সমীরণ মজুমদার পশ্চিমবঙ্গের বিপ্লবীধারার লেখক, গবেষক, প্রাবন্ধিক

লেখক সমীরণ মজুমদার

সমীরণ মজুমদার পশ্চিমবঙ্গের বিপ্লবীধারার লেখক, সমাজ বিশ্লেষক, মুক্তচিন্তা চর্চা আন্দোলনের খ্যাতিমান সংগঠক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, কল্পবিজ্ঞান, ব্যঙ্গ রচনায়ও তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। বাংলাদেশের লেখিকা হেনা সুলতানার সঙ্গে তাঁর কবিতা গ্রন্থ দুই পাড় এক নদী এবং গল্পগ্রন্থ হেনা-সমীরণের গল্প যুগপৎ ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। সমীরণ মজুমদারের জন্ম কলকাতায় ১৯৪৩ সালে। বাল্যকাল কেটেছে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ … Read more

লেখক সমীরণ মজুমদার মারা গেছেন

লেখক সমীরণ মজুমদার

লেখক ও প্রাবন্ধিক সমীরণ মজুমদার গত ২৬ মে, ২০২২ তারিখে মারা গেছেন। শুভচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধি আন্দোলনের খ্যাতিমান সংগঠক, চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব, মার্ক্সবাদসহ অসংখ্য মূল্যবান গ্রন্থের প্রণেতা ভারতের পশ্চিম বঙ্গের অনীশ সংস্কৃতি পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সাম্যবাদী কবি, লেখক, গবেষক, বুদ্ধিজীবী সমীরণ মজুমদার গত বৃহস্পতিবার ২৬ মে বিকাল ৩ ঘটিকায় কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর … Read more

লোকশিল্পী ও ভূমিকন্যা শাহেরা খাতুন

লোকশিল্পী ও ভূমিকন্যা

সাধারণের গন্ডি পেরোনো এক রত্নগর্ভা। প্রয়োজন নেই রাষ্ট্রীয় সীমাবদ্ধ পদকতালিকায় নাম লেখানোর, তাবত পৃথিবীকে উর্বর করার মিছিলে তাঁরা হেঁটে যায়, মিছিলি মিছিলি জীবনে যাঁরা রেখে যায় পদচিহ্ন, অমোচনীয় কালিতে তাঁদের নাম লিখা থাকে পৃথিবীর পথে পথে, তিনি শাহেরা খাতুন। সকল সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করা কর্মদ্দোমী, প্রকৃতি থেকে পাঠ নিয়ে সদা নিজেকে করেছেন সমৃদ্ধ। জগতের কল্যাণের নিমিত্তে … Read more

শাহেরা খাতুন বাংলা অঞ্চলের স্বভাব ভূমিকন্যা যিনি প্রকৃতির জীবনে মিশে ছিলেন

শাহেরা খাতুন ছিলেন বাংলা অঞ্চলের এমন এক ভূমিকন্যা যিনি প্রকৃতির জীবনের সঙ্গে মিশে ছিলেন একাকার হয়ে। তিনি প্রকৃতির মাঝে থেকে কৃষি কাজ করতে, ফসল ফলাতে ভালোবাসতেন। গ্রামীণ জীবনে নাড়ীর সাথে ভূমির যোগ থাকে, তাঁর ক্ষেত্রে এই যোগ যেন একটু বেশিই ছিল। বাড়ির পাশে ছোট ছোট স্থানে শাক সবজির বাগান করাতে যেমন আগ্রহ ছিল তেমনি ফলের … Read more

শাহেরা খাতুন সময়কে ধারণ করেছিলেন সময়কে সামনে এগিয়ে নিতে

শাহেরা খাতুন সময়কে ধারণ করেছিলেন নিজের চতুর্দিকে বিরাজিত সময়কে সামনে এগিয়ে নিতে। তিনি যে সময়ে জন্মেছিলেন তখন শহুরে মধ্যবিত্তের বিকাশ যদিও মধ্যগগনে, কিন্তু গ্রামীণ জীবনে তেমন টানাপোড়েন দেখা যায়নি। জমিদারি নৃশংসতার বিরুদ্ধে কৃষকগণের আন্দোলনের চল পুরোমাত্রায় চালু হয়ে গেছে। কৃষক সংগঠনগুলো সারা বাংলায় নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলেছে। কিছুদিন পরেই গোটা বাঙাল মুলুকে শুরু হবে … Read more

