উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্ব (ইংরেজি Theory of Surplus Value) রয়েছে মার্কসবাদের অর্থনৈতিক মতবাদের মূলে। ভি আই লেনিন একে মার্কসের অর্থনৈতিক মতবাদের ভিত্তিপ্রস্তর বলে আখ্যায়িত করেন। মার্কসবাদের প্রধান রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ক রচনা পুঁজি গ্রন্থে এই তত্ত্ব উদঘাটিত হয়েছে। কার্ল মার্কসের মতবাদ অনুসারে, উদ্বৃত্ত মূল্য হচ্ছে শ্রমিকের নিজের শ্রম দ্বারা সৃষ্ট তাঁদের শ্রম-দামের থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি নতুন মূল্যের সমান, যে নতুন মূল্য উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় হলে মুনাফা হিসেবে পুঁজিপতি কর্তৃক শোষিত হয়।[১] এক কথায় পুঁজিবাদী উৎপাদন পদ্ধতিতে পণ্য বিনিময়ের ফলে পুঁজিপতির যে পরিমাণ পুঁজি বেড়ে যায় তাকে বলে উদ্বৃত্ত মূল্য।
পুঁজি গ্রন্থে মার্কস আবিষ্কার করেছেন পুঁজিবাদী উৎপাদন পদ্ধতির গতি ও বিকাশের নিয়ম, উদঘটন করেছেন পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। পুঁজিবাদী উৎপাদন পদ্ধতির এই নিয়মই হলো উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব। একে মার্কসবাদী রাজনৈতিক অর্থনীতির মহত্তম কৃতিত্ব বলা যায়। ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস উল্লেখ করেছেন যে, বর্তমান পুঁজিবাদী উৎপাদন-পদ্ধতির এবং এই পদ্ধতি যে বুর্জোয়া সমাজ সৃষ্টি করেছে তার গতির বিশেষ নিয়মটি খুঁজতে গিয়ে এতদিন পর্যন্ত সব বুর্জোয়া অর্থনীতিবিদ ও সমাজতন্ত্রী সমালোচক উভয়েরই অনুসন্ধান অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াচ্ছিল। কার্ল মার্কসের উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্ব আবিষ্কারের ফলে তার ওপর সহসা আলোকপাত করা সম্ভব হলো।[২]
উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্বে উদঘাটিত হয়েছে পুঁজিবাদী শোষণের রহস্য পুঁজিপতিদের পুঁজি বৃদ্ধির উৎস। মার্কস নিজেই লিখেছেন যে তাঁর গ্রন্থের সেরা জিনিস হলো উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব। এঙ্গেলসের মতে উদ্বৃত্ত মূল্যরূপ প্রশ্নটির সমাধানই হলো মার্কসের রচনার শ্রেষ্ঠতম ঐতিহাসিক কীর্তি। উদ্বৃত্ত মূল্যের এই মার্কসীয় সিদ্ধান্ত পুঁজিপতিদের শোষণের রহস্য উদঘাটন করেছে। এই কারণে পুঁজিবাদের ধ্বংসের জন্য, নতুন সাম্যবাদী সমাজ সৃষ্টির জন্য সংগ্রামরত শ্রমিকদের হাতে এই শিক্ষা এক বিশেষ অমূল্য অস্ত্র। এই জন্যেই উদ্বৃত্ত মূল্যের মার্কসীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বুর্জোয়া শ্রেণির এবং তাঁর বিজ্ঞ অনুচরদের এতো আক্রোশ। এই জন্যই এই সিদ্ধান্তকে ‘মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে’ এবং ‘বানচাল করতে’ তারা নিয়তই সচেষ্ট।[৩]
মুনাফা হলো শ্রমিকের অতিরিক্ত অর্থাৎ উদ্বৃত্ত শ্রমের ফল। যদি শ্রমিক প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা উৎপাদনে জড়িত থাকে, তবে তাঁরা রোজ ৫ ঘণ্টা ধরে তাঁদের মজুরির সমপরিমাণ মূল্য উৎপাদন করে এবং অন্যান্য ৫ ঘণ্টা ধরে উৎপন্ন করে উদ্বৃত্ত মূল্য, এই মূল্যই পুঁজিপতির পকেটে যায়। শ্রমের মজুরিবিহীন অংশই হলো উদ্বৃত্ত মূল্যের উৎস, সকল রকমের মুনাফার এবং অনুপার্জিত আয়ের উৎস। লেনিন লিখেছেন,
“রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এক উপরিকাঠামো যা একটি অর্থনৈতিক বুনিয়াদের উপর দণ্ডায়মান―একথা উপলব্ধির পর মার্কস তাঁর সবখানি মনোযোগ ব্যয় করেন এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পর্যালোচনায়। মার্কসের প্রধান রচনা ‘পুঁজি’তে আধুনিক, অর্থাৎ পুঁজিবাদী সমাজের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পর্যালোচিত হয়েছে।
মার্কসের পূর্বে চিরায়ত অর্থশাস্ত্রের উদ্ভব হয়েছিল পুঁজিবাদী দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিকশিত দেশে―ইংল্যান্ডে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অনুসন্ধান করে অ্যাডাম স্মিথ ও ডেভিড রিকার্ডো মূল্যের শ্রম-তত্ত্বের সূত্রপাত করেন। মার্কস তাঁদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি এ তত্ত্বকে আমূলরূপে সুসিদ্ধ এবং সুসংগতরূপে বিকশিত করেন। তিনি দেখান যে, পণ্যের উৎপাদনে সামাজিকভাবে আবশ্যক যে শ্রম সময় ব্যয় হয়েছে, তাই দিয়েই তার মূল্য নির্ধারিত হয়।
বুর্জোয়া অর্থনীতিবিদেরা যেখানে দেখছিলেন দ্রব্যের সঙ্গে দ্রব্যের সম্পর্ক (এক পণ্যের সঙ্গে অন্য পণ্যের বিনিময়) মার্কস সেখানে উদ্ঘাটন করলেন মানুষে মানুষে সম্পর্ক। পণ্য বিনিময়ের মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে বাজারের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন উৎপাদকদের পারস্পরিক সম্পর্ক। মুদ্রা থেকে সূচিত হচ্ছে যে সে সম্পর্ক ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, বিভিন্ন উৎপাদকদের সমস্ত অর্থনৈতিক জীবন বাঁধা পড়ছে একটি অবিচ্ছিন্ন সমগ্রতায়৷ পুঁজির অর্থ এই সম্পর্কের আরো বিকাশ: মানুষের শ্রম শক্তি পরিণত হচ্ছে পণ্যে৷ জমি, কলকারখানা ও শ্রমের হাতিয়ারপাতির মালিকের কাছে শ্রমিক তার শ্রমশক্তি বিক্রি করে। শ্রমদিনের এক অংশ সে খাটে তার সপরিবার ভরনপোষণের খরচা তোলার জন্য (মজুরি), বাকি অংশটা সে খাটে বিনামজুরিতে এবং পুঁজিপতির জন্য উদ্বৃত্ত মূল্য সৃষ্টি করে যা পুঁজিপতি শ্রেণির মুনাফা ও সম্পদের উৎস।
মার্কসের অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূল কথা হলো এই উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব।”[৪]
উদ্বৃত্ত মূল্যের মার্কসীয় তত্ত্ব মার্কসের মূল্য সম্বন্ধীয় তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। মূল্য সম্বন্ধীয় মার্কসীয় তত্ত্বকে সব রকমের বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন, কারণ শোষণ তত্ত্ব (ইংরেজি: Theory of Exploitation) গড়ে উঠেছে এরই ভিত্তিতে।
মার্কস পুঁজি বইয়ের ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আধুনিক সমাজের’, অর্থাৎ পুঁজিবাদী বুর্জোয়া সমাজের ‘গতির অর্থনৈতিক নিয়ম প্রকাশ করাই হচ্ছে এই গ্রন্থের চূড়ান্ত লক্ষ্য’[৫]। ঐতিহাসিকভাবে নির্দিষ্ট একটি বিশেষ সমাজের উৎপাদন-সম্পর্কের উদ্ভব, বিকাশ ও পতনের অনুসন্ধান করাই হলো মার্কসের অর্থনৈতিক মতবাদের বিষয়বস্তু। মার্কস পুঁজিবাদী সমাজ ও এর বিকাশের নিয়ম উদ্বৃত্ত মূল্যের নিয়ম বিশ্লেষণ শুরু করেন পণ্য থেকে। পুঁজিবাদে সবই পণ্যে পরিণত হয়। মানুষের শ্রম শক্তিও অবাধে কেনাবেচা হয়।[৬]
