গ্যালিলিও গ্যালিলি ছিলেন একজন ইতালীয় জ্যোতির্বিদ, পদার্থবিদ এবং প্রকৌশলী

গ্যালিলিও গ্যালিলি বা গেলিলী গেলিলিও বা গ্যালিলেও ডি ভিনসেঞ্জো বোনাউটি দে’ গ্যালিলি (ইংরেজি: Galileo Galilei; ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৫৬৪ – ৮ জানুয়ারি ১৬৪২ খ্রি.) ছিলেন একজন ইতালীয় জ্যোতির্বিদ, পদার্থবিদ এবং প্রকৌশলী, যাকে কখনও কখনও পিসার একজন মহাজ্ঞানী হিসাবে বর্ণনা করা হয়। গ্যালিলিওকে “পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক”, “আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক”, “বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির জনক” এবং “আধুনিক বিজ্ঞানের জনক” বলা হয়। এরিস্টটলের অনড় অভিমত এবং মধ্যযুগের বন্ধ্যা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গেলিলিও ছিলেন বিদ্রোহী পথপ্রদর্শক। তিনি বৈজ্ঞানিক বিশ্বদৃষ্টির প্রবক্তা এবং আপেক্ষিকতা ও ‘ল অব ইনারসিয়া’ বা বস্তুর জাড্যতার বিধানের আবিস্কারক।[১]  

গেলিলিওর গবেষণা কপারনিকাসের সূর্যকেন্দ্রিকতার তত্ত্বকে সুপ্রমাণিত করে বিশ্ব সম্পর্কে ধর্মীয় বিশ্বাসের মূলে আঘাত করে। এই আঘাতে যাজক সম্প্রদায় সন্ত্রস্ত হয়ে ইনকুইজিশন বা ধর্মীয় বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে ঘোষণা করে যে, কপারনিকাসের তত্ত্ব সঠিক বলে কোনো অভিমত প্রকাশ করতে পারবে না। তেমন অভিমত কেউ প্রকাশ করলে তাকে জীবন্ত দগ্ধ করা হবে। এর ফলে গেলিলিও দীর্ঘকাল নীরব থাকতে বাধ্য হন।

গেলিলিওর বিশ্বদৃষ্টি ছিল সুস্পষ্টরূপে প্রগতিশীল। তিনি মনে করতেন, বিশ্ব হচ্ছে অসীম এবং বস্তু হচ্ছে শাশ্বত। বিশ্ব প্রকৃতিকে জানার একমাত্র উপায় হচ্ছে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা।[২]

পেন্ডুলামের তত্ত্ব দিলেন গ্যালিলিও

ইতালির পিসা নগরী। সময় ষোড়শ শতকের শেষ ভাগ। শহরের গির্জায় বসে এক তরুণ ছাত্র তন্ময় হয়ে দেখছে ছাদ থেকে ঝুলন্ত একটি লণ্ঠনের দুলুনি। ডাইনে-বাঁয়ে এবং বাঁয়ে-ডাইনে লণ্ঠনটি যাওয়া-আসা করছে কখনও কম, কখনও বা একটু বেশি দূর পর্যন্ত। সরলরেখায় নয়, তবে যাওয়া-আসার পথটি অদৃশ্য এক বৃত্তচাপ।

সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, দুলুনির ব্যবধান কম-বেশি যাই হোক, এক-একটি আবর্তনে সময় একই লাগছে। এটা মনে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তরুণটি কবজির নাড়ি টিপে তার স্পন্দনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখল, যা ভেবেছে ঠিক তাই। দুলুনির সময়ে এতটুকু হেরফের হচ্ছে না। প্রতিদিন কত লোকেই তো দেখছে। ওই দোলন, কিন্তু কারও মাথায় খেলেনি সময়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের ওই বৈশিষ্ট্য। মাথাটি অসাধারণ বলেই বৈজ্ঞানিক সত্যটি মুহূর্তে ধরা পড়ে গিয়েছিল সেই তরুণের চোখে। তরুণটি আর কেউ নন, পর্যবেক্ষণ আর পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের জনক গ্যালিলেও গ্যালিলি। একটি দৈনন্দিন ঘটনা থেকে তিনি আবিষ্কার করে ফেললেন পেন্ডুলামের তত্ত্ব।

