অনুপ সাদি, নিবেদিতপ্রাণ একজন চিন্তক নিয়ে কথকতা

  • সরকার আজিজ, কবি ও লেখক

অনুপ সাদি নিবেদিতপ্রাণ একজন মানুষ। একজন শিক্ষক। যৌবনের প্রথম প্রহরেই তাঁর চিন্তার স্ফূরণ লক্ষণীয়। আন্তরিক অনুসন্ধিৎসু এই মানুষটি একজন সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তকও। প্রজ্ঞা ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন এক উজ্জ্বল হৃদয়ের অধিকারী তিনি।

এ-সময়ের মানুষের ভেতর যে লোভ-লালসা, অহংকার থাকে এই মানুষটির ভেতরে এসবের কোনো স্থান নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কষ্ট-বেদনা তাঁর অন্তরতম আকুলতায় হৃদয় ভরপুর। এমন একজন মানুষের সাথে পরিচয় আমার অপূর্ব এক অভিজ্ঞতা। ভোগবাদী জীবনের বিপরীতে তিনি একজন সম-অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অতি সাধারণ জীবন-যাপনেই আস্থাশীল এক ব্যক্তি।

সমাজের অন্তজ শ্রেণির মানুষের প্রতি সমব্যথী হয়ে তিনি তাদের ভালো-মন্দ, আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের কথা ভাবেন। সামাজিক, রাজনৈতিক পরিবর্তন, আন্দোলন এবং বক্তৃতায় তাঁর উচ্চারণধ্বনি থেকে তাঁকে একজন বড় মাপের চিন্তক বলেই মনে হয়। তাঁর চিন্তা ও বিশ্লেষণে নদী, পাখি, প্রকৃতি, দেশ, রাষ্ট্র-সমাজ-সাহিত্য, দর্শন কোনোটাই বাদ যায় না। তাঁর বিশ্লেষণে থাকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ ও যৌক্তিক সংশ্লেষ। এদেশে ঔপনিবেশিকতার প্রভাবের কথা যদি বলা হয় দেখা যায়, ভারতবর্ষে অজ্ঞাত নানা রাজনৈতিক, নানা বর্ণ ও আরো নানা গোত্রের মানুষের জীবন-যাপন, চলন-বলন, সংস্কৃতি এবং জীবনের মেলবন্ধনের কথা ওঠে আসে। ভারতবর্ষে নানা মানুষের আগমন এ-দেশের মানুষের উপর তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক উত্থান-পতনের বলন তাঁর কণ্ঠে উঠে আসে। এছাড়াও ভারতবর্ষে বহিরাগতদের বাদ-বিবাদ, দ্রোহ-বিক্ষোভ, আন্দোলন, শ্রেণিদ্বন্দ্ব ইত্যাদি তাঁর মনে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে এইসব খুব বিশ্লেষণাত্মক ভঙ্গিতে তিনি আমাদের সামনে তুলে ধরেন। তুলে ধরেন, ভারতবর্ষে মানুষের উপনিবেশ বিকাশের আন্দোলন ও বহিরাগতদের অত্যাচার, অবিচার, অনাচারসমূহও। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন কীভাবে এ দেশের মানুষের ভেতর ছড়িয়ে দেয়া যায় অতি চমৎকারভাবে অনুপ সাদিও বক্তৃতা, কথা, প্রবন্ধ, বর্ণনা আলোচনায় স্থান পায়।

সাম্রাজ্যবাদ বিকাশের সাথে সাথে এদেশে তথাকথিত সুশীল সমাজের যে উত্থান, বৃটিশ-ভারতের মানুষের সাথে যে বৈরিতা ও সাম্রাজ্যবাদের ছত্রছায়ায় যেভাবে এনজিওসমূহের উদ্ভব তার তীব্র ও তীক্ষ্ণ সমালোচনা তাঁর লেখা ও বাগ্মিতায় আমরা প্রকাশ পেতে দেখি। শুধু তাই নয়–এসব ক্রিয়াকলাপের যথাযথ সমাধানের কথাও বলেন এবং বাম ঘরানায় মাওবাদী আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকে নিজে গণমুখীন কর্মের ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে ইতোমধ্যে নিজেকে যথেষ্ঠ প্রস্ফূটিত করে তুলেছেন।