শাহেরা খাতুন কঠিন বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বাস্তববাদী

ভারতীয় উপমহাদেশ সংক্রান্ত আলোচনার সাথে পৃথিবীর অন্যান্য অংশের সামাজিক অর্থনৈতিক ধারাবাহিকতার সম্পর্ক আছে, এমনকি ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ এই ১৯০ বছর এই অঞ্চলের বৃটিশ বিরোধী লড়াই-সংগ্রামগুলো সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা ও অনুধাবন করলে দেখা যাবে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতি ঐক্যবদ্ধভাবে একমুখী ছিল! ফ্রান্সের শিল্প বিপ্লব যন্ত্রের ব্যবহারকে ব্যাপক মাত্রায় বিকশিত করায় সারা বিশ্বেই এর কম বেশি প্রভাব পড়ে। ১৯৪৭ … Read more

আমাদের জীবনে আলোকদীপ্ত শাহেরা খাতুনের অবদান

আমাদের জীবনে আমাদের মা আলোকদীপ্ত শাহেরা খাতুনের অবদান আলোচনা করবার উদ্দেশ্যে এই এই লেখা লিখতে বসেছি। তাঁর অবদান বিভিন্নভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। আমাদের মা শাহেরা খাতুনের জীবন কঠোর অবরোধ প্রথা এবং পুরুষাধিপত্যের পরিবেশে অতিবাহিত হয়েছে। তাঁর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিরাজিত বহুমুখী কাজের বৈশিষ্ট্য ছিল পুরুষতন্ত্রের কঠোর অবরোধ প্রথার উচ্ছেদ করে নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা … Read more

শাহেরা খাতুনের চিন্তাধারা হচ্ছে উদারতা, স্বনির্ভরতা আর পরোপকারিতা

আমার নানী শাহেরা খাতুনের চিন্তাধারা বহু দিকে বিস্তৃত হয়েছে। তাঁকে দেখেছি একজন উদার পরোপকারী স্বনির্ভর মানুষ হিসেবে। তিনি প্রচণ্ড পরিশ্রমী একজন ব্যাক্তি ছিলেন। ভোর থেকে শুরু করে রাত্রে বিছানায় শোয়ার আগ পর্যন্ত ঘরের কাজ, বাইরের কাজ, বসতভিটা এবং কান্টায় গাছপালার সার্বিক যত্ন নেওয়া, হাস, মুরগি, গরু, ছাগলের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে সকল কাজ কর্ম … Read more

আমার বড় বোন শাহেরা খাতুন নিজ জ্ঞানে সারা জীবন চলেছেন

আমার বড় বোন শাহেরা খাতুনের সাথে আমার বয়সের পার্থক্য অন্তত দশ বছরের। ওর বিয়ের কথা আমার মনে পড়ে না। ওদেশে [পশ্চিমবঙ্গে] আমার সাথে শাহেরা খাতুনের কোনো কথাই মনে পড়ে না, কারণ আমি খুব ছোট ছিলাম। শাহেরা অনেক আগেই এদেশে চলে আসে। ও দামোলে চলে আসলে আমার বাবা মন খারাপ করে থাকত। ফলে বাবা সবাইকে নিয়ে … Read more

বড় ফুপু শাহেরা খাতুন ছিলেন পুরো পরিবারের তথ্য ভাণ্ডার

বড় ফুপু শাহেরা খাতুন আমার বাবা-চাচাদের মধ্যে সবার চেয়ে বড়। আমাদের রণহাট্টা গ্রামের বাড়ি থেকে ফুপুদের বাড়ি দেড় কিলোমিটার দূরে। অনেক রকম ফলের গাছ ছিল ফুপুর বাসায়। ছোট বেলায় সাইকেল নিয়ে অনেক গিয়েছি আম-কাঁঠাল খাওয়ার জন্য। নানা রকম গাছের ছায়ায় বসলেই প্রাণটা জুড়িয়ে যেত। বড় ফুপুর বাসায় গেলেই কোনো না কোনো খাবারের আয়োজন করতে ব্যস্ত … Read more

error: Content is protected !!