দুই বিশ্ব ব্যবস্থা (ইংরেজি: Two world system theory) হচ্ছে স্নায়ুযুদ্ধ-পূর্ব সময়ের পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র, দুই ব্যবস্থার, অর্থাৎ দুই সমাজ পদ্ধতির মধ্যেকার সংগ্রাম। বিশ শতকের শুরুতে পুঁজিবাদী দেশসমূহে ঘটেছে নজিরবিহীন ধ্বংস আর ভাঙন। ১৯২৯ সালের শরৎকাল থেকে অদৃষ্টপূর্ব গভীরতা ও প্রবলতা সম্পন্ন এক সংকট এসব দেশকে পর্যুদস্ত করছে। এই সংকট তার প্রচণ্ডতার দিক থেকে, দীর্ঘস্থায়িত্বপূর্ণ প্রকৃতির দিক থেকে আর শ্রমজীবী জনগণের জন্যে যে দুর্দশা তা বয়ে এনেছে সেদিক থেকে পুঁজিবাদী দুনিয়ার নিকট জানা পূর্বের যে কোনো সংকটকে ছাড়িয়ে গেছে।
শিল্প ও কৃষি – উভয়টির ক্ষেত্রেই সংকট প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। বাজারের অভাবের কারণে, ক্রমবর্ধমান মাত্রায় উৎপাদন হ্রাস করে দেয়া হয়েছে, কল-কারখানা ও ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে কর্মচ্যুত করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে চাষাবাদের জায়গা হ্রাস করা হয়েছে, আর লক্ষ লক্ষ চাষীকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বিপুল পরিমাণ উৎপাদিত সামগ্রী শুধু শুধুই বিনষ্ট করা হয়েছে? ব্রাজিলে সমুদ্রে ফেলে দেয়া হয়েছে কফি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেল-ইঞ্জিনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে গম, নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে দুধ, সাগরে ফেলে দেয়া হয়েছে মাছ, মেরে ফেলা হয়েছে গৃহপালিত পশু, বিনষ্ট করা হয়েছে ক্ষেতের ফসল – এই সব কিছুই করা হয়েছে বাজারে সরবরাহকৃত খাদ্য-সামগ্রীর পরিমাণ কমিয়ে ফেলার জন্যে।
১৯৩৫ সালের দিকে অতি গভীর সংকট যখন অতিক্রান্ত হয়েছে, তখন শ্রমিকদের ওপর শোষণের মাত্রা তীব্রতর করে, চাষীদের ওপর দস্যুবৃত্তি বৃদ্ধি করে আর উপনিবেশগুলোর ওপর আরো অধিক লুঠপাট চালিয়ে, পুঁজিবাদ তার শিল্পের পরিস্থিতি স্বচ্ছন্দ করায় কিছু পরিমাণে সফল হয়েছে। তা সত্ত্বেও, যেহেতু পুঁজিবাদ অবক্ষয় ও ভাঙনের এক আমলে বাস করছে, সেহেতু পুঁজিবাদী দেশসমূহে কোনো যথার্থ অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের কথাবার্তা বলা যেতে পারে না। ব্যাপক শ্রমিকদের ওপর শোষণ বৃদ্ধি করে, এক নয়া সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বযুদ্ধের ও সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আগ্রাসী হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করে, বুর্জোয়া শ্রেণি সংকটের হাত থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে। নিষ্ঠুর সন্ত্রাসের মাধ্যমে শ্রমিকদের দাসত্ব বন্ধনে আবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টায় বুর্জোয়া শ্রেণি আরো অধিক মাত্রায় ফ্যাসিস্ট পদ্ধতির শাসনের দিকে ঝুঁকছে।
