ব্যক্তিগত পরিচয়ের নানা ঘটনা থাকে অনেকের জীবনে। আজকের আলোচ্য ব্যক্তির সাথে আমার প্রথম সাক্ষাতের তেমন কোনো স্মরণীয় ঘটনা নেই; যা ভেবে আমি আপ্লুত বা পুলকিত হবো। তবে কাজ করতে গিয়ে আমরা অনেক বৈচিত্রপূর্ণ ঘটনা মুখোমুখি হয়েছি। যা অন্যকে বলা যায়, শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা যায় আবার অন্যের অনুপ্রেরণাও হতে পারে। এসবের মধ্যে ছোট বড় নানা অভিজ্ঞতাও আছে, যা এগিয়ে চলার পথকে সহজ করে তুলেছে। আমাদের বেশ কিছু যৌথ কাজ আছে যেমন– পরিবেশবাদী কাজ, দুটি ওয়েব সাইটে লেখালেখি করা, সাংগঠনিক কাজ ইত্যাদি।
আমি উনাকে চিনি কবি, লেখক, গবেষক, অধ্যাপক, পরিবেশকর্মী, আলোকচিত্রী অনুপ সাদি হিসাবে। উত্তরবঙ্গের সাধারণ একটি গ্রামীণ পরিবেশ তার বেড়ে ওঠা। বৈচিত্রহীন গ্রামীণ জীবনের মধ্যে থেকে উঠে এসে জীবনকে সুন্দর, বৈচিত্র্যপূর্ণ, অর্থবহ করার জন্য নানা চেষ্টা করেছেন তিনি। এজন্য নানা ধরনের কাজে নিজেকে যুক্ত করেছেন। জ্ঞানের বিশাল বহরে তিনি চলাচল করেন অনেকটা স্বাধীনভাবে। তিনি যেমন ভালো পাঠক তেমনি ভালো বক্তাও; লেখক হিসেবেও পরিচিতি আছে। আড্ডা দিতেও পছন্দ করেন কিন্তু সেটাতে আসক্ত হন না। এমন অনেকেই আছে আড্ডা দিয়ে ঘণ্টার পড়ে ঘণ্টা সময় কাটায় তিনি তেমন আড্ডাবাজ না। যে কোনো আলোচনাকে প্রাণবন্ত করার দক্ষতা উনার আছে। নানা বিষয়ে কথা বলতে পারেন। কেউ যদি কোনো একটি বিষয় জানতে চেয়ে সুর তুলে দেয় তাহলে তিনি অনর্গল বলতে থাকেন। অনেকটা পক্ক শিমুল ফলের মতো আলোচনা করতে পারেন। যখন শুরু করেন তখন সঙ্কোচহীনভাবে বলতে থাকেন। এজন্য যারা ভালো শ্রোতা তারা উনাকে নানা প্রশ্ন করে থাকেন।
বক্তা হিসাবেও তিনি বেশ দক্ষ। পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া কোনো বিষয়কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। এই ‘সুন্দরভাবে উপস্থাপন’ বলতে মুখরোচক, জোকারি বা হালকা জনপ্রিয় শব্দ কিংবা বাক্যের ব্যবহার না। জীবন থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতা, গল্প আর জ্ঞানের ব্যাপ্তি থেকে বক্তব্য গুছিয়ে নেন। প্রস্তুতি নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করলে অনেক তত্ত্ব ও তথ্যবহুল আলোচনা করেন। ‘কথা বলার জন্য বলা বা আড্ডা দেওয়ার জন্য অড্ডা’ এমন কাজ তিনি কখনো করেন না। অন্যরা যাতে বক্তব্য বা আড্ডা থেকে কিছু শিখতে পারেন সেটাতে অনুপ সাদি গুরুত্ব দেন। অনেক বিষয়ের উপস্থিত উত্তর থাকে উনার মাথায়। প্রায় সময় নানা জটিল সমস্যার সঠিক সমাধান দিতে পারেন।
পরিবেশের প্রতি বিশেষ দরদ আছে উনার। এটা অনেকটা পারিবারিকভাবেই পেয়েছেন। এই দরদকে অনেকেই বর্ষাকালে বৃক্ষরোপণ করার মতো মনে করলে ভুল হবে। আমাদের দেশে অনেক দরদের প্রকৃতিপ্রেমী আছে। যারা লোক দেখিয়ে বা এনজিও, সংস্থা ইত্যাদি থেকে অর্থ লাভের জন্য কাজ করেন। কিন্তু উনার কাজ এসবের ধারে কাছে না। তিনিও গাছ লাগান তবে সেটা ক্ষেত্রেও বিবেচনা করেই কাজ করেন। সংরক্ষিত, আধাসংরক্ষিত, বিরল প্রজাতির উদ্ভিদকে রক্ষার জন্য কাজ করেন। যেই প্রজাতিগুলো মানুষ, পাখি, পশুসহ পরিবেশের জন্য ভালো সেই প্রজাতিই তিনি নির্বাচন করেন। উনার পরিচালিত ‘জীববিচিত্রা’ সংগঠনের বেশ কিছু কাজ করেছিলাম। যারা খুব গভীরভাবে এই কাজটি করতে চায় অনেকেই তাঁদের এই কাজটাকে পাগলামো বলে। তেমন এটি ঘটনা মনে পড়ে আমার, ২০১১ সালের শেষের দিকে ময়মনসিংহের মালগুদাম এলাকায় এক লোক কয়েকটি বক বিক্রি করতে ধরে এনেছিলো। তিনি লোকটাকে বুঝিয়ে বক নিয়েছিলেন। কিন্তু উৎসুক কিছু জনতা বকগুলোকে বিক্রেতাকে ফেরত দেওয়া বা টাকা দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিলেন। পাখি ধরা ও বিক্রি যে জেল, জরিমানার ব্যাপার অনেকে সেটা বুঝতেই চাইছিলো না। এক পর্যায়ে মিল্লাত ভাই (সিপিবি নেতা) এসে লোকগুলোকে বুঝান- বকটি যদি সুস্থ করে ছেড়ে না দেয়া হয় তাহলে বিক্রেতার জেল হবে। পরের দিন বকগুলোকে ময়মনসিংহের বাইপাসের দিকে একটি গ্রামে ছাড়া হয়।
এভাবেই ময়মনসিংহ শহরে গাঙ্গিনার পাড়, স্টেশন রোড থেকে বিভিন্ন পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হতো। সেই সময় হাসান জামিল, রেজাউল করীমসহ অনেকে এই কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ব্যক্তি যৌথভাবে এই কাজ করতাম। জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালার ভেতরে বেশ কিছু গাছে পাখির জন্য হাড়ি বাঁধার কাজ করা হয়েছিলো। এই কাজে যুক্ত ছিলেন গাইবান্ধার আহমদউল্লা। এরপরে ২০১৮ সালে নেত্রকোনা জেলার বাজার থেকে একটি কচ্ছপকেও উদ্ধার করে সোমেশ্বরী নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছিল। এই কাজ অনুপ সাদিসহ সজীব সরকার রতন, লিপি সরকার, শাহীনুজ্জামান, সাজিয়া আকতার শিউলি ও আমি করেছিলাম।
সাংগঠনিক ক্ষেত্রে তিনি দক্ষ ছিলেন। নিজে যেমন সংগঠন করেছেন তেমনি অন্যকে সাংগঠনিক হতে উৎসাহিত করেছেন। এই ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কাজ খুব কম করেছেন। নিজের দক্ষতা, যোগ্যতার প্রেক্ষিতেই কাজ করেন। ময়মনসিংহের মালগুদাম এলাকায় পাঠচক্রের আয়োজন করতেন। যেখানে অনেক নবীন, প্রবীণের আগমন ঘটত। এছাড়াও রাজনৈতিক অফিসগুলোতেও মার্কসবাদী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। নেত্রকোনা শহরেও এই ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করেন। এছাড়াও ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল এবং ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কয়েকটি শোক সভার আয়োজন করেছিলেন যৌথভাবে; যেসব ব্যক্তি বাম সংগঠনগুলোর সাথে যুক্ত ছিলেন তাঁদের নিয়েই এইসব শোক সভায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, পরিবেশ বিষয়ক সংগঠনের সাথে যুক্ত। নেত্রকোনার এই সাংগঠনিক কাজে যুক্ত ছিলেন কবি এনামুল হক পলাশ, ছোটগল্পকার পুরবী সম্মানিত, রাজনৈতিক নেতা সজীব সরকার, মিঠুন শর্মা, পার্থপ্রতিম সরকার, রাজু প্রমুখ।
