সুভাষচন্দ্র বা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বা সুভাষ চন্দ্র বসু (ইংরেজি: Subhas Chandra Bose; ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭- ১৮ আগস্ট, ১৯৪৫) ছিলেন বাঙালির সন্তান ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের এক লড়াকু জননায়ক। স্বাধীনতার জন্য সুভাষ বসুও শেষ পর্যন্ত সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অসাধারণ ভূমিকার কথা বিবেচনা করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে নেতাজী বলে সম্বোধন করেছিলেন। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেন নি, কিন্তু স্বাধীনতার যে শিখা তিনি প্রজ্জ্বলিত করেছিলেন তার দীপ্তি কখনো ম্লান হবে না।
সুভাষচন্দ্র বসুর পিতা জানকীনাথ বসু ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও বঙ্গীয় বিধানসভার সদস্য (১৯১২)। জানকীনাথ গান্ধীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকার প্রদত্ত রায়বাহাদুর খেতাব বর্জন করেন। সুভাষ বসু একটি সুশিক্ষিত, রাজনীতি সচেতন পরিবারে লালিতপালিত হয়েছেন। পারিবারিক প্রভাবের কারণেই হোক বা তৎকালীন ভারতে বিরাজমান উত্তপ্ত রাজনীতিক আবহাওয়ার কারণেই হোক, সুভাষ বসু কৈশোর থেকেই বিদ্রোহী ভাবাপন্ন ছিলেন।
জীবনের প্রথম দিকে তিনি স্বামী বিবেকানন্দের এবং পরবর্তীতে রামকৃষ্ণ পরমহংসের আদর্শে প্রভাবিত হন। উভয়ের প্রভাবে তার এই বিশ্বাস বদ্ধমূল হয়েছিল যে মানবসেবা ও দেশসেবাই জীবনের শ্রেষ্ঠ ব্রত। দেশসেবার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি ধনসম্পদ ও উচ্চ সরকারি পদের মোহ ত্যাগ করেন। তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান লাভ করেও সরকারি চাকুরি গ্রহণ করেন নি।
কলেজ জীবনেও তিনি ইংরেজ অধ্যক্ষ ওটেন-এর অবিচারের শিকার হয়েছেন। তদুপরি জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড তার ব্যক্তিমানসে যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছিল তাতে তার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে যে স্বাধীনতা অর্জন করতে হলে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম ব্যতিরেকে আর কোনো পথ নেই। প্রথম মহাযুদ্ধের সময় কতিপয় সশস্ত্র বিপ্লবীর সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। কিন্তু তাদের চিন্তাধারা তার অন্তরে বিশেষ রেখাপাত করে নি।[১]
রাজনৈতিক মঞ্চে আবির্ভাব
সুভাষ বসু উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ইংলন্ডে গমন করেন ১৯১৯ সনে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত পরিবেশ তার কাছে আকর্ষণীয় মনে হলেও পাশ্চাত্য দর্শনচিন্তার প্রতি তিনি তেমন আকর্ষণ বোধ করেন নি। প্রায় দু’বছর পরে ভারতে ফিরে তিনি মোহনদাস গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তখন অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের দরুন সারা উপমহাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন গান্ধী এবং খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্বে মওলানা শওকত আলী ও মওলানা মোহাম্মদ আলী।[১]
অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ প্রথম দিকে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন বটে, কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে ঐক্যের বাধন ছিন্ন হয়ে যায়। সে সময় গান্ধী প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন যে এক বছরের মধ্যে পূর্ণ স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। সুভাষ বসুর মনে তখন তিনটি প্রশ্ন জাগে? অসহযোগ আন্দোলন এমন পর্যায়ে যাবে কিনা যখন সকল ভারতীয় নাগরিক সরকারকে করদানে বিরত থাকবে; অসহযোগ আন্দোলনের পথে স্বরাজ আসবে কিনা; এক বৎসরের মধ্যে স্বরাজ আসবে বলে গান্ধী যে ঘোষণা দিয়েছেন তা আদৌ বাস্তবায়িত হবে কিনা।[২] এসব প্রশ্নে গান্ধীর বক্তব্য সুভাষ বসুর মনপূত হয়েছিল একথা বলা যায় না।
স্বাধীনতা অর্জনের পদ্ধতির প্রশ্নে গান্ধী ও সুভাষ বসুর মতানৈক্য গোড়া থেকেই স্পষ্টতর হয়ে ওঠে। তদুপরি চৌরিচরার ঘটনার (১৯২২) পর গান্ধী যেরূপ একতরফাভাবে অহিংস আন্দোলন সহসা তুলে নেন তাতেও গান্ধীর পদক্ষেপের যৌক্তিকতা সম্পর্কে সুভাষ বসুর মনে সংশয় দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল যে উভয়ের রাজনৈতিক চিন্তাধারা দুটি স্বতন্ত্র খাতে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজনৈতিক মঞ্চে আবির্ভাবের পরে তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা গড়ে ওঠে ও বিকশিত হয় দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানের সময়ে।
সুভাষচন্দ্র বসুর চিন্তাধারা
