ের জল।[১০]
চিনের সংশোধনবাদ ধ্বংস হোক। ধ্বংস হোক চিনা সংশোধনবাদিদের সমাজতন্ত্র ব্যবসা। বাংলাদেশে চীনের সংশোধনবাদীদের সমর্থন করে চলেছে সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ এবং সাম্যবাদী দল।[১১] বাংলাদেশের সিপিবি বর্তমান চীনকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী’ দেশ মনে করে।[১২] এইভাবেই সিপিবি মার্কসবাদ-লেনিনবাদ ও মাওবাদের শত্রু হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে। বাংলাদেশের এইসব সুবিধাবাদী এবং চিনের সাম্রাজ্যবাদ সংশোধনবাদিদের ধ্বংসের মাধ্যমেই সূচিত হবে জনগণের মুক্তির পথ।[১৩]
তথ্যসূত্র ও টিকাঃ
১. বিবিসি বাংলা, খবর, ১৪ মার্চ ২০১২, চীনে দ্রুত রাজনৈতিক সংস্কারের তাগাদা, খবরের লিংক http://www.bbc.com/bengali/news/2012/03/120314_sachinareform.shtml
২. আন্দোলন বুলেটিন, সেপ্টেম্বর, ২০১১, আন্দোলন প্রকাশনা, ঢাকা।
৩. অনলাইন ডেস্ক, ১৩ অক্টোবর ২০১৬, দৈনিক প্রথম আলো, ধনকুবেরের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রকে ফের চীনের টেক্কা, আন্তর্জাতিক সংবাদ, খবরের লিংক http://www.prothom-alo.com/international/article/999237/
৪. রবার্ট ওয়েল, ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯, চিনের শ্রমিকশ্রেণীর অবস্থা, অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ; কলকাতায় ইন্দুমতী সভাঘরে প্রদত্ত বক্তৃতা, বক্তৃতার লিংক https://sites.google.com/site/manthansamayiki/2010_mj_2
৫. মাও সেতুং, সভাপতি মাও সেতুঙের উদ্ধৃতি ও শেষ জীবনের উদ্ধৃতি, ‘চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নিকট চিলির বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির খোলা চিঠিতে’তে উদ্ধৃত; ১৯৬৫, ঐশী প্রকাশনী, ঢাকা,
৬. এ কে এম জাকারিয়া, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, চীন-ভারত কেন মিয়ানমারের পক্ষে?, দৈনিক প্রথম আলো, মতামত, আন্তর্জাতিক, লিংক http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1321196/
৭. বিবিসি বাংলা, খবর, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, রোহিঙ্গা সংকটে আবারও মিয়ানমারের পক্ষে দাঁড়ালো চীন, খবরের লিংকঃ http://www.bbc.com/bengali/news-41241313
৮. FAILING THE PEOPLE OF BURMA?, A call for a review of DFID policy on Burma, The Burma Campaign UK, December 2006, ৩৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন, দেখুন ১৩-১৪ পৃষ্ঠা, লিংকঃ http://burmacampaign.org.uk/images/uploads/DFIDReview.pdf
৯. প্রতীক বর্ধন, চীন কি নতুন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, দৈনিক প্রথম আলো, আন্তর্জাতিক সংবাদ, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, https://www.prothomalo.com/international/article/1627742/
১০. Eli MacKinnon, Staff Writer, September 7, 2012, Yangtze River Runs Mysteriously Red, www.livescience.com, https://www.livescience.com/23038-yangtze-river-red.html
১১. নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ২০ আগস্ট, ২০১৩, চীন সফরে বামপন্থীরা, খবরের লিংকঃ https://bangla.bdnews24.com/politics/article661826.bdnews
১২. চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস শুরু, সিপিবির শুভেচ্ছা, সাপ্তাহিক একতা, ২২ অক্টোবর, ২০১৭, বর্ষ ৪৭, সংখ্যা ১২, রবিবার, লিংক http://www.weeklyekota.net/?page=details&serial=4629
১৩. লেখাটির প্রথম রচনাকাল ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১২ এবং পরবর্তীতে লেখাটি ১৮ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে পরিবর্ধন করা হয়। লেখাটি পূর্বে প্রাণকাকলি ও রোদ্দুরে সাইটে প্রকাশিত হয়েছিল।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।