আমাদের ভেতর যে অসম প্রবৃত্তির উল্লম্ফন দেখি তার কারণ অনুসন্ধান এবং সমাধানের পথ উদ্ভাবনে তিন একজন বদ্ধপরিকর বলিষ্ঠ প্রকৃতির মানুষ। সাধারণ মানুষের সাথে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার, আচরণ এবং জীবনযাত্রায় প্রান্তিক মানুষের প্রতি সরল আর জীবনযাত্রা মুক্তি অন্বেষায় তিনি এক সাহসী সৈনিক। আমরা তাই তাঁর এইসব গুণাবলীর জন্যে প্রশংসা না করে পারি না। তিনি তাঁর শিরদাঁড়া সোজা রাখেন শ্রেণিবিদ্বেষের বিপরীতে অন্যায় ও ও অবিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে। যা কিনা আমাদের একটি সুষ্ঠু ও সরল জীবনের পথ দেখায়। অনুপ্রাণিত করে একটি সাম্যবাদী জীবন প্রতিষ্ঠায়।

আজকের আধুনিক জীবনের যে মানুষ ও তার অশুভ বুদ্ধি, বিবেকহীন বিবেচনা এবং কলুষিত জ্ঞানের প্রভাব তাঁকে তীক্ষ্ণভাবে নাড়া দেয়। ফলে এসবের কারণে উচ্চকণ্ঠ হয়ে তার প্রতিকারে তিনি জোরালো মত প্রকাশ করেন। তিনি আমাদের জানান দেন যে, পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে যে লক্ষ লক্ষ বছর চলে গেছে তাঁর ইতিহাস মূলত শাসন-শোষণেরই ইতিহাস। সাধারণ জনগোষ্ঠির ব্যর্থতার ইতিহাস যে শাসকদের জন্যে, পৃথিবীতে ইতোমধ্যে তা রচিত হয়েছে। যার কারণ নির্ণয় করা গেছে এবং এই কঠিন বাস্তবতা থেকে মুক্তির পথ তৈরি হয়েছে। সাধারণ জনগোষ্ঠির এই বাস্তবতা তাঁকে ব্যথাতুর করে তুলে। একদল মানুষ তারা তাদের আধিপত্য দিয়ে সাধারণ মানুষের সরল জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। আর তারা ক্ষমতা দ্বারা মানুষকে দাসে পরিণত করে চলছে। অনুপ সাদি এইসব কুচক্রি ক্ষমতাধরদের দিকে ঘৃণা ছুঁড়ে দেন। তাঁর মুক্তবুদ্ধির চর্চা আমাদের জন্য এক আশার আলো।

তাঁর জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শন চর্চার প্রভাব নতুন পথের যাত্রা যেন। তিনি ব্যর্থ গণতন্ত্রের পথকে বাতিল বলে আখ্যায়িত করায় সদা সচেষ্ট। অনুপ সাদি কখনোই মনে করেন না ধর্ম ব্যবস্থা এবং তার বিধিবদ্ধ আচার দ্বারা মানুষের জীবনে মুক্তি আনতে পারা সম্ভব। তিনি এক্ষেত্রে একটি আদর্শের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তিনি এমন এক আদর্শের সারথি যে আদর্শ সাম্যবাদী আদর্শ। যে আদর্শ মানুষকে পরিপূর্ণ দিশা বা একটি যুক্তিগ্রাহ্য লাইন দিতে পারে। এই আদর্শ তাঁর কল্পিত কোনো আদর্শ নয়। বরং সত্য, ন্যায় ও মুক্তির পথে মানুষকে অন্ধত্ব ও শাসন-শোষণ থেকে ফিরিয়ে আনার আদর্শ। তিনি সমাজে এমন এক আদর্শ বাস্তবায়িত দেখতে চান যা ন্যায়, ভালো, উন্নত ও শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করবে।

আমাদের দেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে তিনি জানান, ১৯৯০-এ নানামুখী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ সুগমের যে ঢাকঢোল পেটানো উচ্ছ্বাস যা এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে একটি আদর্শ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলো তা সফলতার মুখ দেখে নাই। ‘ফলে এদেশে গণতন্ত্রের কোনো দার্শনিক ভিত্তি তৈরি হয়নি।’ বাঙালির অগণতান্ত্রিকতা প্রবন্ধে তিনি বলেন,