সুভাষ বসুর মতাদর্শের পরিচয় বহন করে প্রধানত তার সম্পাদনায় ও পরিচালনায় প্রকাশিত যথাক্রমে বাংলার কথা ও দৈনিক ফরওয়ার্ড নামে দুটি পত্রিকা। ইংলন্ড থেকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের অব্যবহিত পরেই একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে তিনি প্রতিষ্ঠা অর্জন করেন। তার রাজনৈতিক খ্যাতি বৃদ্ধির পশ্চাতে এই পত্রিকা দুটির অবদান কোন অংশে কম নয়। প্রকৃতপক্ষে ১৯২২ সন থেকেই উপমহাদেশের রাজনীতিতে কিছুটা অচলাবস্থা দেখা দেয়। তখন গান্ধী বাহ্যত রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে অন্তরালে চলে গেছেন, মতিলাল নেহরু লন্ডনে তার রোগশয্যাশায়ী কন্যার সেবাযত্নে ব্যস্ত এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন কারারুদ্ধ। প্রায় ছয় বছর পর আবার রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা শুরু হয়। ১৯২৮-এর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সংবিধান সংস্কারের জন্য সম্পূর্ণভাবে শ্বেতাঙ্গ সদস্যদের সমবায়ে গঠিত সাইমন কমিশন ভারতে আসে। কমিশনে ভারতীয় প্রতিনিধি না থাকাতে রাজনৈতিক মহলে কমিশনের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সুভাষ বসু সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে বাংলায় বয়কট আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেন।[৩] সে বছর তিনি ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগ-এ যোগদান কবেন। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার প্রমুখ ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগের নেতার সঙ্গে সুভাষ বসুও ভারতের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করেন।
মূল নিবন্ধ: সুভাষচন্দ্র বসুর রাষ্ট্রচিন্তা
এখানে উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতা অর্জনের পদ্ধতির প্রশ্নে সুভাষ বসু গান্ধীর সঙ্গে একমত হতে পারেন নি। এই মতানৈক্য আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে ১৯২৮ সন থেকে। সে বছর কলিকাতায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেস অধিবেশনে গান্ধী প্রস্তাব করেন যে ব্রিটিশ সরকার এক বছরের মধ্যে ভারতকে ডোমিনিয়ন স্টেটাস না দিলে কংগ্রেস অহিংস অসহযোগ (Non-violent Non-cooperation) আন্দোলনের পথ বেছে নেবে। সুভাষ বসু এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন যে কংগ্রেসের লক্ষ্য হওয়া উচিত পূর্ণ স্বাধীনতা – ডোমিনিয়ন স্টেটাস নয়, এবং এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে ইংরেজ সরকারের সঙ্গে সকল রকম সম্পর্ক ছিন্ন করা আবশ্যক। অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের সাহায্যে এই লক্ষ্য অর্জন করা অসম্ভব।
সুভাষ বসু স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীর ন্যায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেঙ্গল ভলান্টিয়ার কোর গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শেষের দিকে গান্ধী ও সুভাষ বসুর মতদ্বৈধতা প্রবল আকার ধারণ করে, যার ফলে উভয়ের মধ্যে শুরু হয় রাজনৈতিক মঞ্চে প্রাধান্য বিস্তারের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
সেই যে এক নেতা ছিলো, যে বাঙালির বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছিলো, আর বাঙালিকে দিল্লির অধীন করে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো, সেই নেংটি পরা মোহনদাস গান্ধী বুঝে ফেলেছিলো যে সুভাষচন্দ্র বসু তার জন্য এক চ্যালেঞ্জ। ১৯৩৮ সালে নেতাজি সর্বসম্মতরূপে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ন্যাংটো শয়তান পিশাচ গান্ধীর সাগরেদ দক্ষিণপন্থিরা ঐক্যবদ্ধ হয় নেতাজির বিরুদ্ধে এবং একযোগে ওয়ার্কিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করে, যার ফলশ্রুতিতে নেতাজি কংগ্রেস ছাড়তে বাধ্য হন।[৪]
১৯৩৯ সনের ত্রিপুরী কংগ্রেসের নির্বাচনে সুভাষ বসু গান্ধীর মনোনীত প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে সময়ে সুভাষ বসু তার নির্বাচনী প্রচারের মাধ্যমে উপমহাদেশের যুবশক্তির স্বাধীনতাস্পৃহাকে জোরদার করে তোলেন। ইউরোপের যুদ্ধ এবং ইংলন্ডের সংকটের পরিস্থিতিতে তিনি সকল ভারতীয়কে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদানের জন্য আহ্বান করেন। নির্বাচনে গান্ধীর মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে সুভাষ বসু দ্বিতীয় বার কংগ্রেসের সভাপতি হন। সে বছর তিনি কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ফরোয়ার্ড ব্লক গঠন করেন। এই উপদলের মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশবিরোধী ও যুদ্ধবিরোধী নীতি প্রচার করতে থাকেন। তারই নেতৃত্বে তখন সহযোগবাদী রাজনীতির পরিবর্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতির সূচনা ঘটে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটিশ সরকার সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে এবং সুভাষ সহ শত শত ফরোয়ার্ড ব্লক কর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ করে। অন্যায় কারাদণ্ডের প্রতিবাদে সুভাষ বসু অনশন ধর্মঘট শুরু করলে সরকার তাকে মুক্তিদান করে।