বিশ্ব পুঁজিবাদের সেই সর্বাপেক্ষা গভীর সংকটের বছরগুলোতে, চার বছর সময়ের মধ্যেই সোভিয়েত ইউনিয়ন তার প্রথম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেছিল। তার পরেই, সোভিয়েত ইউনিয়ন অধিকতর গুরুভার দ্বিতীয় পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনার কর্তব্যকর্ম – শ্রেণিহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের কর্তব্যকর্ম সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করছিল।
সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বছরগুলোতেই সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির ভিত স্থাপন করেছে। সমাজতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তি – সমাজতান্ত্রিক বৃহদায়তন শিল্প – বিপুলভাবে বৃদ্ধি লাভ করেছে। ডজন ডজন এমন সব নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যেগুলোর অস্তিত্ব রাশিয়ায় এর পূর্বে আর কখনোই ছিল না। বিশেষত, ভারী শিল্প দ্রুত উন্নতি সাধন করেছে, যা হলো গোটা জাতীয় অর্থনীতির মেরুদন্ড।
প্রথম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনার আমলে, সমাজতান্ত্রিক নীতিমালার ওপর কৃষিকে পুনর্গঠিত করার সুবিশাল কর্তব্যকর্মও সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্পন্ন করেছে। যে নয়া যৌথখামার ব্যবস্থা (Kolkhozes ) লক্ষ-কোটি কৃষকের জন্যে সচ্ছল ও সংস্কৃতিবান জীবনের দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে, সেই ব্যবস্থা গ্রামাঞ্চলে বিজয়মণ্ডিত হয়েছে। মৌলিক কৃষক জনগণ তথা যৌথ-খামার চাষীরা পরিণত হয়েছে সোভিয়েত রাষ্ট্রশক্তির দৃঢ় সমর্থকে, আর পুঁজিবাদের সর্বশেষ দুর্গ – কুলাকদের বা ধনী তথা শোষক কৃষক – চরমভাবে পরাজিত করা হয়েছে।
শ্রমিক শ্রেণি বিপুল সংখ্যায় বৃদ্ধি লাভ করেছে। ব্যাপক শ্রমিক সাধারণের জীবন ধারণের মান উন্নত হয়েছে। এক অগ্রবর্তী সংস্কৃতির ভূমিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন রূপান্তরিত হয়েছে। সর্বজনীন শিক্ষা চালু করা হয়েছে আর লক্ষ-কোটি লোকের নিরক্ষরতার অবসান ঘটান হয়েছে। লক্ষ লক্ষ শিশু আর প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি নানা ধরনের স্কুলে পড়াশোনা করছে। সমাজতান্ত্রিক শ্রম-শৃংখলা জ্ঞান রপ্ত করার ক্ষেত্রে বিপুল সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সমাজতন্ত্র গড়ে তোলার লক্ষ লক্ষ কারিগরদের শক্তি ও কর্মতৎপরতা, উৎসাহ-উদ্দীপনা বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
“প্রথম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনায় শুভ ফলাফলের কারণে, মানব জাতির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটিমাত্র দেশে সমাজতন্ত্র গড়ে তোলার সম্ভাবনা সমগ্র বিশ্বের কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষের সামনে প্রদর্শিত হয়েছে।” সোভিয়েত ইউনিয়নে “শ্রমিক আর যৌথ-খামার চাষীরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পুরোপুরি আস্থাবান হয়ে উঠেছেন, এবং নিয়ত বৃদ্ধিমান বস্তুগত ও সাংস্কৃতিক জীবন ধারণের মান এককভাবেই নির্ভর করছে তাদের ব্যয়িত শ্রমের গুণ ও পরিমাণের ওপর। সোভিয়েত ইউনিয়নের শ্রমজীবীদের জন্যে বেকারত্ব, দারিদ্র্য আর অনাহারের অভিশাপ চিরতরে দূর হয়েছে। প্রতিটি শ্রমিক আর যৌথ-খামার চাষী তাদের ভবিষ্যতের দিকে আস্থা ও আনন্দের সাথে তাকায়, আর জ্ঞান ও সংস্কৃতির জন্যে তাদের নিয়ত বৃদ্ধিমান দাবিকে তুলে ধরে।”[১]
