পুঁজিবাদ হচ্ছে মানবেতিহাসে পণ্য সম্পর্কের সামাজিক স্তর

উৎপাদনের উপকরণের ব্যক্তিগত মালিকানা ও পুঁজি কর্তৃক ভাড়াটে শ্রমের শোষণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক-অর্থনৈতিক গঠনরূপ হচ্ছে পুঁজিবাদ (ইংরেজি: Capitalism)। এটি ইতিহাসের একটি সামাজিক স্তর। এই ব্যবস্থায় উৎপাদনের লক্ষ্য থাকে বিক্রয়, দ্রব্যের ব্যবহার করা নয়। বাজার এখানে শ্রমশক্তিকে পণ্য হিসেবে কেনা বেচার ব্যবস্থা করে এবং এই কেনাবেচায় অর্থ, মজুরি ও বেতন থাকে মাধ্যম। সামাজিক প্রয়োজন বা সম্পত্তি-নিরপেক্ষ উৎপাদনকারীর দ্বারাই উৎপাদন সাধিত হয়। ব্যক্তি বা রাষ্ট্র এই উৎপাদন পদ্ধতির মালিক হতে পারে।

সামন্তবাদ বিলোপের যুগে মোটামুটি ষোল শতকে পুঁজিবাদের উদ্ভব ঘটে, এর উৎপত্তি পুঁজির আদি সঞ্চয়নের সাথে জড়িত। পুঁজিবাদ বিকশিত হয় সরল পণ্য উৎপাদনের ভিত্তিতে। শ্রমশক্তি পণ্যে পরিণত হলে পুঁজিবাদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। উদ্বৃত্ত মূল্য উৎপাদন ও আত্মসাৎ হচ্ছে পুঁজিবাদের প্রধান অর্থনৈতিক নিয়ম। প্রতিযোগিতা পুঁজিপতিদের অনবরত পুঁজি বাড়াতে ও উৎপাদনের উৎকর্ষসাধনে বাধ্য করে। এর ফলে উৎপাদিকা শক্তির দ্রুত বিকাশ ঘটে এবং পুঁজিবাদের প্রধান বিরোধ তথা উৎপাদনের সামাজিক চরিত্র ও তার ফলভোগের ব্যক্তিগত পুঁজিবাদী রূপের বিরোধটি তীব্রতর হয়। কালে কালে আবির্ভূত অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পুঁজিবাদের বিরোধ প্রকাশ পায়।[১]

পুঁজিবাদে যে প্রতিযোগিতা থাকে তাই এক পুঁজিপতি থেকে অন্য পুঁজিপতিকে উন্নততর উৎপাদন ব্যবস্থার আশ্রয় নিতে প্রণোদিত করে। এই অর্থে পুঁজিবাদে উৎপাদন শক্তি বাড়তে থাকে। পরিশেষে তা আপন সংকটে জড়িয়ে পড়ে। তখন প্রয়োজন হয় নতুন উৎপাদন ব্যবস্থার। সে হিসেবে পুঁজিবাদ তার পূর্ববর্তী সমাজ থেকে সার্বিক অগ্রগতি।কিন্তু এই অগ্রগতি সহজে ঘটেনি। অনেকগুলো কৃষক বিদ্রোহ এবং উৎপাদনের নতুন পদ্ধতির অজেয় শক্তি সামন্তবাদকে ক্রমান্বয়ে উৎখাত করে এক নতুন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে যার নাম পুঁজিবাদ। পুঁজিবাদ তার আধুনিক রূপে দেখা গেছে রেনেসাঁস আমলে কৃষিভিত্তিক পুঁজিবাদ এবং বণিকবাদ (ইংরেজি mercantilism) আবির্ভূত হওয়ার সময় থেকে। ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে পুঁজিবাদ তার শক্তিমত্তা জানান দিয়েছিল এবং বিজয় অর্জন করেছিল সামন্তবাদের উপর। কার্ল মার্কস ফরাসি বিপ্লব সম্পর্কে লিখেছেন,

