ঋত্বিক ঘটক জনগণের মাঝে শোষণ-নিপীড়ন বিরোধী প্রতিবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সহজ একটা মাধ্যম হিসেবে চলচ্চিত্রকে পরিচালনায় এসেছিলেন। ঋত্বিক ঘটক ভেবেছিলেন জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য নাটক, থিয়েটারের চেয়ে চলচ্চিত্রটাই ভালো মাধ্যম। তিনি প্রথম জীবনে মঞ্চনাটক করেছেন, সেই সময় ভেবেছিলেন জনগণের মাঝের বেদনাকে ফুটিয়ে তুলতে নাটক মোক্ষম উপায়। পরবর্তিতে চিন্তার বিস্তার হয় এবং বুঝতে পারেন মঞ্চ নাটকের চেয়ে চলচ্চিত্র শক্তিশালী। ঋত্বিক বলেছিলেন
‘ কালকে বা দশ বছর পরে যদি সিনেমার চেয়ে ভালো কিছু মিডিয়াম বেরোয় আর দশ বছর পরে আমি যদি বেঁচে থাকি, তাহলে সিনেমাকে লাথি মেরে আমি সেখানে চলে যাব। সিনেমার প্রেমের নেশায় আমি পড়িনি’।
সত্য বলার এক অসাধরন স্পর্ধা ছিলো মানুষটির ভেতর। তাই সারাটা জীবন যা সঠিক বলে উপলব্ধিতে আনতে পেড়েছেন সেটাই নির্মাণ করার চেষ্টা করেছিলেন। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পুঁজিবাদী সমাজে শ্রমজীবী-মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত শ্রেণীর লড়াইয়ের গল্পগুলোকে দর্শকের সামনে খুব সচেতনভাবে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন।
চলচ্চিত্রের দর্শকদের নিজের মতো করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। আমাদের সমাজ-সভ্যতার উন্নতির জন্য শ্রমজীবী মানুষের অবদানের কথা মুহুর্তের জন্য ভুলে যাননি। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমাদের ভাবাতে চেয়েছেন সেই সব বিষয়। তিনি বলেছিলেন, শ্রমজীবী মানুষ নিয়ে আমরা কতটুকুই বা আলোচনা করি। তাদের সমস্যা, প্রযোজন সম্পর্কে আমদের জানা আছে কতটুকু? বাংলা ছবিতে তাদের বিষয়কে তুলে ধরতে হবে। তা না করতে পারলে শিল্পী হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করব। এজন্য চলচ্চিত্রের বিষয় নির্বাচনে ঋত্বিক ছিলেন খুব সচেতন। দর্শকে ভালো, রুচিশীল কিছু দেবার জন্য বারবার নিজের সৃষ্টিকে ভেঙ্গেছেন আবার গড়েছেন। বাংলার ভাষা, সমাজ, চলচ্চিত্র সম্পর্কে ঋত্বিক বলেছিলেন-
একটা কথা আমার মনে হয়, সমাজ-সচেতন শিল্পীর বড়োই দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে এদেশে। মানুষেরা এই ধরনের ন্যাকান্যাকা ছবি দেখে আনন্দিত বোধ করছেন এটা আমার কাছে অসম্ভব কষ্টকর লাগে। শ্রেণীচেতনা মানুষের মধ্যে বড়ো কমে গেছে বলে মনে হয়।[১]
ঋত্বিক নিজের চলচ্চিত্রে বাস্তব জীবনকে তুলে ধরে দর্শকে কল্পনারাজ্যের আলতা মাখা মোহ থেকে বের করতে চেয়েছেন। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছেন সৌন্দর্য ও বাস্তবতাকে। তিনি মনে করেন, শিল্পকে সৌন্দর্যনিষ্ঠ যেমন হতে হবে, তার আগে সত্যনিষ্ঠ হওয়া দরকার।
ঋত্বিক ঘটক ১৯৫১ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণের যাত্রা শুরু করেছিলেন। পঞ্চাশ বছরের জীবনে বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নির্মাণ করতে পারেন আটটি চলচ্চিত্র। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্থের অভাবে থেমে গিয়েছে কাজ। মাঝ পথে ছবির কাজের ইতি টানতে হয়েছিলো বহু বার। বেশ কিছু ছবি মুক্তি পেতে দেরি হয়েছে বা মুক্তি পায় নি। তেমনি একটি চলচ্চিত্র ‘মেঘে ঢাকা তারা’; যা ১৯৬০ সালের ১৪ এপ্রিল মুক্তি পায়।
