পুঁজি (ইংরেজি: Capital) হচ্ছে উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের একটি উপাদান। সম্পদ বৃদ্ধির জন্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে জমি, যন্ত্র, শ্রম এবং পুঁজি এই চারটি উপাদান প্রধান। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ‘পুঁজি’ শব্দ দ্বারা নতুন পণ্য ক্রয়ের আর্থিক সামর্থ্য বোঝায়। এরূপ অর্থে পুঁজি বলতে কেবল টাকা নয়, মালিকের মালিকানাধীন দালানকোঠা, জমি, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী বোঝাতে পারে।[১]
মার্কসবাদী অর্থনৈতিক ব্যাখ্যায় ‘পুঁজির আসল কাজ হলো বাড়তি পণ্য অর্থাৎ বাড়তি মূল্য সৃষ্টি করা এবং এই কাজ দিয়েই তার পরিচয়’। কাজেই ‘যে কোনো উৎপাদন যন্ত্র বা উপায় বাড়তি মূল্য তৈরির কাজে নিয়োজিত হলে তাকে আমরা বলতে পারি পুঁজি। … পুঁজিকে আবার দু’রকমভাবে ভাগ করা যায়, পরিবর্তনশীল ও অপরিবর্তনশীল পুঁজি। কারখানা মালিক তার পুঁজির দিয়ে দুরকম জিনিস কেনে; এক হচ্ছে শ্রমশক্তি, আর এক হচ্ছে সুতো, কাঁচামাল, কলকব্জা ইত্যাদি। সুতো, কাঁচামাল, কলকব্জা ইত্যাদির মূল্য যত ছিল ঠিক ততটাই উৎপাদিত পণ্যের ভেতর চলে যায়, এদের মূল্যের কিছু পরিবর্তন হয় না। এই জন্য এদের বলে অপরিবর্তনশীল পুঁজির বা Fixed Capital. পুঁজির অন্য ভাগ যা শ্রমশক্তির জন্য খরচ হয় তা কিন্তু পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। এই জন্য একে বলে পরিবর্তনশীল পুঁজির বা Variable Capital.[২]
পুঁজিই অর্থ এবং পুঁজিই পণ্য … মূল্য হওয়ার দরুন এটি নিজের মূল্য বাড়াবার যাদুময় ক্ষমতার অধিকারী। তা জীবন্ত বাচ্চা দেয় অথবা অন্ততপক্ষে সোনার ডিম পাড়ে[৩]। পুঁজি কথার ভেতরেই অনেক কথা লুকিয়ে আছে। কার্ল মার্কস লিখেছেন,
“পুঁজি অপরিহার্যভাবে একজন পুঁজিপতি; কিন্তু সাধারণভাবে একই সময়ে উৎপাদনই পুঁজি, যেন পুঁজিপতির অস্তিত্বের মধ্যে সেটি এমন এক উপাদান যা পুঁজিপতির থেকে কিছুটা স্বতন্ত্রও। এভাবে পরবর্তীতে আমরা পাবো পুঁজি শব্দটি, যেটি অন্তর্ভুক্ত করে এমন কিছু যা স্পষ্টভাবে ধারণাটির সাথে অঙ্গীভূত নয়।”[৪]
পণ্যের সঞ্চলন হলো পুঁজির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ‘পণ্যের সঞ্চলনই পুঁজির যাত্রাবিন্দু’[৫]।কৃপণ পুঁজি সঞ্চয় করে জমিয়ে, পুঁজিপতি পুঁজি সঞ্চয় করে অর্থসঞ্চলনের মধ্য দিয়ে। কার্ল মার্কস লিখেছেন,
“ধনসম্পত্তির জন্য এই অপরিসীম লালসা, বিনিময়-মূল্যের পিছনে এই উন্মত্ত ছুটোছুটি, পুঁজিপতি ও কৃপণ উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়, কিন্তু কৃপণ যেখানে কেবলমাত্র অপ্রকৃতিস্থ পুঁজিপতি, পুঁজিপতি সেখানে বুদ্ধিমান কৃপণ। কৃপণ অবিরাম মূল্য বাড়াবার চেষ্টা করে তার অর্থকে সঞ্চলন থেকে বাঁচিয়ে, কিন্তু অধিকতর সুক্ষবোধসম্পন্ন পুঁজিপতি সেই উদ্দেশ্যই হাসিল করে তার অর্থকে বারবার সঞ্চলনের মধ্যে ছুঁড়ে দিয়ে।”[৬]
