আজ যার সম্পর্কে লিখবো তিনি আমার কাছে নানা নামে পরিচিত। সময় ও পরিবেশের সাথে সাথে বিভিন্ন নাম, রূপে, রঙে উঠে এসেছেন আমার দৃষ্টিপটে। তিনি অতি সাধারণ একজন; এরমাঝেও আমার কাছে বিশেষ। ব্যক্তি তাঁর নিজের দক্ষতা, যোগ্যতার কারণে অন্যের কাছে পরিচিত হন। আবার নিজের রেখে যাওয়া কাজের কারণে অনেক দিন অন্যের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকেন। এছাড়াও পারিবারিক লোকজনের মনে নানা ঘটনার কারণে দাগ কেটে থাকেন। আমার জীবনে একটি বিশেষ সময়কে কেন্দ্র করে জড়িয়ে আছেন লেখার আলোচ্য ব্যক্তি। আমি যদি নিজের অতীতকে সংরক্ষণ ও নিজেকে সম্মান করতে পারি তাহলে তাঁকেও জীবনের অংশ হিসাবে স্থান দিতে পারবো।
ছোট বেলায় তিনি আমার কাছে ডালিম ফুপু নামে পরিচিত ছিলেন। এই নামের পেছেনে ছোট মজার ঘটনা ছিলো। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বার্ষরিক পরীক্ষার পরে স্কুল ছুটিতে দাদি বাড়ি মহেন্দ্রগাঁও বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেই সময় গ্রামে অনেক কাজ। আলাদা করে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার সময় কারো ছিল না। কিন্তু আমার নাছড়বান্দা ছোট ভাই গোলাপ সে তো টোটো করে ঘুরবেই। তাই চাচাতো ভাইরা যেখানেই যায় সেও তাদের সাথে যেত। এর মধ্যে একদিন ফুপুর বাড়ি যায়। সেই সময় তাকে গাছ পাকা দেশি ডালিম দিয়েছিলেন। তখন মা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলো ‘কে তোকে ডালিম দিয়েছে? সে তো নাম জানে না! তাই নিজেই নাম দিয়েছিলো ‘ডালিম ফুপু’। তখন থেকেই তিনি আমাদের কাছে ডালিম ফুপু।
এরপরে দেখা হয়তো হয়েছিলো দু’একবার; তবে আমার স্মৃতিতে তাঁর প্রতিচ্ছবি ছিলো না। শরণ রাখার মতো স্মৃতি ছিলো ২০০৭ সালের শুরুর দিকে কোন এক মাসে। ধুমডাঙি গ্রামে নেকজান ফুপুর বাড়িতে আমরা বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেই সময় বিকালে বাড়ির উঠনে আমরা বসে ছিলাম। ঘরের বাহিরে মেজো ফুপু, ভাবিরা, মা বসে নানা কথা বলছেন ও হাসাহাসি করছেন; আর ভিতর থেকে একটি কণ্ঠস্বর ভেসে আসছিলো বাহিরের আড্ডায়। গম্ভীর, স্পষ্ট, ভরাট গলার কথা। আমি বসে বসে কথার সাথে মুখের ছবি আঁকছিলাম মনে মনে। কিন্তু যাকে নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতি নেই বা চেহারার বর্ণনা শুনিনি তাঁর ছবি আঁকা তো মুশকিল। অপেক্ষার অবসান শেষে কিছুক্ষনের মধ্যেই তিনি বেরিয়ে এলেন; মনে হচ্ছে দুর্গের রাণী; বাঙালি বা আটপৌর স্টাইলে পীত রঙের সুতি শাড়ি পড়া সফেদকেশী বলিষ্ঠ কণ্ঠের সাহসী নারী।
এরপরে অনেকবার গিয়েছি তাঁর বাড়ি। ছোটবেলার শোনা ডালিম ফুপুর বাড়িতে তখনও ডালিম গাছ ছিলো। দামোল গ্রামের মধ্যে সেই বাড়িটি ছিলো গাছপালায় ভরা সতেজ বাড়ি। বাড়ির উঠনে যা গাছ আছে; ঘরের পিছনে দেখলে মনে হবে অরণ্য। বাহারি বৃক্ষ, লতার সমারোহ। আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, ডালিম, গাব, লুকলুকি, তাল, লেবু, পেঁপে, আনারস, বাঁশ, শিমুল, জীবন্তী, গাছআলু, গুলঞ্চসহ নানা ফলজ ও ভেষজ বৃক্ষ, লতা। এছাড়াও কিছু উদ্ভিদ তো তিনি রাখতেন পশুপাখির জন্য।