১৯৪১ সনে অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে সরকারের সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে সুভাষ বসু দেশত্যাগ করেন। তিনি জার্মানীতে গিয়ে স্বদেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আজাদ হিন্দ ফৌজ নামে একটি সামরিক বাহিনী গঠন করেন। তার সামরিক প্রয়াস সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য জাপানও সহায়তাদান করে।
১৯৪৩ সালের ৪ জুলাই ভারতীয় স্বাধীনতা সংঘের এক সাধারণ সভায় রাসবিহারী বসু তার ‘আজাদ হিন্দ বাহিনী’ সুভাষের হাতে তুলে দেন এবং সংঘের সভাপতির দায়িত্বও দেয়া হয় সুভাষ বসুকে। আর সেইখানেই তাঁকে নেতাজি নামে আখ্যা দেয়া হয়। সুভাষ বসু সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে অভিবাদন গ্রহণ করলেন এবং বললেন—
“আপসে স্বাধীনতা আসবে না— আসতে পারে না আমাদের দাবি, স্বাধীনতার দাবি। রিক্ত আমি, সর্বহারা আমি, তোমাদের হয়তো আজ কিছুই দিতে পারবো না। তবে, তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি স্বাধীনতা দেব।”
ভারতকে স্বাধীন করার জন্য আজাদ হিন্দ বাহিনীকে নেতাজি ঢেলে সাজালেন। জাতীয় নেতাদের নামানুসারে ব্রিগেড বা বাহিনী গঠন করলেন। ভারতকে স্বাধীন করার সব আয়োজন শেষ করে ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর জাপানে গঠন করলেন অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার। সুভাষ হলেন সেই অস্থায়ী সরকারের যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সমর ও পররাষ্ট্র সচিব।[৫]
সারা পৃথিবীতে সাড়া ফেলেছিলো সুভাষের অস্থায়ী সরকার। সেই সরকারকে স্বীকৃতি দিলো জাপান, জার্মানি, ইতালি, ক্রোয়োশিয়া, বার্মা, থাইল্যণ্ড, চিন, ফিলিপাইন, মাঞ্চুরিয়া। রচিত হল জাতীয় সংগীত—
কদম কদম বাড়ায়ে যা
খুশিতে গীত গায়ে যা,
এ জিন্দেগি হ্যায় কৌস কী
তে কৌস পে লটায়ে যা।
কিন্তু ভাগ্যাহত সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে স্বদেশের দ্বারপ্রান্তে এসেও আর অগ্রসর হতে পারেন নি। বর্মার অভ্যন্তরে কোহিমায় ইংরেজ শক্তির সঙ্গে আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ১৯৪৪-এর জুন-জুলাই মাসে। ১৯৪৫-এর এপ্রিলে আজাদ হিন্দ ফৌজ পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয়। তার প্রায় চার মাস পর ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট জাপানি বিমানে টোকিও ফিরতে গিয়ে তাই-তো-কু বিমানবন্দরে আগুন লেগে তাঁর বিমান ধ্বংস হয়।
তথ্যসূত্র:
১. সৈয়দ মকসুদ আলী, রাজনীতি ও রাষ্ট্রচিন্তায় বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, দ্বিতীয় পুনর্মুদ্রণ জানুয়ারি ১৯৯৬, পৃষ্ঠা ১৭৬-১৭৭।
২. Selected Speeches of Subhas Chandra Bose (Intro. S. A. Ayer) (Govt of India, Delhi. 1962) p. 12
৩. সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন গান্ধী, মতিলাল নেহরু, এম, এ, আনসারী, এম, এ, জিন্নাহ, লাজপত রায়, এ, রহিম, অ্যানি বেসান্ত, মলানা আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দ মাহমুদ, মুহম্মদ ইকবাল, জে, এম, সেন, সরোজিনী নাইডু, দিন পেটিট, শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার, এস, পি, সিনহা, এস, ডি, কিচল, তেজবাহাদুর সঞ্জ, সি, এইচ, শীতলবাদ প্রমুখ।
৪. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাঙালীর জাতীয়তাবাদ, ইউপিএল, পৃষ্ঠা-১৭৪
৫. শাহজাহান সাজু, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, পৃষ্ঠা- ৩৫-৩৬।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।
১৯৪৫ এর ১৮ আগস্ট মৃত্যুর তারিখের এই তথ্য আপনি কোথা থেকে পেলেন? এইভাবে নিজের মনগড়া তথ্য লিখে আপনি ঠিক কি প্রমাণ করতে চাইলেন? ভারতে একমাত্র কংগ্রেস দল এই মত জোর করে চাপানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু তবু যে কোনও দলের ভারত সরকার স্বীকার করে বলেছে যে – ভারত সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ্য তথ্য নেই। দয়া করে এই ভুল প্রচার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। আপনি আপনার লেখার মাধ্যমে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে যে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন – সেই শ্রদ্ধা তাঁর প্রতি অপমানে পরিণত হল।