পুঁজিবাদী সমাজে উৎপাদনের উপায়সমূহের কেনাবেচা হয় বলে তারা পণ্য। এই সমাজে পণ্যের মূল্যও আছে এবং মুদ্রায় পরিবর্তিত হতে পারে। অপরপক্ষে মুদ্রার বিনিময়ে লোকে, সর্বদাই উৎপাদনের উপায় পেতে অর্থাৎ ক্রয় করতে পারে। অতএব, অন্য কথায় বলতে গেলে, পুঁজি হচ্ছে সেই মূল্য যা মজুরি শ্রমকে শোষণ করে উদ্বৃত্ত মূল্য আনতে সক্ষম। কিন্তু মূল্য হচ্ছে ঘনীভূত শ্রম ব্যতীত আর কিছুই নয়। শ্রমের পরিণতিই হলো মূল্য; মূল্য হলো ব্যয়িত নিঃশেষিত শ্রম।[৭] এই জন্যেই মার্কস বলেন, ‘পুঁজি হচ্ছে মৃত শ্রম’।
“কিন্তু রক্তচোষা বাদুড়ের মতো তা শুধু জীবন্ত শ্রম শুষেই বেঁচে থাকে এবং যত বেশি শ্রম শোষে, তত বেশি বাঁচে। শ্রমিক যে সময়টা কাজ করে সেই সময়টুকুতেই পুঁজিপতি তার কাছে কেনা শ্রমশক্তি ভোগ করে।”[৮]
পুঁজির নানা চরিত্র, বিভিন্ন রূপ। এটি কোনো অচেতন পদার্থ নয়, বরং পুঁজি একটি নির্দিষ্ট সামাজিক সম্বন্ধ। বুর্জোয়া শ্রেণির হস্তগত উপায়গুলি এবং অন্যান্য সকল প্রকার পণ্য স্বতঃই পুঁজি নয়। কেবলমাত্র এক বিশেষ সমাজব্যবস্থা এই সমস্ত পদার্থকে শোষণের উপায়ে পরিণত করে, যে সামাজিক সম্বন্ধকে আমরা পুঁজি বলি, তার বাহনেই সেগুলোকে রূপান্তরিত করে। পুঁজি হচ্ছে সমাজের একটি নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক গঠনের অন্তর্গত একটা নির্দিষ্ট সামাজিক উৎপাদন-সম্পর্ক, যা প্রকাশ পায় একটা সামগ্রীর মধ্যে এবং তাকে দেয় একটি বিশেষ সামাজিক চরিত্র। অর্থাৎ ‘পুঁজি হচ্ছে ইতিহাস কর্তৃক নির্দিষ্ট এক বিশেষ সামাজিক উৎপাদন সম্বন্ধ। উৎপাদনের উপায়ের যারা মালিক সেই শ্রেণি এবং উৎপাদনের উপায় থেকে বঞ্চিত হয়ে যারা শোষণ বরদাশত করতে বাধ্য হয় সেই শ্রেণি, পুঁজি হচ্ছে এই দুই শ্রেণির মধ্যকার সামাজিক সম্পর্ক।[৯] কার্ল মার্কস লিখেছেন,
“পুঁজি উৎপাদনের বস্তুগত ও উৎপাদিত উপায়সমূহের যোগফল নয়। পুঁজি বরং উৎপাদনের সেই উপায়সমূহ, যেগুলি রূপান্তরিত হয়েছে পুঁজিতে, যেগুলি নিজেরা পুঁজি নয়, যেমন সোনা বা রূপা নিজে অর্থ নয়। পুঁজি হচ্ছে সমাজের একটি অংশের দ্বারা একচেটিয়াকৃত উৎপাদন-উপায়ের সম্ভার, যা মুখোমুখি হয় জীবন্ত শ্রমশক্তির সংগে_ ঠিক এই শ্রমশক্তি থেকেই স্বতন্ত্রীকৃত উৎপন্ন দ্রব্যাদি ও কাজের শর্তাবলি হিসাবে, যেগুলি ব্যক্তিরূপে রূপায়িত হয় পুঁজির মধ্যে এই প্রতিবিশ্লেষণের (‘অ্যান্টিথিসিস’-এর) মাধ্যমে। তা কেবল শ্রমিকদের উৎপন্ন সামগ্রীই নয়_ যেগুলি পরিণত হয়েছে স্বতন্ত্র শক্তিতে নিজেদের উৎপাদনকারীদের শাসক এবং ক্রেতা হিসাবে উৎপন্ন সামগ্রীই নয়, পরন্তু সামাজিক শক্তি এবং এই শ্রমের ভবিষ্যৎ … রূপও, যা শ্রমিকদের মুখোমুখি হয় তাদের উৎপন্ন দ্রব্যাদির গুণাবলি হিসাবে। তাহলে এখানে আমরা পাই একটি ঐতিহাসিকভাবে উৎপাদিত সামাজিক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিবিধ উপাদানের মধ্যে একটি উপাদানের একটি নির্দিষ্ট, এবং প্রথম দৃষ্টিতে, অতি কুহেলিকাময় রূপ।”[১০]