“১৬৪৮ ও ১৭৮৯-এর বিপ্লব ইংরেজদের অথবা ফরাসিদের বিপ্লব নয়। এগুলি হলো ইউরোপীয় ছকে বিপ্লব। পুরনো রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে সমাজের কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির জয়লাভ এগুলো ছিলো না; এগুলি হলো নতুন ইউরোপীয় সমাজেরই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ঘোষণা। এই বিপ্লবগুলিতে বুর্জোয়ারা বিজয়ী হয়েছিলো, কিন্তু বুর্জোয়াদের এই বিজয় তখন ছিলো একটি নতুন সমাজব্যবস্থার বিজয়, সামন্ত সম্পত্তির বিরুদ্ধে বুর্জোয়া সম্পত্তির বিজয়; প্রাদেশিকতার বিরুদ্ধে জাতিসত্তার, গিল্ড-এর বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতার, সম্পত্তিতে জ্যেষ্ঠের অধিকারের বিরুদ্ধে সম্পত্তি-বিভাগের, মালিকের উপর জমির আধিপত্যের বিরুদ্ধে জমির মালিকের, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে জ্ঞানালোকের, পারিবারিক উপাধির বিরুদ্ধে পরিবারের, বীরোচিত আলস্যের বিরুদ্ধে শ্রমশীলতার, এবং মধ্যযুগীয় বিশেষ সুবিধাভোগের বিরুদ্ধে আধুনিক নাগরিক আইনের বিজয়।”[২]

পুঁজিবাদী উদ্যোগে শ্রমপ্রক্রিয়ার দুটি স্বকীয় বৈশিষ্ট্য থাকে। প্রথমত পুঁজিপতির নিয়ন্ত্রণে শ্রমিকরা কাজ করে এবং দ্বিতীয়ত উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন পণ্যে পুঁজিপতির মালিকানা বর্তায়, সে কোন পণ্য, কতটা ও কীভাবে উৎপন্ন হবে তাও নির্ধারণ করে। পুঁজিবাদের আওতায় শ্রমপ্রক্রিয়ার এই সুনির্দিষ্ট দিকগুলো মজুরি শ্রমিকের শ্রমকে একজন ক্রীতদাসের নির্যাতনমূলক শ্রমে রূপান্তরিত করে। পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থার মধ্যে শ্রমিকের স্থায়ী শোষণের পরিবেশটি গড়ে উঠেছে। শ্রমিক সেখানে হয়ে পড়ে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বন্দি। কার্ল মার্কস লিখেছেন,

“সুতরাং পুঁজিবাদী উৎপাদন আপনা থেকেই শ্রমশক্তি ও শ্রমের উপকরণের মধ্যে বিছিন্নতাকে পুনরুৎপাদন করে। এই প্রথা তাই শ্রমিককে শোষণ করার শর্ত পুনরুৎপাদন ও স্থায়ী করে। এই প্রথা অবিরত তাকে বাঁচার জন্য নিজের শ্রমশক্তি বিক্রয় করতে বাধ্য করে, এবং পুঁজিপতিকে সমর্থ করে নিজেকে আরো ধনী করার জন্য শ্রমশক্তি কিনতে। এটা আর কোনো আকস্মিক ঘটনা নয় যে, পুঁজিপতি ও শ্রমিক বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা রূপে পরস্পরের সম্মুখীন হয়। এই প্রক্রিয়ায়ই অবিরাম শ্রমিককে তার নিজের শ্রমশক্তির বিক্রেতা রূপে বাজারে ঠেলে ফেরত পাঠাচ্ছে, এবং এই প্রক্রিয়াই তার নিজের উৎপাদকে এমন এক উপায়ে পরিণত করছে যার সাহায্যে অন্য একজন লোক তাকে কিনে নিতে পারে। বাস্তবে, শ্রমিক নিজেকে পুঁজির কাছে বিক্রি করে দেবার আগেই পুঁজির অধিকারভুক্ত। কিছুদিন পরে পরে নিজেকে বিক্রি করা, তার প্রভু বদল, এবং শ্রমশক্তির বাজার দাম ওঠানামার দ্বারা তার এই দাসত্ববন্ধন সৃষ্টি হয়, আবার ঢাকাও থাকে।”[৩]

