টাইকো ব্রাহে বা ট্যুকো ব্রাহে (ইংরেজি: Tycho Brahe; ১৪ ডিসেম্বর ১৫৪৬ – ২৪ অক্টোবর ১৬০১ খ্রি.) ছিলেন একজন ডেনিশ আভিজাত্, জ্যোতির্বিদ, এবং লেখক যাঁকে তাঁর নির্ভুল এবং বিস্তৃত জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণের জন্য সুপরিচিত হিসেবে গণ্য করা হয়। টাইকো তাঁর জীবদ্দশায় একজন জ্যোতির্বিদ, জ্যোতিষী এবং আলকেমিস্ট বা অপরাসায়নবিদ হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। তাঁকে বর্ণনা করা হয়েছে “আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যায় প্রথম যোগ্য মানুষ হিসেবে যিনি যথাযথ অভিজ্ঞতামূলক সত্যের উত্সাহ অনুভব করেছেন”। তাঁর বেশিরভাগ পর্যবেক্ষণগুলি সেই সময়ে সর্বোত্তম উপলভ্য পর্যবেক্ষণগুলির চেয়ে অধিক নির্ভুল ছিল।[১]
ব্রাহের পূর্বে যেখানে অন্তরীক্ষের তারকামণ্ডলীকে এরিস্টটলীয় তত্ত্ব অনুযায়ী অপরিবর্তনীয় মনে করা হত সেখানে টাইকো ব্রাহে তারকামণ্ডলীর পরিবর্তনকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করে এরিস্টটলীয় তত্ত্বকে ভুল প্রমাণিত করেণ। টাইকো ব্রাহের জ্যাতির্বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণায় তাঁর মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে কেপলারের আবিস্কারের মূলে টাইকোর পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শের ভূমিকা বৈজ্ঞানিকগণ দ্বারা আজ স্বীকৃত।[২]
জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহ
সাল ১৫৬০। ইউরোপের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণ ছাত্র সেই প্রথম দেখল সূর্যগ্রহণ। আর কী আশ্চর্য, সে দিন গ্রহণ শুরু হল তখনকার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের হিসেব করা সময় একেবারে কাঁটায়-কাঁটায় মেনে। এত নিখুঁতভাবে আগে থেকে বলে দেওয়া যায় গ্রহণের মতো মহাজাগতিক ঘটনা? জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে কৌতুহলী হয়ে উঠল ছাত্রটি। ঠিক করে ফেলল, এর পর থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের চর্চা ও গবেষণাই হবে তার ধ্যানজ্ঞান।
সেই ছাত্রটিই একদিন ইউরোপের সেরা জ্যোতিষ্ক পর্যবেক্ষক হয়ে উঠলেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে তার নাম ছড়িয়ে পড়ল চতুর্দিকে। পেলেন ‘ইম্পিরিয়াল ম্যাথম্যাটিশিয়ান’ অর্থাৎ রাজ গণিতজ্ঞের পদ। নাম তার টাইকো ব্রাহে। গ্রহগতির নিয়ম আবিষ্কারক জোহানেস কেপলারের গুরু।
জন্ম ও শিক্ষাজীবনে ব্রাহে
তখনকার ডেনমার্কের বা এখনকার সুইডেনের অন্তর্গত স্কানে শহরের এক অভিজাত পরিবারে টাইকো ব্রাহের জন্ম ১৫৪৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর। বাবা অটো ব্রাহে ছিলেন রাজ অমাত্য। খুবই অভিজাত ও উচ্চ বংশ তাদের। টাইকো অবশ্য মানুষ হয়েছিলেন কাকা জোরগেন ব্রাহের কাছে। কাকাই তার লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেন।