এটি ছিলো ঋত্বিক ঘটকের চতুর্থ এবং প্রথম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র। বাংলা ভাগের পরে কলকাতায় এক নিম্ন মধ্যবিত্ত শরণার্থী পরিবারের সংগ্রামমুখর জীবন নিয়ে নির্মিত হয় এই চলচ্চিত্রটি। ঔপন্যাসিক শক্তিপদ রাজগুরুর উপন্যাস থেকে ঋত্বিক ঘটক এর কাহিনী নেন। সাপ্তাহিক পত্রিকা চিত্রালীর প্রতিনিধির সাথে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্র নিয়ে আলাপ প্রসঙ্গে বেবী ইসলাম বলেন- “ঋত্বিক ঘটক নিজেই বলেছিলেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিটি নাকি তাঁর নিকৃষ্টতম সৃষ্টি।”[২]
১৯৪৭ সালের বাংলা ভাগের পরে কলকাতা শহরের এক প্রান্তে উদ্বাস্তু কলোনিতে বাস করতো নানা পেশা-শ্রেণির মানুষ। সে কলোনির একটি নিম্ন আয়ের পরিবারের জীবন সংগ্রাম গল্প ‘মেঘে ঢাকা তারা’। স্কুল শিক্ষক বাবা এবং গৃহিণী মায়ের সংসারের নীতা নামের সংগ্রামী মেয়ের জন্ম। এছাড়াও নীতার আরো দুই ভাই এবং এক বোন আছে। এই চলচ্চিত্রের মূল চরিত্র নীতা, সে পরিবারের বড় মেয়ে। তার বড় একটি ভাই শংকর যে গান পাগল উদাসীন ও গায়ক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। সংসারের অভাব অনটন নিয়ে কোনো চিন্তাই নেই। অন্য ছোট দুই ভাই বোনের মধ্যে মন্টু এবং গীতার; যারা এতটাই আত্মকেন্দ্রিকতা যে নিজেদের স্বার্থ ছাড়া অন্য কোনো দিকে মনোযোগ দেওয়ার বিন্দু সময় নেই।
সংসারের আয়ের উৎস নীতা ও তাঁর বাবা। একদিন আকস্মিক এক দুর্ঘটনায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন বাবা। কাজেই সংসারের পুরো ভার নিতে হয় নীতাকে। পড়াশুনায় মেধাবী হওয়া শর্তেও সংসারের দারিদ্রতার জন্য পড়াশোনা ইতি হয়। দায়িত্ব নিতে হয় সবার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার; এজন্য এক প্রাণান্তকর লড়াইয়ে নামতে হয় তাকে। এরমধ্যেই ঘটেতে থাকে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক কিছু। নীতার প্রেমিক সনৎ বিয়ে করে তার ছোট বোন গীতাকে। এই ব্যপারে ক্ষুব্ধ, বেদনাহত হয়ে বড় ভাই শংকর বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। আবার ছোটভাই মন্টু পরিবারের দ্বিমতে যে কারাখানায় কাজে গিয়ে সেখানের এক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যায়। সব পরিস্থিতিকে একা সামাল দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করে চলে নীতা।
একসময় নীতার শরীর ভেঙে পড়ে। যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েও বাড়ির এক কোণায় আশ্রয় নেয়। বড় ভাই শংকর ক্লাসিক্যাল গানের গায়ক হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। নীতার অসুস্থতা চোখে পড়ে শংকরের; ভর্তি করে শিলং পাহাড়ের এক হাসপাতালে। চলচ্চিত্রে শেষ পর্যায়ে শংকর নীতাকে সংসারের স্বচ্ছলতার কথা শুনায়; নীতা যে স্বচ্ছলতার জন্য একাই সংগ্রাম করেছিলো। কিন্তু জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে নীতা বেঁচে থাকার আকুতি সবার হৃদয়ে ঘা দেয়। মূলত নিম্ন আয়ের পরিবারটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য যে লড়ায়, সেই দিকটাই নীতার নিঃস্বার্থ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেছে।[৩]