তার কবিতা, প্রবন্ধ, সম্পাদনাসহ ১২টি বই আছে। ছাত্রজীবনে বই পড়েছেন অনেক। সেই সময় থেকে পত্রিকায় কবিতা, ফিচার লিখতেন এবং সেগুলো বেশ কিছু সাহিত্যপত্রিকা, দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিলো। এরপরে ধারাবাহিকভাবে কবিতার ৪টি বই প্রকাশ হয়েছিল। আমি উনার ‘উন্মাদনামা বা আধুনিক মানুষের ধারাবাহিক গল্প’ কবিতাগ্রন্থের উপরে একটি আলোচনা লিখেছি। এই বইটি দেশভাগের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক পরিবর্তন ও মানুষের জীবন সংগ্রাম নিয়ে লেখা। লেখাটি ফুলকিবাজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও সমাজতন্ত্র, মার্কসবাদ নিয়ে যে দু’টি বই আছে যা পাঠকে বুঝানোর জন্য সহজভাবে লেখা। হুমায়ূন আজাদকে নিয়ে নিজকথায় লোককথায় হুমায়ূন আজাদ বইটিতে ব্যক্তি হুমায়ূনকে তুলে ধরেছেন। বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা ও বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ একক সম্পাদনায় এবং নারী বইটি তাহা ইয়াসিনের সাথে যৌথ সম্পাদনায়। এছাড়াও কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, লেনিনের সাহিত্য প্রসঙ্গে বই দুটির ভূমিকা লিখেছেন।
ইউটিউবে দেখুন কয়েকটি সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা
অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখা যায়। যেটা পারফেকশন বা পরিপূর্ণতা। এটা একেকজনের একেকটা বিষয়ে দেখা যায়। অনুপ সাদির লেখার জগতে এটা দেখা যায়। যে কোনো কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প বা ছোট কোন ফেসবুক স্ট্যাটাসের ক্ষেত্রে দেখা যায় এই ব্যাপারটি। যেটা চিন্তা করেন সেটাকে সুন্দর, গুছানো ও পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরার জন্য সময় নেন। লেখার ক্ষেত্রে পাঠকের মতামত গুরুত্ব দেন বেশি। অনেক ক্ষেত্রে লেখা উপস্থাপনে জটিলতা আনেন। এক্ষেত্রে উনার নিজেস্ব যুক্তি আছে; তিনি মনে করেন মগজটাও পেশির মতো; যা ব্যায়াম করাতে হয় তা না হলে চিন্তাশক্তি হ্রাস পাবে। জটিল বিষয়ে চিন্তা না করলে ক্ষুদ্র, ঋজু, হালকা ব্যপারে মনোযোগ চলে যাবে।
বানানের ক্ষেত্রে খুব মনযোগী, সচেতন ও তীক্ষ্ণদৃষ্টির ব্যক্তি। নিজের বইয়ের শেষ প্রুফ নিজেই দেখেন। চেষ্টা করেন নির্ভুল বানানে বই বের করার। সম্পাদনার ক্ষেত্রেও যত্নশীল। কোনো বইয়ের বানান ও সুসম্পাদনা না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশের কাজে পাঠান না। নিজস্ব ওয়েবসাইটেও একটি লেখাকে বারবার দেখেন আর সুন্দর করতে থাকেন। লেখাতে তথ্যসূত্র ব্যবহার করেন। একটি লেখা লেখার আগে বিষয়টা নিয়ে নানা লেখকের বই পড়েন। যতক্ষণ না লেখাটি মনঃপূত হচ্ছে ততক্ষণ এডিট করতে থাকেন।
তিনি ডকুমেন্ট রক্ষার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল। নিজের কর্মজীবন, লেখা, সামাজিক, রাজনৈতিক, পরিবেশ বিষয়ক নানা কাজের ক্ষেত্রে যা যা তথ্য সংরক্ষণ করতে পেরেছেন তা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। এই সংগ্রহের ভান্ডারে দেখা যায় অন্য অনেকের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়াও নিজের হাতে লেখা অপ্রকাশিত বইয়ের পাণ্ডুলিপি ১০ বছর ধরে সংরক্ষণ করে চলছেন। পারিবারিক ছবি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধবের সাথে তোলা নানা ছবি এ্যালবামে সংরক্ষণ করেছেন। এই ডকুমেন্ট রক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পারেন ২০১৭ সালে ১৮ অক্টোবর নেপালের একজন খ্যাতিমান লেখক, গবেষক, অধ্যাপক অরুণ গুপ্তের সাথে অলোচনা করার ফলে। এরপরে তিনি তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশবাদী নানা কাজের তালিকা করেন ও অনলাইনে প্রকাশ করেন।