কোপেন হেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অধ্যয়ন শুরু করলে ১৫৬০ সনের ২১ আগস্ট সূর্যের পূর্ণ গ্রহণের দৃশ্য টাইকো ব্রাহেকে জ্যোতির্মণ্ডলের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণায় আকৃষ্ট করে। কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে মূলত জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার নেশায় তিনি উত্তর ইউরোপের ভিটেনবার্গ, রস্টক, লাইপজিগ ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই বিষয়ে নাম করা সব অধ্যাপকের কাছে পড়াশোনা করেন।
ইউরোপ সফর সেরে ব্রাহে ১৫৭০ সালে ফিরে আসেন ডেনমার্কে। ১৫৭২ সালে ক্যাসিওপিয়া নক্ষত্রমণ্ডলে একটি নতুন অত্যুজ্জ্বল নক্ষত্র আবিষ্কার করে হইচই ফেলে দেন। আসলে সেটি ছিল ‘নোভা’ বা নবনক্ষত্র। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বলছে, নক্ষত্রের বিবর্তনের পথেই নোভার আবির্ভাব ঘটে। সেই নক্ষত্র থেকে কিছুটা অংশ গ্যাসীয় মেঘের আকারে বেরিয়ে আসায় তার ঔজ্জ্বল্য কয়েক শো থেকে কয়েক হাজার গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। নক্ষত্রটি টানা ১৮ মাস ধরে দেখা গিয়েছিল এবং ব্রাহে সে সময় প্রায় প্রতি রাত্রেই সেটি পর্যবেক্ষণ করতেন। নিজের তৈরি যন্ত্রপাতির সাহায্যে সেই নক্ষত্রের কৌণিক দূরত্ব নির্ণয়, ঔজ্জ্বল্যের পরিবর্তন, এমনকী রং বদলও লক্ষ করেন তিনি। এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে একটি বই লেখেন। ‘ডি নোভা স্টেলা’ বা নতুন নক্ষত্র নামে সেই বইটি প্রকাশিত হয় ১৫৭৩ সালে।
ব্রাহের ওই নতুন নক্ষত্র আবিষ্কার সে সময় কিছু জ্যোতির্বিজ্ঞানীর মনে এরিস্টটলের বিশ্বতত্ত্ব সম্পর্কে সংশয় জাগিয়ে তোলে। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলের তত্ত্বে বলা হয়েছিল, সূর্য ও গ্রহগুলি ছাড়িয়ে যে আকাশ, নক্ষত্রসমূহ তার গায়ে একেবারে স্থির, যেন চুমকির মতো বসানো। ওই আকাশের চাঁদোয়ায় কোনও পরিবর্তন নেই। কিন্তু নোভার আবির্ভাবের অর্থ অনড় নক্ষত্রের ধারণায় আঘাত হানা। ব্রাহে সেই কাজটিই করেছিলেন। ধূমকেতু নিয়েও একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন ব্রাহে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আবির্ভূত ছোট, বড়, মাঝারি নানা ধূমকেতুর ওপর দীর্ঘকালব্যাপী পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার তথ্য এবং ফলাফল নিয়ে একটি বই লেখেন তিনি। ‘ডি মুন্ডি’ নামে সেই গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৫৮৮ সালে। তাতে ব্রাহে স্পষ্টই বলেছেন যে, চাঁদ ছাড়িয়ে অনেক দূরের মহাশূন্য থেকে ধূমকেতুর উৎপত্তি। এরিস্টটলীয় ধারণায় আকাশে যা কিছু পরিবর্তন ঘটে, সবই পৃথিবী আর চাদের মাঝখানে। তার বাইরে সব কিছুই অপরিবর্তনীয়। ধূমকেতু নিয়ে ব্রাহের মত স্পষ্টতই এর বিরোধী। আজ আমরা জানি প্লুটো ছাড়িয়েও অনেক দূরে সৌরমণ্ডলের একেবারে প্রান্তে ‘উট ক্লাউড’ নামে গ্যাসীয় মেঘময় একটি অঞ্চলে ধূমকেতুদের জন্ম। সে দিক থেকে ব্রাহের অনুমান অনেকটাই ঠিক, এ কথা বলা যায়।
কর্মজীবনে টাইকো ব্রাহে
জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে ব্রাহের খ্যাতি ডেনমার্কের রাজা দ্বিতীয় ফ্রেডরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তরুণ জ্যোতির্বিজ্ঞানীর গুণমুগ্ধ রাজা একটি মানমন্দির নির্মাণের জন্যে তাকে কোপেনহেগেন এবং এলসিনোরের মধ্যবর্তী ‘হুয়েন’ দ্বীপে কিছু জমি দেন। সেই সঙ্গে নির্মাণের খরচ হিসেবে দেন এককালীন ২০ হাজার পাউন্ড। এ ছাড়া বেতন হিসেবে মঞ্জুর করেন বছরে ৪০০ পাউন্ড। সেই সময়ের নিরিখে প্রচুর অর্থ। হুয়েন দ্বীপে একটি ছোট পাহাড়ের ওপর মানমন্দির নির্মাণ করান ব্রাহে। চারটি পর্যবেক্ষণাগার, একটি প্রেক্ষাগৃহ, যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা, লাইব্রেরি, কর্মীদের জন্যে আবাস এবং কয়েকটি সুন্দর বাগানে সজ্জিত সাধের মানমন্দিরটির নাম দেন ‘উরানিবোর্গ’, যার অর্থ স্বর্গের মন্দির। এত বড় এবং এত উন্নত মানমন্দির সে সময় ইউরোপে আর একটিও ছিল না। পর্যবেক্ষণাগারে যন্ত্রপাতির সমাবেশ ছিল চমকে দেওয়ার মতো। তখনকার যাবতীয় পর্যবেক্ষণ-যন্ত্র ছাড়াও ছিল ব্রাহের স্ব-উদ্ভাবিত একাধিক যন্ত্র।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণ যন্ত্র উদ্ভাবনে বিশেষ দক্ষতা ছিল ব্রাহের। প্রচলিত যন্ত্রগুলিকেও নিখুঁত করে তুলতেন, যাতে পর্যবেক্ষণে কোনও রকম ত্রুটি না আসে। ব্রাহের সময় দূরবীন উদ্ভাবিত হয়নি। প্রচলিত যন্ত্রপাতি সংস্কার করে এবং নিজে একাধিক যন্ত্র উদ্ভাবন করে যে ধরনের ব্যাপক ও নির্ভুল পর্যবেক্ষণ চালিয়েছিলেন। ব্রাহে, এক কথায় তা বিস্ময়কর। দূরবীনের সাহায্য পেলে না জানি তিনি আরও কত কিছু করতেন। বস্তুত জ্যোতিষ্ক পর্যবেক্ষণের প্রচলিত ধারাটাই বদলে দিয়েছিলেন ব্রাহে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সেই সময় চাঁদ এবং গ্রহগুলিকে, পৃথিবীকে নিয়ে মাত্র পাঁচটি গ্রহের কথা তখন জানা ছিল, পর্যবেক্ষণ করতেন কয়েকটি নির্দিষ্টও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে। ব্রাহে সারা বছর ধরে পুরো কক্ষপথেই তাদের ওপর পর্যবেক্ষণ চালাতেন। নিজে তো বটেই, উরানিবোর্গ মানমন্দিরের সহযোগীদেরও প্রায় অষ্টপ্রহর এ সব কাজে ব্যস্ত রাখতেন। কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত কড়া ছিলেন টাইকো। চাঁদ ও গ্রহদের কক্ষপথে যাবতীয় অবস্থানের ওপর পর্যবেক্ষণ চালানোর ফলে তাদের চলনে এমন অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়ে, যা ব্রাহের আগে কেউ লক্ষ্যই করেননি।
উরানিবোর্গ মানমন্দিরে টাইকো ব্রাহে ছিলেন দীর্ঘ ২০ বছর। ২০ বছর ধরেই অনলস ছিলেন গ্রহ, নক্ষত্র ও অন্যান্য দৃশ্যমান জ্যোতিষ্কের নিখুঁত পর্যবেক্ষণে। কেবল সহযোগী এবং কর্মীদেরই নয়, শোনা যায় পরিবারের সদস্যদেরও তিনি ওই কাজে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ১৫৮৮ সালে ডেনমার্কের রাজা ও ব্রাহের পৃষ্ঠপোষক দ্বিতীয় ফ্রেডরিকের মৃত্যু হলে তার জীবনে দুর্দিন নেমে আসে। পরবর্তী রাজা টাইকোর ওপর সন্তুষ্ট ছিলেন না। টাইকোর উদ্ধত ও দাম্ভিক আচরণ এবং অমিতব্যয়িতাই এর কারণ। সত্যকার জ্ঞানীগুণী ছাড়া কাউকে তিনি খাতির করে চলতেন না। পাত্তা দিতেন না পদস্থ রাজকর্মচারীদেরও। ফলে তিনি রাজসভার অনুগ্রহ হারালেন। তঁর মাসিক বেতন ও অন্যান্য সাহায্যও বন্ধ হয়ে গেল।
