ননীবালা দেবী ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী ও প্রথম মহিলা রাজবন্দি

ননীবালা দেবী ছিলেন উপনিবেশবিরোধী বিপ্লবী নারী নেত্রী। যুগান্তর দলের বিপ্লবীদের সাথে কাজ করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন। সাহসী, ধৈর্য্যশীল, বুদ্ধিমতী ননীবালা দেবী ছিলেন প্রথম রাজবন্দি। জেল জীবনে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন; কিন্তু নিজের ব্যক্তিত্বে ছিলেন অটল।[১]

ননীবালা দেবী-র জন্ম ও পরিবার:

ননীবালা দেবী জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৮৮ সালে হাওড়া জেলার বালিতে। পিতার নাম সূর্যকান্ত ব্যানার্জী, মা গিরিবালা দেবী। এগারো বছর বয়সে বিবাহের পর ষোলো বছর বয়সে তিনি বিধবা হন এবং বাবার কাছেই ফিরে আসেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ভারতের অবস্থা ও রাজনীতিতে যুক্ততা:

১৯১৪ সালে বেধেছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সেই সুযোগে ভারতে যুগান্তর দলের বিপ্লবীরা জার্মানির কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভারতব্যাপী একটা বৈপ্লবিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে, স্বাধীনতা আনবার রাস্তা পরিষ্কার করতে প্রয়াস পেয়েছিলেন।

ইংরেজ সেই ভারত-জার্মান ষড়যন্ত্রের খবর জেনে যায়। বীর যতীন্দ্রনাথ মুখার্জী বালেশ্বরের খণ্ডযুদ্ধে আত্মদান করে জাতিকে দেশের জন্য মরতে শিখিয়ে গেলেন।

তার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তবুও ইংরেজের রক্তচক্ষুকে অগ্রাহ্য করে পূর্ব-ভারতের পথ ধরে চীন, শ্যাম ও আসামের ভিতর দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র আনিয়ে ভারতে বিদ্রোহ ঘটাবার জন্য বিপ্লবীরা আবার চেষ্টা করেছিলেন যাদুগোপাল মুখার্জীর নেতৃত্বে।

চারদিকে চলছে তখন আহত ব্রিটিশ-সিংহের প্রচণ্ড আক্রমণ ও নির্মম অত্যাচার। সেই অত্যাচারের ধরন ছিল- ফাঁসি, দ্বীপান্তর, পুলিসের নির্যাতনে পাগল-হয়ে-যাওয়া এবং দালান্দা-হাউসে নিয়ে গিয়ে চার্লস টেগার্টের তদারকে বীভৎস নিপীড়ন।

মলদ্বারে রুল ঢোকানো, কমোড থেকে মলমূত্র এনে মাথায় ঢেলে দেওয়া, কয়েকদিন উপবাস করিয়ে পিছনে হাতকড়া অবস্থায় বন্দীকে দাঁড় করিয়ে রেখে লাথি ও রুলের প্রহার এই ছিল টেগার্টের অত্যাচারের রীতি।

এ এইরকম বিপদসংকুল দিনে বিপ্লবী অমরেন্দ্র চ্যাটার্জীর কাছে বিপ্লবের দীক্ষা পেলেন ননীবালা দেবী। তিনি ছিলেন ননীবালা দেবীর ভ্রাতুস্পুত্র।

ননীবালা দেবী-র রাজনৈতিক কাজ:

পলাতক অমর চ্যাটার্জী এবং তার কয়েকজন সহকর্মীকে প্রায় দুই মাস আশ্রয় দিয়ে রাখলেন তিনি রিষড়াতে। কিন্তু পুলিসের দৃষ্টি এড়াতে পারল না তাঁরা।

ইতিপূর্বে ভারত-জার্মান ষড়যন্ত্রের খবর পেয়ে, সেই সম্পর্কে পুলিস কলকাতার ‘শ্রমজীবী সমবায়’ নামক প্রতিষ্ঠানে তল্লাশী করতে যায় ১৯১৫ সালের আগস্ট মাসে।

তল্লাশীর সময় অমর চ্যাটার্জী পলাতক হন এবং রামচন্দ্র মজুমদার গ্রেপ্তার হয়ে তিন নম্বর রেগুলেশনে স্টেট-প্রিজনার হন। গ্রেপ্তারের সময় রামবাবু একটা ‘মাউজার’ (Mauser) পিস্তল কোথায় রেখে গেছেন সে-কথা জানিয়ে যেতে পারেন নি।