অনেকের কাছে বাহির থেকে জঙ্গল বাড়ি মনে হতে পারে। কিন্তু বিনা পয়সায় টাটকা অক্সিজেন সেখানেই পাওয়া যায়। এমন একটা বৃক্ষ বাড়ি অক্সিজেন সিলিন্ডারের মতো। এই বাগানের প্রতিটি লতাপাতা তাঁর স্পর্শেই বেড়ে উঠেছে। তিনি জানতেন কখন, কোন সময়, কীভাবে কার যত্ন নিতে হবে। তাই দিন রাতে নির্ভয়ে বাগানে যেতেন। মনে হয় প্রতিটি গাছ তাঁর পদচারণার অপেক্ষায় থাকতো। ধূলিকণারা স্পর্শ করতে চাইতো চরণ। সফেদ কেশী সাহসী তিনি চলতেন একা বা মাঝে মাঝে অন্যদের নিয়ে তাঁর বাগানে।
প্রতিটি গাছকে শুধু পরিচর্যা যে করতেন তাই নয়, তিনি গাছের গুনাগুণও জানতেন। কোন গাছের মূল খেলে পেটের অসুখ ঠিক হবে, হাত-পায়ের ব্যথাতে কোন পাতার রস লাগাতে হবে, ঘা-ক্ষত সারাতে কি করতে হবে ইত্যাদি। গ্রামের অনেকে উনার কাছে এই বিষয় পরামর্শ নিতে আসতেন। আগাছা হিসাবে বেড়ে ওঠা লতা, গুল্ম, বিরুৎ নানা প্রজাতিকে অন্যান্য গাছের সাথে রেখে দিতেন; যেনো গ্রামের অন্যরা প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারে।
বিভিন্ন সবজি, শস্যকণা চাষাবাদ করতেন। নিজের বাসায় সেইসব ফসলের বীজ সংরক্ষণ করতেন। নিজের কাছে না থাকলে অন্য বোন, ভাই, আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আনতেন। এছাড়াও অন্যরাও তাঁর কাছ থেকে নিয়ে যেতো। আমার চোখে দেখা সাধারণের মাঝে অসাধারণ একজন তরুপ্রেমী নারী তিনি। দামোলের বাড়িতে তিনি একা থেকেছেন অনেকটা সময়। কিন্তু এই গাছপালার সাথে এমন বন্ধুত্ব হয়েছিলো যে বাড়ির বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলেও বেশিদিন থাকতে পারতেন না।
তিনি উজ্জ্ব্বল রঙ পছন্দ করতেন। গাঢ় রঙের শাড়ি পড়তেন। ফুল, পাতার মতো ছাপ দেওয়া শাড়ি পড়তেন। প্রকৃতিকে যেমন পছন্দ করতেন তেমনি পোশাক নির্বাচনের সময়ও তেমনটাই করতেন। প্রকৃতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখতেন সবসময়। দ্রুত লয়ের গান শুনতে পছন্দ করতেন। লোকগীত গাইতেন। নিজ গ্রাম বা আশেপাশের গ্রামে বিয়ের বাড়িতে দল বেঁধে গীত গাইতে যেতেন। ৭০ বছর বয়সের পরে যখন পরিবারের সাথে বসে আড্ডা দিতেন তখন মাঝে মাঝে গীত গাইতেন। জোরালো ও সুরেলা কণ্ঠ ছিলো তাঁর। বয়সের ভারে শরীর নুয়ে পড়েছিলো কিন্তু কণ্ঠ ছিলো টনটনে।
ডালিম ফুপুর সাথে পারিবারিক ইতিহাসের গল্প নিয়ে অনেক সময় কেটেছে। কথা বলতে খুব পছন্দ করতেন তিনি। নিজের অবস্থানে থেকে আশেপাশে ঘটে যাওয়া ছোট বড় নানা ঘটনাকে মনে রাখতেন। ভারতের মালদহে ফেলে আসা শৈশব নিয়ে নানা স্মৃতি ছিলো তাঁর; নদীতে সাঁতার কেটে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া, মাছ ধরা, বাপ-চাচাদের সাথে ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি।