উদ্বৃত্ত মূল্যের একটা অংশ খরচ হয় পুঁজিপতির ভোগের জন্য, অন্য অংশটা খাটানো হয় পুঁজিরূপে। যে অংশটা মালিক পুঁজি হিসেবে খাটায় তাকে বলা চলে সঞ্চিত অংশ। আর সঞ্চয় মানেই হলও সমাজ বিত্তকে ক্রমেই আয়ত্বের ভেতর আনা। পুঁজিপতি কৃপণের মতো করে ধনবান হয় না। যত কম ভোগ করে বাঁচাবে, ততো বেশি কৃপণের ধন বাড়বে। কিন্তু পুঁজিপতি বেশি ধনী হবে, যতো বেশি শ্রমিককে সে শোষণ করতে পারবে এবং তাকে সম্ভোগ থেকে বঞ্চিত রাখতে পারবে।
সঞ্চয়ের জন্যই সঞ্চয় কর, উৎপাদনের জন্যই উৎপাদন কর— এই হলো ধ্রুপদি অর্থনীতি বর্ণিত বুর্জোয়াদের একমাত্র সূত্র। প্রলেতারিয়েত যদি হয় উদ্বৃত্ত মূল্য উৎপাদনের যন্ত্র, পুঁজিপতি তবে এই উদ্বৃত্ত মূল্যকে পুঁজিতে পরিণত করার একটা উপায়। তাই পুঁজির সঞ্চয় হলো শোষণের বিস্তার।
“সঞ্চয় করা মানে সামাজিক ধনের জগতকে জয় করা, তার দ্বারা শোষিত মানুষের সংখ্যা বাড়ানো, এইভাবে পুঁজিপতির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভুত্বের প্রসার করা।”[১১]
পুঁজি শ্রমিককে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে। পুঁজিবাদের প্রসারের সংগে সংগে উদ্বৃত্ত জনসংখ্যা বাড়তেই থাকে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা পুঁজিবাদী উৎপাদন প্রসূত ঘটনা হলেও তা আবার পুঁজিবাদের প্রসারেরও একটা কারণ। শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ায় পুঁজিপতিরা ইচ্ছামতো তাদের কারখানায় নিযুক্ত করে শ্রমিকদের মজুরি কমিয়ে মুনাফা বাড়িয়ে নিতে পারে। কার্ল মার্কস বলেছেন,
“পুঁজিই দুইদিকে একযোগে কাজ করছে। তার সঞ্চয়ন যদি একদিকে শ্রমের চাহিদা বাড়ায়, অপরদিকে সে ‘শ্রমিকদের মুক্ত করে দিয়ে’ শ্রমের সরবরাহ বাড়ায়; সংগে সংগে আবার বেকারদের চাপ নিযুক্তদের বাধ্য করে আরও শ্রম যোগাতে; অতএব শ্রমের সরবরাহকে কিছু পরিমাণে, শ্রমিকের সরবরাহ থেকে স্বাধীন করে তোলে। এই ভিত্তিতে শ্রমের সরবরাহ ও চাহিদার নিয়মের ক্রিয়া পুঁজির স্বেচ্ছাচারিতাকে সম্পূর্ণ করে তোলে।”[১২]
শিল্প পুঁজিই হলো পুঁজি হিসেবে প্রধান। অর্থ-পুঁজি ও পণ্য-পুঁজি শিল্প-পুঁজির পাশাপাশি ব্যবসায়ের বিশেষ বিশেষ শাখার বাহন হিসেবে কাজ করে বলে, সঞ্চলনের ক্ষেত্রে শিল্প-পুঁজির দ্বারা কখনো গৃহীত, কখনো বর্জিত হয়। কার্ল মার্কস লিখেছেন,
“শিল্প পুঁজি হলো পুঁজির অস্তিত্বের একমাত্র ধরন, যেখানে শুধু উদ্বৃত্ত মূল্যের, বা উদ্বৃত্ত উৎপাদের উপযোজনই নয়, যুগপৎ তার সৃষ্টিও পুঁজির একটি ক্রিয়া। সুতরাং তার বেলায় উৎপাদনের পুঁজিবাদী চরিত্র একটা অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার। শিল্প-পুঁজির অস্তিত্বের নিহিতার্থ হলো পুঁজিপতিদের আর মজুরি-শ্রমিকদের শ্রেণি-বৈরিতা। সামাজিক উৎপাদনের নিয়ন্ত্রণভার তা যতখানি দখল করে নেয়, শ্রম-প্রক্রিয়ার কৃৎকৌশল ও সামাজিক সংগঠন আর সেগুলির সংগে সমাজের অর্থনৈতিক ঐতিহাসিক ধরনটি ততখানি বৈপ্লবিক হয়ে ওঠে। অতীতে মিলিয়ে যাওয়া অথবা এখন মৃতপ্রায় সামাজিক উৎপাদনের অবস্থার মধ্যে শিল্প-পুঁজির আগে অন্যান্য ধরনের যে পুঁজি আত্মপ্রকাশ করেছিলো, সেগুলি শুধু যে এর অধীন আর তাদের ক্রিয়ার বন্দোবস্তটি তার সংগে সংগতি রেখে শুধু যে বদলায় তাই নয়, বরং তাদের ভিত্তি হিসেবে একমাত্র এরই সংগে চলে, সুতরাং এই ভিত্তিটির সংগে বাঁচে ও মরে, দাঁড়ায় ও পড়ে যায়।”[১৩]