একই সময়ে, পুঁজি শাসিত দেশগুলোতে ব্যাপক শ্রমজীবী জনসাধারণ অবর্ণনীয় আর নজিরবিহীন দুঃখ-কষ্ট-বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। সংকটের প্রতি বছরেই বেকার মানুষের বাহিনী বাড়তেই থাকে যে-পর্যন্ত-না তা পাঁচ কোটি লোকের বিস্ময়কর সংখ্যায় পৌঁছেছে। এর অর্থ এই যে, বর্তমান সংকট এমন সংখ্যক শ্রমিককে বেকারী ও ক্ষুধার সর্বপ্রকার পীড়নের মধ্যে ফেলেছে যার সংখ্যা তাদের পরিবারগুলোর সদস্যদের সহ সর্ববৃহৎ পুঁজিবাদী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোক সংখ্যাকেও অতিক্রম করে যায়। ১৯৩৬ সালের দিকে যখন সংকটের সর্বনিম্ন কাল অতিক্রান্ত হয়েছে, তখন ব্যাপক শ্রমিকদের অবস্থার কোন উন্নতি তো হয়ই নি, বরং, তার বিপরীতে, তাদের অবস্থা অব্যাহতভাবেই মন্দতর হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কর্মরত শ্রমিকদের বর্ধিত মাত্রায় শোষণ আর তাদের শ্রমের মাত্রাকে তীব্রতর করার বদৌলতে পুঁজিবাদী শিল্প-কারখানাগুলোতে উৎপাদনের কিঞ্চিৎ বৃদ্ধি হচ্ছে।
“অর্থনৈতিক মন্দাঘাতের বিক্ষুদ্ধ তরঙ্গ আর সামরিক-রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও সোভিয়েত ইউনিয়ন তার সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণ-কর্ম ও শান্তি অক্ষুন্ন রাখার সংগ্রাম অব্যাহত রেখে পর্বতসম অটলতা নিয়ে একাই দাঁড়িয়ে আছে। যখন পুঁজিবাদী দেশসমূহে অর্থনৈতিক সংকট এখনও ফুলে ফুলে উঠছে, তখন সোভিয়েত ইউনিয়নে অব্যাহত রয়েছে শিল্প ও কৃষি – উভয় ক্ষেত্রেই অগ্রগতি। যখন নয়া বিশ্বযুদ্ধের জন্যে, বিশ্বকে নতুন করে পুনর্বন্টনের ও প্রভাব-বলয় স্থাপনের জন্য পুঁজিবাদী দেশসমূহে অব্যাহত রয়েছে উন্মত্ত প্রস্তুতি, তখন যুদ্ধের ভীতির বিরুদ্ধে আর শান্তির সপক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়ন চালিয়ে যাচ্ছে তার পদ্ধতিগত ও অনমনীয় সংগ্রাম; আর এটা বলাই যেতে পারে না যে, এ ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রচেষ্টা পুরোপুরি অসফল হয়েছে।”[২]
রাশিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসানের পর, অর্থনৈতিক বিনির্মাণে উত্তরণের পর, লেনিন বলেছিলেন: “এখন আন্তর্জাতিক বিপ্লবের উপর আমরা আমাদের মূল প্রভাব প্রয়োগ করছি আমাদের অর্থনৈতিক নীতি দ্বারা”। এ থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্রের বিজয়ের বিপুল আন্তর্জাতিক গুরুত্ব সুস্পষ্ট। সংকটের যাঁতাকলে পতিত, ফ্যাসিবাদীদের জোয়ালে আবদ্ধ যন্ত্রণাকাতর পুঁজিবাদী দেশসমূহের শ্রমিকরা বিশ্ব সর্বহারা শ্রেণির পিতৃভূমি হিসেবেই সোভিয়েত ইউনিয়নকে দেখে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের সাফল্য পুঁজিবাদী দেশসমূহের শ্রমিকদের সংগ্রামের সাহস যোগায়। সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্রের বিশ্ব ঐতিহাসিক বিজয় সমূহ বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ক্ষেত্রে এক অসাধারণ উপাদান।