তিনি মাছ খেতে খুব পছন্দ করতেন। এই পছন্দের কারণ জানতে চেয়েছিলাম একদিন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতে তাদের বাড়ির আশেপাশে ছিলো নিচু; তাই বর্ষায় পানি জমে থাকতো। সেই সময় অনেক মাছ পাওয়া যেত সেখানে। অনেক বড় বড় মাছ, এখনকার বাজারে তেমন স্বাদের মাছ নাই। মা অর্থাৎ জমিলা খাতুন মাছ যেমন রান্না করত তেমনি মাছ ভেজেও দিত। অনেক সময় ভাত না খেয়ে শুধু মাছভাজা খেয়েই থাকতাম। মাছ খেতে খেতে একসময় অরুচি হয়ে গিয়েছিল; তখন মাকে বলেছিলাম মাছের ডিম তেলে ভেজে দিতে। শুধু ডিম তেলে ভাজলে কি আর খাওয়া যায়!’ বলেই হা হা হা করে হাসি।
নিজের দাদার বাড়ির গল্প শুনতে চাইলে বলতেন, ‘দাদার ছিলো অনেক জমি, কিন্তু জমিগুলা ছিলো নিচু’। ধান হয় একবার। তবে নানা ধরণের ডাল চাষ করা হতো; কালাইয়ের ডাল বেশি করা হতো। কালাইয়ের ডালের সাথে চাল দিয়ে রুটি বানানো হতো। মালদহ অঞ্চলের এই রুটি বিখ্যাত। এই রুটি ভর্তা, ধনিয়া, কাঁচা মরিচের চাটনি, সবজি তরকারি দিয়ে খেতে মজা।
বাংলা ভাগের কয়েকবছর পরে জন্মস্থান ছেড়ে চলে আসেন ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার দামোল গ্রামে। কারণ শ্বাশুড়ি চলে আসেন। কিন্তু ভারতের নানা জায়গা ভ্রমণ করেছিলেন তিনি, দাদা, ভাসুর, ভাইদের সাথে। ভ্রমণ করতে পছন্দ করতেন। পুর্ব বাংলায় এসেও কয়েকবার মালদহে যান।
যুদ্ধের সময়ের নানা গল্প করতেন। ১৯৭১ সালে ফুপুসহ দাদা বাড়ির সবাই নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছিলেন। এছাড়া গরুর গাড়িতে করে বিভিন্ন স্থানে মালামাল ও সন্তানদের নিয়ে যেতেন। যুদ্ধের সময় একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ফুপু মাঝে মঝে বলতেন। সম্ভবত টাঙ্গন নদী পার হওয়ার পরে মাটির রাস্তা ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় কিছু সাঁওতালদের নদীর পাড়ে ফাঁকা জায়গায় পাক বাহিনী ধরে নিয়ে আসে; আর বেয়নেটের আঘাতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারতে থাকে। এক দুখী মায়ের কথা প্রায় বলতেন, যুদ্ধের সময় হরিপুরের দামোল গ্রামের অনেকে একসাথে যখন স্থানান্তরিত হচ্ছিল তখন মাঝবয়সী এক নারী তাঁর ২০/ ২২ বছরের পঙ্গু মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই মেয়েকে নিয়ে স্থান পাল্টানো অনেক কষ্টের ছিলো; কিন্তু তিনি ছাড়তেন না চলতে অক্ষম মেয়েটাকে। এছাড়াও যুদ্ধের অনেক ঘটনা তিনি বলেন; আমরা উৎসুক হয়ে শুনতাম।
আমার বাবা ছিলেন ভাইদের মধ্যে ছোট। ছোট ভায়ের প্রতি বড় বোন হিসাবে স্নেহ ছিলো একটু বেশি। বাবার অতীত, ছোটবেলার স্মৃতি জানতে একদিন রাতে অনেকক্ষণ কথা বলি। ফুপুর স্মরণ শক্তি ছিলো অসাধারণ। মনে রাখতে পারতেন অনেক কিছু। বাবা স্বভাবে অনেক চঞ্চল ছিলেন। আমার বাবা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাড়ি থেকে চলে যান। সেই সময় যুদ্ধ চলছিলো। যুদ্ধ শেষে অনেক বছর পরে বাবা বাড়ি ফিরে। এরপরেই নিজের জমানো কথা বলার জন্য ফুপুর বাড়ি যান। সারারাত দুই ভাইবোনের কথা হয়।