তখন বিধবা ননীবালা দেবী রামচন্দ্র মজুমদারের স্ত্রী সেজে, রামবাবুর সঙ্গে প্রেসিডেন্সি জেলে ইন্টারভিউ নিয়ে জেনে এলেন পিস্তলের গুপ্ত খবর।

১৯১৫ সালে যে-যুগ ছিল তখন বাঙালী বিধবাদের পক্ষে এরকম পরের স্ত্রী সেজে, জেলে গিয়ে পুলিসের শ্যেন দৃষ্টিকে ফাঁকি দিয়ে কাজ হাসিল করার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না পুলিস তো নয়ই, কোনো সাধারণ মেয়েও নয়।

আজকের সমাজ ও সেদিনকার সমাজ, আজকের মেয়ে ও সেদিনকার মেয়ের মধ্যে আছে বিরাট সাগরের ব্যবধান। সেদিনকার নারী তৈরি করে দিয়ে গেছেন পরবর্তী যুগের বিপ্লবী নারীকে তিনি পথ দেখিয়েছেন, ভিত্তি গেঁথে গেছেন তাদের জন্য।

পুলিস ক্রমে জানাত পারল যে, ননীবালা দেবী রামবাবুর স্ত্রী নন। কিন্তু এটা জানতে পারেন নি যে, তিনিই রিষড়াতে ছিলেন আশ্রয়দাত্রী।

সাংগঠনিক কাজে স্থানান্তর:

১৯১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চন্দননগরে আবার বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। তবে রিষড়ার মতো এখানেও মেয়েরা না থাকলে, বাড়ি ভাড়া পাওয়া যেত না। তখন আবার এলেন ননীবালা দেবী গৃহকর্ত্রীর বেশে।

এখানে এইসময়ে আশ্রয়দানের উদ্দেশ্যে বড়পিসিকেও এনেছিলেন ভোলানাথ চ্যাটার্জী। এই বড়পিসি ও ননীবালা দেবী দুটো আলাদা বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রেখেছিলেন পলাতক বিপ্লবীদের।

পলাতক হয়ে আছেন এখানে বিপ্লবী নেতা যাদুগোপাল মুখার্জী, অমর চ্যাটার্জী, অতুল ঘোষ, ভোলানাথ চ্যাটার্জী, নলিনীকান্ত কর, বিনয়ভূষণ দত্ত ও বিজয় চক্রবর্তী।

এঁদের সকলেরই মাথায় অনেক হাজার টাকার হুলিয়া ছিল। এই নিশাচরেরা সারাদিন দরজা বন্ধ করে ঘরে কাটিয়ে দিতেন। শুধু রাতে সুবিধা মতো বেড়িয়ে পড়তেন। নিষ্ঠুর শিকারীর মতো পুলিস এসে পড়লেই এই পলাতকেরা নিমেষে অদৃশ্য হয়ে যেতেন, পুলিস হয়রান করে ফিরত।

এইভাবে চন্দননগরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশী ও বিপ্লবীদের নিমেষে পলায়নের পর ননীবালা দেবীকে আর চন্দননগরে রাখা নিরাপদ হলো না।

পুলিস তৎপর হয়ে উঠল তাকে গ্রেপ্তার করতে। তার বাবা সূর্যকান্ত ব্যানার্জীকে পুলিস ইলিসিয়াম রো-তে নিয়ে গিয়ে দশটা থেকে পাঁচটা অবধি বসিয়ে রেখে জেরা করত।

ননীবালা দেবী পলাতক হলেন। তাঁর এক বাল্যবন্ধুর দাদা প্রবোধ মিত্র কর্মোপলক্ষে যাচ্ছিলেন পেশোয়ার। বাল্যবন্ধু তার দাদাকে অনেক অনুনয় করে রাজী করালেন ননীবালাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে।

ননীবালা দেবী পলাতক অবস্থায় তার সঙ্গে পেসোয়ার গেলেন। প্রায় ষোলো-সতের দিন পরে পুলিস সন্ধান পেয়ে যখন ননীবালা দেবীকে গ্রেপ্তার করতে পেশোয়ার গেছে, তখন ননীবালা দেবীর কলেরা চলছে তিনদিন যাবৎ।

প্রথমদিন বাড়ি ঘিরে রেখে তার পরদিনই নিয়ে গেল তাকে পুলিস-হাজতে (লক-আপ-এ) স্ট্রেচারে করে। কয়েকদিন সেখানে রেখে চালান দিল তাকে কাশীর জেলে। তখন তিনি প্রায় সেরে উঠেছেন।