গতিবিদ্যার তত্ত্বের রচয়িতা গ্যালিলিও  

গ্যালিলিওর বয়েস তখন মাত্র ১৭। ডাক্তারি পড়ছেন পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ডাক্তারির বইয়ে মন নেই, তার আগ্রহের মূল কেন্দ্র তখন গণিত। তত দিনে তার দেখা হয়ে গিয়েছে তুস্কেনির গ্র্যান্ড ডিউক এবং প্রশাসকের সভা গণিতজ্ঞ অস্তিলিও রিকির সঙ্গে। শোনা যায়, রিকি যখন গণিতের ক্লাস নিতেন, গ্যালিলেও দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কান পেতে রাখতেন সেই বক্তৃতায়, কারণ, তিনি চিকিৎসাবিদ্যার ছাত্র, গণিত তার বিষয় নয়। রিকির নজরে পড়তে দেরি অবশ্য হয়নি গ্যালিলেওর। রিকিও প্রাণ ঢেলে শেখান প্রতিভাধর নতুন ছাত্রটিকে। গণিতের এই জ্ঞান, পরবর্তিকালে ‘মেকানিক্স’ অর্থাৎ গতিবিদ্যার তত্ত্ব রচনায় বিশেষ সহায়ক হয়েছিল। পদার্থবিজ্ঞানে আধুনিক গতিবিদ্যার জনক গ্যালিলিও গ্যালিলি। যোড়শ শতকে ইউরোপীয় রেনেসাঁ বা নবজাগরণের অন্যতম অগ্রপথিক তিনি। 

জন্ম ও শিক্ষাজীবনে গ্যালিলিও

পিসা নগরীতেই ১৫৬৪ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি গ্যালিলিওর জন্ম। এক সময় ধনী এবং অভিজাত হিসেবে পরিচিত ছিল তাদের বংশ। পনেরো শতকের মাঝামাঝি ওই বংশের এক নামী পুরুষ ছিলেন গ্যালিলেও বোনাহউতি। তিনি ছিলেন একাধারে চিকিৎসক এবং প্রশাসক। গ্যালিলেও গ্যালিলির যখন জন্ম হয়, বংশের সেই গৌরব তখন আর নেই। কিন্তু আভিজাত্যের পালিশটুকু তখনও ছিল। গ্যালিলেওর বাবা ভিনসেনজিও ছিলেন ফ্লোরেন্সের রাজসভার সঙ্গীতকার। আবার গণিতেও দক্ষতা ছিল তার। মেলামেশা ছিল উচ্চবর্গীয় ডিউক এবং প্রিন্সদের সঙ্গে। ছেলেবেলা থেকেই গ্যালিলেওর আগ্রহ ছিল সঙ্গীতে, সম্ভবত বাবার কাছ থেকেই তা পাওয়া। ‘লিউট’ নামে একটি যন্ত্র বাজানোয় পেশাদারি দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। গ্যালিলেওর আজীবন সঙ্গী ছিল এই লিউট। আইনস্টাইনের যেমন বেহালা, অথবা সত্যেন বসুর এসরাজ।

এগারো বছর বয়েস পর্যন্ত গ্যালিলিওর পড়াশোনা বাড়িতেই, প্রধানত বাবার কাছে। কখনও বা গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে। এর পর ১৫৭৫ সালে প্রথাগত শিক্ষার জন্যে বালক গ্যালিলেওকে পাঠানো হয় ফ্লোরেন্স থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এক মনাস্টেরিতে। চার বছর সেখানে পড়াশোনার পর ১৫ বছর বয়সে গ্যালিলেওকে ওই মঠের শিক্ষানবিশ যাজক করে নেওয়া হয়। যেটা তার বাবার একেবারেই পছন্দ ছিল না। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি যথেষ্ট বিরাগ ছিল তার। চোখের অসুখের জন্যে ডাক্তার দেখানোর নাম করে তিনি যাজকদের খপ্পর থেকে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনেন। চোখের অসুখটা অবশ্য বানানো ছিল না। কিন্তু ভিনসেনজিও ছেলেকে আর সেই মঠে ফেরত পাঠাননি। তিনি চেয়েছিলেন তার নামী এক পূর্বপুরুষের মতোই ছেলে চিকিৎসক হিসেবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হোক। তাই গ্যালিলেওকে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলেন পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

রিকির সঙ্গে যোগাযোগের পরই গ্যালিলিও ডাক্তারি ছেড়ে গণিত ও ভৌতবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে শুরু করেন। কিন্তু পাঠ্যক্রম শেষ না করে, কোনও ডিগ্রি না নিয়েই চলে যান ফ্লোরেন্সে। সেখানে প্রাইভেট টিউশনি করে তাঁর দিন চলেছে, প্রায় হতদরিদ্র অবস্থা।