বাবার ছোটবেলায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে গ্রামীণ কূপমণ্ডূকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। তিনি রেলওয়েতে যে চাকরি পেয়েছিলেন সেটাই পরবর্তীতে আমাদের পরিবারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফুপুর বিশ্লেষণ ক্ষমতা ছিলো চমৎকার। ছোট ভাইয়ের বাড়ি পালানোর পরের টিকে থাকার লড়াই শুনে ব্যথিত হয়েছিলেন কিন্তু চাকরির ফলে জীবনের মোড় বদলে গিয়েছে সেটা বুঝতে পেরে আনন্দিত হয়েছিলেন। আমার বাবা ছাড়াও প্রতিটি ভাই বোনের জীবনের উন্নতি-অবনতির কারণ, ঘটনা তিনি মনে রাখতে পারতেন এবং বিশ্লেষণ করতে পারতেন।
সাংসারিক ক্ষেত্রে তিনি অনেক দক্ষ ও পরিশ্রমী ছিলেন। মমতাময়ী যেমন ছিলেন তেমনি কঠোরও ছিলেন। পারিবারিক উন্নতির ক্ষেত্রে সচেতন নজর ছিলো। সন্তানদের লেখাপড়াসহ গ্রামের অন্যান্য ছেলে মেয়ে যেন সেই সুবিধা পায় সেজন্য অর্থনৈতিক, মানসিক, সামাজিকভাবে চেষ্টা করেছেন। নিজ গ্রামে শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
আমাদের এই পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মেয়েদের স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা আছে। এর মাঝেও নানা চেষ্টা, সংগ্রাম করে তিনি কিছু কাজ করে থাকেন। নানা বাঁধা থাকার পরও আমার ডালিম ফুপু অর্থাৎ শাহেরা খাতুন নিজেকে নানা গুণে গুন্বানিত করেছেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনচেতা নারী। গ্রামীণ জীবনে শহুরে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় না। কিন্তু কিছু কিছু লড়াকু ব্যক্তির ছোট ছোট অবদানের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আসে। তাঁর কাজগুলো ঠিক তেমনই। আপাতদৃষ্টিতে কাজটা ছোট মনে হতে পারে কিন্তু তাঁর কাজের প্রভাব কত সেটা বুঝতে সময়ের উপর ছেড়ে দিতে হয়। তিনি দেওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। যতটা সম্ভব নিজের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইতিবাচক ফলাফল তৈরি করতে চেয়েছিলেন। ব্যক্তি জীবনে কেউই পুর্ণাঙ্গ সফল হয় না; ব্যর্থতা থাকে; যা পরবর্তী প্রজন্মের উপর দায়িত্ব বর্তায় ব্যর্থতাকে শুধরে নেবার।
২ জুন ২০২১ তারিখে শাহেরা খাতুনের মৃত্যু হয়। তিনি নিজের কর্মের মাধ্যমে আমাদের স্মৃতির পটে বেঁচে আছেন। আমরা তাঁর কিছু কাজ সংরক্ষণে রাখতে পেরেছি। তাঁর গাওয়া লোকগীত, ধাঁ ধাঁ, সাক্ষাৎকার, নকশী কাঁথা, ব্যবহার্য আসবাব ইত্যাদি। তাঁর নিজ কণ্ঠে গাওয়া গীত রোদ্দুরে ইউটিউব চ্যানেলে দিয়েছি। এছাড়াও ফুলকিবাজ ওয়েবসাইটে লেখাগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
দোলন প্রভা বাংলাদেশের একজন কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক ও উইকিপিডিয়ান। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। তার জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯ তারিখে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রেলওয়ে নিউ কলোনিতে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বাংলাদেশের আনন্দমোহন কলেজ থেকে এমএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ফুলকিবাজ এবং রোদ্দুরে ডটকমের সম্পাদক।