পুঁজিবাদের আগে সমস্ত যুগে দ্রব্য তৈরি হতো ব্যবহারের জন্য, বিনিময় করে মুনাফা করার জন্য নয়। বিনিময় যদিও কিছু পরিমাণে ছিলো, কিন্তু তা হতো এক পণ্য দিয়ে অন্য পণ্য পাবার জন্য, মুনাফার আশায় নয়। কিন্তু পুঁজিবাদের যুগে বিনিময়ের উদ্দেশ্য গেল বদলে। প্রধানত পুঁজিপতির হাতে বিনিময় মুনাফা করার উপায়ে পরিণত হয়। পণ্য উৎপাদনের একটা বিশেষ স্তরে মুদ্রা পরিণত হয় পুঁজিতে। পণ্য সঞ্চালনের সূত্র ছিলো পণ্য-মুদ্রা-পণ্য, অর্থাৎ একটি পণ্য ক্রয়ের জন্য অন্য পণ্য বিক্রয়। পক্ষান্তরে, পুঁজির সাধারণ সূত্র হলো মুদ্রা-পণ্য-মুদ্রা, অর্থাৎ মুনাফায় বিক্রয়ের জন্য ক্রয়। সঞ্চালনে ঢালা আদি মুদ্রা মূল্যের এই বৃদ্ধিটাকে মার্কস বলেছেন উদ্বৃত্ত মূল্য। পুঁজিবাদী সঞ্চালন ব্যবস্থায় মুদ্রার এই ‘বৃদ্ধির’ ঘটনাটা সুবিদিত। ঐতিহাসিকভাবে নির্দিষ্ট বিশেষ একটি সামাজিক উৎপাদন-সম্পর্ক হিসেবে যে পুঁজি, মুদ্রাকে সে পুঁজিতে পরিণত করে এই ‘বৃদ্ধিটাই’। কার্ল মার্কসের উদ্ধৃতি দিয়ে লেনিন লিখেছেন,
“পণ্য সঞ্চালন থেকে উদ্বৃত্ত মূল্যের সৃষ্টি হতে পারে না, কেননা পণ্য সঞ্চালনে শুধু তুল্যমূল্যেরই বিনিময় ঘটে থাকে; দর বাড়িয়ে দিলেও উদ্বৃত্ত মূল্যের সৃষ্টি হতে পারে না, কেননা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পারস্পরিক লাভ লোকসান কাটাকাটি হয়ে যাবে; অথচ এক্ষেত্রে প্রশ্নটা ব্যক্তিগত নয়, গড়পড়তা, ব্যাপক, সামাজিক একটা ঘটনা নিয়ে। উদ্বৃত্ত মূল্য পেতে হলে অর্থশালীকে অবশ্যই বাজারে এমন একটি পণ্য বের করতে হবে, যার ব্যবহার-মূল্যটাই মূল্যের উৎস হবার মতো একটা স্বকীয় গুণ রাখে[৬] _এমন একটি পণ্য যাকে ভোগ করার প্রক্রিয়াটাই হলো যুগপৎ মূল্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া। এরকম পণ্য কিন্তু সত্যিই আছে, এ হলো মানুষের শ্রমশক্তি। শ্রমশক্তির প্রয়োগ হচ্ছে শ্রম, আবার শ্রমই সৃষ্টি করে মূল্য। অর্থশালীরা শ্রমশক্তিকে কেনে তার মূল্য দিয়ে, অন্যান্য পণ্যের মূল্যের মতোই এ মূল্য নির্ধারিত হচ্ছে তার উৎপাদনের জন্যে সামাজিকভাবে প্রয়োজনীয় শ্রম সময় থেকে (অর্থাৎ সপরিবারে শ্রমিকের ভরণপোষণের খরচ থেকে)। শ্রমশক্তি ক্রয় করে অর্থশালীরা তাকে ব্যবহার করতে অধিকারী হয়, অর্থাৎ সারাদিনের জন্যে, ধরা যাক ১২ ঘণ্টার জন্যে, তাঁকে খাটাবার অধিকার অর্জন করে। ইতিমধ্যে ৬ ঘণ্টা সময়ে (প্রয়োজনীয় শ্রম-সময়ে) শ্রমিক তাঁর নিজের ভরণপোষণের খরচ পরিশোধ করবার মতো যথেষ্ট পণ্য উৎপাদন করে; এবং পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় (উদ্বৃত্ত শ্রম-সময়) সে উদ্বৃত্ত দ্রব্য বা মূল্য উৎপাদন করে। এর জন্য পুঁজিপতি তাঁকে কোনো মজুরি দেয় না।”[৭]