মেঘে ঢাকা তারা বাংলা ভাগ ও উদ্বাস্তু সমস্যা:
ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’র নায়িকা নীতা মধ্যবিত্ত পরিবারটি সন্তান হলেও, তাকে বাংলা ভাগের যন্ত্রণা বহন করা উদ্বাস্তু শত শত পরিবারের প্রতিনিধি হিসাবে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। নতুন দেশ এবং পরিবেশ যে জীবনে কি ধরণের দুর্গতি আনে; একই সঙ্গে জটিল এবং ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি ফেলে সেই বিষয়টা বারবার মনে করিয়ে দেয়। নানা জটিল পরিবেশে টিকে থাকার লড়াইয়ের এক গল্পকে ভীষণ আবেগ দিয়ে ঋত্বিক এখানে উপস্থাপন করেছেন।
বাংলা ভাগের কারণে ঋত্বিক ব্যক্তিগতভাবে ব্যথিত হয়েছেন। এছাড়া বাংলার সংস্কৃতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে তা তিনি পরিষ্কার বুঝতে পেরেছেন। মানুষকে উদ্বাস্তু করেছে। প্রতিটি মুহুর্ত বেঁচে থাকার জন্য যে লড়ায় করতে হয় সে দৃশ্য ঋত্বিকের চোখের সামনে ঘটা। উদ্বাস্তু মানুষগুলোর মৌলিক চাহিদার জন্য চাতকের মতো চেয়ে থাকতে হয় উপরতলার দিকে। নীতা যেমন পরিশ্রম করে নিজের যৌবনকে বিলীন করে দিয়েছে পরিবার স্বপ্ন বাচাতে; তেমনি অনেকেই জীবনের শেষটুকু দিয়েছিলো।
উদ্বাস্ত মানুষগুলো ভাগ্য বদলের জন্য এসে বাস শুরু করেছিলো ঐসব কলোনিতে। বসবাসের সমস্যাসহ দিনদিন নিত্যপ্রযোজনীয় সমস্যা বেড়েই যাচ্ছিল। যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাওয়ার সমস্যা যেমন আছে তেমনি কাজ পেলেও হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটতে হয়। নীতার ছোট ভাই ফুটবল খেলায় পারদর্শি থাকলেও জীবন ও বাঁচার চাহিদা মেটাতে কারখানায় কাজ নেয়। কিন্তু নিয়তির কি করুণ পরাজয়, কাজ করতে গিয়ে আহত হয়ে পঙ্গুত জীবন বেছে নিতে হয়।
যেই কলকাতা এককালে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতির দিক থেকে বাংলার প্রাণকেন্দ্র ছিলো; বাংলা ভাগের পরে উদ্বাস্ত মানুষের মতো কলকাতাও পঙ্গু হয়। নীতার গান পাগল ভাই কলকাতায় নিজের শিল্পের যথার্থ মুল্য না পেয়ে বোম্বে যায়। এমন কি নীতার প্রেমিক সনৎ তার জীবিকার জন্য সঠিক মুল্য দিতে পারে না কলকাতা।
পরিবারগুলোর আত্নকেন্দ্রিকতা, ঠিকে থাকার লড়ায়:
পরিবার, স্বপ্ন বাঁচাতে যখন বিভোর নীতা, সে সময়গুলোতে নিজের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ জিনিসগুলো হারিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু নীতা সেটা বুঝতেই পারে নি। নিজের যৌবন, শিক্ষা জীবন, প্রেমিকসহ পরিবারকেও হারাতে হয় শেষে। যে বয়সে নিজের জীবনকে সাজাতে হয়, সেই সময় নীতা একাই সংসারের ভার কাঁধে নেয়। এর কারণে দেখা যায় বড় ভাই হওয়া শর্তেও শংকর সংসারের প্রতি উদাসীন। নীতা নিজের ছেঁড়া জুতা না পাল্টিয়ে ছোট ভাইকে বল কিনে দিয়েছিলো; সেই ভাই সংসারের কথা না চিন্তা করে নিজের ভবিষৎ গড়তে সকলের অমতে কারখানায় চাকরি করতে যায়। আর ছোট বোন গীতা নিজের স্বার্থ থেকে এক চুল নড়ে নি।