পুঁজিবাদী সমাজে শাসকশ্রেণি বুর্জোয়ারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে উৎপাদনের উপকরণগুলোর মালিক। অথচ এখানে উৎপাদন শক্তিগুলো পুরোপুরি সমাজিকৃত, তার কাজকারবার চলে বিশ্ববাজারে। পুঁজিবাদের উদ্ভবের জন্য দুটো প্রধান শর্ত লাগে, প্রথমটি হচ্ছে অল্প কিছু লোকের হাতে সম্পদের সঞ্চয়ন এবং পরেরটি হচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষের নিঃস্ব হয়ে যাওয়া, যারা ব্যক্তিগতভাবে স্বাধীন হলেও এদের না থাকে উৎপাদনের উপকরণ না থাকে জীবনধারণের উপায়। ফলে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ পুঁজিবাদী সমাজে মজুরি-দাস হয়ে যায় যাদেরকে এঙ্গেলস ও মার্কস শিল্পসংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত বাহিনী (ইংরেজি Industrial Reserve Army) বা আপেক্ষিক উদ্বৃত্ত জনসংখ্যা[৪] বলেছেন। পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থার চরিত্রের মধ্যেই রয়েছে পুঁজির ক্রমাগত বৃদ্ধির অনিবার্যতা। কার্ল মার্কস লিখেছেন,

“একমাত্র মূর্তিমান পুঁজি হিসেবেই পুঁজিপতি সম্মানীয়, এভাবে সে ধন হিসেবে ধনের প্রতি কৃপণের প্রবল আসক্তির শরিক। কিন্তু কৃপণের পক্ষে যা খেয়ালমাত্র, পুঁজিপতির পক্ষে তা হলো সমাজ-যন্ত্রের ক্রিয়া, যে সমাজ-যন্ত্রের সে একটি চাকামাত্র। উপরন্তু, পুঁজিবাদী উৎপাদনের বিকাশ একটি নির্দিষ্ট শিল্পে নিয়োজিত পুঁজির পরিমাণ অবিরত বৃদ্ধি করে যাওয়াকে প্রয়োজনীয় করে তোলে, আর প্রতিযোগিতা প্রতিটি বিশেষ পুঁজিপতিকে পুঁজিবাদী উৎপাদনের সহজাত নিয়মগুলিকে এমনভাবে অনুভব করায় যেন তারা কতকগুলি বহিরাগত উৎপীড়নকারী নিয়ম। প্রতিযোগিতা তাকে বাধ্য করে তার পুঁজিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তাকে অবিরত প্রসারিত করে চলতে, কিন্তু একমাত্র ক্রমবর্ধমান হারে সঞ্চয়নের সাহায্যে ছাড়া সে তা প্রসারিত করতে পারে না।”[৫]

পুঁজিবাদী সমাজের এক মেরুতে সম্পদ, বিলাস ও অবসর বৃদ্ধি অনিবার্যভাবে শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, প্রলেতারিয়েতের সংখ্যা ও বেকারি বাড়ায় এবং মেহনতিদের অবস্থার অবনতি ঘটায়। পুঁজিবাদী সঞ্চয়নের এই সাধারণ নিয়মের আবিস্কারক ও রূপকার কার্ল মার্কস বলেছিলেন,

