লিওনার্দো দা ভিঞ্চি (ইংরেজি: Leonardo da Vinci, ১৫ এপ্রিল ১৪৫২ – ২ মে ১৫১৯) একজন উচ্চ রেনেসাঁর ইতালীয় মহাজ্ঞানী ছিলেন যিনি একাধারে একজন চিত্রশিল্পী, নকসাকার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, তাত্ত্বিক, ভাস্কর এবং স্থপতি হিসাবে সক্রিয় ছিলেন। শুরুর দিকে চিত্রশিল্পী হিসাবে তাঁর খ্যাতি তাঁর কৃতিত্বের উপর নির্ভর করেছিল, যদিও তিনি তাঁর নোটবুকগুলির জন্যও পরিচিতি লাভ করেছিলেন। নোটবুকে তিনি অ্যানাটমি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, মানচিত্রনির্মানবিদ্যা, চিত্রকর্ম এবং জীবাশ্মবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে চিত্র এবং নোট তৈরি করেছিলেন।
‘পরীক্ষা থেকে জন্ম নেয়নি যে বিজ্ঞান, আমার মতে, তা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং ব্যর্থ। কেননা পরীক্ষাই সুনিশ্চয়তার মাতৃস্বরূপ। সুতরাং বিজ্ঞানের সত্য সব সময়েই পরীক্ষার দ্বারা যাচাই হওয়া আবশ্যক।
বারংবার পরীক্ষার সাহায্যে একই রকম ফল পাওয়া গেলে, তবেই কোনও বিষয় বিজ্ঞানের নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। একাধিক বার পরীক্ষার প্রয়োজন, কারণ এক বার বা দু’বারের পরীক্ষাও মিথ্যা হতে পারে এবং ঠকাতে পারে পর্যবেক্ষককে।’
যদি বলা হয় একেবারে আধুনিক এই পর্যবেক্ষণ আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে এক বিজ্ঞানীর, তা হলে আজকের পাঠকের মনে সবিস্ময় এই প্রশ্ন জাগবে, ‘কে তিনি?’ তিনি হলেন পঞ্চদশ-ষোড়শ শতকে ইতালীয় তথা ইউরোপীয় রেনেসাঁ বা নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা লিওনার্দো দা ভিঞ্চি।
রেনেসাঁ কী ? সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, চিত্রকলায় মধ্যযুগের অন্ধকার থেকে উত্তরণের নামই রেনেসাঁ বা নবজাগরণ। পঞ্চদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত যার ব্যাপ্তি এবং প্রধানত ইতালিতে যার বিকাশ ও বিস্ফোরণ। ত্রয়োদশ শতকের শেষভাগেই যার সূচনা হয়েছিল ইতালীয় কবি ও মনীষী ফ্রান্সেসকো পেত্রার্কা বা পেত্রার্ক-এর হাত ধরে। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বিজ্ঞান-সাহিত্য-সংস্কৃতির যা কিছু ভাল, তার উজ্জ্বল উদ্ধার ও তার সঙ্গে মানুষের নবপরিচয়ের নান্দীপাঠ করেছিলেন তিনি। সেই সূত্র ধরেই প্রাচীন গ্রিক ও আরব বিজ্ঞানেরও পুনরাবিষ্কার ও নবোত্থান ঘটে। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ছিলেন এরই এক অগ্রপথিক।
জন্ম ও শিক্ষাজীবনে ভিঞ্চি
ইতালির ফ্লোরেন্সের কাছে ১৪৫২ সালে এক ধনী পরিবারে লিওনার্দোর জন্ম। পিতা পিয়েরো দা ভিঞ্চি ছিলেন ফ্লোরেন্সের বিখ্যাত আইনজীবী। বাল্যেই লিওনার্দোর মধ্যে ছবি আঁকায় উৎসাহ ও নৈপুণ্য লক্ষ করে তাকে ফ্লোরেন্সেরই খ্যাতনামা চিত্রকর ও প্রযুক্তিবিদ আন্দ্রিয়া ভেরোচ্চিওর কাছে শিক্ষানবিশির জন্যে পাঠান পিয়েরো। চিত্রাঙ্কন ছাড়াও ভেরোচ্চিও স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও পূর্তবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। সোনা রূপার কারবারও ছিল তার। সে কালের নানা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামে সজ্জিত ছিল তার কারখানা তথা গবেষণাগার। এর