ভ্রমণের প্রতি এক অন্যরকম টান আছে। তবে নিছক আনন্দ নেওয়ার জন্য কোথাও ঘুরতে যান নি। ব্যক্তিগত পরিচিত ব্যক্তির আমন্ত্রণে, সাহিত্য আলোচনা বা আড্ডা, রাজনৈতিক-সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন সম্মেলনে অংশ নিতে দেশে ও বিদেশে ভ্রমণ করেছেন। পরিবেশ নিয়ে যখন কাজ করতেন তখন বিভিন্ন জেলা, থানা ও গ্রামে প্রদর্শনী করতেন। এজন্য নানা ধরনের মানুষের সাথে দেখা, পরিচয় হয়। ভ্রমণটাকে গুরুত্বপূর্ণ করার জন্য কাজের সাথে যুক্ত রেখে ঘুরতেন।
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ, ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, সমাজবিজ্ঞান, প্রকৃতিবিজ্ঞান ও পরিবেশবিজ্ঞানের অঙ্গনে তিনি অবিরাম পদচারণা করেন। অনুপ সাদির বাহ্যিক চাকচিক্য নাই। সাদামাটা বেশভূষা। মগজকে সবসময় গুছিয়ে রাখেন। উনার ব্যক্তিগত লাইব্রেরির কোন জায়গায় কি বই আছে সেটা অল্প সময়ে বের করতে পারেন। লেখার কাজ শুরু করলে এলোমেলো বই পড়ে থাকে। লেখা গুছানোর জন্য তিনি অনেক বই একসাথে নিয়ে বসেন। তবে কথা বলার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকেন। যে কেউ যে কোনো সময়ে কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেন। মানুষের সাথে থেকে যৌথভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন তিনি। সংগঠনকে গুরুত্ব দেন ও কাজকে সাংগঠনিক রূপ দিতে চেষ্টা করেন।
আরো পড়ুন
- জাগো বাহে, কোনঠে সবাই
- সাহিত্য প্রসঙ্গে গ্রন্থ সম্পর্কে একটি আলোচনা
- সমাজতন্ত্র ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অবস্থা
- অনুপ সাদি মার্কসবাদের একজন সবিশেষ কর্মি
- অনুপ সাদি, নিবেদিতপ্রাণ একজন চিন্তক নিয়ে কথকতা
- শব্দ শ্রমিক অনুপ সাদি
- অনুপ সাদির দুই দশকের কাজকর্ম
- অনুপ সাদি অবিরাম চলেন সমাজবিজ্ঞান ও প্রকৃতিবিজ্ঞানের অঙ্গনে
- অনুপ সাদি একজন সংগ্রামী কলমযোদ্ধা
- নিজকথায় লোককথায় হুমায়ুন আজাদ গ্রন্থের আলোচনা
- বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা হচ্ছে অনুপ সাদি সম্পাদিত গণতন্ত্র বিষয়ক গ্রন্থ
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অনুপ সাদি সম্পর্কিত এই মূল্যায়নটি এনামূল হক পলাশ সম্পাদিত সাহিত্যের ছোট কাগজ অন্তরাশ্রম-এর অনুপ সাদি সংখ্যা, সংখ্যা ৪, পৃষ্ঠা ৬৯-৭১, ময়মনসিংহ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে প্রকাশিত এবং সেখান থেকে ফুলকিবাজ.কমে প্রকাশ করা হলো।
দোলন প্রভা বাংলাদেশের একজন কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক ও উইকিপিডিয়ান। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। তার জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯ তারিখে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রেলওয়ে নিউ কলোনিতে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বাংলাদেশের আনন্দমোহন কলেজ থেকে এমএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ফুলকিবাজ এবং রোদ্দুরে ডটকমের সম্পাদক।