জেলজীবনের নির্যাতন:

কাশীতে আসার কয়েকদিন পরে, প্রতিদিন তাকে জেলগেটের অফিসে এনে কাশীর ডেপুটি পুলিস-সুপারিনটেন্ডেন্ট জিতেন ব্যানার্জী জেরা করত।

ননীবালা দেবী সবই অস্বীকার করতেন ; বলতেন কাউকেই চেনেন না, কিছুই জানেন না। তারপর ছুটত জিতেন ব্যানাজীর তুমি-তুই-তুকারির অসভ্য ভাষা। ননীবালা দেবী তখনও নীরব থাকতেন।

একদিন দুইজন জমাদারনী (Wardress) ননীবালা দেবীকে একটা আলাদা সেলে (cell) নিয়ে গেল। দুজনে মিলে তাকে জোর করে ধরে মাটিতে ফেলে দিল। তারপর উলঙ্গ করে খানিকটা লঙ্কাবাটা ওর শরীরের অভ্যন্তরে দিয়ে দিতে লাগল।

ননীবালা দেবী চীৎকার করে লাথি মারতে লাগলেন সমস্ত শক্তি দিয়ে। জমাদারনীরা বেশিক্ষণ ধস্তাধস্তি করতে পারল না। থামিয়ে দিয়ে নিয়ে এল আবার তাকে সেই জেল-গেটের অফিসে জিতেন ব্যানার্জীর কাছে। আবার জেরা : .

-কী জানো বলল।
-বলব না কিছু।ননীবালা দেবীর চোখে আগুন ছুটছে তখন।
-আরো শাস্তি দেব।
-যত খুশি দিন, আমি বলব না।
-অমর চ্যাটার্জী কোথায় ?
-বলব না।
-শাস্তি পাবে কিন্তু, মনে আছে তো?
-যা খুশি করতে পারেন, আমি কিছু বলব না।

কাশীর জেলে স্থানান্তর:

কাশীর জেল পুরনো, সেকেলে। সেখানে প্রাচীরের বাইরে মাটির নীচে একটা ‘পানিশমেন্ট সেল’ অর্থাৎ শাস্তি কুঠুরী ছিল। তাতে দরজা ছিল একটাই, কিন্তু আলো বাতাস প্রবেশ করবার জন্য কোনো জানালা বা ছিদ্র ছিল না।

ব্যর্থকাম জিতেন ব্যানার্জী তিন দিন প্রায় আধঘণ্টা সময় ধরে ননীবালা দেবীকে ঐ আলোবাতাসহীন অন্ধকার সেলে তালাবন্ধ করে আটকে রাখত। কবরের মতো সেলে আধঘণ্টা পরে দেখা যেতো ননীবালা দেবীর অর্ধমৃত অবস্থা, তবু মুখ দিয়ে স্বীকারোক্তি বের করতে পারল না।

তৃতীয় দিনে বন্ধ রাখল তাকে আধঘণ্টারও বেশি, প্রায় ৪৫ মিনিট। স্নায়ুর শক্তিকে চূর্ণ করে দেবার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা। সেদিন তালা খুলে দেখা গেল ননীবালা দেবী পড়ে আছেন, মাটিতে জ্ঞানশূন্য।

হাল ছেড়ে দিয়ে পুলিস ননীবালা দেবীকে কাশী থেকে নিয়ে এল কলকাতা প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানে গিয়ে তিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলেন। জেল-কর্তৃপক্ষ, এমনকি জেলা-ম্যাজিস্ট্রেটও তাকে অনুরোধ করে খাওয়াতে পারলেন না।

বলেন, বাইরে গেলে খাবেন। প্রতিদিন সকাল ৯টায় নিয়ে যেত তাঁকে গোয়েন্দা-আফিসে ইলিসিয়াম রো-তে। সেখানে আই.বি. পুলিসের স্পেশাল সুপারিনটেন্ডেন্ট গোল্ডি (Goldie) তাকে জেরা করত।

-আপনাকে এখানেই থাকতে হবে। কী করলে খাবেন?
-যা চাইব তাই করবেন?
-করব।
-আমাকে বাগবাজারে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের স্ত্রীর কাছে রেখে দিন, তাহলে খাব।
-আপনি দরখাস্ত লিখে দিন।