ফলে সমাজের বিত্ত ও পুঁজির যতো বাড়ে সংগে সংগে কারখানায় নিযুক্ত মজুরের সংখ্যা যতো বাড়বে, অতিরিক্ত মজুর জনসংখ্যাও বাড়বে, এবং শ্রমিকের ভাগ্য আরো খারাপ হতে বাধ্য।[১৪]
তথ্যসূত্র:
১. সরদার ফজলুল করিম, দর্শনকোষ, প্যাপিরাস ঢাকা, জুলাই ২০০৬, পৃষ্ঠা ৯৭
২. নীহার সরকার, ছোটদের অর্থনীতি, পুঁথিঘর, কলকাতা, ডিসেম্বর ২০০৩, পৃষ্ঠা ৪২,
৩. কার্ল মার্কস, পুঁজি প্রথম খণ্ড, প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ১৯৮
৪. কার্ল মার্কস, প্রাক পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক সংগঠন, এই লিংক থেকে https://www.marxists.org/archive/marx/works/1857/precapitalist/ch02.htm
৫. কার্ল মার্কস, পুঁজি প্রথম খণ্ড, প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ১৮৯
৬. কার্ল মার্কস, পুঁজি প্রথম খণ্ড, প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ১৯৭-৯৮
৭. এ লিয়েনটিয়েভ, মার্কসীয় অর্থনীতি, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড, সেপ্টেম্বর, ২০১৪, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৮১
৮. কার্ল মার্কস, পুঁজি প্রথম খণ্ড, প্রথম অংশ, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ২৯০
৯. এ লিয়েনটিয়েভ, মার্কসীয় অর্থনীতি, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড, সেপ্টেম্বর, ২০১৪, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৮০-৮১
১০. কার্ল মার্কস, পুঁজি ইং তৃতীয় খণ্ড শেষাংশ, পীযুষ দাশগুপ্ত অনূদিত, ষষ্ঠ খণ্ড, বাণী প্রকাশ, কলকা্তা, ২০০৯, পৃষ্ঠা ৩৪৭
১১. কার্ল মার্কস, পুঁজি প্রথম খণ্ড, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, দ্বিতীয় অংশ, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ১১৩
১২. কার্ল মার্কস, পুঁজি প্রথম খণ্ড, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, দ্বিতীয় অংশ, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ১৭০
১৩. কার্ল মার্কস, পুঁজি, দ্বিতীয় খণ্ড, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ৭৫
১৪. প্রবন্ধটি আমার [অনুপ সাদি] লিখিত ভাষাপ্রকাশ ঢাকা থেকে ২০১৬ সালে প্রকাশিত মার্কসবাদ গ্রন্থের ৬৪-৬৮ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে এবং রোদ্দুরে ডট কমে ১১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত। সেখান থেকে লেখাটি ১ জুলাই ২০২২ তারিখে ফুলকিবাজ ডট কমে পুনরায় প্রকাশ করা হলো। প্রবন্ধটির রচনাকাল ৯ জুন ২০১৫।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।