কর্মজীবনে গ্যালেলিও

ফ্লোরেন্সে অবস্থানকালীন সময় তুস্কেনির গ্র্যান্ড ডিউকের নজরে পড়ে যান গ্যালিলেও। ডিউক তাকে পিসায় ফেরত পাঠান একেবারে গণিতের অধ্যাপক করে। এই পর্বে শুরু হয় টোলেমি, বিশেষ করে এরিস্টটলীয় তত্ত্বগুলিকে হাতে-কলমে যাচাই করে নেওয়ার জন্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

এরিস্টটলের মতে, ওপর থেকে একটি ভারী ও হালকা বস্তুকে এক সঙ্গে ফেললে ভারী বস্তুটাই আগে মাটিতে এসে পড়বে। ১০০ পাউন্ড ওজনের কোনও বস্তু এক পাউন্ড ওজনের বস্তুর তুলনায় ১০০ গুণ দ্রুততর বেগে নেমে আসবে। গ্যালিলেও বললেন, তত্ত্বটা ভুল, দুটোই একই সঙ্গে সমান বেগে পড়বে। বহু দর্শকের সামনে পিসার ১৮০ ফুট উঁচু হেলানো টাওয়ার থেকে সমান আয়তনের হালকা ও ভারী ধাতুর বল এক সঙ্গে ছেড়ে দিয়ে হাতেনাতে সেটা প্রমাণও করে দিলেন। এর পর থেকেই এরিস্টটলীয় তত্ত্বের খোলাখুলি সমালোচনা শুরু করেন গ্যালিলেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বাইরে বক্তৃতা দিতে থাকেন সর্বজনবোধ্য ইতালীয় ভাযায়, যা ছিল অভিনব। কারণ, সে সময় সরকারি ল্যাটিন ভাষায় লেখাপড়ার কাজ চলত। এ সব নিয়ে পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোড়া শিক্ষকদের সঙ্গে গ্যালিলেওর বিবাদ তুঙ্গে ওঠে।

এ দিকে ১৫৯১ সালে বাবা মারা যাওয়ায় বড় ছেলে হিসেবে সংসারের সব দায়িত্বও তার ঘাড়ে এসে পড়ে। পিসায় খুব সামান্যই বেতন পেতেন। তাই উদার ভেনিসীয় রাজ্যের জ্ঞানপীঠ এবং রেনেসাঁর মূল কেন্দ্র পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপক পদের জন্যে চেষ্টা করছিলেন। গ্যালিলেও ভেনিসে গিয়ে সেখানকার প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করলেন, গুণপনায় তাকে মুগ্ধ করে এবং কয়েক জন বন্ধুর সুপারিশে পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্ত হলেন গণিতের অধ্যাপক হিসেবে। সেটা ১৫৯২ সাল।

তখন একের পর এক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্যালিলেও। আবিষ্কার করেছেন পেন্ডুলাম দোলনের নিয়ম, ‘ইনক্লাইন্ড প্লেন’ অর্থাৎ নততল নিয়ে গবেষণা ও গতিশীল বস্তুর ধর্ম। তারপর নিজের হাতে গড়া দূরবীনে চাঁদ, বৃহস্পতি আর নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করে তার বৈপ্লবিক ঘোষণা: কোপারনিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্বতত্ত্বই ঠিক। সূর্যকেই আবর্তন করছে গ্রহগুলি। আর আকাশটা তারার চুমকি বসানো এরিস্টটলীয় সীমায়িত স্বচ্ছ গোলক মাত্র নয়, সীমাহীন তার বিস্তার। কত তারা যে সেখানে আছে তার কোনও হিসেব নেই। রহস্যময় ছায়াপথ হলো অগণন নক্ষত্রদেরই সমাবেশ। বৃহস্পতি গ্রহের যে চারটি উপগ্রহ ধরা পড়ল তার দূরবীনে, রাতের পর রাত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে গ্যালিলেও দেখলেন এবং দেখালেন যে, সেগুলি বৃহস্পতিকেই প্রদক্ষিণ করে চলেছে। বিশ্ব পৃথিবীকেন্দ্রিক হলে পৃথিবীর চারদিকেই তারা ঘুরত। শুক্র গ্রহের দিকে দুরবিন তাক করে গ্যালিলেও আবিষ্কার করলেন চাঁদের মতোই শুক্রকলা। তার মানে শুক্র প্রদক্ষিণ করছে সূর্যকে, পৃথিবীকে নয়। দূরবীনে সৌরকলঙ্কও দেখলেন গ্যালিলেও এবং বললেন ওগুলি সূর্যের গায়ের ওপরেই এক ধরনের কালো কালো ছোপ।