“যত বৃদ্ধি পায় সামাজিক সম্পদ, চলমান পুঁজি, তার বৃদ্ধির পরিসর ও কর্মশক্তি, এবং ফলত প্রলেতারিয়েতের চূড়ান্ত সংখ্যা ও তার শ্রমের উৎপাদনশীলতা, ততই বৃদ্ধি পায় শিল্পের সংরক্ষিত বাহিনী। … কিন্তু সক্রিয় শ্রমিক বাহিনীর অনুপাতে এই সংরক্ষিত বাহিনীর আয়তন যতই বেশি হয়, ততই বেশি হয় সংহত উদ্বৃত্ত জনসংখ্যার পরিমাণ, এই উদ্বৃত্ত জনসংখ্যার দুর্দশা তার শ্রম-যন্ত্রণার বিপরীত অনুপাতে হয়। শেষে, শ্রমিক শ্রেণির ও শিল্পসংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত বাহিনীর ভিক্ষুক স্তরগুলো যত বিস্তৃত হয়, সরকারিভাবে স্বীকৃত নিঃস্বতা তত বাড়ে। এই হলো পুঁজিবাদী সঞ্চয়নের অনাপেক্ষিক সাধারণ নিয়ম।”[৬]

পুঁজিবাদী উৎপাদন স্বতঃস্ফূর্ত ও এলোমেলোভাবে বিকশিত হতে চায় এবং তাতে অর্থনীতির একক ক্ষেত্র ও শাখাগুলোর বিকাশে অসামঞ্জস্য দেখা দেয় এবং এর ফলে বিপুল লোকসান, উৎপাদনের ধারায় মারাত্মক বিঘ্ন ও অর্থনৈতিক সংকট ঘটে। এগুলো হচ্ছে উৎপাদন ও পরিভোগের বিপর্যয় ঘটার কুফল।[৭] পুঁজিবাদে শিল্প পরিকল্পনাহীন বিশৃঙ্খলভাবে মুনাফার জন্য ঘোড়দৌড়ের দরুন উৎপাদনের সীমাহীন সম্প্রসারণের ঝোঁক দেখা দেয়। কিন্তু পুঁজিবাদী সম্পর্কগুলো ঝোঁকের সামনে অলঙ্ঘনীয় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। পুঁজির শোষণের ফলে বিশাল প্রলেতারিয়েত জনগণের ভোগের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।

পুঁজিবাদের আওতায় বিক্রয়ের পরিস্থিতির সঙ্গে উৎপাদনের পরিস্থিতির সমন্বয় ঘটে না। মুনাফার বন্য তাড়নার ফল হিসেবে পুঁজি সঞ্চয়ন পণ্যদ্রব্যের উৎপাদন এতোটা বাড়িয়ে তোলে যে বাজার তা গ্রহণে বা আত্মীকরণে ব্যর্থ হয়, প্রকৃত মজুরির পরিসর মেহনতিদের ভোগ্যপণ্যের চাহিদা সীমিত করে রাখে। সত্যিকারের সকল সংকটের চূড়ান্ত কারণ সর্বদাই নিহিত থাকে দারিদ্র ও জনগণের সীমিত পরিভোগে। সংকট দেখা দেয় উৎপন্ন পণ্য বিক্রি না হওয়ার দরুন এবং এজন্য নয় যে জনগণের তা প্রয়োজন নেই, আসলে মেহনতিদের এগুলো ক্রয়ের ক্ষমতা থাকে না। পুঁজিবাদের এই অর্থনৈতিক সংকট অনিবার্য ও অপরিহার্য। এই সংকট জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি পুঁজিবাদের নিত্যসঙ্গী।[৮]

পুঁজিবাদের আকারগত চরিত্র দেখে এর বৈশিষ্ট্য সঠিক উপলব্ধি করা যায় না। দাস যুগে ক্রীতদাসের সমস্ত শ্রমই প্রতিভাত হয় দাম-না- দেয়া শ্রম হিসেবে। বিপরীত দিকে, মজুরি-শ্রম প্রথায়, উদ্বৃত্ত শ্রম বা দাম-না-দেয়া শ্রমকেও দাম-দেয়া শ্রম বলে মনে হয়। আর এ থেকেই সৃষ্টি হয় বিভ্রান্তির। কার্ল মার্কস লিখেছেন,