প্রাচীনকালে আদিম মানুষ যখন অতিকষ্টে ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতো, তখন মানুষে মানুষে সামাজিক বৈষম্য সম্ভবপর ছিলো না। উদ্বৃত্ত শ্রমের প্রচলনের ফলে বৈষম্যের উদ্ভবের, মানুষ কর্তৃক মানুষের শোষণের সম্ভাবনা দেখা দেয়। কারো কারো উদ্বৃত্ত শ্রম অপরের সুবিধা সৃষ্টি করে, অপরের কাজে লাগে। এই উদ্বৃত্ত শ্রমে উৎপন্ন দ্রব্য সমাজের উচ্চতর শ্রেণির করতলগত হয়। এই শ্রেণি নিম্নতর শ্রেণিসমূহকে শোষণ করে।
অনুরূপ পরিস্থিতি পুঁজিবাদী সমাজেও বজায় থাকে। এ কথা সত্য যে, দাস, সামন্ত এবং পুঁজিবাদী সমাজে শোষণের রূপ পরিবর্তিত হলেও শোষণ থাকেই। শাসকশ্রেণি কর্তৃক সমগ্র সমাজের উদ্বৃত্ত শ্রম ও উদ্বৃত্ত মূল্য আত্মসাৎ করা হচ্ছে সেই শোষণ। পুঁজিবাদী উৎপাদন সম্পর্ক হলো শ্রমশক্তির কেনাবেচার সম্পর্ক। এ সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেই মার্কস উদ্বৃত্ত মূল্যের ধারনা আবিষ্কার করেন। পুঁজিপতি শ্রমিকের শ্রম-সময়ের একটা অংশ অর্থাৎ আবশ্যক শ্রম কিনে নেয়। আর শ্রমিক তা বেচে দেয় মজুরির বিনিময়ে। এ অংশের জন্য শ্রমিক মূল্য পায়। কিন্তু শ্রম-সময়ের অন্য অংশ অর্থাৎ বাড়তি শ্রমের জন্য শ্রমিক কোনো মূল্য পায় না। এ বাড়তি শ্রমের দ্বারা সৃষ্ট বাড়তি মূল্য বা উদ্বৃত্ত মূল্য পুঁজিপতি আত্মসাৎ করে এবং তার মাধ্যমে শ্রমিককে শোষণ করে। পুঁজিপতি কর্তৃক উদ্বৃত্ত মূল্য আত্মসাৎ এবং শ্রমিক শোষণ পুঁজিবাদী উৎপাদন পদ্ধতির অনিবার্য পরিণতি।[৮]
তথ্যসূত্র ও টিকা:
১. কার্ল মার্কস, পুঁজি, অধ্যায় আট, স্থির পুঁজি ও অস্থির পুঁজি, প্রথম খণ্ড প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ২৬০-২৬১
২. ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, কার্ল মার্কসের সমাধিপার্শ্বে বক্তৃতা, ১৮৮৩ সালের ১৭ মার্চ লন্ডনের হাইগেট সমাধিক্ষেত্রে এঙ্গেলসের ইংরেজিতে প্রদত্ত বক্তৃতা, কার্ল মার্কস এবং ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, রচনা সংকলন, দুই খণ্ডে সম্পূর্ণ, দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, পৃষ্ঠা ১৬৪-৬৬
৩. এ লিয়েনতিয়েভ, মার্কসীয় অর্থনীতি, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, সেপ্টেম্বর ২০১৪, পৃষ্ঠা ৫৩
৪. লেনিন, মার্কসবাদের তিনটি উৎস ও তিনটি অঙ্গ, মার্চ ১৯১৩, মার্কস-এঙ্গেলস-মার্কসবাদ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭৫, পৃষ্ঠা ৫৬
৫. কার্ল মার্কস, পুঁজি, প্রথম জার্মান সংস্করণের পূর্বভাষ, প্রথম খণ্ড প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ২১
৬. দেখুন, কার্ল মার্কস, পুঁজি, চতুর্থ পরিচ্ছেদ, অর্থের পুঁজিতে রূপান্তর, শ্রমশক্তির ক্রয় ও বিক্রয়, প্রথম খণ্ড প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ২১৫
৭. ভি আই লেনিন, কার্ল মার্কস, জুলাই-নভেম্বর, ১৯১৪, মার্কস-এঙ্গেলস-মার্কসবাদ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭৫, পৃষ্ঠা ২২-২৩
৮. এই বিষয়ে আরো দেখুন, হারুন রশীদ, মার্কসীয় দর্শন, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০০৭, পৃষ্ঠা ২৮-৩১। প্রবন্ধটি আমার [অনুপ সাদি] রচিত ভাষাপ্রকাশ থেকে ২০১৬ সালে প্রকাশিত মার্কসবাদ গ্রন্থের ৩৭-৪৪ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং এখানে প্রকাশিত।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।