ননীবালা দেবী তখুনি দরখাস্ত লিখে দিলেন। গোল্ডি সেটা নিয়ে ছিড়ে দলা পাকিয়ে ছেড়া কাগজের টুকরিতে ফেলে দিল। অমনি যেন বারুদে আগুন পড়ল। আহত ক্ষিপ্ত বাঘের মতো লাফিয়ে উঠে ননীবালা, এক চড় বসিয়ে দিলেন গোল্ডির মুখে।

দ্বিতীয় চড় মারবার আগেই অন্য সি.আই.ডি, কর্মচারীরা তাঁর উদ্যত হাতকে চেপে ধরে রাখল, পিসিমা, করেন কি? করেন কি? অসীম শক্তি ফেটে বেরিয়ে আসছে তখন ননীবালা দেবীর ভিতর থেকে।

-ছিড়ে ফেলবে তো, আমায় দরখাস্ত লিখতে বলেছিলে কেন? আমাদের দেশের মানুষের কোনো মান সম্মান থাকতে নেই?

রেখে দিল ননীবালা দেবীকে ১৮১৮ সালের ৩নং রেগুলেশনে স্টেটপ্রিজনার করে প্রেসিডেন্সি জেলে। তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র মহিলা স্টেটপ্রিজনার।

দুকড়িবালার সাথে পরিচয়:

জেলের মধ্যে একদিন সিউড়ির দুকড়িবালা দেবীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। জানতে পেলেন, সিউড়িতে তাদের বাড়িতে সাতটা ‘মাউসার’  (Mauser) পিস্তল পাবার অপরাধে দুকড়িবালা দেবীর হয়েছে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড রেখেছে তৃতীয় শ্রেণীর কয়েদী করে। ডাল ভাঙতে দিচ্ছে প্রতিদিন আধমণ।  

মতলব স্থির করে ফেললেন ননীবালা দেবী। উপবাসের ১৯ থেকে ২০ দিন চলছে তখন। আবার এলেন ম্যাজিস্ট্রেট অনুরোধ করতে।

-আপনাকে তো এখানেই থাকতে হবে। কী করলে খাবেন বলুন?
-আমার ইচ্ছামতো হবে?
-হা, হবে।
-তাহলে আমার রান্না করবার জন্য একজন ব্রাহ্মণ-কন্যা চাই, দুজন ঝি চাই।
-ব্রাহ্মণ-কন্যা কেউ আছেন এখানে?
-আছেন, দুকড়িবালা দেবী।
-আচ্ছা, তাই হবে।

এরপরে সমস্ত নতুন বাসন-কোসন, হাঁড়িকুড়ি। ২১ দিনের পরে ভাত খেলেন সেই অসামান্য দৃঢ়চেতা বন্দিনী।

কারাজীবন থেকে মুক্তি:

দুই বছর এইভাবে বন্দীজীবন কাটিয়ে দিলেন তিনি। ১৯১৯ সালের এক দিন ননীবালা দেবীর মুক্তির আদেশ এসেছিলো।

ননীবালা দেবী-র জেল পরবর্তী জীবন:

বাইরে এসে তার মাথা গুঁজবারও স্থান মিললো না। সকলেই পুলিসকে ভয় পায়। বহুদিন ধরে চলেছিল অনেক ওলটপালট ও ভাঙাগড়া।

তারপর একটা আলাদা আধাঘুপচি ঘর ভাড়া করে নিজের জীবনের শূন্য সম্বল নিয়ে, আত্মীয় স্বজনের অনাদর ও লাঞ্ছনা এবং দারিদ্র্যের মধ্যেও পরিপূর্ণ গৌরবে স্থির হয়ে কাটিয়ে চলেছিলেন তিনি বছরের পর বছর।

জেল থেকে ফিরে এসে বালিতে তিনি ঠাই পেলেন না, তখন উত্তর কলকাতার এক বস্তিতে তাকে আশ্রয় নিতে হয়। অনেক অত্যাচার, অনাহারে তাঁকে সহ্য করতে।

মৃত্যু:

১৯৬৭ সালের মে মাসে তিনি মারা যান। জেল থেকে বেড়িয়ে বেঁচে থাকা অবস্থায় পঞ্চাশের দশকে ৫০ টাকা পেনশন পেয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে।[২]

তথ্যসূত্র:

১. দোলন প্রভা, ২১ জুন, ২০১৮ , “ননীবালা দেবী ছিলেন উপনিবেশবাদ বিরোধী ভারতীয় নারী বিপ্লবী”, রোদ্দুরে ডট কম, ঢাকা, ইউআরএলঃ https://www.roddure.com/biography/nonibala-debi/

২. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ৫৭-৬১। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।

Leave a Comment

error: Content is protected !!