তবু ব্যক্তিগত সঞ্চয় সম্বল করে আরও পাঁচ বছর উরানিবোর্গে তার কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন ব্রাহে। শেষে বাধ্য হয়েই সাধের ‘স্বর্ণমন্দির’ ছেড়ে তিনি কোপেনহেগেন চলে আসেন এবং একটি ছোট বাড়ি ভাড়া করে বাস করতে থাকেন। কিন্তু রাজ রোষে সেখানেও টিকতে পারেন না। ব্রাহের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন বসে। তিনি সরকারি অর্থের অপব্যয় করেছেন এবং কাজের কাজ কিছুই করেননি বলে কমিশন রায় দেয়। ব্রাহে ডেনমার্ক ছেড়ে হামবুর্গে চলে আসেন। সেখানে এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি তাকে আশ্রয় দেন। সেটা ১৫৯৮ সাল। তবে যিনি প্রকৃত গুণী, অজ্ঞজনদের কাছে অবহেলিত হলেও, গুণগ্রাহীর সমাদর পেতে তার দেরি হয় না। ওই বছরই রোম তথা জার্মানির সম্রাট দ্বিতীয় রুডলফ টাইকোকে প্রাগে ডেকে পাঠান এবং সেখানে মানমন্দির তৈরির জন্যে একটি বাড়ি দেন। বছরে ৩০০০ ক্রাউন বেতনেরও ব্যবস্থা করেন। টাইকো ব্রাহে ‘ইম্পিরিয়াল ম্যাথম্যাটিশিয়ান’ বা রাজ-গণিতজ্ঞের পদে বৃত হন। ১৫৯৯ সালে নতুন মানমন্দির প্রতিষ্ঠার পর নবোদ্যমে কাজ শুরু করেন তিনি। ওই সময়েই তরুণ জ্যোতির্বিদ জোহানেস কেপলারকে তার সঙ্গে কাজ করার জন্যে আমন্ত্রণ জানান ব্রাহে। ব্রাহের সহযোগী হিসেবে কেপলার প্রাগের মানমন্দিরে যোগ দেন ১৬০০ সালে। তারপর ব্রাহে আর মাত্র এক বছর বেঁচেছিলেন। আর সুযোগ্য শিষ্য কেপলারের হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর সুদীর্ঘ পর্যবেক্ষণের যাবতীয় তথ্য তথা উত্তরাধিকার।
টাইকো ব্রাহের মূল্যবান সাহচর্য, শিক্ষা এবং অমিত তথ্যভাণ্ডারের অধিকার না পেলে কেপলার হয়তো গ্রহগতি সম্পর্কে তাঁর অমূল্য তত্ত্ব ও নিয়ম আবিষ্কার করতে পারতেন না, এ কথা বলে থাকেন বহু বিজ্ঞজনই।
জ্যোতির্বিজ্ঞানে কোনও তত্ত্ব আবিষ্কার করেননি ব্রাহে। বরং গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান ও গতি-প্রকৃতির ধারণায় তিনি ছিলেন প্রাচীনপন্থী। পৃথিবী গতিশীল এবং সূর্যকে পরিক্রমা করে, কোপারনিকাসের এই তত্ত্বে তিনি বিশ্বাস করতেন না। তাই ‘ডি মুন্ডি’ গ্রন্থে সৌরমণ্ডলের যে পরিকল্পনা তিনি পেশ করেছেন তাতে কেন্দ্রস্থ পৃথিবী হলো স্থির, তাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে চাঁদ আর সূর্য; বাকি গ্রহগুলি অবশ্য বিভিন্ন কক্ষপথে সূর্যকেই পরিক্রমণ করছে। বোঝাই যায়, টাইকো ব্রাহে টোলেমি আর কোপারনিকাসের তত্ত্বের মধ্যে একটা সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করেছিলেন। ব্রাহে চেয়েছিলেন তার পর্যবেক্ষণলব্ধ তথ্যগুলি কাজে লাগিয়ে কেপলার এই বিশ্বতত্ত্বকেই প্রমাণ করুন। কিন্তু কোপারনিকাসপন্থী কেপলার গেলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন চিন্তার পথে। তাঁর হাত ধরেই জন্ম নিল আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান।[৩]
তথ্যসূত্র:
১. অনুপ সাদি, ৭ মে ২০১৯, “টাইকো ব্রাহে ছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা”, রোদ্দুরে ডট কম, ঢাকা, ইউআরএল: https://www.roddure.com/biography/tycho-brahe/
২. সরদার ফজলুল করিম; দর্শনকোষ; প্যাপিরাস, ঢাকা; ৫ম মুদ্রণ জানুয়ারি, ২০১২; পৃষ্ঠা ৯৪।
৩. বিমল বসু, বিজ্ঞানে অগ্রপথিক, অঙ্কুর প্রকাশনী, ঢাকা, দ্বিতীয় মুদ্রণ মে ২০১৬, পৃষ্ঠা ৪২-৪৫।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।