নীতার প্রেমিকে নিজের করে পেতে চুপিসারে সনৎ-এর বাসায় যায়, ঘুরতে যায়; নিজের বোনের কথা বিন্দুমাত্র ভাবে নি। নীতার মা বুঝতে পারে নীতা ছাড়া সংসারের ভার অন্য কেউ নিবে না; তাই সবকিছু জেনেও নীতার বিয়ের বদলে ছোট মেয়ের বিয়ের কথা ভাবে। সনৎ নীতাকে কথা দিয়েছিলো। কিন্তু নীতার সংগ্রাম তুচ্ছজ্ঞান করে ভীরুর মতো মুখ লুকিয়েছিলো। নিজের দিকটা বুঝে দূরে ঠেলে দিয়েছে নীতাকে। একে একে সকলে এই দায়িত্বশীল, সংগ্রামী মেয়েটিকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে থাকে। নিজের সাথে নিজে আর পেড়ে উঠতে না পাড়ায়; এক সময় ক্লান্ত নীতা নিজেকে গুটিয়ে ফেলে। এতো সব দেখে এক সময় প্রতীবাদের সুরে বেদনা নিয়ে নীতার বাবা বলে ওঠে-
“সেকালে মাইনষে গঙ্গা যাত্রীর গলায় ঝুলাইয়া দিতো মাইয়া, তারা ছিল ‘বর্বর’। আর একালে আমরা শিক্ষিত, সিভিলাইজড। তাই লিখাপড়া শিখাইয়া মাইয়ারে নিংড়াইয়া, ডইল্যা, পিষ্যা, মুইছা ফেলি তার ভবিষ্যৎ। ডিফারেন্সটা এই।”
মেঘে ঢাকা তারা চলচ্চিত্রের শেষ পর্যন্ত দেখা যায় মানুষগুলোর ঠেকে থাকার লড়ায় চলতে থাকে। ঋত্বিক এই নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক দিকটা তুলে ধরেন। মূলত নীতাদের পরিবারের মাধ্যমেই বাংলা ভাগের ফলে কলকাতা জুড়ে যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় সেটাকে উপস্থাপনের চেষ্টা ছিলো। নীতাদের মতো অনেক দায়িত্বশীল, সংগ্রামীর জন্যই বেঁচে ছিলো, থাকে ও থাকবে অনেক মানুষ। কিন্তু নীতাও বাঁচতে চেয়েছিল। তাই ছবির শেষে সে বলে ওঠে- “দাদা, আমি কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিলাম। আমি যে বাঁচতে বড় ভালবাসি। দাদা, আমি বাঁচব। দাদা, আমি বাঁচব।” যদিও নীতা সবাইকে নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল; কিন্তু সে যখন একাই সমস্ত ভার তুলে নিয়েছিলো কাঁধে; তখন বাকিরা দায়িত্বহীন, স্বার্থপর হয়ে ওঠে। একাই পুরো দায়িত্ব না নিয়ে যদি সবারকে একটু একটু করে দায়িত্বশীল করা যাই তবেই জীবন অনেক সুন্দর হবে। লড়াইগুলো আরো শক্তিশালী হবে।
তথ্যসূত্র:
১. ঋত্বিক কুমার ঘটক, চলচ্চিত্র মানুষ এবং আরো কিছু, “বাংলার সমাজচিত্র ও বাংলার চলচ্চিত্র”দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, পুনর্মুদ্রণ নভেম্বর ২০১৫, পৃষ্ঠা, ১৮২-১৮৩।
২. সাপ্তাহিক চিত্রালী প্রতিনিধি, সাজেদুল আউয়াল সম্পাদিত, ঋত্বিকমঙ্গল, “তিতাসের হাওয়া বৈচিত্রের হাওয়া”বাংলা একাডেমী, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ জুন ২০০১, পৃষ্ঠা, ৩৬-৩৭।
৩. দোলন প্রভা, ২৩ জুন, ২০২০, “মেঘে ঢাকা তারা চলচ্চিত্র: কলকাতার অর্থনীতি ও উদ্বাস্তু পরিবারের জীবন সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি”, রোদ্দুরে ডট কম, ঢাকা, ইউআরএলঃ https://www.roddure.com/art/meghe-dhaka-tara/
দোলন প্রভা বাংলাদেশের একজন কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক ও উইকিপিডিয়ান। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। তার জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯ তারিখে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রেলওয়ে নিউ কলোনিতে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বাংলাদেশের আনন্দমোহন কলেজ থেকে এমএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ফুলকিবাজ এবং রোদ্দুরে ডটকমের সম্পাদক।