পুঁজিপতি শ্রেণি ও তার চেলাচামুণ্ডারা পুঁজিবাদী ব্যবস্থার নিয়তি নিয়ে উদ্বেগের সাথে চিন্তা-ভাবনা করতে শুরু করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণ আর পুঁজিবাদের অবক্ষয়ের মধ্যেকার মৌলিক পার্থক্য তথা বিরাট ব্যবধান এই সবকিছুই অত্যন্ত লক্ষণীয়। ভবিষ্যৎ কার – সমাজতন্ত্রের, না পুঁজিবাদের – এটাই হলো প্রশ্ন যা এখন সমাজতন্ত্রের শত্রুরা আরো বেশি করে নিজেদের জিজ্ঞেস করছে।
পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র – দুই বিশ্ব ব্যবস্থা অর্থাৎ, দুই সমাজ পদ্ধতির, মধ্যেকার সংগ্রাম – এটাই হলো আমাদের সময়ের কেন্দ্রীয় বিষয়। বিপরীত মেরুর বিরোধীয় দুই বিশ্ব পরস্পরের মুখোমুখী দাড়িয়ে আছে: একটি হলো সোভিয়েত ইউনিয়নের বুকে – শ্রমের বিশ্ব, শ্রমিক রাজত্বের বিশ্ব, সমাজতন্ত্রের বিশ্ব ; আরেকটি হলো অন্যান্য সকল দেশে – বুর্জোয়া শ্রেণির বিশ্ব, মুনাফা শিকারীদের বিশ্ব, বেকারত্ব ও ক্ষুধার বিশ্ব। সোভিয়েত ইউনিয়নে শ্রমিকদের পতাকায় উত্তীর্ণ শ্লোগান হলো: “যারা করবে না কাজ, তারা পাবে না খেতে”। বুর্জোয়াদের পতাকায় লেখা যেতে পারে: “মজুররা পাবে না খেতে”। এটা সুস্পষ্ট গোটা বিশ্বের সচেতন শ্রমিকরা সোভিয়েত ইউনিয়নকে তাদের সমাজতান্ত্রিক পিতৃভূমি বলেই বিবেচনা করে।
কিন্তু হিংসা আর নিপীড়নের পুঁজিবাদী ব্যবস্থা আপনা থেকেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না। কেবলমাত্র শ্রমিক শ্রেণির সংগামের ফলশ্রুতিতেই তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। যে পুঁজিবাদ বিপুলব্যাপক শ্রমিকদের কাছে হয়ে ওঠেছে অসহনীয়, সেই পুঁজিবাদকে সচেতন সর্বহারা শ্রেণির বৈপ্লবিক সংগ্রামই ঠেলে দিবে কবরে।
পুঁজিবাদ, না সমাজতন্ত্র – অর্থাৎ দুই বিশ্ব ব্যবস্থা হতে কোনটি বেছে নিতে হবে? সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে পূর্ণ গুরুত্ব নিয়েই দেখা দিয়েছিল এই প্রশ্ন – পুঁজিবাদ, না সমাজতন্ত্র? সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্রমবর্ধমান সাফল্য আর পুঁজিবাদের ক্রমবর্ধমান ভাঙ্গনের সাথে সাথে দুই বিশ্ব ব্যবস্থা হতে কোনটি বেছে নেবার প্রশ্ন আরো তীব্র হয়েই দেখা দিয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সপ্তদশ কংগ্রেসের প্রস্তাব ও সিদ্ধান্তাবলী, পৃঃ ৯, মস্কো, ১৯৩৪
২. জোসেফ স্তালিন, সিপিএসইউ’র সপ্তদশ কংগ্রেসে প্রদত্ত কেন্দ্রীয় কমিটির কাজ-কর্মের উপর রিপোর্ট, পৃঃ ৮, মস্কো, ১৯৩৪
৩. এ লিয়নতিয়েভ, মার্কসীয় রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র, সেরাজুল আনোয়ার অনূদিত, গণপ্রকাশন, ঢাকা, দ্বিতীয় সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০০৫, পৃষ্ঠা ১০-১২।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।