রবীন্দ্রনাথ সরেন ছিলেন বাংলাদেশের আদিবাসীদের নেতা

রবীন্দ্রনাথ সরেন ছিলেন বাংলাদেশের আদিবাসীদের অধিকার আন্দোলনের নেতা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ সভাপতি ও কাপেং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন। তিনি গত ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে ভোররাত আনুমানিক দেড়টার দিকে মারা যান। বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার নিজ গ্রাম বারোকোনার বাড়িতে শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তার নেতৃত্বে জাতীয় আদিবাসী পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে আদিবাসীদের অধিকারের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে আসছে। আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ না হওয়ায় তিনি আজীবন আদিবাসিসহ কৃষক ও শ্রমিকদের হয়ে সারা জীবন আন্দোলন ও সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির পঞ্চম সম্মেলন ২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশের নওগাঁর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে রবীন্দ্রনাথ সরেন সভাপতি, নরেন চন্দ্র পাহান সাধারণ সম্পাদক ও সুভাষ চন্দ্র হেমব্রমকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের জমি রক্ষার আন্দোলনে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

সংগ্রামী জীবনে রবীন্দ্রনাথ সরেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাথে জড়িত ছিলেন। তবে মৃত্যুর দুবছর পূর্বে তিনি সেই সংগঠনের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৮ সাধারণাব্দে দিনাজপুর-৬ আসন হতে (নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

আরো পড়ুন

রবীন্দ্রনাথ সরেন পার্বতীপুরের বারকোণা গ্রামে ১৯৫৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম সুমি টুডু ও পিতার নাম দারকাল সরেন। চার ভাইবোনের ভেতর রবীন্দ্রনাথ সবার ছোট। তিনি লেখাপড়া করেন শৈশবে বারকোণা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে পার্বতীপুর হাবড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। দিনাজপুর সংগীত কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক। রাজশাহীর শাহ মখদুম কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করার পর রাজশাহী ল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন।

Leave a Comment

error: Content is protected !!