পূর্ণ সুযোগ নেয় প্রতিভাধর লিওনার্দো এবং ছবি আঁকার সঙ্গেই স্থাপত্য, পূর্তবিদ্যা, ধাতু নিষ্কাশন, এমনকী পদার্থবিদ্যা ও অ্যানাটমি বা শারীরসংস্থানেও প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে। পরবর্তিকালে জীবনে নিজস্ব আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের যোগে যার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছিলেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি।
চিত্রাঙ্কনে অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি।‘মোনালিসা’ ও ‘লাস্ট সাপার’ তাঁর কালজয়ী দুই শিল্পসৃষ্টি। এ ছাড়াও কয়েকটি অনবদ্য ছবি রক্ষিত রয়েছে ফ্লোরেন্স ও প্যারিসের মিউজিয়ামে।
লিওনার্দোর শিল্পপ্রতিভার কথা শুনে তাঁকে রাজসভায় নিযুক্ত করেন ফ্লোরেন্সের ডিউক তথা শাসক মোদিচিরা। কিন্তু চিত্রাঙ্কন ছাড়াও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষা ও পূর্তবিদ্যা সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধানে তিনি প্রচুর সময় দিতেন। এবং সেই সূত্রে মাঝে মাঝেই প্রাচীন পণ্ডিতদের সমালোচনায় মুখর হতেন। এতে ফ্লোরেন্সের বিদ্বজ্জন তার উপরে চটে যান। ডিউকেরও বিরাগভাজন হন লিওনার্দো। ফলে ফ্লোরেন্সে তার কোনও ভবিষ্যৎ নেই, এটা বুঝে একটি পদ প্রার্থনা করে মিলানের ডিউক কাউন্ট লুদোভিচো ফোর্জার কাছে চিঠি লেখেন। চিঠিতে বিভিন্ন বিষয়ে তার পারদর্শিতার পরিচয় দিয়ে নিজ উদ্ভাবিত নানা গুপ্ত কথাও জানান লিওনার্দো। এর পরই লুদোভিচোর কাছ থেকে ডাক পান তিনি এবং মিলানের রাজসভায় চিত্রশিল্পী ও ইঞ্জিনিয়ার পদে নিযুক্ত হন।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চির সেই চিঠি আজও সংরক্ষিত আছে। চিঠিতে তার স্বউদ্ভাভিত সমরাস্ত্র সম্পর্কে যে সব তথ্য রয়েছে, তা যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক। তিনি লিখেছেন, ‘আমি এমন এক ধরনের হালকা অথচ শক্তপোক্ত সেতু তৈরি করেছি, যা বহনযোগ্য। শুধু তাই নয়, এই সেতু অগ্নিনিরোধকও … শত্রুপক্ষের সেতু উড়িয়ে দেওয়ার কৌশলও আমি জানি। কোনও স্থান অবরোধ করার সময়ে তার চারপাশের পরিখা থেকে জল নিষ্কাশন করে নিয়ে সেই বাধা অপসারিত করার কৌশলও আমার জানা। উপরন্তু, এমন সব বিস্ফোরক আমি তৈরি করেছি, যার সাহায্যে শিলাবৃষ্টির মতো অসংখ্য ছোট ছোট পাথরের খণ্ড শত্রুপক্ষের উপরে বর্ষণ করা যায়। উদ্ভাবন করেছি এমন রাসায়নিক যার সাহায্যে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে বিভ্রান্ত করা যায় বিপক্ষ সেনাদের।
মাটি, পাথর ও পিতল দিয়ে যে কোনও ধরনের মূর্তি গড়ায় এবং ছবি আঁকায় সমকালীন বিখ্যাত শিল্পীর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার দক্ষতাও তার আছে এবং চাইলে এ বিষয়ে মহামান্য ডিউকের সামনে পরীক্ষা দিতেও তিনি প্রস্তুত বলে চিঠিতে জানিয়েছিলেন লিওনার্দো। এই চিঠির দৌলতেই তিনি ১৪৮২ সালে ডিউক লুদোভিচোর রাজসভায় স্থান করে নেন।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি তার যাবতীয় গবেষণা, আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনের কথা লিখে গিয়েছেন তার অনেকগুলি নোটবুকে। যার পৃষ্ঠা-সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। এর মধ্যে মোটামুটি হাজার পাঁচেক পৃষ্ঠার লেখা উদ্ধার করা গিয়েছে। এর বাইরে লিওনার্দোর কোনও প্রকাশিত বইপত্র নেই। নোটবুকগুলির লেখাও বহু ক্ষেত্রে শিথিল, এলোমেলো, পারম্পর্যহীন। কিন্তু বিষয়ের বৈচিত্রে অভিনবত্বে ও গভীরতায় অসামান্য।