“রাষ্ট্রের সম্পদের ওপরে, পুঁজির ওপরে যেহেতু নির্ভর করে সকল অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড–উৎপাদন, নির্মাণ, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি, আয়-ব্যয়, বাজেট–অভ্যন্তরীণ ও উপরিকাঠামোর সকল কর্মকাণ্ড, তাই রাষ্ট্রের সম্পদের মালিক হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিক-কৃষক মেহনতি জনগণ, রাষ্ট্রের সম্পদের মালিকানা হবে সামাজিক। রাষ্ট্রের মালিকানা যতদিন না সামাজিক হবে, ততদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সুখ-সমৃদ্ধি-উন্নতি অর্জিত হবে না–সুখ-সমৃদ্ধি-উন্নতি থেকে যাবে কতিপয় সম্পদশালী বিত্তবান পুঁজিপতির হাতে; গণতন্ত্রের প্রধান ভিত্তি সাম্য-মৈত্রী ও স্বাধীনতার কোনোটিই অর্জিত হবে না।

রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক করার লড়াই সহজ নয়, স্বল্পস্থায়ীও নয়। দু-একদিন গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে গলা ফাটালে গণতন্ত্র আসবে না।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসকদের বৈশিষ্ট্য হবে, কারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসক হবে; এ সম্পর্কে প্রতিদিন সচেতন থাকতে হবে। জনগণকে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় গণতন্ত্রের জন্য গণতন্ত্রকে চোখে চোখে রাখতে হবে। জনগণ গণতন্ত্র সম্পর্কে সচেতন না থাকলে গণতন্ত্র ছিনতাই হয়ে সামরিক-বেসামরিক আমলাতান্ত্রিক শাসন চালু হয়, জরুরি অবস্থা জারি হয়; বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্র ছিনতাইয়ের ইতিহাস বহু পুরনো।”[১]

বলা যায়, মানুষের সম্পত্তির ওপর অধিকারের যে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা, আমলাতান্ত্রিকতা তা খর্ব করবেই। এই আমলাতান্ত্রিকতা আরো অন্যান্য গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, রাষ্ট্রের অব্যবস্থার পথকে সুগম করে। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিক ঐতিহ্য দুর্বল; অসাম্য সংঘটনের কারণে গণতন্ত্রায়নের যাত্রাকে সাধ্যাতীত করে তুলেছে। বিপ্লবের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষাকে একেবারে তলানীতে নিয়ে এসেছে। অনুপ সাদির এই যে চিন্তন তা একই সাথে জনহিতকর এবং একটি কার্যকারী সামাজিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের আশান্বিত করে।

অনুপ সাদি বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হলে তার উদ্দেশ্য হবে এমন–“দলের লিখিত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কর্মসূচি ও কর্মনীতি থাকবে, এবং তা সময়ের প্রবাহে সময়োপযোগী করতে হবে।” সাদি চান, অসাম্প্রদায়িক এমন এক ব্যবস্থা যা থেকে মানুষ সমহারে অধিকার ভোগ করবে। আর রাষ্ট্রের ক্রিয়া-প্রক্রিয়াগুলি পক্ষপাতিত্বহীনভাবে ও সমভাবে অর্জিত দায়িত্ব পালন করবে। অনুপ সাদি এখানেই তাঁর আদর্শের মন্ত্রকে প্রোথিত রেখে গণমুখীন রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেন। যা আধুনিক, সাম্যবাদী, যৌক্তিক, বৈজ্ঞানিক ও কল্যাণকর।

অনুপ সাদির কয়েকটি বক্তৃতা দেখুন

পনের শতকে স্পেন ও পর্তুগাল পশ্চিম এশিয়ার মুসলমানদের বিতাড়িত করলে অনুপ সাদি আমাদের জানান, দরিদ্র ইউরোপ ধন-সম্পদ অর্জনের সূত্রপাত ঘটায়। এখানে সাদি লুটেরা বুর্জোয়াদের চিহ্নিত করে ধন-সম্পদ আহরণ ও ক্ষমতায়নে লিপ্ত হওয়ার কথা বলেন। ইউরোপীয়রা তখন পৃথিবীতে কলোনী স্থাপন করল, ‘ফলে পৃথিবীর মানুষের সম্পদে ইউরোপে গড়ে উঠল একটি অর্থ-বিত্ত-বিদ্যায় ক্ষমতালোভী, স্বাধীকার প্রতিষ্ঠাকামী উচ্চবিত্ত উচ্চমধ্যবিত্ত বুর্জোয়া সমাজ। অনুপ সাদির এই চিন্তন আমাদের ভাবায়। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সম্যক পরিস্থিতি অনুধাবন করি। বোধ করি করণীয়গুলিও চিহ্নিত করতে পারি। বলা যায়, অনুপ সাদি এই সময়ের মানুষের পক্ষে একজন চিন্তকই শুধু নন, তার চিন্তা আমাদের যুক্তিগ্রাহ্যতা গ্রহণ-বর্জনের ভিতর দিয়ে তাঁর জ্ঞাননিরীক্ষা আমাদের প্রভাবিত করে, আমাদের প্রাণ ছুঁয়ে যায়।