গ্যালিলিওর এই সব প্রত্যক্ষ প্রমাণভিত্তিক আবিষ্কার রোমের গোড়া ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃপক্ষকে খেপিয়ে তোলে। তাঁকে রোমে ডেকে পাঠিয়ে সাবধান করে দেওয়া হয় এই বলে যে, কোপারনিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্বতত্ত্বের সমর্থন, প্রচার বা ছাত্রদের তা শেখাবেন না। এর পরও প্রকাশিত হয় তার ধ্রুপদী গ্রন্থ ‘ডায়লগ অন দ্য টু চিফ সিস্টেমস অফ দ্যা ওয়র্ল্ড’, যেখানে টোলেমি ও কোপারনিকাসীয় তত্ত্বের দুই সমর্থকের মধ্যে বিতর্কের মাধ্যমে সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্বতত্ত্বের জয় ঘোষিত হয়েছে। ওই সংলাপে অংশ নেওয়া এক নিরপেক্ষ তৃতীয় ব্যক্তির মতামত পরোক্ষে সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্বের পক্ষেই যায়। সুতরাং গ্যালিলেওকে এবার রোমের ‘ইনকুইজিশন’ অর্থাৎ ধর্মীয় আদলতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সঙ্গে তাঁর লেখা সমস্ত বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। গ্যালিলেও তখন ৭০ বছরের রোগ জর্জর ভগ্নস্বাস্থ্য এক বৃদ্ধ। তাই সেই সময়ের পোপ, যিনি মনে মনে গ্যালিলেওর অনুরাগী ছিলেন, কারাগারের বদলে গৃহবন্দিত্বের নির্দেশ দেন।

পৃথিবীই মহাবিশ্বের কেন্দ্র এবং সূর্য ও গ্রহগুলি তাকে আবর্তন করে চলেছে টোলেমির এই পৃথিবীকেন্দ্রিক তত্ত্ব যে ভুল, তথ্য ও যুক্তি দিয়ে কোপারনিকাস তা প্রমাণ করেন, যার কথা লেখা আছে তার বিখ্যাত ‘ডি রেভোলিউশনিবাস’ গ্রন্থে। কিন্তু শিক্ষিত মহল ছাড়া ওই তত্ত্বের তেমন প্রচার হয়নি। জোহানেস কেপলার অবশ্য কোপারনিকাসের সমর্থক ছিলেন। ওই তথ্যের প্রকাশ্য প্রচারে নেমে ধর্মীয় কোপে পড়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ইতালির বিজ্ঞানী জিওর্দানো ব্রুনো। তাকে জীবন্তু পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। তাই কোপারনিকাস তত্ত্বের সপক্ষে মুখ খোলার সাহস কেউ করতেন না। সে সাহস দেখিয়েছিলেন গ্যালিলেও। প্রায় দেড় হাজার বছরের অচলায়তন ভেঙেছিলেন তিনি।

গ্যালিলিও গ্যালিলির বিজ্ঞান ভাবনা এবং গবেষণা কিন্তু বন্দিত্বের পরেও থেমে যায়নি। লিখেছেন তার যাবতীয় উদ্ভাবনা ও আবিষ্কারের বিবরণ ও তত্ত্ব সংবলিত গ্রন্থ ‘টু নিউ সায়েন্সেস’। যার পাণ্ডুলিপি গোপনে হল্যান্ডে পাঠিয়ে বইটি ছাপা হয়েছিল। কারও কারও মতে, প্রত্যক্ষ পরীক্ষাকেন্দ্রিক আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তিস্বরূপ ওই গ্রন্থ তার শ্রেষ্ঠ রচনা। শেষ জীবনে গ্যালিলিও একেবারে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু জগতে তিনি যে সত্যের আলো জ্বালিয়ে গিয়েছিলেন, তার শিখা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে দিনে দিনে।[৩]

তথ্যসূত্র:

১. অনুপ সাদি, ২৩ মে ২০১৯, “গ্যালিলিও গ্যালিলি ছিলেন ইতালির পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী”, রোদ্দুরে ডট কম, ঢাকা, ইউআরএল: https://www.roddure.com/biography/galileo-galilei/
২. সরদার ফজলুল করিম; দর্শনকোষ; প্যাপিরাস, ঢাকা; জুলাই, ২০০৬; পৃষ্ঠা ১৮০-১৮১।
৩. বিমল বসু, বিজ্ঞানে অগ্রপথিক, অঙ্কুর প্রকাশনী, ঢাকা, দ্বিতীয় মুদ্রণ মে ২০১৬, পৃষ্ঠা ৫০-৫৩।

Leave a Comment

error: Content is protected !!