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি তাত্ত্বিক নয়, মূলত ব্যবহারিক প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় প্রবৃত্ত হয়েছিলেন। কল্পনা ও প্রজ্ঞামূলক চিন্তাভাবনার চেয়ে প্রত্যক্ষ পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণকেই মূল হাতিয়ার করেছিলেন তিনি। চিত্রাঙ্কনে পুরোপুরি সাফল্য পেতে হলে যে শারীরসংস্থান, অপটিকস বা আলোকবিদ্যা ইত্যাদি বিজ্ঞানের কয়েকটি বিষয়ে সম্যক জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন, সেটা বুঝতে দেরি হয়নি তার। শারীরসংস্থান সম্পর্কে জানতে বহু বার শব ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন লিওনার্দো। সেতু, সড়ক ইত্যাদির পরিকল্পনায় কাজে লাগিয়েছিলেন পূর্তবিদ্যার শিক্ষাকে। এখানেই শেষ নয়, প্রায় ৫০০ বছর আগে যখন বিমান, সাবমেরিন ইত্যাদি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সুদূরতম কল্পনাতেও ছিল না, তখন লিওনার্দো এই সব যানের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং সে সবের নিখুঁত স্কেচও পাওয়া গিয়েছে তার নোটবুকে। বিমানের পরিকল্পনা করতে গিয়ে তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন পাখিদের ওড়ার কৌশল। তার পরিকল্পিত বিমানে পাখির ডানা নাড়ানো এবং এখনকার হেলিকপ্টারের মতো ঘূর্ণমান প্রপেলারের ব্যবস্থাও চিত্রিত হয়েছে। কিন্তু এই সব যান বা যন্ত্র তিনি বাস্তবে তৈরি করতে পারেননি। সে সময়ে প্রযুক্তিও তার উপযোগী ছিল না। তা ছাড়া বাস্তবায়নের পক্ষে যথেষ্ট জটিলও ছিল সেগুলি।
লক্ষণীয়, প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বিজ্ঞানীদের সমালোচনা করলেও, বেশ কিছু বিজ্ঞানীর ধ্যানধারণা ও পরীক্ষার বৃতান্ত অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে অধ্যয়ন করেছিলেন লিওনার্দো। তার নোটবুকে এরিস্টটল, আর্কিমিডিসসহ প্রায় ৭২ জন প্রাচীন বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের নাম উল্লিখিত হয়েছে। এঁদের মধ্যে সাইরাকিউজের আর্কিমিডিসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ব্যক্ত হয়েছে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও গবেষণায় পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের উপর সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। যা নিয়ে তার ধারণা ও মতামত এই লেখার শুরুতেই উদ্ধৃত করা হয়েছে। উদ্ভাবন তো বটেই,তার বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারও সে সময়ের নিরিখে কম বিস্ময়কর নয়। বলবিদ্যায় বল বা ফোর্স ও গতির বা মোশন প্রকৃতি সম্পর্কে যথাযথ অনুধাবন করেছিলেন তিনি। গতির উপর বস্তুর ওজনের প্রভাবে যে ত্বরণ বা অ্যাক্সিলারেশন সৃষ্ট হয়, সে সম্পর্কেও অস্পষ্টভাবে ধারণা করেছিলেন লিওনার্দো। যার প্রমাণ রয়েছে এই উদ্ধৃতিতে:
‘nothing perceptible by senses is able to move itself….Everybody has the direction of its movement,’ বস্তুর গতি যে নিরবচ্ছিন্ন হতে পারে না, তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন লিওনার্দো। যেখানে নিউটনীয় তত্ত্বের পূর্বচ্ছায়া রয়েছে।
তির্যকভাবে নিক্ষিপ্ত তিরের গতিপথ প্যারাবোলিক অর্থাৎ অধিবৃত্তাকার হয়, তারও নিখুঁত ছবি এঁকে গিয়েছেন লিওনার্দো। এখানে তিনি গ্যালিলেওর পূর্বসূরি। তরল পদার্থের চাপ সম্পর্কে আর্কিমিডিসের তত্ত্ব পুনরুদ্ধার করেন লিওনার্দো। তিনি দেখান যে, কোনও পাত্রের ভিতর তরলের উচ্চতা পাত্রের আয়তন বা আকারের উপর নির্ভর করে না। পাত্রের আকার বা আয়তন যাই হোক না কেন, পাত্রের মধ্যে রাখা একই তরলের উচ্চতা সমান হবে।
শবব্যবচ্ছেদ থেকে আহৃত জ্ঞান নির্ভর করে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর গঠনবৈচিত্রের তুলনামূলক আলোচনাও করেছেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। এঁকেছেন মানুষের হৃৎপিণ্ড এবং জরায়ুর মধ্যে মানব ভ্রুণের অবস্থানের প্রায় নিখুঁত চিত্র। এঁকেছেন মানুষের মাথার খুলি এবং উড়ন্ত পাখিদের ছবি, যেখানে বিভিন্ন কোণে ও অবস্থানে পাখির ডানার উপর বায়ুর রোধ (resistance) কীভাবে কাজ করে, তা দেখানো হয়েছে। তিনি প্রথম এটাও প্রমাণ করেন যে, পূর্ব ধারণা মতো দুটি নয়, হৃৎপিণ্ডের আছে চারটি কক্ষ আর ভালভ বা কপাটিকাগুলি দিয়ে শুধু এক দিকেই রক্ত যায়। এত সব ধারণা করেও, কিন্তু দেহের মধ্যে রক্তসংবহন প্রক্রিয়া তিনি আবিষ্কার করতে পারেননি। তার জন্যে বিজ্ঞানজগৎকে প্রায় ১৫০ বছর অপেক্ষা করতে হয়। তা আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়ম হার্ভি।
১৫০০ সালের পর ভিঞ্চি ফ্লোরেন্সে ফিরে আসেন এবং ১৫০৩-এ তাঁর বিশ্ববিখ্যাত চিত্র ‘মোনালিসা’ আঁকতে শুরু করেন। এ জন্যে মোনালিসা নাম্নী এক মহিলা তিন বছর ধরে প্রতি দিন বিকেলে লিওনার্দোর স্টুডিওতে মডেল হিসেবে হাজির হতেন। ১৫০৬-এ মোনালিসার অঙ্কন সমাপ্ত হয়। যে কাজ দেখে নিজেই অবাক হয়ে যান লিওনার্দো। মোনালিসার চিত্রিত অধরের প্রহেলিকাময় হাসির রহস্য ব্যাখ্যায় বিশেষজ্ঞেরা আজও ব্যাপৃত। ফ্লোরেন্সের লুভর মিউজিয়ামে রাখা ছবিটির ঠোটের ওই হাসির অর্থ আজও অধরা। হয়তো স্বয়ং স্রষ্টারও তা অগোচর ছিল।
মোনালিসা আঁকা শেষ হলে ভিঞ্চি মিলানেই ফিরে যান। সে সময় মিলান ফরাসি শাসকের অধীন ছিল। ১৫১৯ সালে ৭৭ বছর বয়েসে মারা যান লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। বিজ্ঞানের ইতিহাসে তাঁর মতো বহুমুখী প্রতিভা বিরল। লিওনার্দো দা ভিঞ্চিকে বলা হয় ‘ইউনিভার্সাল ম্যান’। আক্ষরিক অর্থেই তিনি বিশ্বমানব ছিলেন।
তথ্যসূত্র
১. বিমল বসু, বিজ্ঞানে অগ্রপথিক, অঙ্কুর প্রকাশনী, ঢাকা, দ্বিতীয় মুদ্রণ মে ২০১৬, পৃষ্ঠা ৩৭-৪১।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক ও গবেষক। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা এগারটি। ২০০৪ সালে কবিতা গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠকের সামনে আবির্ভূত হন। ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘মার্কসবাদ’ তাঁর দুটি পাঠকপ্রিয় প্রবন্ধ গ্রন্থ। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল গবেষণামূলক লেখা তাঁর আগ্রহের বিষয়।