অনুপ সাদি কবিতা দিয়ে তাঁর লেখক জীবনের শুরু করেন। যেমন সুস্থ রাজনীতি তেমনই সাহিত্যেও তাঁর চিন্তন মার্কসীয় দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আলোকোদ্দীপকের ন্যায় কাজ করে আমাদের মনে। তাঁর একটি সম্পাদিত বই আছে ভি. আই. লেনিনের সাহিত্য প্রসঙ্গে। এই বইয়ে তিনি আমাদের জানান,

সাহিত্যের ব্যাপারটাকে হতে হবে সমগ্র প্রলেতরিয়েতের কর্মযোগের একটা অংশ, হতে হবে সমগ্র শ্রমিকশ্রেণির সমস্ত রাজনীতিসচেতন অগ্রবাহিনী দ্বারা চালানো একক ও অখণ্ড সোশ্যাল-ডেমোক্রেটিক মহা যন্ত্রব্যবস্থাটার ‘খাঁজ ও ইস্ক্রুপ’। সাহিত্যেকর ব্যাপারটাকে হতে হবে সংগঠিত, পরিকল্পিত, সম্মিলিত সোশ্যাল-ডেমোক্রেটিক পার্টি কাজের অঙ্গাঙ্গী অংশ।[২]

তাঁর লেখায়, আড্ডায়, বক্তৃতায় তিনি আমাদের একজন সাম্যবাদী বাগ্মী। তাঁর সাহিত্যালোচনায় ও সাহিত্যের তত্ত¡ ও তথ্য উপস্থাপনে আমরা মুগ্ধ হই। বিশেষ করে আমাদের ঘোরগ্রস্থ জাতীয় জীবনে গণতন্ত্রের ন্যায় সাহিত্যেরও যে করুণ হাল তা তীক্ষ্ণ ভাষায় তার ব্যাখ্যা ও পর্যালোচনা করতে তিনি ছাড়েন না।

রাষ্ট্রীয় জীবনে রাষ্ট্র ও সরকারের অবক্ষয় এবং তথাকথিত উন্নতি ও উন্নয়নের তীব্র সমালোচক তিনি। দেশের জনগণ তথা জাতীয় জীবনের নানা বিতর্কিত সঙ্গ-অনুষঙ্গের বিশ্লেষণ ও তার ব্যাখ্যা আমাদের বিস্মিত করে। আমরা আশার আলো দেখি। স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। অবক্ষয়, পরচর্চা ও সংস্কৃতিবিমুখতা সমাজের মানুষের উপর এসবের প্রভাব জাতীয় জীবনে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে। বিলাসীতা, আগ্রাসন, ভোগবাদ সমাজকে আচ্ছন্ন করেছে, করে যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, ওগুলো আজ মানবজীবনকে এমন কী যাপিতজীবনকেও উদ্বুদ্ধ করতে ছাড়ছে না। তিনি আরো মনে করেন, সমস্ত শোষণ-শাসন, নৈরাজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে মার্কসবাদ তথা সমাজতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দ্বারাই কেবল একটি শ্রেণি শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

আরো পড়ুন

তথ্যসূত্র:

১. অনুপ সাদি সম্পাদিত, বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা, ‘বাঙালির অগণতান্ত্রিকতা’, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০১০, পৃষ্ঠা ১৬
২. অনুপ সাদি সম্পাদিত, ভি. আই. লেনিনের সাহিত্য প্রসঙ্গে, টাঙ্গন, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০২০, পৃষ্ঠা ১৫

বিশেষ দ্রষ্টব্য: অনুপ সাদি সম্পর্কিত এই মূল্যায়নটি এনামূল হক পলাশ সম্পাদিত সাহিত্যের ছোট কাগজ অন্তরাশ্রম-এর অনুপ সাদি সংখ্যা, সংখ্যা ৪, পৃষ্ঠা ৩৩-৩৬, ময়মনসিংহ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে প্রকাশিত এবং সেখান থেকে ফুলকিবাজ.কমে প্রকাশ করা হলো।

Leave a Comment

error: Content is protected !!