“এই যে বস্তুগত রূপ প্রকৃত সম্পর্ককে অদৃশ্য করে রাখে, এবং, বস্তুত, সেই সম্পর্কের ঠিক বিপরীতটাই দেখায়, সেই রূপটিই শ্রমিক ও পুঁজিপতি সম্পর্কে সমস্ত আইনগত ধারণার, পুঁজিবাদী উৎপাদন-প্রণালী সম্পর্কে সমস্ত হেঁয়ালি সৃষ্টির, স্বাধীনতা সম্পর্কে সমস্ত মোহের, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য স্থূল অর্থনীতিবিদদের সমস্ত ছলের ভিত্তি।”[৯]

পুঁজিবাদ হলও সেই সমাজ সংগঠন যাতে পণ্য সম্পর্ক, অর্থাৎ কেনাবেচার সম্পর্ক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ে। এখানে পরিবার ও রাষ্ট্র থাকে। তবে পরিবার ক্রমাগত ক্ষুদ্র নিঃসঙ্গ পর্যায়ে নিছক বাণিজ্যিক বোঝাপড়ার জায়গায় গিয়ে ঠেকে। রাষ্ট্র এখানে জবরদস্তির হাতিয়ারগুলো ধরে রাখে।তবে ক্রমেই সে বাণিজ্যিক স্বার্থের খপ্পরে পড়ে, তার কার্যক্রম সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে সেবা কেনাবেচার দালালিতে গিয়ে ঠেকে।[১০]

তথ্যসূত্রও টিকা:

১. সোফিয়া খোলদ, সমাজবিদ্যার সংক্ষিপ্ত শব্দকোষ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৯০, পৃষ্ঠা ৮৩-৮৪
২. কার্ল মার্কস, বুর্জোয়া শ্রেণি ও প্রতিবিপ্লব, ১১ ডিসেম্বর ১৮৪৮, মার্কস এঙ্গেলস রচনা সংকলন, প্রথম খণ্ড দ্বিতীয় অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৬০।
৩. কার্ল মার্কস, পুঁজি, প্রথম খণ্ড, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, দ্বিতীয় অংশ, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ৯৪-৯৫
৪. এই বিষয়ে পড়ুন, কার্ল মার্কসের পুঁজি, প্রথম খণ্ডের ২৫ অধ্যায়ের তৃতীয় পরিচ্ছেদ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, দ্বিতীয় অংশ, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ১৫৭-৭১।
৫. কার্ল মার্কস, পুঁজি, প্রথম খণ্ড, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, দ্বিতীয় অংশ, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ১১২
৬. কার্ল মার্কস, পুঁজি, প্রথম খণ্ড, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, দ্বিতীয় অংশ, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ১৭৫
৭. আ. বুজুয়েভ, পুঁজিতন্ত্র কী, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ৮৮-৮৯
৮. আ. বুজুয়েভ, পুঁজিতন্ত্র কী, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ৮৮-৮৯
৯. কার্ল মার্কস, পুঁজি, প্রথম খণ্ড, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, দ্বিতীয় অংশ, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ৪৯
১০. কার্ল মার্কস, ইহুদি প্রশ্নে, ভাষান্তর জাভেদ হুসেন, সংহতি, ফেব্রুয়ারি, ২০০৯, পৃষ্ঠা ৭৫-৭৬। প্রবন্ধটি আমার [অনুপ সাদি] লিখিত ভাষাপ্রকাশ ঢাকা থেকে ২০১৬ সালে প্রকাশিত মার্কসবাদ গ্রন্থের ৬৮-৭৫ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরে ডট কমে ১২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত। সেখান থেকে লেখাটি ১ জুলাই ২০২২ তারিখে ফুলকিবাজ ডট কমে পুনরায় প্রকাশ করা হলো। প্রবন্ধটির রচনাকাল ১৯ মে ২০১৫।

Leave a Comment

error: Content is protected !!